কবি প্রেমিকা
কথা হইলো গিয়া কী আরাফাত ভাই;
প্রেমিকার মতো বড়কবি আর দুইজন দেখিনাই!
অপমান
প্রতিদিন কয়েকটা জুতো গিলে ফেলার পর হজম হওয়ার আগেই গিলে ফেলার জন্য আরো একটি জুতো তেড়ে আসে।
বিচ্ছেদ ও স্মৃতি
আপনার আমার বিচ্ছেদের পরে
এক কোটি স্মৃতি গ্যালো ঝরে।
দেবী
অতিষ্ট হন যদি আপনি দেবী
কি দিয়ে তুষ্ট করবো ভাবি!
স্বার্থপর
একটি রোডে একটি মানুষ ছোটে
ইয়া নাফসি জপতে জপতে ঠোঁটে।
স্বার্থপর
একটি রোডে একটি মানুষ ছোটে
ইয়া নাফসি জপতে জপতে ঠোঁটে।
বাবা
বাবা যদি একদিন কোনমতে মরে হায়;
পুত্রের চার দেয়ালে পিঠ ঠেকে যায়!
উড়ে যাও
উড়ে যাও ধুলো হয়ে ভিষন ও বাতাসে।
ঘুরে বেড়াও ঘুড়ি হয়ে আকাশে আকাশে।
পুত্রের লাশ
পিতার কাঁধে সন্তানের লাশ,
বড় উপহাস বড্ড বড় উপহাস!
সন্তান
বাবার মতো গরীব আর দুটো দেখিনি!
স্ববিরোধ
এত যে কবিতা লিখি কেউ পাঠ করে না ভাইবা নিজের ছিঃ ছিঃ লজ্জা ও হয় না!
মাস্টর
মাস্টরে ভালো চেনে লাঠি
আমারে ভালো চেনে তাঁর বেটি।
বাতাস
ও বাতাস বয়ে যাও
পাখি তুমি হয়ে যাও।
একা
বসে একা
কুসংস্কার
আগাছা
তুচ্ছতা
গাঁজাখোর
তোমারে ভালো লাগেনা
হে ক্রিটিকস
ধোঁয়া ওঠা চা'য়ের কাপটামুখে নিতে নিতে আমরাভাবতে পারতাম একটাসুন্দর পৃথিবীর কথাযেখানে থাকবো ; তুমি আমিএবং পৃথিবীর সব সুন্দর ভাবনা।
কৃত্রিম মৃত
ভোগাস
দরবারী কবি
- যদি তোমার ভালোবাসা কাঁদায় আমায় ভালোবাসা ভরে দেবো তবে তোমার বাপের পাছায়।
- মাছ হলে আমি। একটা জাল ক্রমশ এগিয়ে আসেআটকে দেয় আমায়, প্রতারণার ফাঁসে।
অ্যাডভান্স
এত বড় একটা পৃথিবী এত মানুষের বাস
আমি কেন একা আছি ওগো জানালার কাঁচ?
টুকটাক
১) ও মালিক সবাইরে দিলা ময়না টিয়া আমারে দিলা শালিক।
২)দূর আকাশে শালিক ওড়ে মাছরাঙাটাও ঐ, সবার পাখি আকাশ জুড়ে আমার পাখি কই?
৩) পাশাপাশি দুই বাড়িতে আমরা দুজন থাকি এক মাঠেতে উড়াই ঘুড়ি একই আকাশ দেখি।
৪) রোদ খেয়েছি বৃষ্টি খাবো, খাবো চিবিয়ে ছাতা বুদ্ধিজীবি হজম শেষে খাবো, একশ কবির মাথা
৫)লুঙ্গী তুমি ভাগ্য খুলে দাও
৬) বিধাতা বলেছে শেষে "তুমি এক কবি, খুলে দাও জানালা ভুলে যাও সবই''
৭) কবিতার ছলে তুমি গিলে খাও দ্রোহ কবি তুমি কাঁদো রোজ জানেনা তা কেহ!
৮) প্রেম তো করো তুমি ভাই অথচ বাপের পকেটে টাকা নাই!
রিদমড
শালিক
আমার সামনে একটা দীর্ঘতম মাঠ ছিলো।
দীঘল দীঘি ছিলো। আর ছিলো একটা সফেদ গম্বুজ।
গম্ভুজটি অবিকল যেন কুমারী নারীর স্তন যুগলের মতো খাড়া ছিলো মনেহয় কারো হাতের স্পর্শে।
গম্বুজের চূড়ায় একটা শালিক বসা ছিলো। বসা ছিলো সুন্দরী এক উষসী শালিক।
উড়তে উড়তে শে ছিলো ক্লান্ত পথিকের মতোন দিশেহারা! তাঁর তৃষ্ণা ছিলো।
আমি জিজ্ঞেস করলাম ও শালিক তোমার সে কই?
ভাগ্যক্রমে শে ছিলো একটি বোবা শালিক।
যথাক্রমে শে ছিলো— অন্য বোবাদের মতো রূপসী শালিক।
শে কোন কথা না বলেই সংকীর্ণ ডানা ঝাপটায়ে, দীর্ঘ পথ উড়াল দিলো চিলের সাদৃশ।
হ্যালুসিনেশন! না।
তাঁর গরম লাগছিলো৷
দীর্ঘপথ উড়াল না দিয়ে শে সামনের দীঘির ফটিকজলে তাঁর পাখনা খুলে নাইতে নামলো।
তার পরনের শেষ অঙ্গরুহ খোলাতক আমি তাকিয়ে ছিলাম।
শেষতক উলঙ্গ শালিক জল ঠেলে ঠেলে সেড়ে নিয়ে দীর্ঘ মাঠের ও প্রান্তের গাছে উড়ে গেলো পবিত্র গোসল।
আমি দীর্ঘ মাঠের দিকে দৃষ্টিনিক্ষেপ করে তাকিয়ে ছিলাম যতক্ষণ দেখা গ্যালো অঙ্গরুহ অনাবৃত উলঙ্গ রূপসী শালিক, আহ ঘাটে পরে ছিলো তাঁর গোসল আর পশম।
কবিতা
কবিতা
ওহীর মতো
যেন নাজিল হয়
আকাশ থেকে- আকাশ বাণী;
বিচ্যুত নীরদ চুইয়ে পরা
নাজুক ঘাসের ডগায়
একফোটা পানি।
কবিতা
মাছের মতো
ভর্তি হওয়া পুকুর
যেন লেখা পদে
তানপুরা বেহালার সুর।
কবিতা
যেন মসজিদে
ফজরের আজান
ভোরের শিশির গায়ে
সোনালী সে ধান।
কবিতা
সে তো সাধনা
হাত ধরে হাঁটা একজোড়া
প্রেমিক-প্রেমিকা
শাড়ির আচলে তার
একটা পৃথিবী ঢাকা।
কবিতা
কারো একটা জীবন
বিভিন্নভাবে অসহায় নির্বাক
অচল নিস্তব্ধতা-নীরব
কখনো ঈশ্বর কখনো চার্বাক।
চুমুই শ্রেয়
কার্নিশে বিষন্ন প্রেমিকের ঠোঁট
হা করে আছে কাকের মতোন
বাহবা কুড়ানোর চেয়ে কমরেড
যুদ্ধ-বিগ্রহ কিংবা দ্বন্দ্বের চেয়ে
"একটা চুমুই শ্রেয় মোদিরার মতোন।''
পীতাম্বর ও রাধে
পীতাম্বর ডাক মেরেছে খাড়ায়া নদীর কূলে
রাধা তাঁরে জবাব দিলো; “ঝাঁপাই চলো জলে”
“এই কালো জল পানায় ভরা জলজ কুম্ভীর নাই
নির্ভয়তে গামছা পইড়া চলো জলেত ঝাঁপাই। ”
দূর অম্বরে এমন দৃশ্য আঁকছেন বিধাতা
যিশুখ্রিস্ট নাইচা ডাকে “জলেতে ঝাঁপা। ”
পীতাম্বরে খুশির কোন আলাদা যুক্তি নাই
এই জলেতে পীতাম্বর ঝাঁপায়, রাধে ঝাঁপান তাই।
মরে যাওয়া খুবই সহজ
১.
মরে যাওয়া খুব সহজ! মনে করুন একদিন রাতে টুপ করে মরে গেলেন ;
কাউকে কিছু না বলেই, ছাদে উঠে লাফ দিলেন। একদম সহজ এ কাজটা।
২.
বাবা বকছেন আর আপনি ভাবছেন-
'বকাবকি' এই ল্যাটা জনমের তরে; চুকে যাওয়াই ভালো। তাহলে কি করা যায়? মরে যাওয়া সহজ। মরে যেতে চান? তাহলে যান।
৩.
ফোনটা হাতে নিয়ে টিপছেন এর মধ্যেই প্রেমিকা একটা টেক্সট করলো আর তাতে লেখা 'আমার অন্যত্র বিয়ে হয়ে যাবে কাল! কিছু করো।'
আপনার কিছুই করার নেই। কিছু করার মতো পকেটে অর্থ নেই। ভাবলেন এর চে মরে যাওয়া ঢের ভালো! করলেন কী, বিষ খেয়ে টুপ করে মরে গেলেন। মরে যাওয়া একদম সহজ। একদম সহজেই, সহজভাবে মরে যেতে পারবেন। কোন ঝক্কি ঝামেলা ছাড়াই।
৪.
বুঝে ফেলেছেন ইতোমধ্যে, মরে যাওয়া খুব সহজ। আর সহজপন্থায়ই মরে যতে হবে।।বেঁচে থাকা খুব কঠিন!।তাহলে টুপ করে মরে যেতে থাকুন। কিভাবে? কোন পদ্ধতি প্রোয়োগে-।সবচে সহজভাবে;
এবং নৈতিকতা রেখে বজায়, মরে যেতে হয়?
তাঁর একটি পদ্ধতি আবিষ্কার করা উচিৎ।
ভেবে ভেবে বের করলেন একটি বই।
নাম দিলেন 'মরে যাবার একশ একখানা সহী উপায়!'
বইটি ফ্লপ হলো। বাজার থেকে শুধু একটি কপি বিক্রি হলো; আর তা কিনেছে আপনার এক মেয়ে বন্ধু।
ভাবছেন ওর কাছে কিভাবে মুখ দেখানো যায়?
৫
বই ফ্লপ হওয়ার চেয়ে একপিস বিক্রি হওয়া বইটি আপনাকে গূঢ়ভাবে আঘাত করলে; ভাবলেন মরে যাবেন। এখন সত্যিই মরে যাবেন! কোন পদ্ধতি প্রোয়োগ করে মরা যাবেন ভাবতে ভাবতে একসময় ছাপানো বইগুলোতে আগুন ধরিয়ে তাতে লাফ দিলেন। ওয়াও! ভালোইতো জ্বলছেন। তাহলে জ্বলতেই থাকুন।
গোল
আপনি ভাবছেন পৃথিবীটা বস্তুত গোল
যেহেতু আপনি ঘুরছেন গোল হয়ে
আপনার মাথা গোল
আপনি বাজান বগল
আপনার মস্তিষ্কে গোলের দখল
ছাতা গোল
মাথা গোল
ঢোল গোল
বল গোল
আমরা পড়ি ভূগোল
গোল এবং গোল
আপনার বন্ধু হিসেবে আছে কিছু ছাগল
সর্বশেষ আপনি একটা পাগল।
সেই বিজ্ঞানী ভাবতেন, ঘুরে ফিরে আমরা আসি গোল হয়ে
এখানে শেষের যে পদচিহ্ন পরেছিলো মূলত গোলাকার একটি মাঠের শেষ সীমানায়
অতএব পৃথিবীতে যা কিছু দৃশ্যমান
পিরামিড হতে চায়ের দোকান
কমলা হতে আপেল
শাক হতে মাঠের ফসল
তামাক হতে জল
সকল
মূলত
গোল।
আমরা জানিনা
পৃথিবীর আকার মূলত গোল কিনা।
যেহেতু আমরা দেখিনি প্রত্যক্ষ ভাবে
কেমন এ পৃথিবী
সমান্তরাল নাকি উঁচুনিচু
ঢিপি
চ্যাপ্টা নাকি গোল
তবুও আমাদের মূলো গুজে মুখে, বিশ্বাস করানো হয়; পৃথিবী গোল
মায়ের অপর নাম গ্রাম
এখানে সজল আহমেদ-এর ২৭টি কবিতা পাবেন।