সুলতানার স্বপ্ন
প্রজাপতির মন
ওমর ফারুক
অঞ্জন বরণ অলক তোমার
সুকন্ঠের ন্যায় লোচন,
চঞ্চলতা দৃষ্টি জুড়ে
যেন তুমি প্রজাপতির মন!!
কল কন্ঠের ন্যায় কন্ঠ তোমারি
নিভে যায় আমার সর্ব শুচি,
রঙ্গন তুমি ফুটে রয়েছ
আমি সেই মধুকর মধু শুষি!
বিহঙ্গের মত উড়ে যাব আমি
নিয়ে তোমায় সূদূর দেশ,
যেথায় আছে জোৎনা "রজনী "
সেথায় তোমার আলোর বেশ!!
নিখিলে এই কাননের বুকে
-রজনীগন্ধার ঘ্রাণে,
এই কোন নেশায় আঁটকে দিলেই
কাঁটা বিঁধিলে প্রাণে,অপূর্ব দু'নয়নে!!
আহা! মায়াবতী ঐ দুটি নয়নের-
প্রেমে (নির্জন নির্জরা,)
দূর আকাশের ঐ মিটিমিটি তাঁরা
চাঁদে ও পড়েছে প্রেমে
কবিও যে আত্মহারা!!
#প্রেমের_কবিতা✍✍
কবিতা: অধিকার বোধে
কলমে: মৃন্ময় ভান্ডারী
আজ না হয় একটু স্বাভাবিক ছন্দে ফিরে এলাম, হয়তো কল্পনার দরজা হাট করে খুলে!
অস্বাভাবিক শ্বেত কণিকাগুলো জমাট বাঁধিয়ে দিক আমার বাম পাশের হৃদপিণ্ডটাকে!
তাহলে হয়তো জীবনের স্পন্দন খানিকটা ঝিম মেরে যাবে।
জানি কোলাহল তোমার অপছন্দের তাইতো মৃত্যুকে ভালোবেসে ফেললাম!
মৃত্যু নাকি নিস্তরঙ্গ নদীর মতো বইতে থাকে, তখন কি তুমি একটু কাছাকাছি আসবে?
আসলেও থাকবে তো, মানে কিছুটা সময়! উপচে পড়া অভিমান নিশ্চয়ই তখন খুঁজে নেবে বইবার মতোন কোনো নালা!
তুমি তখন মেনে নিও আমার হতভাগ্য দাবী! আমিই তখন থাকবো একমাত্র দাবীদার, কারণ বাকিরা তো সবাই জীবনের রসাস্বাদনে ব্যাস্ত!
তুমি হেলে পড়া গাছের সাথে আমাকে জড়িয়ে ধোরো, না পারলে শুকনো পাতার সঙ্গে ভাসতে ভাসতে আমায় কোনো কিনারা খুঁজে দিও!
আমি পূব পশ্চিম দিশা ভুলে, জানালার পর্দা খুলে, থাকবো অযাচিত মাকড়সার মতো ঝুলে; বারংবার আঘাতেও হবো না নিস্তেজ, কারণ মৃত্যুর তো কোন রক্ত কণিকা নেই!
শ্বেত কণিকার সাথে সম্পর্ক করে তোমার একচ্ছত্র অধিকার যে এখন আমারই প্রিয়!
না পাখি
মোঃ ইব্রাহিম মিয়া
আমার প্রাণ ভোমরা ছোট ময়না
মাঝে মাঝে কথা কয়না
করুন চোখের মিষ্টি পলক
নামে শুধু শ্রাবন ধারার ঝলক,
টিপ টিপিয়া পরে পানি
কাঁদে তাহার চোখের মনি
সাথি পালক ছেরে একা
বন্দী জীবন লাগে ফাঁকা
দূর আকাশে চেয়ে থাকে
ডানা মেলে উরবে কখন আপন সুখে ।
লুকিয়ে রাখা বন্ধুর স্মৃতি
জমাট বেধে হইল প্রেমপ্রিতি
সকাল সন্ধা বন্ধুর কথা
ভাসে পাখির চোখের পাতায়,
তাইতো পাখির প্রাণে ব্যাথা
ভূলে গেল আহার নিদ্রার কথা
চুপচাপ মেজাজ ভারি
সর্বদাই দেয় আড়ি
আদর সোহাগ যতই দিলাম
তবুও পাখির মন না পেলাম ।
আমার হবে এই ভরসায়
শিকল বেড়ী দিলাম খাচায়
পোষার আশায় ভালবাসা
সুখের ঘরে বাধব বাসা
এইতো ছিল মন বাসনা
প্রাণ পাখিটা বুঝল না
ভাটার জলে সুখের ভেলা
নোঙর করে অবেলায় ।
দিন হারিয়ে বুঝলাম আমি
মনের চাওয়া পাওয়ার অনেক দামি
মন বাঁধার শিকল কড়া
কারো হাতে হয়না গড়া।
বাধা কোথায়??
— সোনালী কর
আমি যদি নাইবা তোমার
প্রেমের কবিতা
তুমি আমার কাব্য হতে
বাধা কোথায়??
আমি যদি নাইবা তোমার
রাতের মদিরা
তুমি আমার আসক্তি তে
বাধা কোথায়??
এ কূল যদি ভাসলো আমার
অথৈ জলে
তুমি আমার অকূল হতে
বাধা কোথায়??
সোনার আভায় জ্বলতে-চাওয়া
পাথর আমি
তুমি পরশ-পাথর হতে
বাধা কোথায়??
আমি যদি স্নায়ূর পথে
অশ্রু জোগাই
তোমার তবে কাঁদতে এত
বাধা কোথায়??
লক্ষ তীরে বক্ষ আমার
বিদ্ধ যদি
কয়েক ফোঁটা রক্তে তোমার
বাধা কোথায়??
সরকার আমিন এর কয়েকটি কবিতা
প্রেমের মিনিমাম যোগ্যতা
প্রেমে পড়ার জন্য আরেকটু সুন্দরী বা সুন্দর না হলেও চলে
প্রেমে পড়ার জন্য আরেকটু জ্ঞানী বা বিজ্ঞানী না হলেও চলে
প্রেমে পড়ার জন্য আরেকটা দামি গাড়ির প্রয়োজন নেই
প্রেমে পড়ার জন্য একটা সহজ হৃদয় দরকার
যেটা আ করলে আখাউড়া বুঝবে
♦
মদ, রুটি ও চুমু
রুটি ও মদ ফুরায়ে যাক, ঘোলা হয়ে যাক প্রিয়ার চোখ
চুপ করে বসে রবে পায়ের কাছে আহ্লাদী বিড়াল
একটু স্নেহের কাঁটার জন্য করব মিউ মিউ
কম্পিত চোখে আমার দিকে তাকাবে তুমি
কম্পিত চোখে আমি তাকাব তোমার দিকে
বুকের ভেতর বাজবে শেষরাতের মাতাল ট্রেন
বুকের ভেতর অনিদ্র নদীর ছলাৎ ছলাৎ ঢেউ
নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যাবার আগে তোমাকে চুমু খাবো!
♦
জনৈক পাগলের উপলব্ধি
প্রেম আসে শব্দ করে, মিশে যায় নৈঃশব্দ্যে; যেন এক অচল শকট
মাঝখানে শূন্যস্থান পূরণের খেলা, কিছু অস্বাভাবিক ডট ডট
প্রেম রতিহীন আরতি নয়, মূলত দাহ; যেন মরুভূমিতে দিকভ্রান্ত উট
শান্তি; অশান্তি; আশা; ক্রন্দন; আচানক অনুভূতি; প্রেম বড়ো উদ্ভট!
~
বিবাহিত প্রেমের কবিতা, সরকার আমিন Sarker Amin
সম্পর্ক
রজতশুভ্র মজুমদার
আমি তো তোমাকে শুধুই বন্ধু ভাবতাম
তুমিও চাওনি এইভাবে ভালোবাসতে
কোথা থেকে বলো কী যে হয়ে গেল শেষমেশ!
কেন বলেছিলে তোমাদের বাড়ি আসতে?
জলের ওপরে বালি ছিল যত রাজ্যের
বুঝিনি তলায় বয়ে গেছে ঢেউ নীরবে
যখন বুঝেছি যা হবার তা তো হয়ে গেছে
বালিশের বুকে মুখ গুঁজে কেঁদে কী হবে?
পাশে এসে বোসো, চলে যাব কাল সকালেই
জানি না আবার ফের কবে ফিরে আসব
নদীর বুকের পোড়াবালি সব সরে গেছে
মনে মনে শুধু তোমাকেই ভালোবাসব
যদি পারো ভুলে যেয়ো আজকের এই ভুল
লুকিয়ে কেঁদো না সে যদি তোমাকে না বোঝে
যতদূর জানি সেও তো তোমাকে ভালোবাসে
আমাদের কথা চাপা থাক বাসি কাগজে
[প্রথম প্রকাশ : দেশ পত্রিকা
কাব্যগ্রন্থ : একশো প্রেমের কবিতা
প্রকাশক : অভিযান পাবলিশার্স
ছবিঋণ : আনস্প্ল্যাশ]
মোহিদ নজরুল এর কবিতা
১৭-৪-১৮তোমার সাথে আমার অনেক দিন বাঁচার স্বপ্ন
এই ধরও চুলে আসবে সাদা রঙ -
চামড়ায় ভাজ পরে যাবে কিংবা
হাটার জন্য আর একটা পায়ের প্রয়োজন হবে l
যখন তোমার কথায় সবাই বিরক্ত হবে
তুমি হাসলে দেখা যাবে - বয়স্ক দাঁতের ফাটল
তোমার কথা গুলোকে যখন অহেতুক মনে হবে
অথবা যখন তুমি থাকবে রুগ্ন -
আমি তোমার সাথে আরও সত্তর বছর বেঁচে থাকবো
অথবা যতদিন নিশ্বাস থাকবে -
আমি তোমায় ভালবেসে যাবো
যতদিন এ দেহের মাঝে পরান থাকবে l
#প্রেমের_কবিতা
রিমিতা এর কবিতা
একটা এলোমেলো বিছানা,
বিছানার পাশে ইতস্তত ছড়িয়ে থাকা জামা,
তার পাশে আধ খাওয়া সিগারেট,
শেষ হয়ে যাওয়া বিয়ারের কয়েকটা বোতল,
আলো আঁধারি ঘর, আর...
দুটো নগ্ন শরীর, একে অপরের মধ্যে নিমজ্জিত।
কি ভাবছো? ন্যাকা প্রেমের কবিতা ?
সেরমটা নাও হতে পারে।
হতেই পারে ওরা প্রেমিক-প্রেমিকা নয়।
হতেই পারে কোনো এক ব্যর্থ প্রেমিক তার প্রেমিকা তাকে ধোঁকা দিয়ে চলে গেছে বলে এখন অন্য কোথাও সুখ খুঁজতে ব্যস্ত,
অন্য কোনো নারীর ক্লিভেজে বা তলপেটে— টাকার বিনিময়ে।
অথবা নিজেকে শেষ করে দিতে চায় সে!
আর শেষ করার আগে বুঝে নিতে চায়—
সত্যিই কি টাকার বিনিময়ে
ভালোবাসা কেনা যায় ?
আবার এরমটাও হতে পারে—
কোনো এক প্রেমিক তার প্রেমিকাকে
ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখিয়ে,
জীবনসঙ্গী বানানোর আগেই
শয্যাসঙ্গী বানিয়ে নেয়।
অন্ধকার ঘর মানেই সেটা রসালো প্রেমের গল্প নাও হতে পারে।
আসলে অন্ধকারেই আজকাল শরীর বিকোয়, মনুষ্যত্ব বিকোয়,
ভালোবাসাও বিকিয়ে যায় নিমেষেই।
তাই এটা কোনো প্রেমের কবিতা নয়,
এটা অন্ধকারের কবিতা।
অঞ্জলি
রজতশুভ্র মজুমদার
আমাকে নাও জুড়িয়ে দাও
তোমার পায়ে পড়ি
সংগোপনে ঋদ্ধ করো
দগ্ধ গোদাবরী
আমিও মৃত হৃদয় খুঁড়ে
স্তব্ধ ক্ষতটিকে
তোমার অনিবার্য স্রোতে
ভাসিয়ে দেব লিখে
এহেন অব্যক্ত লেখা
দীর্ঘ মধুমাস
তোমারই অব্যর্থ দাবি
আমার বিশ্বাস
হৃদয় খুঁড়ে দগ্ধ ব্যথা
দু'হাতে তাই ভরি
আমাকে নাও জুড়িয়ে দাও
নগ্ন ঈশ্বরী...
[কাব্যগ্রন্থ : একশো প্রেমের কবিতা
প্রকাশক : অভিযান পাবলিশার্স
ছবিঋণ : মুনমুন]
ইভান অনিরূদ্ধের কবিতা
কলম দিয়ে নয়ইচ্ছে করছে চুম্বনে চুম্বনে,
তোমার সারা শরীরময়
একটা প্রেমের কবিতা লিখি ।
ফ্যাকাশে গোল চাঁদ
দুধ সাদা স্তনের মতো নরোম জোছনা,
এসব প্রণয়ের ফাঁদ ।
প্রেম অমন নয়
তবু তোমার শরীর এই অবেলায়,
আমার চুম্বনে হবে ক্ষয় !
আর ভালোবাসা রবে অক্ষয় ।
(প্রথম কবিতার বই, প্রথম প্রকাশ- বইমেলা ২০১৮, প্রচ্ছদ- তৌহিন হাসান, প্রকাশক- বেহুলা বাংলা)
মুশাররাত জেবিনের কবিতা
★ প্রেমের কবিতা★তোর সাথে আর নেই আমি
বা আমার সাথে তুই
তারপরেও মনে হলে
উলট পালট হই।
বুকের মাঝে কষ্ট ভীষন
ভীষণ কষ্ট লাগে
এমন লাগার কারনটা কি
জানার ইচ্ছা জাগে
এমনতো নয়, চোখ হারালাম
কিংবা কোন অংগ
কয়েকটি দিন এই জীবনে
পেয়েছিলাম সংগ
এমনওতো হয়নি কথা
থাকবি সারাজীবন
তবে কেন তোকে পেতেই
কাঁদে আমার মন
এতো একা লাগে যেন
চারপাশে নেই কেউ
এতো গভীর অনুভূতির
নাম কি জানে কেউ?
অসময়ে বৃষ্টির কবিতা
❑ রাসেল রায়হান
সদ্য হাঁটা শিখছে—এমন শিশুরমতন হাঁটছ—বিশৃঙ্খল, মেপে।
নৌকা ভাসছে—রহস্য কী? দেখি,
বৃষ্টি নামছে তোমার শরীর ব্যেপে।
.
যেমন কেরোসিনবিহীন এ চাঁদ
ঘন্টামিনিটব্যাপী হচ্ছে ম্লানই,
তেমন করে অবিচ্ছিন্নভাবে
জানতে পারার রহস্যটা জানি:
বুকের মধ্যে এক শ কোটি এবং
ত্বকের মধ্যে লক্ষ সুইয়ের দাগে
ঠিক কীভাবে প্রেমের জন্য কোনো
হারিয়ে যাওয়া যুবক রাত্রি জাগে।
.
হরিদ্রাভ পুরোনো রেইনকোট
এবং কারও ভাগ্যরেখা হাতে
বৃষ্টি ঠেলে হেঁটে যাচ্ছ তুমি,
সদ্য হাঁটা শিশুর ভঙ্গিমাতে।