প্রতিদিন কয়েকটা জুতো গিলে ফেলার পর হজম হওয়ার আগেই গিলে ফেলার জন্য আরো একটি জুতো তেড়ে আসে।
ঘুমের শহরে কেউ কথা বলেনা
কথা বলেনা সেথা গাড়ি চলে না
গাড়ি চলেনা সেথা, গাড়ি চলে রোডে
গাড়ির পেছনে সবাই দল বেঁধে ছোটে
দলবেঁধে ছোটে সবে দলে দলে যায়
হেঁটে গেলে সকলের ঝিম ধরে পায়
ঝিম ধরে পায় যদি কেউ হেঁটে যায়
হেঁটে হেঁটে সেঁজুতি বেঁটে হয়ে যায়
বেঁটে হয়ে ভুল করে ফুল ছুঁতে যায়
হাত ছিড়ে রক্ত গড়ায় কাঁটারো গুতায়
কাঁটার গুতায় যেই রক্ত তাঁর ঝরে
বিষের জ্বালায় ফুপিয়ে সে মরে
ফুপিয়ে সে মরে হায় অকথ্য ব্যথায়
অকথ্য ব্যথারা সব শরীরে মিশে যায়
শরীরে মিশে যায় সাথে শিতল ও বাতাস
শিতল বাতাসে ওরা খেলে তিনতাস
তিনতাস খেলে যেই কেউ হেরে যায়
একে অপরের তখন কপাল ফাটায়
কপাল ফাটিয়ে মজিদ ঘর ছাড়া হয়
ঘর পালালেই কুফার কপাল খুলে যায়
কপাল যেই খুলে, কুফা বেকুব হয়ে যায়
বেশি টাকা নিয়ে বসে আবার জুয়ায়
জুয়ার আড্ডায় কুফা আবার যেই বসে
খয়রাতি কুফা রূপে গৃহে ফিরে আসে
গৃহে ফিরে খায় ভাত মেলামাইন থালায়
কুকুরের পেটে কভূ ঘি নাহি হজম হয়
ঘি হজম নাহি হলে থানকুনি খায়
থানকুনি খেলে পেটের ব্যামো চলে যায়
ব্যামো চলে গেলে ফের কুখাদ্য খায়
আবাল মরে না সব পৃথিবীতে রয়
পরে রয় পৃথিবীতে শতশত অবাস্তব কল্পনা
মাটির ছিড়ে ফুটুক সুশ্রী ফুল এই'ই বাসনা
বাসনা সকল কভূ পূর্ণ নাহি হয়
বেকুবের বুদ্ধি খুললে অকালে হারায়
অকালে হারিয়ে যায় অযত্নের দাঁত
প্রেমিকা জমা করে শুধু অবসাদ
শুধু অবসাদ যারা জমা করতে জানে
তাঁরা শেখাতে আসে ভালোবাসার মানে
ভালোবাসার মানে বুঝি ঝামেলা বাড়ানো
পঁচাবাসি মিস্টির নিষ্ফল মাছি তাড়ানো
মাছি তাড়িয়ে শেষে চলে গেলে বেলা
শিশুরা ফিরে ঘরে ছেড়ে এসে খেলা
ছেড়ে এসে খেলা মাকসুদ ঘুমুতো যায়
পলি কে স্বপ্নে দেখে দ্রুত ভোর হয়
ভোর হলে মা এসে কান ধরে টানে
মরিচ ডলে ভাত খায় বসে স্ব আসনে
স্ব আসন যেবা ছিনিয়ে নিতে জানে
তাঁর বুঝতে বাকি নেই জীবনের মানে
জীবনের মানে অস্ত্র ছাড়া যুদ্ধ
হয়তোবা মরো, নয়তো মারো পালসুদ্ধু
পালসুদ্ধু যদি যুদ্ধে মারতে নাহি পারো
শত্রুর গুলিতে তবে আগেভাগে মরো।
গুলি খেয়ে যদি আবার আগেভাগে মরো
তাঁর চে এইভালো আত্মহত্যা করো
আত্মহত্যা মহাপাপ ধর্মগ্রন্থে কয়
মহাপাপ ভেবে কত মৃত জীবিত রয়
জীবিত মৃতরা হায় বড় অসহায়
মানুষটা মরে গেলে স্মৃতি পরে রয়
স্মৃতি যদি পরে থাকে বেড়ে যায় জ্বালা
হয়তবা ফেঁসে যায় বহু অবলা
বহু অবলারা করে বেহুদা কারাবাস
অবলার ক্রন্দনে ছেদা হয় আকাশ
ছেদা হয়ে আকাশ শেষে বৃষ্টি পরে
বৃষ্টির সাথে মেঘের দুঃখ ঝরে
দুঃখ ঝরে গেলে সবে রিয়ালিটি ভুলে
জমা হয় আগাছা নদীর ও কূলে
নদীর কূলে আগাছা অব্যবহৃত পরে রয়
বরশি দেখে মাছ ভুলে পতিত হয়
ভুলে পতিত হলে কাণ্ডজ্ঞান যায় চলে
ভুলের পাছায় ফুল গুঁজে পূজো করে সকলে
পূজো করার পর যখন ধরা খেয়ে যায়
পূজারী থেকে শ্রেফ দেবতা বিদ্বেষী হয়
বিদ্বেষী হলে এক পর্যায়ে ক্রিটিক করে
তিলকে তাল বানায় নিমিষের ভিতরে
নিমিষের ভেতরে যদি কর্মসাধন হয়
পরিশ্রম দেখলে সবে দৌঁড়ে পালায়
দৌঁড়ে পালিয়ে যায় কোকাব শহর
মাথার উপর দৃশ্যত মধুর নহর
নহর হতে লোভে যেই মধু খেতে যায়
নহরে মৌমাছি দল বেঁধে হুল ফুটায়
হুল যেই ফোটে গায় লোভ চলে যায়
লুঙ্গী উঁচিয়ে তবে জোড়সে দৌড় লাগায়
দৌড় দিয়ে পার হয় দূর পারস্যদেশ
সিরিয়াতে গিয়ে সে হয় নিঃশেষ
নিঃশেষ হয় তথা পারমানবিক বোমায়
গড়িমসি করে বড়বাবু চলে যায় কোমায়
কোমায় গিয়ে বাবুর লাইফ নিয়ে টান
কেউ বুঝেনা ওটা বড়বাবুর ভান
ভান করে আছে সব জগৎ ও খেলায়
কবি সব ভান করে মরে অবেলায়
অবেলায় ফুল যদি ফুটে থাকে গাছে
মৌমাছি আসে না তার আসেপাশে
আসেপাশে পরে থাকে কতশত লাশ
সলিলে সাঁতারাতে থাকে মরা রাজহাঁস
রাজহাঁস রাজবংশীয় একমাত্র মরাল
জাদুর মোহের কাছে নত বৃদ্ধ-যুবক-আবাল
বৃদ্ধ-যুবক-আবালের একমাত্র আশা
পুরোটা লাইফ জুড়ে থাক পূর্ণ ভালোবাসা
পূর্ণ ভালোবাসা যদি না থাকে
অযত্নে গোলাপ ফুল মরে থাকে গাছে
গাছের কোটরে বাসা বাঁধে টিয়াপাখি
গর্তে সাপ ঢুকে স্বপ্ন করে মাটি
মাটি যদি হয়ে যায় সকলই ভরসা
নিঃশ্বাসে নিঃশ্বাসে শুধু হতাশা
হতাশায় ধ্বংস হয় যুবকের প্রাণ
রবীশংকর গাইতো ভালো দুঃখের গান
দুঃখের গান যদি না গাইতে পারো
তবে কেন বেহুদা কেঁদেকেটে মরো?
মরো গিয়ে দূরে লোক চক্ষুর আড়ালে
দূরে গিয়ে মরা ভালো যা আছে কপালে
কপালটা কোনমতে ফেঁটেফুটে গেলে
কাকা এসে ডাকতে পারে ঔরষজাত ছেলে
ছেলের দল একদিন বড় হয়ে যায়
ছেলেরা দল জোট হয়ে বাপ ভুলে যায়
বাপ ভুলে মা ভুলে পাষাণ সীমার
খুলে যায় বুড়ো হলে বৃদ্ধাশ্রমের দ্বার
বৃদ্ধাশ্রমের দ্বার যদি খুলে যেতে পারে
একা একা বাপ মা পাথড় হয়ে মরে
পাথড় হতে পানি গড়ায় সে পাহাড়ে জন্মায়
মুকুল-মৌমাছি সঙ্গমে আম জন্মায়
আমের জন্ম হয় প্রাণী-উদ্ভিদ সঙ্গমে
কেউ জেনে রাখে কিবা আছে কার মনে?
কার মনে কি আছে জেনে যদি যাও
খোদার কসম তবে মানুষ তুমি নও
মানুষ তুমি নও তবে নও রূহ ফারিশতা
জ্বীন ভূত ভাবলে টাইম ওয়েস্ট অযথা
টাইম ওয়েস্ট অযথা যদি তুমি করো
ধোঁকা খেলে ভাগ্যের কাছে তবে তুমি আবারো
আবারো যদি তুমি আয়েশার সামনে যাও
দু-গালে জুতো জুটবে খাতায় লিখে নাও
লিখে নাও নিজভাগ্য যদি নিজ হাতে
নিজের পতনে খোদারে দোষো তবে কোন অজুহাতে?
অজুহাত দেখিও না বেহুদা বেআক্কল
নগদে বাতাসে নড়ে দ্যাখো ধর্মের কল
ধর্মের কল যদি বাতাসে না নড়ে
তবে ক্যানো ধার্মিক সব চেচিয়ে মরে?
চেচিয়ে কোন শালা যদি লাভও করতে পারে
সে লাভের গুঁড়ের পিঁপঁড়েরা থাকে মাজারে মাজারে
মাজারে মাজারে অভুক্ত নেড়ী কুকুরের দল
খোদারে ভাঙায়ে করে নানা রকম ছল
বাহানা ছলের ধাঁধা আছে পৃথিবী জুড়ে
মাকড়শার প্যাটার্নে এসে পোকা ধরা পরে
পোকারা দলবেঁধে উড়ে যদি যায়
শিকারী পাখিটি এসে ধরে ধরে খায়
খাওয়া দাওয়া শেষে বস্তুত বিশ্রাম করে
বিশ্রামে মনুষ্য সবার উপরে
সবার উপরে গেলে প্রথম নাহি হয়
আগে গেলে বাঘে খায় পিছনেতে সোনা পায়
সোনা পেলে পেছনে ভিষন লোভ হয়
সর্বদা তাই সে পরে পেছনেই রয়
পেছনেতে যেতে যেতে দেরী হয়ে গেলে
অজগর সাপে এসে ধরে গিলে ফেলে
গিলে ফেলে পৃথিবী লোভের রাক্ষস
কত অপরাধী ছাড়া পায় যাদের দোষ চাক্ষুষ
চাক্ষুষ যদি করো কোন ভালো কাজ
প্রতিপক্ষের মাথায় পরে বিনা মেঘে বাজ
বাজ পরে পূর্ব কোলায় গরু গেলে মরে
আহাজারি শুরু হয় কৃষকের ঘরে
ঘরে বাইরে চলিতেছে কত ছলাকলা
মৃত্যুপূর্বে মানুষ শুধু পায় অবহেলা
অবহেলা যদি করা পরে অধিক মাত্রায়
ফেরৎ আসে ক্রমশ আলম্বে বিভিন্ন উপায়
উপায়হীন কবরবাসী কবরের ভিতরে
প্রতিদিন কাঁদে অবহেলার দুনিয়া মনে করে
মনে করে মাকে কাঁদে এতিম সোহাগ
'মা কে?' ভেবে পথশিশু রাজীব অবাক!
অবাক রাজীব 'তাঁর নাম কেন রাজীব?'
মানুষের মত ছিচকাঁদুনে না অন্যজীব
জীবে-উদ্ভিদে দয়া করেছিলো যেইজন
ঈশ্বরের দেখা কভূ পেলোনা সেইজন
সেইজন সেইভাবেই দিনগুজরান করে
যেভাবে পূর্বে ছিলো, গেলো সেভাবেই মরে
মরে গ্যালে শূণ্যস্থান পূরণীয় নয়
মরে গ্যালে অমর শুধু প্রবাদেই হয়
প্রবাদবাক্য যে মানে নীতিবাক্য রূপে
তাঁর কাছে রিয়েলিটি আসে না স্বরূপে
স্বরূপে আসেনা কভূ বর্ণচোরারা
বেহুদা ঝিনুক দেয় মুক্তো পাহাড়া
মুক্তো পাহাড়া দেয় ঝিনুক বিনা কাজে
ঝিনুক কভূ শুনেছো কী মুক্তো দিয়ে সাজে?
সাজগোজ ভালো করে বাইদ্যার মেয়ে
তবুও অবহেলার মেঘ তাঁরে থাকে ছেয়ে
ছেয়ে যায় চালার উপর কুমড়োর ডাটা
মাছের মধ্যে চালাক টাকি আর ভাটা
ভাটায় পানি নামে জোয়ারেতে আসে
মহিষের দল সবে জলে নেমে ভাসে
জলে নেমে ভেসে সাঁতরায় ছেলেদের দল
বৃষ্টিতে বালক দলেরা খেলে ফুটবল
ফুটবল খেলে ভালো ম্যারাডোনা মেসি
একটান বিড়ি পেলে চা দোকানদার মন্নাফ চাচা খুশি
খুশি হলে রুচি বাড়ে, বাড়ে লুচিরও কদর
বাবা নামাজে চলেন গায়ে মেখে আতড়
আতড় ভালো ব্র্যান্ড সৌদী আরবের
আতড়ে গন্ধ সড়ে শুধু উপরের
উপরে আকাশে উড়ে সাদা সাদা মেঘ
কথা না বলে বজলু চেয়ে চেয়ে দেখ
দেখতে ভালো লাগে গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন
অবসরে আসে আবার মৃত্যুর আহ্বান
মৃত্যুর আহ্বানে সাড়া দিলো তাঁরা বীর
মেপে দেখলো মৃত্যুকূপ কতটা গভীর
গভীর রহস্যে যদি পতিত হও
বারবার মিসির আলীর নাম জপে যাও
জপে যাও বারবার একই যদি নাম
সারা দিতে পারে যদি না হয় বিধিবাম
বিধিবাম একবার যদি ভাগ্যে না মিলে যায়
ভাগ্য গড়ে ওঠে নাকি কর্মের ছত্র-ছায়ায়
ছায়ার উপরে কভূ ছায়া যদি পরে
মায়া তৈরী হয় মিনিটের ভিতরে
ভিতরে ভিতরে চাপা যদি থাকে কোন কষ্ট
প্রতিশোধের আগুন করে মানুষ পথভ্রষ্ট
পথভ্রষ্ট পথিকেরা যদি ভুল পথে যায়
আমের সাথে সাথে ছালাও হারায়
একসময় হারিয়ে যায় সন্ধ্যায় ফোটা ফুল
ফুল ছিড়ে মেয়েটি করে বড় ভুল
ভুল করে ছেলেটি যদি ভালোবেসে ফেলে
কাঁদে রোজ একা বসে বিষন্ন বিকালে
বিকালের বিষন্নতা যদি গ্রাস করে
নদীতে নাইতে নেমে ডুবে গেলেন মরে
মরে যদি যায় কেউ নদীর ও জলে
ঘুমানো বাবা যদি আর কথা না বলে
বলে না কথা বাবা চুপ এরপর মা
মেনে নাও রয়েছে নসিবেতে যা
নসিবে থাকে যদি কাচা পাকা বাঁশ
ভাগ্য যদি করে আচমকা উপহাস
উপহাস করে সবে উপহাস করে
উপহাস করে আবার আফসোসে মরে
মরে গেলে যাও কবরের পরবে বৃষ্টি রাশিরাশি
চাঁদের মতোন লাগে না কভূ প্রেমিকার হাসি
হাসির মাত্রা অতি হলে পেটে ধরে খিচ
সমুদ্রতটে বালি করে কিচকিচ
কিচকিচ করে পাখি আম বাগানে
গরমে ঠান্ডা পানি দিল এ শান্তি আনে
শান্তি এনেছে কিনে পারার নামকরা ছেলে
ঝড়ের কবলে মাঝ নদে ডুবে গেলো জেলে
জেলের দল মিলে মাছ ধরতে যায়
বকুলের মালার গন্ধ শুকালেও রয়
রয়ে যায় কতশত স্মৃতির বেদনা
তোমাকে বলছি নিরু নীরবে কেঁদনা
নীরবে কাঁদতে গেলে বদনাম হয়
শুদ্রের হাত ধরে ব্রাহ্মণের জাত চলে যায়
জাত গেলো জাত গেলো বলে কাঁদে লালন
বাউলরা করে না সংসার ধর্ম পালন
ধর্ম পালনে চাই পূর্ণ স্বাধীনতা
সমুদ্রের বুকে থাকে নোনা জলের ব্যথা
ব্যথা সব অগোচরে জমা যদি হয়
সুখ পাখি কষ্টগুলো ধরে খেতে চায়
খেতে চায় সজল কবি ছাদে উঠে চাঁদ
চাঁদের অদৃষ্টে লেখা থাকে কালো রাত
রাত যত গভীর হয় দুঃখীর দুঃখ বাড়ে
বৌ হারিয়ে বেলায়েত কাঁদে আহারে আহারে
আহারে সোনার ধন পিতলের ঘুঘু
পাপ যদি কম হয় শাস্তি হয় লঘু
লঘু পাপে মাঝেমধ্যে দায় বেশি হয়ে যায়
বদ্ধ খাচাতে সাপ জোড়ে জোগে ফোপায়
ফুপিয়ে কাঁদছে যুবক চাকুরী না পেয়ে
কোটিপতির ধন পিঁপঁড়া যায় না খেয়ে
খেয়ে মধু ফুল থেকে উড়ে যায় ভ্রমর
বৃষ্টিতে গান করে গলাছেড়ে ওমর
ওমরের অমরত্ব দুনিয়া জোড়া
জোড়ায় জোড়ায় সাঁতরায় পাতি হাঁসেরা
পাতি হাঁস ডিম পারে পুকুরের কিণার
মাথা উঁচু করে থাকে কুতুব মিনার
কুতুব মিনার একবার যদি দেখতে চাও
পিঁপিঁলিকার ডানায় চড়ে ভারত চলে যাও
চলে যাও হারিয়ে যাও করো যা চাও
করো তাই শুধু যা করে মজা পাও
পাও যদি ধন সম্পদ একত্রে রাশি রাশি
বেদনার মুখে ভান করা সুখের হাসি
হাসির কল্লোলে মুখরিত ঘর
মা চলে যায় সব করে দিয়ে পর
পর হয়ে যায় হায় হায় দুনিয়াভি সব
বড় ছেলে ত্যাজ্য করলো আব্দুর রব
বড় ছেলে বুঝে গ্যালো জীবনের মানে
তৃপ্ততা বেশি আসে ভাটিয়ালি গানে
গানে গানে মুখরিত বৈশাখে ছায়ানট
গাছের মধ্যে রাজা অশ্বথ, হিজল-বট
বটের ছায়ায় লাগে, লাগে শান্তি
বেল পাতার ঘ্রাণে ছুটে যায় ক্লান্তি
ক্লান্তিতে নুয়ে পরে গাছের শরীর
রাজার কোলে ঘুমায় কপট উজিড়
উজিড়ে দেখায় রাজার ক্ষমতা
ক্ষমতায় গেলে রাজার কমে মমতা
মমতা ব্যানার্জি মুখ্যমন্ত্রী ওপার বাংলার
হিটলার স্ত্যালিন মানুষরূপী জানোয়ার
জানোয়ারের কাছে নেই কে মা, কে বাপ
পাপের ও মাফ নেই শাস্তি ধাপেধাপ
ধাপে ধাপে গড়িয়ে যায় কালো সন্ধ্যা
সন্ধ্যায় ফোটে ফুল রজনীগন্ধা
রজনীগন্ধার ঘ্রাণে মাতাল হয় সাপ
মাতাল প্রেমিক-প্রেমিকা করে ফেলে পাপ
পাপ যদি এহকালে না ছাড়ে বাপরে
তবে কি বাপরা সব পাপ করে মরে?
মরে গেলে আর কেউ বেঁচে থাকে না
আমৃত্যু প্রেমিকা ষোড়শী থাক প্রেমিকের বাসনা
বাসনা কোন একদিন ফুরিয়ে গেলে
প্রেমিক কে প্রেমিকা চিবিয়ে খেয়ে ফেলে
খেয়ে ফেলে ঘুণপোকা বাসযোগ্য কাঠ
স্বার্থ ফুড়োলে প্রেম মানে অভিশাপ!
অভিশাপ দাও চেয়ে যদি আকাশের দিকে
অভিশাপ বোমা হয়ে ফাটে সিরিয়া-ইরাকে
ইরাক সিরিয়ার শিশু খেলা করে না
হারিয়ে ফেলেছে যাবতীয় খেলনা
খেলনা হয়ে আছে গাজা-ফিলিস্তিন
বোমা খেয়ে তিনবেলা কেটে যায় দিন
দিন ভালো কেটে যায় তেলআবিবের
তেল বেচে দিন ভালো সৌদী আরবের
সৌদী আরবে আছে মক্কা মদিনা
মদিনায় এখন আর ফুল ফোটেনা
ফুল ফোটেনা কভূ বাজা গাছেতে
ঝরে পরে পচা গাঁদা নরোম মাটিতে
মাটিতে পঁচে সার হলো কোটি কোটি লাশ
লাশের গোষ্ঠী একদা হয়ে যায় ইতিহাস
ইতিহাসের পাতায় কম প্রেমের বর্ণনা
যুদ্ধ ছাড়া কোন জাতী গড়তে পারে না
গড়েনা বিনা ঢেউয়ে সমুদ্রের তট
ফাঁদে পরে শিকাররা করে ছটফট
ছটফট করে মরলো আলম কাকা
আজরাঈলের শরীর নাকি কালো পোশাকে ঢাকা
ঢাকা যদি থাকে মেঘে বিশাল আকাশ
বৃষ্টির ছুটি নেই নেই অবকাশ
অবকাশ যদি তুমি পেতে চাও
পৃথিবীর পাঠ চুকিয়ে চাঁদে চলে যাও
যেতে যদি চাও ঐ দূরের চাঁদে
জোৎস্না উঠলে যাও দাঁড়াওনা ছাদে
ছাদে দাঁড়িয়ে চাঁদ খায় প্রকাশ্যে মামুন
পুরো চাঁদ খাবেননা মামুন আপনি থামুন!
থেমে যায় বাঁধা পেলে অনিরুদ্ধ চাকা
শামুকেে নরোম শরীর খোলসে ঢাকা
ঢাকা আছে স্বর্নলতায় ঘুমের শহর
ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে সেখানে কাটে দ্বিপ্রহর
দ্বিপ্রহরে সূর্যমুখী ফুলের বাসনা
সূর্য থাক সর্বদা করে কামনা
কামনা বাসনা জাগে শরীরে-শরীরে
রাত এলে বাসনা শরীরেতে ভিড়ে
ভিড়ে ঘাটে নৌকা ক্লান্ত হলে মাঝি
পিঁপঁড়েরা জিরোলোনা আজ অবধি
আজ অবধি অভিমানীর রাগ ভাঙেনি
কুসুমে কুসুমে পরাগ মৌমাছির দুটো চাকুরী
চাকু্রী মৌমাছির মধু টানা, পরাগায়ন
পৃথিবীতে স্বার্থ বিনা বাপ ও না আপন
আপন যদি কেউ কষ্ট দেয় মনে
চোখ ফোলে বুক ফোলে কাঁদে গোপনে
গোপনে সিঁদ কাটা চোরের কর্ম
অন্ধত্বে পৌঁছালে পঁচে যায় ধর্ম
ধর্মান্ধ মোল্লাদের যারা শুধু কয়
অন্ধ কী মোল্লারা শুধু তাঁরা কেন নয়?
নয় কেউ কারো অতি প্রিয়জন
ফাঁদে পরলে কেটে পরে নিজ চাচা তপন
তপনের ফুচকা, প্রেমিকা সমেত খায়
প্রেমিকা চলে গেলে বিষ কিনে খায়
খায় দায় ঘোরে ফেরে কাজ যাঁর নাই
পরজীবি ডাকে তাঁরে মিলে বাপভাই
বাপভাই এহকালের পরকালে পর
পর হয় নিজ শরীর প্রাণহীন জড়
জড়ের শরীরে কভূ প্রাণ থাকেনা
চাকা ছাড়া কভূ গাড়ি চলে না
চলে না বিষন্নবেলা কবি'র কলম
চুলকালে ক্রিটিকসরা লাগাও পাগলা মলম
মলম খাটেনা হে সব জায়গায়
বাঘ দেখে উল্টো শিকারীর ফাঁদ দৌঁড়ায়
দৌঁড়ায় মশামাছি শক্ত পা গজিয়ে
জীববিদ্যায় সাপ, পাখি হয়ে উড়ে
উড়ে চলে যায় দূরে হালিকের ঝাঁক
অবেলায় বদবার্তা আনে দাঁড় কাক
কাকের ডাকে নামে ঘোর কলি কাল
বৃদ্ধের চেয়ে পেকে গেছে অবুঝ আবাল
আবাল সব জোট বেঁধে কবিসভায় যায়
ক্রিটিকস কবিগণ মরে গ্যালো ঠায়
ঠায় মরে যায় ফ্রেমে চুয়াত্তরের ছবি
কবির দোষ হলো সে কেন কবি
কবির আরেকটা দোষ হ্যারে মা ভবানী
নিজের কথাকে ভাবে দ্বৈববাণী
দ্বৈববাণী পেয়ে জ্ঞানী সক্রেটিস
দ্বৈববাণী অবহেলায় পথভ্রষ্ট ইবলিশ
ইবলিশ প্রতাখ্যাত সেজদা না করে আদমে
অহংকারের পতন নাকি কদমে কদমে
কদমে কদমে হায় দম্ভের পতন যদি হয়
তবে কেন বুশ বেঁচে আম্রিকায়?
আম্রিকা বলো কি মানবতার বাপ
বেশি পাম দিওনা ফেটে যাবে, লেগে চাপ
চাপ পরে পৃথিবী কভূ ফাটে না
মূর্খের সন্নিকটে জ্ঞানের ছবক খাটে না
খাটে না জানালা সর্বস্তরে বাতায়ন দাও খুলে
সুযোগ পেলে তেলাপোকা ও খুচিয়ে কথা বলে
বলে না কথা বিষন্ন ঝাঁকবাঁধা মাছেরা
ফুলে ফুলে পূর্ণ থাকে শিউলি গাছেরা
গাছে গাছে জাগে এক উন্মাদনা
সকলেই ভালো থাকুক শুভকামনা!
গম্ভুজটি অবিকল যেন কুমারী নারীর স্তন যুগলের মতো খাড়া ছিলো মনেহয় কারো হাতের স্পর্শে।
শেষতক উলঙ্গ শালিক জল ঠেলে ঠেলে সেড়ে নিয়ে দীর্ঘ মাঠের ও প্রান্তের গাছে উড়ে গেলো পবিত্র গোসল।
আমি দীর্ঘ মাঠের দিকে দৃষ্টিনিক্ষেপ করে তাকিয়ে ছিলাম যতক্ষণ দেখা গ্যালো অঙ্গরুহ অনাবৃত উলঙ্গ রূপসী শালিক, আহ ঘাটে পরে ছিলো তাঁর গোসল আর পশম।
১.
২.
'বকাবকি' এই ল্যাটা জনমের তরে; চুকে যাওয়াই ভালো। তাহলে কি করা যায়? মরে যাওয়া সহজ। মরে যেতে চান? তাহলে যান।
৩.
ফোনটা হাতে নিয়ে টিপছেন এর মধ্যেই প্রেমিকা একটা টেক্সট করলো আর তাতে লেখা 'আমার অন্যত্র বিয়ে হয়ে যাবে কাল! কিছু করো।'
আপনার কিছুই করার নেই। কিছু করার মতো পকেটে অর্থ নেই। ভাবলেন এর চে মরে যাওয়া ঢের ভালো! করলেন কী, বিষ খেয়ে টুপ করে মরে গেলেন। মরে যাওয়া একদম সহজ। একদম সহজেই, সহজভাবে মরে যেতে পারবেন। কোন ঝক্কি ঝামেলা ছাড়াই।
৪.
বুঝে ফেলেছেন ইতোমধ্যে, মরে যাওয়া খুব সহজ। আর সহজপন্থায়ই মরে যতে হবে।।বেঁচে থাকা খুব কঠিন!।তাহলে টুপ করে মরে যেতে থাকুন। কিভাবে? কোন পদ্ধতি প্রোয়োগে-।সবচে সহজভাবে;
বইটি ফ্লপ হলো। বাজার থেকে শুধু একটি কপি বিক্রি হলো; আর তা কিনেছে আপনার এক মেয়ে বন্ধু।
বই ফ্লপ হওয়ার চেয়ে একপিস বিক্রি হওয়া বইটি আপনাকে গূঢ়ভাবে আঘাত করলে; ভাবলেন মরে যাবেন। এখন সত্যিই মরে যাবেন! কোন পদ্ধতি প্রোয়োগ করে মরা যাবেন ভাবতে ভাবতে একসময় ছাপানো বইগুলোতে আগুন ধরিয়ে তাতে লাফ দিলেন। ওয়াও! ভালোইতো জ্বলছেন। তাহলে জ্বলতেই থাকুন।
সুরেসুরে মোহিত সরণি, দূর বহুদূর...