রোদ্দুর রায়ের কবিতা সংগ্রহ

 বইটির নাম ‘পরম ক্যাওড়া কাব্যগ্রন্থ’। উৎসর্গে লেখা –

সকল কেওড়া-প্রেমী মানুষ

ও মানুষ-সদৃশ প্রাণীদের
উচ্চাসনে বসায়ে
কাকভোরে
ধূপ-ধুনা-শঙ্খধ্বনি সহকারে
করজোড়ে
বেঁচেমরে
বিভৎস ও বিকট বিসদৃশভাবে
উচাটনময় উৎসর্গ
করা হইল।


একটি কবিতার অংশবিশেষ –

এখনো আমার নিজের কবিতা-বই
আধো-ঘুমে দেয় হঠাৎ হঠাৎ দেখা –
এখনো কখনো মিছিলের মেঘ দেখে
মনে পড়ে কোনো পূজা বা ইদের কথা।
................................................
আমিও সহিনু শতেক যাতনা কত -
সহিতে হইল হাড়গোড়-ভাঙা ক্ষত
এখনো তোমার রাস্তা-বাড়ির নিচে
মোর কঙ্কাল মোড়া আছে কালো পিচে...

আবার, অন্য একটি কবিতায় লেখা –

অনেক শরীর ঘেঁটে আজকাল
যৌনতা তেমন ভালো লাগে না – কেন কে জানে
ঝর্ণার জল আকণ্ঠ গিলে সেই জলে স্নান করতে
ইচ্ছে করে একা, খুব ভোরে উঠে, পাহাড়ে গিয়ে -
সাথে থাকুক – আমার শান্তি শুধু।


 কিছু কবিতাংশ তুলে ধরি –

খাঁচায় হাঁটিয়াছিলো, খাঁচা সে কাটিয়াছিলো
মহাকাশ রহস্য হয়তো ঘাঁটিয়াছিলো

খাঁচা আর মহাকাশে আনমনা অবকাশে
দুটি চোখ পিটপিটে টিয়াটি দেখিয়াছিলো

ছেলেবেলা আমাদের মামাবাড়ি টিয়া ছিলো।

কিংবা,

কিছু প্রাণে রাগ ছিলো, গানে অনুরাগ ছিলো,
ভোররাত জানালায় ঊষাকালো কাক ছিলো

দেখিয়া বেদনা-কাকে বইভরা দশ র‍্যাকে
পোকাদের খোকাগুলি হাতে লয়ে রং তুলি

অবুঝ আকাট প্রাণে নাহি বুঝি কোনো মানে
ভোর-ভৈরবী তানে, সবুজ রচিয়াছিলো

সবুজের সুন্দরে, সময়ের ঘুণ ধরে, মিনমিনে মর্মরে
টিয়াটি বাঁচিয়াছিলো, কাব্য রচিয়াছিলো, পাকুড়ও পচিয়াছিলো,
ছেলেবেলা আমাদের মামাবাড়ি টিয়া ছিলো।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন