শামশের আনোয়ারের শ্রেষ্ঠ কবিতা
কবি শামশের আনোয়ার, নতুন ভাবনা আর শব্দের সন্তরণ মিলিয়ে তার কবিতা ষাটের দশকে এক নতুন ভঙ্গি নিয়ে হাজির হয়েছিল। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় এই কবি সম্পর্কে বলেছিলেন, "শামশের আনোয়ার বিশুদ্ধ শব্দ নির্মাণের কবি। … কোনো কবিকেই সম্পূর্ণভাবে চেনা যায় না। মানুষ হিশেবে, কবি হিশেবে। প্রত্যেক প্রকৃত কবিই আস্তে আস্তে নিজের চারপাশে একটা অস্বচ্ছ বৃত্ত তৈরি করে নেন, স্বেচ্ছায় কখনো তার থেকে বেরিয়ে আসেন, আবার অনেক সময় অগোচর থাকতেই পছন্দ করেন। কখনো কখনো বৃত্তে সংঘর্ষও লাগে।" কবি ভাস্কর চক্রবর্তীর বয়ানে, "শামশেরের সঙ্গে বন্ধুত্বটা ছিল একটা বাঘের সঙ্গে বন্ধুত্বের মতো। এতটাই উদ্দাম, সজীবতা, দুঃসাহসিকতা ছিল শামশেরের—এতটাই আক্রমণাত্মক, বিষণ্ন আর ক্ষুব্ধ—এতটাই আন্তরিক ছিল শামশের—এতটাই আন্তরিক যে প্রকৃত শামশেরকে খুঁজে পাওয়াই ছিল মুশকিল। …মা আর প্রেমিকার এক মিশ্রিত বন্ধনে শামসের এক দীর্ঘ সময় আচ্ছন্ন ছিল। …সত্তরের এই মহাসময়ে তার জীবন ছিল যেমন বেপরোয়া, তার কবিতাও তেমনি। এমন সশস্ত্র এত আধুনিক কবি, সত্যিই খুঁজে পাওয়া ভার।"