সজল আহমেদ এর দীর্ঘ কবিতা সংগ্রহ

 নোটঃ এই কবিতাটি সজল আহমেদ লেখেন ৫ বছর বসে

মি

—সজল আহমেদ

আমি মূসার মতো জ্বলি তূরের বুকে
বারবার ফিরে আসি ফেরাউন রূপে।
আমার একটা ছিলো পাখির ডানা
নমরুদের কাছে আছে প্রচুর দেনা।

ঈশ্বর নাকি এক ইভিল আমি?
ভেবেই জাহাজ চলে ইসরায়েলে,
ইহুদির-ইসম পোড়া  শূকর ঝোলে
মুক্ত আমি নাকি ফেরারি আসামী?
কে জানে, কেবা কি আসহাফ কাহাফ;
গেড়ুয়া পরনে আছে  খাকি লাল পোশাক।


মাথাতে গোল টুপি রাব্বির মত
কুকুরের মত গায়ে আছে পোড়া ক্ষত
এক ঘুমে উঠিনি সাতশ বছর;
কতশত শাসনামল আছে অগোচর;
মাটিতে মিশেছে কত রাজ্যপাঠ
আমি শালা এ জমানার মুরব্বি সাপ!


কুকুর ডাক মারো আমিও কুকুর
মেঘে ঢাকা ক্ষুধাপেটে মধ্যদুপুর
হিংস্র হায়েনার সাথে শকুনের আহার
দুবাহুতে বেঁধেছি অহুদ পাহাড়!


লুঙ্গীর ভাঁজে মোড়া পুরো পৃথিবী
এখানে নগ্ন প্রত্যহ নিজেকে শিখি
কানের বগলে গোঁজা মস্ত টিউলিপ
মগজে বিদ্যুৎ নড়ে, মদ এক চিপ।

আমাতে রুমিরে পাবে, আমাতে ইকবাল
আমাতে লুকিয়ে পাবে গরু এক পাল।
আমিই সুফী সাব আমিই ঈমাম
গির্জার ঘন্টায়, আমি সে মহান!
মন্দিরে পূজিত চুপসানো ফুল
আমি শালা পুরোপুরি মগজের ভুল।
মানসুর হাল্লাজ কিবা অহাবি
কখনোবা কাঁপা হাওয়া, কভূ পূরবী।

(২)
আমিই বদের বদ আমিই হাতেম
মন্দিরে পুরোহিত মসজিদে খাদেম
গরীব পিষি পায়ে ফাঁসির আসামী
তাবৎ পৃথিবী আমার আমি ভূস্বামী।
জমিদারী চাবুক লাঠির আঘাত
আমি সিগারেটহীন যুবকের রাত।
জমি নিয়ে দুগ্রুপের তীব্র সংঘাত
আমি সংঘটিত যত অপরাধ।

ঝাঁঝালো মরিচে ভরা মুড়ি চানাচুর
এক পেয়ালা দুধ মাঝে খেজুরের গুঁড়।
তুমুল বর্জ্যের সাথে আমি বর্জ্যপাত
আমি এক ষোড়শীর ঘামে ভেজা রাত;
মেঘভরা আকাশের আধখানা চাঁদ
আমি শালা বিপদের অকাল আপদ!
আমার সকাল হয় সকালেরও আগে
ভোগেই শান্তি পাই অশান্তি ত্যাগে।

(৩)
তোমরা শকুনেরা যত আমার মতো
তোমাদের তীব্র হোক সবগুলো ক্ষত
ক্ষতেক্ষতে রগরগে তোমাদে গা
ক্ষতগুলো মুছে হোক দগদগে ঘাঁ
এভাবে অশান্তি যত পু’জিত হোক
তোমাদের জীবন সুখ মানে শোক!


(৪)
আমি ত্যক্তবিরক্ত আমি  অভিশাপ
পৃথিবীতে পরিচিত ডোনাল্ড ট্রাম্প
সিরিয়ার বুকে আমি জমা করা ক্রোধ
চৈত্রের জমিনে যেন কড়া রোদ
জ্ঞানী কখনো আমি কভূ নির্বোধ
একে ফোরটিন হাতে পিশাচ মাদারচোদ
যুদ্ধ জমজমাট ভয়াল রাতটা আমি
তেরশ খুনের দায়ে ফেরারি আসামী


আমাকে ক্ষেপিওনা পুড়েচিড়ে যাবে
দাঁতে চিড়ে স্ব শরীরি মাংস খাবে!
তোমাদের শরীর হবে রক্তে সয়লাব
আমি পাপ নমরুদের আধ্যাত্মিক বাপ,
আমিই মোসাদ গুরু ইয়াহুদি আমান
আমার অপর নাম হাবিয়া জাহান্নাম।


ইউরিনিয়ামে প্যাচানো পরমাণু বোমা
ধর্ষক মোড়াজামা মার্কিন সেনা।
আমার পরে কুপিত তোমাদের মা
ভয়ে কুঁকড়ে গ্যাছে তোমার প্রিয়তমা,
আমাকে দেখে কাঁপে তোমার সন্তান;
আমিই খোদাদ্রোহী দাজ্জালপ্রাণ।
ইল্যুমিনাতি আমি শ্যাটানিজম
আমিই জুলুম তবে অন্যরকম!


(৫)
পুড়বে তোমরা শুধু পুড়ে হবে ছাই
চারদিকে তাকবে পাশে কেউ নাই
পাশে যারা ছিলো তারা গ্যাছে হারিয়ে
আমার ক্ষমতা জানো আরস ছাড়িয়ে!
ভগবান আমাকে রোজ করে পূজো
আমাকে ক্ষেপিওনা অন্যকে খোঁজো
ভগবান আমাকেই ডাকে ভগবান
আমিই সূর্য আকাশে- চাঁদ আদখান।

গরীব বধূর গলায় সেকেলে সোনা
ব্যাংকের লকারে জমানো দেনা,
ব্রাকে করা জসীমের লাখ টাকা ঋন
আমি কালসাপ সাঁজে ভয়াল সে বীণ।
আমিই অনাথ রোডে অনাদরে দীণ
বস্তা কাঁধে চাপানো পথশিশু নবীন
বৃদ্ধাশ্রমে ডুকরানো আশির প্রবীণ
আমি কখনো অসীম কখনো সসীম।


লিথ্যাল সায়ানাইডে কুঁচের আঁটি
আমি নেশাভরা এক মদের বাটি।
আমি পলিটিকস বেশে সরকারী ঘুঁটি
বন্যা কবলিত সালেহার ঘরের খুঁটি।


আমি এরশাদ এক স্বৈরাচারী
পলপট আমি এক হত্যাকারী।
হিটলার আমি এক নাৎসিবাদ
৬০ লাখ ইহুদির খুনী অপবাদ।
আমার ভেতরে জমাকরা যত শুধু ক্রোধ
মিসাইল বুকে বাঁধা নাগাসিক শোধ।


খুন তুমি আমাকে যদি না চিনো
খুন তুমি আমাকে যদি না জানো;
তরবারি কোপা দ্যাখো মৃত্যুকূপে
আমি  আসি ভালো-বদ উভয়রূপে।


আমাকে কখনো পাবে খুনের মাঝে
কখনো প্রেমিকা প্রিয়র চিঠির ভাঁজে
আমি সে রক্ত চোষা, কখনো গোলাপ
আমি কবিরূপী এক পাগলের প্রলাপ।

৩০/০১/২০২০

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন