ছুটিতেছো শান্তির পানে!
.
বন্ধু, তুমিও কি দুনিয়ায় জন্ম ঘটিবার দায়, ছুটিতেছো শান্তির পানে! তাইলে মনে রাখবা আমিও, ইহা শান্তির দায়– ইহা শান্তির মায়– আর ইহাই বিশান্তির আশ্চর্য নামান্তর– বলি বুক দিয়া ধরে রাখবা ইহাই– আর ভাববা, ইহা মানুষ, পয়সা, আর ক্ষমতার দুনিয়ায়– ইহা শান্তি কাম অশান্তিই বারংবার এগজিস্ট করিয়া যায়
কখনো কখনো– ইহা তোমার অওন বুক কিম্বা স্তনেরেও ফাড়িয়া চলিয়া যায়– আর তুমি বিকালের সূর্য গড়িবার বেলায় হাঁটিয়া যাইতে যাইতে– যদি গলার গভীর থিকা আরোও গভীর এক শব্দ বাহির হয়– কিন্তু ইহাই তোমার, গর্ব তোমার, আপন মৃত্তিকা তোমার, দেশপ্রেম তোমার– ইহারে ছাড়িয়া গেলে আর কোথাও কেহ নাই– ঔদিকে শুধু সন্ধ্যা, আর তুমি দেইখা থাকবা ঐ সন্ধ্যার মাথায় যেসকল পিক আর পিকধ্বনি– সকলেই ঘুমিবে– বহিবে যে হাওয়া ঐ গাছেদের শাখায়– উহারাও সবাই বন্ধু, তোমাতে ও আমাতে– শ্বাশ্বতকাল গড়াগড়ি খাহিতেছে বোধের যাতনায়
বন্ধু, তুমিও নিশ্চয়ই গড়াগড়ি খাইছিলা এই বোধের প্রান্তরে– ইহা বুঝি যুদ্ধ লাগিয়া যায়– ইহা বুঝি সত্য এক মিথ্যার প্রতি বীর্যপ্রদর্শতঃ, বুঝি– ইহা মিথ্যারে বেচিয়াই টিকিতাছে পাখি ঐ পরবর্তী সকালের প্রত্যাশায়– কিন্তু সকাল এক, হয়ে থাকে বিমূর্ত অতি– কেননা সকালেরেও ধরা কোন সোজা নয়– শুধুমাত্র, ঐ দূর সাগরে, ঐ নদীতে, ঐ উপত্যকায়– একদল বাতাস বনাম সন্ধ্যা– দোলাচলে দিনভর সকাল বিকাল খেলিয়া যায়– তাহারাই সত্য আর মিথ্যারে প্রত্যহ হাতায়– প্রত্যহ ঘটিত বিজয়– উহাদের রাত সকালেরে ঠেকিয়া দেয়– মানে অন্ধকার, উহাতে শান্তির বিষ্টি পর্যবাসিত হয়, বন্ধু, দুক্ষ করিবার নাই– আমগোর শান্তিরে বহুকাল চুদিয়া আসিতেছে, উহা আশ্চর্য এক ইউটোপিয়ায়
জানবা, ইহা গাাহিতেছি আমি কোন মুক্তির খবর নয়– মুক্তির খবর তুমি পাইবা বিবিসি বাংলায়– দেশপত্রিকায়– ফেব্রুয়ারি মাসে, সমুদ্র সৈকতে, আর মাঘ মাসের রেললাইনে, সদা সিক্ত পাথরের দেহে– জমে থাকা শিশিরের ভার, আর, ইহাদের ব্যাঞ্জনায়– যদি তাকাও, দেখবা, উহাও তাকায়– আর এই বিলম্ব বিলম্ব সম্ভাবনার বিষয়, তোমাকেও ছুঁয়ে দিয়ে চলে যাবে অচেনা রাস্তায়– তারপরে টের পাইবা কোথায় কোথায়– বিছানায় অথবা দরজায়– ক্যামনরকম বস্তু, আর ইহা বস্তুর প্রতিক্রিয়ায় ঝলসায়ে যাবে গা হৃদয়– বন্ধু, তবু এই হৃদয় লয়ে ফুটবেই আবার নতুন সকাল– আর ইহা সকালের ফোটা ফোটা আভা, ধীরে ব্যাপ্ত হবে, বন্ধু, তোমার তখন চৌচির হবে– তারপরে, তারেপরেও যাত্রা অব্যহত রবে– রবে আমারও– জানি আল্লাতালায় আমগোরে, বান্ধিয়া দিছেন অগ্রসরপ্রাণ এক, প্রজেক্টের চাক্কায়
নানান ভোরগুলার ভিতরে
.
ভোরের কাক দেইখা, কবুতরদের ওড়াউড়ি দেইখা, এই ভোরবেলার বইসা থাকাকে অনেককাল দীর্ঘ করতে ইচ্ছা করে। মানুষের জীবনের এতো যে হট্টগোল, এতো নিরাশার চাপ, শব্দ ও যন্ত্রণার এই সুবিধাবাদী শহর চারিদিকে ওৎ পাইতা থাকে। তবু এই ভোরবেলায় প্রতিটা বিল্ডিংয়ের দিকে তাকাইলে এই মন নিষ্পাপ হয়ে ওঠে। নিষ্পাপ ভাবতে ইচ্ছা করে এই নিরবতার ভিতরে যারা ঘুমায় রইছে, যারা ঘুম ভাঙতেছে, যারা ঘুমায় নাই, যারা ভোর দেখতেছে, সবাইরে।
এই ভোরবেলায় বিভিন্ন শব্দের ভিতরে ঢুকে পড়া হয়। বিভিন্ন গন্ধের মধ্যে ঢুকে পড়া হয়। তাই খুব অসহায় লাগে। শব্দ আর গন্ধ দিয়া ভরা অতীতের ভিতরে ঢুইকা পড়া লাগে। আর অতীতের নানান ভালোবাসায় ও বেদনায় জড়াইয়া পড়ি। নানান ভোরগুলার ভিতরে, নানান রঙগুলার ভিতরে, আরো সব নানানের কি যে এক কঠিন নিঃসঙ্গের মধ্যে, জীবনের অর্থ পেয়ে ফেলি।
যারা হারায় গেলো অতীতে, আর যাদেরকে সঙ্গে নিয়া বাকি সময়টারে অতিক্রম করতে চাই, এদেরই অনেকের সঙ্গে যে অনেকের দেখা হইলো না, এই ভেবে ভয় হয়। এই বিশাল পৃথিবীতে, চলতে থাকা সময়ের এই নিষ্ঠুর ভাবলেশহীনতায়, কে যে কারে পাবে, তা যে এক নিয়তির মতো লাগে। যেনো অর্থ নয়, যেনো এই দেখা আর চাওয়ার কোন প্রতিফলন নয়, একটি ভাগ্যের গোলকের ভিতরেই জীবনের অনেকটা সময় কাইটা গেলো, বাকিটাও কাইটা যাবে।
অন্ধকারের মধ্যে আলো চইলা আসবার দৃশ্যকে নিয়া এই ভোর তার সাবলীলতা ধইরা রাখে। তারই মধ্যে পাখিদের ডাকাডাকি শুইনা এই বোধযুক্ত মস্তিষ্ক একটা সুন্দরের জন্ম দিয়া ফেলে। ভাবি এমন সুন্দরের মধ্যেই সুন্দর হইয়া থাইকা যাই। ভাবি নিজের অপরাধহীনতাকে ব্যক্ত করি। ভাবি আর আর দিকগুলা হইতে, উপর ও নিচ হইতে, বুঝ আর অবুঝ হইতে, উনাদের হিংস্র আর অপরাধ হইতে নিজেকে নিরাপদ করি।
বুদ্ধি আর নির্বুদ্ধিকে অপরাপর মিলাইয়া ফেলতে ইচ্ছা করে। উনাদেরকে পাশাপাশি বসাইয়া, এই ভোরের কণ্ঠ আর মাধুর্যকে শুনাইয়া, পৃথিবীতে জীবনগুলার নিশ্চিন্ততা তৈরি করবার সবক দিতে মনে চায়। যা সত্য নয়, যা মিথ্যা নয়, যা একটি চলতে থাকা নদীর উপরে এই দেহের রক্তগুলাকে নিরাপত্তা দিতে পারে। যা এই মনেরে সুন্দরের হাজার হাজার প্রতীকের সঙ্গে চিরতরো করতে পারে। কিন্তু এই জনসংখ্যার শামিয়ানার নিচে নাচতে থাকা পৃথিবীর ভিতর, যা কিছু সম্ভব তাও যে অসম্ভব হইয়া ওঠে।
আমার এতে ক্লান্ত লাগে, হতাশ লাগে, ভয় ও অস্বস্তি লাগে। এই নদীর পানির দেশে নিজের দেহ আর জানকে নিয়া সংকট লাগে। ভাবি কোনদিন ফিনকি মাইরা আমারই রক্ত যদি বাহির হইয়া পড়লো, এই ঘাতকের বেরিবান্ধে, এই বালি, মাটি আর ঘাসের উর্বরায়, কি সহজেই তা হারাইয়া যাবে, কি সহজেই তা চইলা যাবে দূর। আহা, কবুতর আর কাক দিয়া সাজানো এই ভোরে, অতীতকাল থিকা উইঠা আসা স্মৃতি আর চিন্তার এই সুখেদুখে, এই মনোরমেও আমার ভীত ভীত লাগে, বৃথা বৃথা লাগে।
লঞ্চের আকাশে
লঞ্চের আকাশেও দেখি মেঘ জমতেছে
ও রতি—মনে হইতেছে ক্ষণে
ফেনাইতেছে জল
সহসাই কাপুরুষ কাইন্দা ফেলতেছে
কাইন্দাই ফেলতেছে শেষমেষ
এই কষ্ট আমি কোথা রাখি ওগো?
এই সুখ নিয়া আমি কোন রোদের কাছে যাই?
সমস্ত নগর ভিজে গেছে দেখো—আজিকার দিনে
ওইখানে এক সন্ধ্যার পরিবেশ, তোমারে ধরছে
তুমি নাই—ও রতি
একটা মনেরে কেনো তুমি আরাম দিলা না?
বিড়াল লইয়া
.
বিড়াল বিষয়ে তুমি কি-সব বলো না বলো
হৃদয়ে খারাপ লাগে
কেনো বলো ওইসব?
কিসের জন্য তুমি, বলো যে—
সুন্দর বিড়ালটিরে দেখতে
মিটিপায়ে আগাইতে থাকা সেই বিড়াল
নেহায়েত কষ্ট লাগে
বলি যে—
গুরুতর ব্যাপারটা কি তুমি বোঝো নাকি?
হৃদয়ে খারাপ লাগাটা?
বস্তুত সে একজন বিড়াল
তাহা, আমি কি বিড়াল হইতে অধম?
যেমন, আমি তো মিটিপায়ে আগাইতে পারি না
রাতেরে ধইরা রাখি
.
আমাদের মাঝখানে আরোপিত নদী
আকাশে যাইবার পথে বিলম্বিত চিল
তাহারাও কথা কয়
বিবিধ সময়ের লগে লগে থৈ থৈ করে জল
কতো কথা কহে চিল
কহে যে— আমি আর না মরি
না মরি— রুহানির হাতটি ধইরা রাখি
ইতস্তত তারে ডাকি— চুলের গন্ধ লই
বিষ্টি বিষ্টি ভাবের কবিতা
.
এই যে একটা বিষ্টি-বিষ্টি ভাব দাঁড়াইছে ওয়েদারে
কিরকম মিতভাষী টাইপের
যেনো অল্প কথা বলতেছে
বিষ্টি তোমারে সহজেই কইরা তুলতেছে
বিষ্টিবতি
ও রতি
মনে হইতেছে
তোমার কার্লি চুলের ফাঁকে সমিরণ
তুমি হইতেছো পাখি
তুমি হইতেছো জল
সম্পূর্ণ ভিজে গেছো
ফলে হাসতেছো
এইবিধ কতো আচরণ
ঢলাঢলির পরে হাঁটতে হাঁটতে অনেকগুলা পথ পারি দিয়া
আমি আর তুমি গেলাম
ওইখানে ধরো গাছ আছে
পাতার ভেতর দিয়া
আকাশ দেখা যাইতেছে
উনিশ বছর বয়সে
.
দুনিয়ার কারুকাজ দিনে দিনে যৌবনের রূপ লালন করিতেছে
ভেদাভেদ গড়ি উঠতেছে সমানে
নারী ও তাহার পুরুষে নির্দ্বিধায়
আঠারো বছর বয়স হইছে যাদের
তাহারাই বুঝতেছে
সাধ জাগতেছে না আকাশে বাতাসে কবিতায় কিম্বা হাওরে ও বনাঞ্চলে, মিহি পূর্ণিমায়
মনে চাইতেছে সস্তা নদীর মতো হুদাই
চিৎকার করি আবার চিৎকার করি
কাছে ডাকি, নিবিড় হইতে থাকি আন্ধারে
সন্তর্পণে চুমা খাই
কতো কাজ পড়ি আছে আমাদের
হন্তদন্ত সম্পাদন করি
ও মহিলা, আপনার নিপল
.
আমি বোঝাইতে চাইতেছি একরকম গোশতভরা মহিলার শরীর—
চিপানো লাগানো গেঞ্জি
সাদাকালো রেইনবো শার্ট রইছে অথবা
আপনি গায়ে লইলেন
ফ্রক জাতীয়মানের কোন পরিধান
ওড়না-টোড়না-হীন (হা-করা)
নিপল কি ভাসতেছে আপনার? চাইতেছে এদিক সেদিক?
বলেন দেখি—
ওইখানে, নীরবে গুটিকার মতো
ক্ষাণিকটা উঁচা হইয়া মাউন্টের চূড়ায়
মহিলা পুলিশ অপেক্ষা আপনি তাইলে ক্যামনে উত্তম হন? শুনি চাই!
তাগোর নিপল গুটাইলো ব্রা-তলে— আপনিও তাই।
ও মহিলা! গোশতভরা শরীর লইয়া
আপনি ক্যানো ভাসান নাই নিপল?
আপনার নিপল—
যা হইতে পারে কালো
অথবা খয়ার কালার
কথাবাত্রা নাই
.
মাঝরাত্তিরে তুমি চুপ রহো ক্যানো কও। নিড়িবিলির মতন যেনো— আকাশের বিমানের মতন। নিশ্চুপ হইলে পরে জীবনের মাঝ দিয়া কতো বইতে থাকে নদী। ও রতি—
এইবারে চলো ব্যথা ভইরা ঘুমাই। ইতস্তত আমি তোমার নাভিতে হাত লাগাই।
বাকিটাও হইতে পারে। তুমি দেখি চুপচাপ ভিলেজের দুপুরের বাতাস হইয়াছো। যেনো ভুইলাছো আকুম-বাকুম-রব। সমস্ত নীরব মেঘের চিপায় তোমার ওষ্ঠ ঝুইলাছে। বিষ্টি পড়তেছে ব্যাকুল। ও রতি—
সেলফোন কানে লইয়া তুমি মাতিয়াছো আমার হাতে। এই হাত তোমারে ভাঙ্গিয়া লয়। কতো কথা কয়।
বিজন শব্দ হইতে থাকে। তুমি কই জানি গিয়া শরমিন্দা করো। কতোখানি দূরে রহো। হাসির আওয়াজ বিলম্বে উড়ি যায়। লক্ষী পাখির মতোই ভাসতে ভাসতে ইথারে বারি দিয়া ওইখানে কুহু কুহু করে। ও রতি—
কাছে লও দেখি। কতো রাত হইছে না জানি! বাতি কি নিভাইয়া দিবা? আমি ঠিক তোমার নয়নে তাকাইয়াছি।
আমি ও মহিলাটি
.
নাইমা আসতে গিয়া বিষ্টিতে আমি
সুন্দর বাতাস ছুঁইবার কালে ঐখানে
নাগরিকা বইসা আছেন চেয়ারে
—গোলাপি কালার
হাসি দিয়া ওঠেন যেনো
বিরতিনী গালের মধ্যে সুবাস
আর কিছু কথামালা ঝইরা পড়ে মাঝে
নাগরিকা মহিলাটি আর আমি তারে
কতো কাছে চাই!
আমি ও মহিলাটি বিষ্টিতে চলি নাই
ইতস্তত আমি বেহুদাই প্রেমে পড়তেছি
আন্দ্রেয়া। দ্বিতীয়বার চলো
.
সেক্স করতে করতে অতঃপর হঠাৎ দেখি যে
হাঁটি হাঁটি করে কোনখানে চলি গেছে আমাদের চাঁদ
অসংখ্য আকাশের মাঝ দিয়া নীরবেই
হয়তো রেলগাড়ির মতো আমাদের চাঁদ মেঘের জংশনে গিয়া থামিছে
আন্দ্রেয়া, আমাদের চাঁদ কোনখানে গেছে?
চাঁদের জংশন থিকও কতোদূরে গেলো কতো লক্ষ দূরে?
আবার চলা যাইতে পারে বিছানায়
উইন্ডো মুক্ত রাখো তুমি
দ্বিতীয়বার সেক্স করলে তো আমি ক্ষতি পাই না আন্দ্রেয়া
আমাদের চাঁদ আসতে গেলে আবার
আমরা উঠে যাইবো
ওইখানে গিয়া রাত পোহাইবার অনেক আগে
আমাদের চাঁদ আসতে আসতে এক মায়াবতী রেলগাড়ির মতন
আমরা কাঁদি উঠবো আনন্দে উচ্ছলায়
আন্দ্রেয়া, আমাদের চাঁদ চলি আসবে নিশ্চিত
তুমি নদী হও
আমরা তাহলে দ্বিতীয়বার সেক্স করি