মরে গেলে
মরে গেলে—
কোথাও একটা সাইকেল
থেমে যাবে
হঠাৎ বেলের আওয়াজ
দুপুরের আড়া-জঙ্গল পার হয়ে
ঘুমিয়ে পড়বে
আত্মা ফুলের মায়ায়
খাটিয়ায় শুয়ে শুয়ে মনে হবে
আমিকে ভুলিও না, সোনা
যেতে হয় বলেই
মানুষ সাঁকো বানায় নির্জন বিষণ্নতার ওপর—
চিবুক
একটা চিবুক—
মাঠের শেষে নদী
দূরের বিকেল-পারে
মনোটোনাস ছায়া কাঁপে
সৈকতে, নীল ক্ষারে—
একটা চিবুক—
জারুল ফুলের স্বেদ
কসম আল্লার, হায়!
অস্তাচলে ডুবছে কয়েন
দৈবচয়ন প্রায়—
একটা চিবুক—
কলপাড়ে কেউ একা
চমকে ওঠে স্বর
আতার বনে অনেককালের
দারুণ মর্মঝড়—
একটা চিবুক—
পদ্মমেঘের ছায়া
অশ্রুত মন্দিরা
হীরার আলোয় তলিয়ে গেল
মৃত্যু ও জিপসিরা
একটা চিবুক—
শিমুল দিনের ধুলা
খাদের বরাবর
গড়িয়ে পড়ে ভাটিয়ালি
দুপুর: জাতিস্মর—
একটা চিবুক—
বাচ্চা হাঁসের দৌড়
দিঘিতে এক সার
দরদ তুমি, চিরকালের:
কসম আল্লার
চিরদূরহাওয়া
তোমাকে বেসেছে ভালো কামারজানির ভাঙা ব্রিজ
তোমাকে বেসেছে ভালো কালভার্ট, মেশিনের ঘর
গোসল করার পরে ধুয়ে দাও বুকের শেমিজ
তোমার কোমরে ফলে হাওরের ধান তারপর—
কুমড়া ফুলের বড়া ভেজে ভেজে তুলে দাও পাতে
ছোট বোনদের—শোনো, তোমাকে ডাকছে মালহার
এমন ঝড়ির দূরে ভাওয়াইয়া-পারাপার রাতে
অন্ধকারে অতিশয় ভিজে যাচ্ছে বিরহ-কাহার!
‘শ্যালো মেশিনের নালা, শোনো, শোনো শাওনের ঢল,
বহুদিন আগে বেচা লাল গাইটার সেই দড়ি
মাঝেমধ্যে ভেসে ওঠে, আত্মহত্যা দারুণ প্রবল
এলাচ ফুলের পাশে ফোটে ঋণ, মনে হয় মরি—’
তিলখেতে ফুটে আছে বহুদূর নীল নীল ফুল
বিবাহ, তোমার হোক ভরা নদী ছাপিয়ে দুকূল