সজল আহমেদ কবিতা লেখার চেষ্টা করেন৷ এর বাইরে তাঁর পরিচয় একজন কুখ্যাত ইউটিবার হিসেবে৷ থাকছেন বরিশালের বাকেরগঞ্জ থানার এক গ্রাম আতাকাঠীতে। তাঁর মতে এই গ্রামের সঙ্গে মিশ্রিত তাঁর তেরোটি বছর৷ এই গ্রামই তাঁর কবিতা লেখার জন্য দায়ী। সজল আহমেদ এর জন্ম হয়েছিলো ২২ শে জুন পটুয়াখালী জেলার সুবিদখালী এক মফস্বলে, ওখানে কেটেছে শৈশবের নয় বছর। এরপর পিতার রিটায়ার্ডের পর চলে আসেন পৈতৃক ভিটায় যেখানে হয়েছেন তিনি যুবক! পড়ছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাধীন কলেজে স্নাতক তৃতীয় বর্ষে। টগবগে ২৩ বছরের এই যুবক তাঁর গ্রামের ছোটদের সবচেয়ে ভালোবাসার মানুষ, আড্ডায় ও মাতেন ওদের সাথেই। আর এভাবেই চলে যাচ্ছে তাঁর সময়..... তাঁর মতে, কবিতাগুলো নেহাৎ দূর্ঘটনার ফসল তাঁর।
পৃথিবীর প্রতিটি নারী — আমার মায়ের মতো সুন্দর। তাঁরা আমার মা।
আমি কখনো কোন মেয়েকে অসুন্দর বলার সাহস করিনি৷
বলেছি নিজেকে “কুৎসিত”
যখন কোনো মেয়েকে দেখে আমি — “অসুন্দর” ভেবেছি।
কারণ খোদাও জানেন, কোন মেয়ের হাসির কাছে তাঁর স্বর্গও নগন্য!
আমি ভাসতে থাকা নৌকা তোমার নদীর উপর
আমায় কিনা ডুবিয়ে মারো আমার করে ডর!
বিড়ির ধোয়ার লগে উড়ে যায় সুখ
হার্ট পুড়ে, মুখ পুড়ে পুড়ে যায় বুক
#ট্রিভিয়াল_রিদমড সিরিজ
থার্টিফার্স্ট নাইটের টোটকা
আসছো এখন গ্যাজাইতে পাখি আগে ছিলা কই?
তোমার কষ্ট ভুইলা থাকতে আমি মাতাল হই
চইলা যাওগা লাত্থির আগে বদের ঘরের বদ
আমার এখন বিড়ি আছে লগে আছে মদ
ঈশ্বরের ধরা শক্ত ধরা! ঈশ্বর যখন কাউরে ধরেন খুব কায়দা কইরা তেল মাইখা শক্ত কইরা ধরেন!
কবিরা প্রেমে পরলে চুতিয়া হইয়া যায়
যৌনতা আর মদ ছাড়া পৃথিবীর বাকি সব ফালতু!
ইতিহাস লেখার জন্য কতশত ইতিহাসবীদ, বুক ভাঙার ইতিহাস লিখতে শুধু রয়েছে কবিরা
বর্ডারে সুরঙ্গ খুড়ে রাখো
.
১
এখানে লেগে আছে রক্ত স্টেনগান হতে ছিটে আসা বুলেটের থোক
যারা জালিম; যারা দাজ্জাল; যারা জাহেল ; তাদের প্রতি আল্লার গজব নাজিল হোক!
আমি মরে যাওয়া লাশেদের কথা বলি
আমি পঁচে যাওয়া গলা লাশেদের কথা বলি
খুব সহজেই যাদের বুক ছেদ্র করেছিলো গুলি
আমি সেই সমস্ত অহেতুক মরে যাওয়া লাশেদের কথা বলি।
যারা জালেম; যারা খুনি ; তাদের উপর কনকর নিক্ষেপিত হোক
কুকুরের মতো মৃত্যু হোক; মৃত্যুকালে ওঁরা গুম হোক
এখানে লেগে আছে রক্ত স্টেনগান হতে ছিটে আসা বুলেটের থোক!
২
যারা মুখ থামাতে গুলি করে; তাঁরা মায়ের দুধ খায়নি
যারা মিছিল থামাতে রাবার বুলেট ছুড়ে; তাঁরা মায়ের উদরে জন্মায়নি।
বুলেটে থামাতে চাও?
এত সোজা?
ভেবেছ খু্ব সহজে থামিয়ে দেয়া যাবে?
দশ পৃষ্ঠার একটি পত্রিকা কয়টি লাশের খবর ছাপতে পারবে?
জাতীয় পত্রিকাওয়ালারা বুর্জোয়া মাদারচোদ!
এরা সাম্রাজ্যবাদীদের বাপ বানিয়ে ঘুরে বেড়ায় বাপেদের পকেটে পকেটে।
ওদের মৃত্যু হোক হ্যাঁ ওদের লাশ গুম হোক
এখানে লেগে আছে রক্ত স্টেনগান হতে ছিটে আসা বুলেটের থোক!
৩
যারা জালিম; যারা দাজ্জাল; যারা জাহেল ; তাদের প্রতি আল্লার গজব নাজিল হোক!
যারা গুম হয়েছিলো, এবং যারা বিনাহেতু মরে কচুরিপানার শরীরে পরেছিলো
একদিন যদি কবর হতে জীবিত হয়
রাষ্ট্র সহ ওঁরা গুম করে দেবে জাতীয় সংসদ
এখনো এখানে ওখানে লেগে আছে তাজারক্ত আর স্টেনগান হতে ছিটে আসা বুলেটের থোক!
৪
শহীদ লাশেরা চিবিয়ে খাবে শাসনব্যবস্থা, এমনকি রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর গদি।
জেগে ওঠার পর ওরা যদি মৃত্যুর হেতু জানতে চায়
আইন সংবিধান মন্ত্রী এমপিদের গাড়িবাড়ি প্রোপার্টি চিবিয়ে খায়
প্রতিটা মন্ত্রী ঘোৎঘোৎ করা শূয়রের ছানা
পালানোর পথ পাবে না!
লাশেরা জাগার আগে বাঁচার পথ দ্যাখো
বর্ডারে এখনই সুরঙ্গ খুড়ে রাখো।
ভাবুক
.
ভাবতে ভাবতে কী ভাবলাম তাই ভুইলা গিয়া ভাবতেছি, আমার আরো ভাবা দরকার কিন্তু কোন বিষয়ে ভাবতে গিয়া ভাবনার অন্তরালে পইরা গিয়া কোন ভাবনা আমারে ভাবুক কইরা তুলবে সেই বিষয়ে আগে ভাবা দরকার।
মেয়েরা পুরুষদের থিকা তিনগুণ বেশি রেসিস্ট! তাঁরা নিজেরা ৩ ফুট লিলিপুট হইলেও ছেলে খুঁজবে ৬ ফুট ৭ ইঞ্চি! নিজের মাথার চুল ভিমরুলের বাসার মতো কোঁকড়ানো হলেও খুঁজবে ছেলের চুলগুলো সুন্দর, দাড়িগোঁফ থাকে যেন চেহারা যেন ফর্সা হয় ইত্যাদি ইত্যাদি।
যেজন প্যান্ট বানাইতে জানে
তাহার লাইফে নাইরে বাক,
প্যান্ট বানাইলে জিপার বানায়
রাখে মুতার ফাঁক।
সাংবাদিক
আমি মৃত্যুর আগে ঈশ্বরকে আবদার করলাম 'পরজন্মে তিনি যেন আমাকে সাংবাদিক রূপে প্রেরণ করেন। '
ঈশ্বর নিশ্চুপ।
ঈশ্বর চিন্তিত
তাঁর মাথায় হাত
কী যেন ভাবছিলো চুপচুপ।
নিশ্চুপ চিন্তাবিদ ঈশ্বরের মৌনতা ভাঙাতে
আমি আবারও তাকে পুনরায় করলাম এ আবদার।
মাথায় হাত চিন্তিত ঈশ্বর হেতু জিজ্ঞেস করলে আমি জবাব দিলাম- 'আমার মায়ের স্বপ্ন ছিলো আমি সাংবাদিক হিসেবে পৃথিবীর মুখ উজ্জল করবো অথচ আমি হয়েছিলাম একজন পিকেটার।
শুনেছি মায়ের দোআ কবুল হয়
এহ জগতে আমি একথার সত্যতা পাইনি
স্বচক্ষে কোন মায়ের দোআ কবুল হতে দেখিনি।
হে ঈশ্বর পৃথিবীর সব মা আমার মা নন;
অতএব আমি চাই অন্তত আমার মায়ের দোআ কবুল হোক।'
ঈশ্বর নিশ্চুপ।
ঈশ্বর চিন্তিত
তাঁর মাথায় হাত
কী যেন ভাবছিলো চুপচুপ।
মাথায় হাত চিন্তিত ঈশ্বর আমার জান কবজ করার হুকুম দেয়ার পরপরই আমার পরজন্মের প্রসেসিং চলতে লাগলো।
ধাপ এক এ-
আমার চারটি পা গজালো
থুতুনিতে দাঁড়ি হলো
কন্ঠে ম্যা ম্যা ডাক।
মাথায় হাত চিন্তিত ঈশ্বর তখনো ভাবছেন।
ধাপ দুই এ-
ঈশ্বর তখন আমার খাদ্যচক্রের কথা ভাবছেন....
আমার সামনে পঁচাঘাস তার সামনেই ছিলো সুগন্ধি কোরমা পোলাও
আমি সুগন্ধি কোরমা পোলাওয়ে মুখ না দিয়ে মুখ দিলাম পঁচাঘাসে।
ধাপ তিন এ-
মাথায় হাত চিন্তিত ঈশ্বরের মুখে হাসি- 'হ্যাঁ পারফেক্ট! তোমার মায়ের দোআ কবুল হয়েছে!'
এইটার অনুবাদ :
(অনুবাদক হিসাবে আমি ক্লাশ টু এর ছাত্রর মতো। কিছু কিছু অর্থ না জানায় অর্থগত ভাবে কিছু জায়গা পাল্টে গেছে এজন্য দুঃখিত)
English translation:
Journalist
(Translated By Sajal Ahmed)
I confess to God before my death "In the post-birth, he should send me as a journalist. '
God is silent
God is worried
Hands on his head
God was worried about something quietly.....
I redeem the Intellectual God's silence,
I re-petition to him.
When God asks the reason why
I replied - ''My mother's dream was that, I would brighten the face of the world as a journalist, whereas I was a gangster.
I heard that, the prayer of the mother was accepted
I have not found any truth in this proverb!
I have never seen any mother's prayers to be accepted.
O God, all the mothers of the earth are not my mother;
Therefore I want to accept the prayer of my mother at least. ''
God is silent
God is worried
Hands on his head
What did God think was silent.
Imagine immediately after, the God ordered me to take away my life
My generation started processing...
Step one -
I woke up four legs
The beard is spit upon
I Called like a goat!
God is worried the and he still thinking....
Step two-
God is thinking about my diet cycle ....
The crisp grass in front of me was fragrant flesh and Pulaos.
I do not eat perfume flesh and pulaos
I raised my face in the crisp grass.
Step Three-
Worried God's
Smile on his face
and he shouted with joy
'Yes Perfect! Your mother's prayer has been accepted! '
কাউয়া আর সাংবাদিকদের মধ্যে পার্থক্য হইলো এই, সাংবাদিকরা একটু বেশি কা কা করে
পায়ের আগে এগিয়ে যায় জুতো
বংশ পরাম্পরা
এক.
আমার গুহায় সাতদিন আগে শেষ হয়েছে এই বনের সর্বশেষ হরিণটির পায়ের হাড়।
আমার মতে এ বনেও আর কোন শিকার অবশিষ্ট নেই।
অন্যকোন বনে খাবার খোঁজার বল টুকুও নেই
ঘরে শেষ খাবার বিন্দুও অবশিষ্ট না থাকায়
আমি আমার বাবা কে ধরে খেতে শুরু করলাম।
আশ্চর্য!
তিনি কোন প্রতিবাদ বা বাঁচার চেষ্টা করলেন না!
উনি বৃদ্ধ। কদিন পর এমনিতেই মারা যাবেন।
দুই.
হাত, পা, পেট, বুকের হাড্ডি এবং যকৃত একেক করে সব খেলাম।
বাকি ওনার মুখ
মুখ যখন খেতে যাবো আমার বাবা তখন আমাকে বললেন- 'দাঁড়াও!'
দূরে দাঁড়িয়ে সব দেখছিলো আমার অপ্রাপ্ত বয়স্ক সন্তান
দূরে দাঁড়ানো আমার সন্তানের দিকে উনি দৃষ্টিপাত করলেন
এবং মুচকি হাসলেন
অতঃপর বললেন- 'একদিন আমার দাদা কে খেয়েছিলেন আমার বাবা। আমি দূরে দাঁড়িয়ে ছিলাম উনি আমাকে খাননি। আমি আমার বাবার কাছ থেকে শিখেছিলাম, কিভাবে পিতাকে চিবিয়ে খেতে হয়। এরপর একদিন এভাবে খাদ্যের খুব সংকট বেলা আমি আমার বাবাকে খেতে শুরু করলাম। দূরে দাঁড়িয়ে দেখছিলে তুমি। তোমাকে খেতে আমার মায়া হচ্ছিলো। আমি তোমাকে খাবো এমন ভাবার চেয়ে মৃত্যুই শ্রেয় মনে করলাম। আমার মনে পরে বাবাকে খাওয়ার পরপরই আমরা একটা শিকার খুঁজে পেয়েছিলাম।
এখন তোমার সময়, তুমি আমাকে খাচ্ছো।'
তিন.
আমি বাবাকে আর সুযোগ না দিয়ে তাঁর মুখ ও খেয়ে নিলাম।
দূরে দাঁড়িয়ে সব দেখছিলো আমার অপ্রাপ্ত বয়স্ক সন্তান।
বাবা কে খাওয়া শেষ হতে না হতেই একটা শিকার আমাদের গুহার সামনে আসলো।
আমি আর আমার সন্তান ওটির উপর ঝাপিয়ে পরি
শিকারটি কাবু হতে চায় না
ও বাঁচতে চায়
আমার পেটেও খাদ্য আছে
এটি ধরার কোন ইচ্ছে আমার নেই
তবুও আমার সন্তানের পেটের খাদ্য যোগাতে আমি প্রানপণ চেষ্টা করে যাচ্ছি।
শেষে আমার ব্যর্থতায় ওটি পালালো
আমার সন্তান আমার দিকে তাকালো চোখ তাল পাকিয়ে!
ওর মুখে বিভৎস 'ঘ্র ঘ্র' শব্দ।
চার.
আমি কিছুটা হতবাক এবং ভীত!
আমার মনে পরলো -
'আমার দাদার বাবা কে খেয়েছিলেন আমার দাদা
আমার বাবা তখন দূরে দাঁড়িয়ে দেখছিলেন।
আমার দাদা কে খেয়েছিলেন আমার বাবা
আমি তখন দাঁড়িয়ে দেখছিলাম।
আমি খাচ্ছিলাম আমার বাবা কে
আমার সন্তান তখন দাঁড়িয়ে দেখছিলো।'
আমার খুব ভয় করছিলো
আমি আমার সন্তানের চোখে আগের থেকে ভিন্ন কিছু দেখছি!
প্রেমিকার সাথে অনর্গল মিথ্যে কথা কওয়া পুরুষদের জন্য ফরজ করে দেয়া হয়েছে
একটি কথা আর কখনো বলা হবে না
একটি কথা যখন গলাতক এসে আটকে যায়
একটি কথা যখন আর বলা হয় না
এমনকি কয়েকটা রাত গল্প করার পরেও-
গোমড়ামুখ
অতঃপর বিদায়।
এমনকি একটা সকালে পাখি ডাকা শুনেও;
এমনকি বিকেলে হাঁটতে হাঁটতে
প্রত্যেকটা সময় ফিকে হয়ে গেলেও
আর বলা হয় না।
কাউকে কোন কথা
কোন প্রতিশ্রুতি
আর দেয়া হয় না
বড্ড উন্মাদনায়
পঁচে যেতে শুরু করে প্রেম
তবুও আর বলা হয় না
মাছরাঙাটি উড়ে যায়
দূরের ডালে;
ঘুম ভেঙে যায়
ক্লান্ত বিকেলে
একটি শরীর
পচে গেলেও
আর বলা হবে না
ভালো বেসেছিলাম
বড্ড ভালো বেসেছিলাম
তোমায়।
সোসাইটি একসময় আপনাকে জোড়সে কষে লাথি মারবে। ঐ লাথি খেয়ে উঠে দাঁড়ানোর নামই হচ্ছে সংগ্রাম।
মেয়ে মানুষ
পৃথিবীতে পুরুষরা যখন ব্যস্ত থাকে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে আর মেয়েরা তখনও ব্যস্ত থাকে কে তার সাথে কথা বলছে না, কে তাকে ইগনোর করে ইত্যাদি নিয়ে।
আমার গিন্নি আমার পৃথিবী
.
আমার গিন্নি আর আমার ভাইয়ের সাথে তুমুল ঝগড়ার এক ফাঁকে; আমি আমার জেষ্ঠ্য ভাইয়ের তলপেটে লাথি কষালাম!
শালা শূয়োরের বাচ্চা আমার গিন্নির সাথে খারাপ ব্যবহার করিস কোন সাহসে!
ওর মুখ থেকে বেরিয়ে আসলো সদ্য খাওয়া মোটা চালের ভাত;
আমার গা ঘিনঘিন করছিলো
শালা নাপাক!
আমার ভাই আমার দিকে চোখ বড়বড় করে তাকিয়ে আছে;
মনে হচ্ছিলো যেন ও চেঙ্গিস খানকে লাইভ দেখছে।
আমি খেকিয়ে উঠে বললাম 'ওভাবে তাকিয়ে আছিস কেনরে শূয়োর? চোখ তুলে নেবো একেবারে!'
ও আমার দিকে তাকিয়ে ছলছল চোখে বলল 'এই লাত্থিটার জন্যই তোকে ছোটবেলা কাঁধে নিয়ে ঘুরতাম?'
শালা মায়া বাড়াতে চায়
ডিসগাসটিং!
আমার মায়া দেখালে হবে না
সামনে আমার গিন্নি দণ্ডায়মান
গিন্নিকে এখন খুশি করার কাম
নতুবা রাতে আমার বিছানা খালিখালি লাগবে।
আমি আমার ভাইকে বললাম 'তুই আমাকে কাঁধে উঠাতি আমি তখন ব্যথা পাইতাম, কিন্তু ছোট বলে প্রকাশ করতে পারতাম না।'
ওর তলপেট বরাবর আরেকটা লাথি বসালাম;
শালা এবার রক্তবমি করতে করতে মারা যাবে শিওর!
যাক। তাতে আমার কী?
আমার গিন্নি আমার পৃথিবী
ও খুশি তো দুনিয়া খুশি।
মা
আমার মা কে আমি ছেলেবেলা থেকেই একটু একটু করে গিলেছি।
এক পর্যায়ে মা কে সম্পূর্ণ গিলে ফেলার পর;
আমার হজম শক্তিতে সমস্যা হচ্ছিলো।
আমি আমার হজম না হওয়া মাকে পেটে করে চল্লাম।
একদিন মা আমাকে এভাবেই পেটে রেখেছিলেন হজম না করেই।
আজ আমি সব ঋন শোধ করব।
আমার মায়া হচ্ছে না;
ও আমাকে এভাবেই না খাইয়ে ওর পেটে কষ্টে রেখেছিলো দশটি মাস!
প্রতিশোধে আমার গা গজগজ করছিলো!
আমার পেট মোচড়াচ্ছে
বমি বমি ভাব!
বদহজম হওয়ার আগেই; আমি হজম না হওয়া মাকে বৃদ্ধাশ্রমের দরজায় বমি করে দিলাম।
হজম না হওয়া মা বৃদ্ধাশ্রমের দরজায় লেগে থেকে বললেন 'দেখেশুনে ভালো ভাবে বাড়ি ফিরে যাস।'
আমি একটা কাঁচ আর ভেঙে যাই বিভিন্নভাবে
ভাঙা কাঁচে রক্ত লেগেছিলো ছিন্ন হৃদয়ের।
যখন আর কিছু করার থাকে না, যখন চার দেয়ালে পিঠ ঠেইকা যায় তখন নিজের মাথা ঘাড়ের কাছ থিকা ধইরা চাবাইতে ইচ্ছা করে!
ঈশ্বর যদি দোষী হয়, তবে অভিশাপ পাঠানোর ঠিকানা কই?
আমার হাতে একটা তারছেড়া গিটার
.
এখন বিজন রাত
আর ছাদে নেই চাঁদ।
আমি ছাদে উঠে
চাঁদকে খেয়ে ফেলেছি
বিধায় নিগূঢ় অন্ধকার
আমার সাথে
আমি
আর হাতে
একটা তারছেড়া গিটার।
পৃথিবীর বিপরীত পৃষ্ঠে এখন
চাঁদের হাহাকার
উল্টো দিকে ঘুরছে পৃথিবী
আমি তাতে ঘি ঢালি
আর গান করি
আমার সাথে
আমি
আর
আমার হাতে একটি তারছেড়া গিটার।
এই যে আমি
আমাকে চিনবেন না আপনি
আমি চাঁদ তারা খেয়ে খেয়ে
মাছ পাতা ফুল দিয়ে
কবিতা লেখার পর অ্যাখন
ধইঞ্চা পাতার উপর কোবিতা লিখি।
তারা ধরে অন্য গ্যালাক্সিতে রেখে আসতে গিয়ে
দেখি;
তারারা সব ছড়িয়ে ছিটিয়ে একাকার
তখন আমি একা
আমার সাথে
আমি
আর
আমার হাতে একটি তারছেড়া গিটার।
নাস্তিক হতে গিয়ে দেখি; তোমাকে ঈশ্বর ভেবে বসে আছি!
অভিশাপ//
তোমাকে দিলাম অভিশাপ; একদিন আমার মতো নিঃসঙ্গতা আর একাকীত্ববোধ যেন তোমারেও পেয়ে বসে।
হাসি যেন যাও ভুলে;
কান্নারা জোট যেন বাঁধে তোমার কপালে।
যেন তোমার পাশে কেউ আর না আসে।
না ধরে হাত ;
আমার মতো যেন কুড়ি বছর মনেহয় তোমার একেকটা রাত।
যেন একদিন তুমিও কাঁদো;
যেন তোমার চোখের নিচে কালি জমে
যেন কিরিচ দিয়ে কেউ কোপায় তোমার হৃৎপিণ্ড
যেন তোমার জীবনটা হয় লন্ডভন্ড।
যেন আপন বলতে কেউ না থাকে ধরাধামে।
তুমি মারা গেলে যেন থাকে প্রথম প্রহর
আর সাথেই যেন শুরু হয় তুমুল বৃষ্টি
যেন ও বৃষ্টিতে খাটিয়া সমেত ভিজে যাও তুমি।
লাশ যেন পঁচে যায়; বৃষ্টিতে ডুবে যেন যায় তোমার কবর।
কবরে যেন তোমার উপর আজাব বর্ষিত হয়;
তোমাকে দিচ্ছি অভিশাপ- আজবে গজবে যেন কাটে আখেরাত।
তোমাকে অভিশাপ দিচ্ছি কষ্ট হচ্ছে।
বিগত বাইচাত্রামির কথা মনে পরে?
যখন প্রতিটা পাপের হিসাব নেয়া হবে,
ওগো তুমি যাবে কই, কই পালাবে?
২৩/০৭/২০১৮
তুমি মারা গেলে যেন থাকে প্রথম প্রহর
আর সাথেই যেন শুরু হয় তুমুল বৃষ্টি
যেন ও বৃষ্টিতে খাটিয়া সমেত ভিজে যাও তুমি।
লাশ যেন পঁচে যায়; বৃষ্টিতে ডুবে যেন যায় তোমার কবর।
প্রাগৈতিহাসিক নাম
.
আমার বাবা বড্ড সেকেলে ছিলো। আমার নাম রেখেছিলো আবু বকর। নামটি আমার বিষের মতো লাগতো। যেন পুরোনো কোন কাসুন্দি ঘেটে পুঁথির অন্তস্তল হতে এ নামটি বের করা হয়েছে খুঁজে। আমার আব্বা ছিলো সেকেলে। ওনার চিন্তাসূত্র সেকেলে।
আমি বড়ো হয়ে ও নামটা বদলে ফেলি; বদলে ফেলি একটা সেকেলে নামের ইতিহাস। আমার আব্বা কষ্ট পেয়েছিলেন কিনা জানিনা, তবে আর কখনো উনি আমাকে কোন নাম ধরে ডাক দেননি।
ফাদার অ্যাডভান্স
.
আমি হালের লগে বাঁন্ধা থাকা গরু
হালের আগেই হাঁটতে করি শুরু।
নিজের সীমানা খুঁজেনি কোন নদী।
কি আজব! কি আজব!
তুমি এক বাল।
নিজেই কুমির আনো
নিজেই কাইটা খাল!