সজল আহমেদ এর কবিতা “মিথুন ও মিথ্যে”

আবৃত্তি



 মিথুন ও মিথ্যে 



মিথুন, মিথ্যের শুরু 'ম' দিয়ে। তুমি ভাবছো জীবন — জীবন চাইছে গান; দীর্ঘ ছুটি আর সমুদ্র স্নান।
তোমার আঙুল ক্ষয় হয়ে যায় কীবোর্ড —টিপছো সাঁজোয়া মেসেজে ভর্তি বিলবোর্ড; তোমার লেখাগুলো সব মিথ্যে হয়ে যায়— পুরোনো চিঠিগুলো আজ জামান, ছারপোকা খায়।

একটা গিটারিস্ট কতটা মাতাল হতে পারে — মদ ছাড়াই তুমি দেখেছো, লিখছো পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা — তোমার সুর তুলে দেবে,  সে কি তেমন ম্যুডে আছে আর — তাঁর গলা শুকানো; কিসের যেন তেষ্টা!

গিটারিস্ট ভুলে গিয়ে তাকালে ঘাসে; ওখানে কে হাসে— কে হাসে?  কে হাসে?
কে যে ডাকে; বৈরী হাওয়া— মিথুন থেমে যাওয়া ভালো — তুমি জানোইতো, মিথ্যের শুরুতে 'ম'।

এ জীবন খুবই কঠিন, শিখতে হলে বাবার আদর ভুলে যেতে হয়। ভাইয়েদের লাথি — বুকের কপাট নাড়ায়— ভাবিদের গালি; মায়ের চুপ থাকা সহ্য হয়ে যায়।

তুমি সামান্য প্রেমের দায়ে, নিজেকে আবিষ্কার করলে এক নিবিড় জেলে! যেখানে কোন খানা খাদ্য নাই; আর তাই একদিন সিদ্ধান্তই নিলে— ছাদ থেকে পরে মরে যাবে; এটা সত্যিই একটা ভুলের মধ্যে  থাকা, তবুও লাফ দিলে। 

তোমার মৃত্যু হলো না — এটা স্বাভাবিক জীবন কাটানোর এক পূর্বাভাস ; যেহেতু খোদা তাকদীর তোমার ইচ্ছেতে লেখেননি।
তিনি বলেন কুন; তুমি দিচ্ছ লাফ; এটা কিন্তু পাপ! খোদা– হও বললে, নাই হওয়ার চেষ্টাই মূলত আত্মহনন; অথচ আরো কিছুকাল তোমার বেঁচেবর্তে থাকার প্রয়োজন। 
আর তাই খোদার ইচ্ছে হলো তোমাকে বাঁচিয়ে, শিখিয়ে নিতে কে পর, কে আপন? — এ জীবন গোটা কয়েক সিদ্ধান্ত নেয়ার মিথুন

মিথ্যের শুরু হয় ‘ম’ দিয়ে, তাই— তুমি মিথ্যে হয়ে যেতে মরে গেলে, যেহেতু মৃত্যুরও শুরু হয় ‘ম’ দিয়ে।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন