আমার পণ
সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি,
সারাদিন আমি যেন ভাল হয়ে চলি।
আদেশ করেন যাহা মোর গুরুজনে,
আমি যেন সেই কাজ করি ভাল মনে।
ভাইবোন সকলেরে যেন ভালবাসি,
এক সাথে থাকি যেন সবে মিলেমিশি।
ভাল ছেলেদের সাথে মিশে করি খেলা,
পাঠের সময় যেন নাহি করি হেলা।
সুখী যেন নাহি হই আর কারো দুখে,
মিছে কথাকভু যেন নাহি আসে মুখে।
সাবধানে যেন লোভ সামলিয়ে থাকি,
কিছুতে কাহারে যেন নাহি দেই ফাঁকি।
ঝগড়া না করি যেন কভু কারো সনে,
সকালে উঠিয়া এই বলি মনে মনে।
লেখাপড়া করে যেই
লেখা পড়া করে যেই।
গাড়ী ঘোড়া চড়ে সেই।।
লেখা পড়া যেই জানে।
সব লোক তারে মানে।।
কটু ভাষী নাহি হবে।
মিছা কথা নাহি কবে।।
পর ধন নাহি লবে।
চিরদিন সুখে রবে।।
পিতামাতা গুরুজনে।
সেবা কর কায় মনে।।
পাখী সব করে রব রাতি পোহাইলে
পাখী সব করে রব রাতি পোহাইল।
কাননে কুসুম কলি ফুটিয়া উঠিল।।
রাখাল গরুর পাল লয়ে যায় মাঠে।
শিশুগণ দেয় মন নিজ নিজ পাঠে।।
ফুটিল মালতি ফুল সৌরভ ছুটিল।
পরিমল লোভে অলি আসিয়া জুটিল।।
গগণে উঠিল রবি লোহিত বরন।
আলোক পাইয়া সকল পুলকিত মন।।
শীতল বাতাস বয় জুড়ায় শরীর।
পাতায় পাতায় পড়ে নিশির শিশির।।
উঠ শিশু মুখ ধোও পর নিজ বেশ।
আপন পাঠেতে মন করহ নিবেশ।।
মনে রাখা দায়
মনে করি বারে বারে,
আর না হেরিব তারে,
নিষেধ না মানে আঁখি,
তারি পানে ধায় লো।
মনে মনে করে থাকি,
কথা না কহিব ডাকি,
না দেখিতে আগে কোড়া,
মুখে হাসি পায় লো।।
তবু যদি সহচরী,
মন কে কঠিন করি,
সে জানে দেখিবা মাত্র,
রোমাঞ্চিত কায় লো।
অতএব তারে দেখে,
আপনা বজায় রেখে,
কি রূপে সাধিব মান,
বল না আমায় লো।।
বার মাসে তিথি যত
বার মাস তিথি যত।
একে একে হয় গত।।
বার মাস সাত বার।
আসে যায় বার বার।।