গুডমর্নিং রতনপুর
হেনরী লুইস
উড়ন্ত পাখির ডানা থেকে
টুপলার বিলে পড়ছে
শিলাবৃষ্টির মতো ঝাঁকঝাঁক বিষন্নতা।
মাছের কাঁটায় সেসব বিষন্নতা "ফিসফিডে"
পরিপুষ্ট হয়ে
বাজার ঘুরে
আমাদের রান্নাঘরে।
আমরা মাছেরঝোলের সাথে বিষন্নতাও খাচ্ছি।
দেখি
পদ্মফুলের পোড়ামুখ
মৃত ঘাসের পোড়ামুখ
ক্রুশবিদ্ধ যীশুর করুণ মুখের মতো
আটকে আছে ভোরের শিশিরে
"ঘাসমারা বিষ"কে
না শিক্ষক
না শিল্পী
না জীবনানন্দ দাশ
এমনকি ঈশ্বরও রুখতে পারছে না।
চারিদিকে
রোগশোক, সন্তানহীনতা
ছড়িয়ে পড়ছে দাবানলের মতো।
মাইকেল মন্ডল পিঠে স্প্রেয়ারের বাক্স
ঝুলিয়ে
বেরিয়ে যাচ্ছে জমিতে, জলে....
ছড়িয়ে দিচ্ছে বিষ
ছড়িয়ে দিচ্ছে বিষন্নতা।
গ্রামের পর গ্রাম।
২
কার সাথে খেলা
কোন মাঠ
স্বপ্নে কিছুই স্পষ্ট নয়।
বাপী'দা সেন্ট্রাল ব্যাকি হিসেবে
চীনেরপ্রাচীরের মতো
রতনপুর দলের ডিফেন্স একলাই সামলাচ্ছেন।
মাঝেমধ্যে বল ড্রিবলিং করতে করতে মাঝমাঠ।
দর্শক হিসেবে আমরা উত্তেজনায় গর্জে উঠছি।
মৃত্যুর পরেও দেখি উনি
অদৃশ্যভাবে বড়দিনে
যাত্রায় মাস্টারি করছেন।
ক্লাইমেক্সে গলা,শরীর কেঁপে কেঁপে উঠছে।
৩
শব্দের খেলায় কবি প্রভুর সমান
জন্মান্তর নিয়ে ফায়ারিং স্কোয়াডের মাঠে হারিয়ে যাও হে জন্মান্ধ কবি।
হাড়গোড় নিয়ে খেলা করো হাসপাতালের বারান্দায়।
কাঙাল থালায় জ্যোৎস্না থেকে ছিটকে পড়ে
কবিতার আলো।
আর এ্যাপ্রোনের শুভ্রতা।