আজকে কবি ইমতিয়াজ মাহমুদ এর জন্মদিন।
তাঁকে আমার মত ছোট্ট পাঠকের পক্ষ থেকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা। যাই হোক তাঁকে নিয়ে অন্য আর কোনো বিষয়ে কিছু বলব না। কেননা আমার চেয়ে সুন্দর ভাবে গুছিয়ে তাঁকে নিয়ে অনেক লেখা আছে, মনে করি আমি তাই বলতে চেয়েছি। তাঁর লেখা আমাকে প্রতিবার মুগ্ধ করে এবং করেই আসছে। একাকী নিঃসঙ্গ সময় তাঁর লেখা গুলাই মনে মনে গুন গুন করি বেশি। মজার ব্যাপার হলো তাঁর অনেক লেখাই আমার মুখস্থ হয়ে গেছে।
তাঁর অনেক অনেক লেখার মাঝে এইখানে আমি কয়েকটা লেখা শেয়ার করছি।
....
"আমি সবকটি পথ ঘুরে,
দেখি, তুমি সমান দূরে।"
"জীবন এত ছোট যে, তোমার চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়েই এটা পার করে দেয়া যায়।"
"কথার এমন স্বভাব—কথা ভাঙছে নীরবতা,
আমি তোমার কথার মাঝের অন্যমনষ্কতা।"
"পাহাড়, মনে রেখো তারে
নদী—আর না এলে ফিরে,
সে হয়তো পথ তৈরি করছে
নিজের বুকটা ছিঁড়ে!"
"কে যে কারে ধ্বংস করে—হিংসার এ গাঙে,
কূল ভাঙতে গিয়ে ঢেউ, নিজে আগে ভাঙে।"
"খারাপ মানুষদের প্রায় প্রত্যেককে আমি এড়িয়ে চলি। শুধু নিজেকে এড়াতে পারি না।"
"আমিও চরিত্র এক, অন্য কারো গানে,
কতটুকু গাওয়া হবে শিল্পী শুধু জানে।"
"অনেক যুদ্ধের পর, একটি ভোর আসে সান্ত্বনার মতো,
তুমি যাকে আলো বলো— সূর্য তাকে বলে তার ক্ষত।"
"একজন চিতায় যায়, অন্যজন ঘরে,
দু'জনেই ভস্ম হয়— দু'জনেই মরে।"
"যা দেখো তা সত্য নয় সব, অনেক কিছুই ভুল,
দূর বাতাসের ইচ্ছে মেনে—দুলছে গাছের ফুল!"
"আন্দামান সাগরের এক একলা দ্বীপে এক সাধু যখন একটা পাখির কিচির
মিচিরে অতিষ্ঠ হয়ে ভাবছিলো কিভাবে আরো একা হওয়া যায় তখন
জাকার্তার জনাকীর্ণ সড়কে হাজার হাজার মানুষের ভিড় ঠেলে
একটা লোক একা একা হেঁটে যাচ্ছিলো।"
"কেয়ামতের মুহূর্তে জন্ম নেয়া শিশু,
চোখ মেলে দেখে, পৃথিবী আর নাই।"
"মৃত্যু আপনার কিন্তু তাঁর শূন্যতাটুকু আমার"
শেষ কথা এই তাঁর কাছে বিশেষ অনুরোধ আমার মত যারা নতুন পাঠক আছে তারা আপনার পুরানো বই গুলা পড়তে পারি নাই এবং তা বাজারেও নাই।
সেই লেখা গুলা যেন আমরা নতুন পাঠকেরা পড়তে পারি তাঁর একটা ব্যবস্থা করবেন।