শবে বরাত
তোমারে পেয়েছি খোদা, সুরে-স্বরে -কাব্যে
নাকোচ বান্দা আমি, ওরা তাই ভাববে-
জ্বলন্ত অনল আর তপ্ত জলের সুরা
পিয়েছি এ দুনিয়ায়, আকণ্ঠ শরীর ভরা!
আরো যদি দিতে চাও, তুমি দিও রহমান
কেবল; মানুষের হাত থে
কে দূরে রেখো, বহমান...
বন্টননামা
যে কোনো মৃত নদী দেখলেই
মনে হয়, চোখের কোণে জমে থাকা জল দিয়ে ভরিয়ে দিয়ে আসি-
তারপর, ভালোবাসি!
জানি একবার প্রেম হলে, চিবুকের গায়ে দাগ পড়ে যায়!
এভাবেই জল-বিনিময় চুক্তি হয়!
তারপর;
কেউ শুকিয়ে মরে,
কেউ স্রোতের তাড়নায়, সাগরে গিয়ে পড়ে!
ডালিম
বাজার থেকে কিনে আনো ডালিম।
ছুুরি দিয়ে কেটে কিংবা দু'হাতের তালুতে চাপ দিয়ে ভেঙে ফেলো, মোটামুটি শক্ত খোলস!
পাথরের বাটিতে রাখা দানা, টুকটুক করে চাবাতে থাকো
আর শুনে যাও, কামড়ের স্বর!
এমন ডালিম আমি খাইনা।
আমি গাছপাকা ফাটা-ডালিম খাবো। গাছের ডালে ঝুলে আছে ডালিম;
দানা দানা পড়ছে, মাটিতে কিছু। বুক বরাবর ভাগ হয়ে আছে তার শরীর।
হাত দিয়ে ছিঁড়ে নেবো। গ্রাইন্ডার আগেই রেখেছি ধুয়ে।
রস হবে প্রচুর, রঙ তার লাল নয়, মেরুন।
এমন ডালিম বারবার পেড়ে আনুন।
রস খেয়ে আকাশে তাকাই;
চাঁদও ভাগ হয়ে গেছে!
তারপর, তোমাকে ঘুম থেকে তুলবো ডেকে-
তুমিও ভাগ হয়ে আছো,
রসের ভাবনা মাথায় আসতেই, জোড়া লেগে গেছো!