ছায়াডাকা, পাখিঢাকা
— সন্দেহ জঙ্গল খুলে আশেপাশে থাকে —
পাতাকে আড়াল করে, আড়ালকে পাতায় বসিয়ে রেখে
অপেক্ষা করার কথা অনুরোধে বলে
আমরা বড়ুই ছুঁড়ি গাছে—
এসব বড়ুই যেসব অঞ্চলে হয়
সে-অঞ্চল ছায়াডাকা পাখিঢাকা অভিধায় খ্যাত।
ননঅ্যাকাডেমিক
আমার গ্রাম।
শারলেভিল থেকে প্যারিসে, কলকাতায়, ঢাকায় –লিখতে লিখতে আসি
কাটতে-কাটতে যাই –
লেখা-কাটার মাঝখানে জ্ঞান গুঁজা দিয়া
কবিতা লেখাতে চাও,
লিঙ্গ সামনেই যাবে-আসবে- তীরনির্দেশ করো;
আমরা সামনের পিছনগমন করি-
আদব শেখাতে আসো- বেয়াদবি শিখাইতে যাই না-
‘কিরে র্যাঁবো, তাই না?’
পানি-সংকট
পিঠের-বুকের-কোমরের উপরে;
মাথায় ঢাললাম; গোসল হয়ে গেলে-
পুরুষমানুষের প্রধানত দুইটা মাথা থাকে;
দুইটা দুই রকম, দুইটাই দুই গরম;
একটা ব্যস্ত বেশি, আরেকটা কম;
একটা ক্রিয়েটিভ অন্যটা অ্যাকক্টিভ।
চিতাইপিঠা
খাড়া কইরা তো যায়ই,
মাথার দিকে দিয়া শুরু করতে হয়।
শোয়াইয়া খাইতে দিক লাগে না- বিদিক লাগে;
খাইয়া সাইরা গরম হইতে শীতে বাইরাইবার রাস্তা দেখা যায়।
মারজুক শা’র মাজার
দমে মুক্তি, দমে পুণ্য
‘শূন্য আকাশ আকাশ শূন্য…’
জিকির বাড়বে আকাশ আকাশ,
তাহলেই সবুজসুমতি মৃতপ্রায় ঘাস।
দানবাক্স অক্সিজেন, প্রেম ছাড়া কিছুই গ্রহণ করে না।
হে-এএএই, অন্ধকারে কে যাচ্ছ? দাঁড়াও;
মারজুক শা’র মাজার সামনে-
‘শূন্য আকাশ আকাশ শূন্য…’ জিকিরটা বাড়াও।
পাবলিক উওম্যান
ওই প্রক্রিয়ার সঙ্গে ঈ-প্রত্যয় যোগে রমণী হয়েছে
তারপর ফেটে গেছে ইশকুলে, অফিসপাড়ায়,
আবাসিক হোটেলের সিঁড়ি বেয়ে চাঁদে…..
চাঁদের বুড়ির বয়স যখন ষোলো
আমি ইশকুলকে নাইনে পড়াই। লাইন (প্রেম!) করার চেষ্টা বলে ‘চালিয়ে যাও’… চালাতে গিয়ে বন্ধুকে দাঁড় করিয়ে তার সাইকেল, সাইকেল-আরোহণ, লক্ষ্য রিকশা, রিকশার মেয়েটা, মেয়েটার ইশকুল, ইশকুলের গেট থেকে দারোয়ানের তেল-চকচকে লাঠি আর রাগী চোখ দেখে ফিরে আসা। লুকিয়ে ধুমপান। পয়সা অনুকূল টাকায় উত্তীর্ণ হলে সিনেমা-হল, ফারুক-ববিতা। সেলুন দেখলেই ঢুকে পড়া, চুলসহ নিজেকে আঁচড়ে নেয়া। ‘প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য’ নোটিশের পুস্তিকা দেরত দিতে যাওয়া সন্ধ্যা, সন্ধ্যামালতী। টেক্কা-সাহেব-বিবি-গোলামের ব্যবহার শেখানো বয়োজ্যেষ্ঠদের পেছনে লেগে-থাকা রাত্রি, টুয়েন্টি নাইন, কলব্রিজ, ব্রিজ… । বাকি চাইবার আগে দোকানের বেড়ায় টাঙ্গানো ‘বাকী দেয়া বড় কষ্ট, বাকিতে বন্ধুত্ব নষ্ট’- লেখাটাকে মনেমনে আবজর্না-পর্যায়ে ছুঁড়ে ফেলা। বাবার পকেট, পকেট থেকে দুচারখানা ছোট নোট সরানো, ধরা পড়ে যাওয়া, আমার উপস্থিতিতে মাকে শুনিয়ে বাবার (বড় হলে চোর হবে) ভবিষ্যদ্বাণী । … কোন বাড়ির একতলা-দোতলা-তেতলা-চারতলা-পাঁচতলার বারান্দায় দিকটায় শুকোতে দেয়া যাবতীয় নারীপোশাকে দৃষ্টি আটকানো আমার ১৭, আমার অন্যায়…
মুরব্বিস্থানীয় নিকটজনেরা বয়সকে দোষ দেয়। বয়স আমাকে পুনরায় প্রশ্রয় দিয়ে বোঝায়- ‘চাঁদ ও তার বুড়ি, দুইজনেই কলঙ্কের সমান অংশিদার।’
অল্টারনেটিভ
তোমার দেখা পাচ্ছি না; তোমার দেড়-তলা বাড়িটাকে দেখতেছি। বাদামি পর্দা-উড়া-হালকা-খোলা জানলা দিয়ে যত ভেতরে দেখা যায়। ছাদে শুকাতে দেয়া কাপড় চোপড়, “ফিরোজা+পিংক” কম্বিনেশন ড্রেসে তোমাকে একদিন মর্কেটে দেখেছিলাম; ওই ড্রেসটা কি ভিজায় থাকে, শুকাইতে দাও না, ছায়াতে শুকাও ? গোপনে শুকাও ?
তোমার এলাকার হোটেলগুলায় নাশতা; দুপুর, রাতের খাবার, টং দোকানের চিনি-ছাড়া-কাঁচাপাতি-দুধ-বেশি-চা; চানাচুর, আপঝাপ, মিনারেল পানি, চুইংগাম, ক্যাকজ্যাক খাচ্ছি প্রসংসা করছি। তোমারে খাইতে পারতেছি না।
তোমার এলাকার রোদ, বৃষ্টি, ধোলিবালি, প্যাঁক, ময়লাটয়লা লাগায় বেড়াচ্ছি;তোমারে লাগানো হইয়েই উঠতেছে না, হবে …
তোমার এলাকা ছাইড়া যাচ্ছি;
তোমারে ছাড়ার ফিলিংস্ হচ্ছে, হোক –
আমি অনেক-কিছুই-ছাইড়া-আসা-লোক !
বউ
উত্তরমুছুনতুমার এলাকা ছাইরা জাচ্ছি তুমার জন্ন ফিলিংগ্ছ হচ্ছে
উত্তরমুছুন