আবৃত্তি
মিথুন ও মিথ্যে
মিথুন, মিথ্যের শুরু 'ম' দিয়ে। তুমি ভাবছো জীবন — জীবন চাইছে গান; দীর্ঘ ছুটি আর সমুদ্র স্নান।
তোমার আঙুল ক্ষয় হয়ে যায় কীবোর্ড —টিপছো সাঁজোয়া মেসেজে ভর্তি বিলবোর্ড; তোমার লেখাগুলো সব মিথ্যে হয়ে যায়— পুরোনো চিঠিগুলো আজ জামান, ছারপোকা খায়।
একটা গিটারিস্ট কতটা মাতাল হতে পারে — মদ ছাড়াই তুমি দেখেছো, লিখছো পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা — তোমার সুর তুলে দেবে, সে কি তেমন ম্যুডে আছে আর — তাঁর গলা শুকানো; কিসের যেন তেষ্টা!
গিটারিস্ট ভুলে গিয়ে তাকালে ঘাসে; ওখানে কে হাসে— কে হাসে? কে হাসে?
কে যে ডাকে; বৈরী হাওয়া— মিথুন থেমে যাওয়া ভালো — তুমি জানোইতো, মিথ্যের শুরুতে 'ম'।
এ জীবন খুবই কঠিন, শিখতে হলে বাবার আদর ভুলে যেতে হয়। ভাইয়েদের লাথি — বুকের কপাট নাড়ায়— ভাবিদের গালি; মায়ের চুপ থাকা সহ্য হয়ে যায়।
তুমি সামান্য প্রেমের দায়ে, নিজেকে আবিষ্কার করলে এক নিবিড় জেলে! যেখানে কোন খানা খাদ্য নাই; আর তাই একদিন সিদ্ধান্তই নিলে— ছাদ থেকে পরে মরে যাবে; এটা সত্যিই একটা ভুলের মধ্যে থাকা, তবুও লাফ দিলে।
তোমার মৃত্যু হলো না — এটা স্বাভাবিক জীবন কাটানোর এক পূর্বাভাস ; যেহেতু খোদা তাকদীর তোমার ইচ্ছেতে লেখেননি।
তিনি বলেন কুন; তুমি দিচ্ছ লাফ; এটা কিন্তু পাপ! খোদা– হও বললে, নাই হওয়ার চেষ্টাই মূলত আত্মহনন; অথচ আরো কিছুকাল তোমার বেঁচেবর্তে থাকার প্রয়োজন।
আর তাই খোদার ইচ্ছে হলো তোমাকে বাঁচিয়ে, শিখিয়ে নিতে কে পর, কে আপন? — এ জীবন গোটা কয়েক সিদ্ধান্ত নেয়ার মিথুন।
মিথ্যের শুরু হয় ‘ম’ দিয়ে, তাই— তুমি মিথ্যে হয়ে যেতে মরে গেলে, যেহেতু মৃত্যুরও শুরু হয় ‘ম’ দিয়ে।