মনসাদংশনের রাত| ইউসুফ বান্না

 মনসাদংশনের রাত

ইউসুফ বান্না

মৃত্যুর চাঁদোয়াকে উসকে দিতেই গোধূলিসন্ধি শেষে রাত নামে চরাচরে।

এমন নিশাচারি যেন বধ হতে পারে আজ রাতে সমস্ত অরণ্যানী জুড়ে সর্বোচ্চ নৈশব্দে  

ঘোগেরা সব বোবা হয়ে যায়।

আজ রাতেই ওঁত পেতে রাখা ফতনা ডুবে গেলে শেষ হবে জপ ও যাপনের যজ্ঞ।

নিরুপায় যে জন শেষ ঠাই ভেবে আঁকড়ে ধরেছিল নুনের সৌষ্ঠব – নিমজ্জনের অধিবাসনায় তার জলধি সমাধি হল শ্বাসের বুদবুদে,                                                                                  এবিধ টঙ্কার বড় ঠুনকো – ঝঙ্কারে সঙ্গতহীন ত্রাহি জলসায় কোন পরিত্রান থাকেনা সঙ্গীতে

তবু সুর স্বননে কাঁপে – আগুনের পঙক্তিতে কেঁপে উঠে শিখা – মোম গলে যায় ছকে –                      দহন নিভে যায় নিঃশব্দ শীৎকারে

তোমাকে হরন করেই অহমে জাগে দেহের তৈজস                                           সমাকলনের শেষ ধাপে নীড়ের স্বপ্নে বাড়ি ফেরা হয় কি হয়না –

বিদায়ী সময়ের দয়িতা দৃশ্যতপরতায় অদৃষ্টের সাথে পাশা খেলে জিতে যায় পরবাস

নিজ গৃহে লগ্নে লগ্নে গমনের ঘণ্টা বাজে –

প্রস্থানব্যাপী এক শমন বসে থাকে আসা ও যাওয়ার কমন করিডোরে

নিগ্রহ নও – বিগ্রহে সমর্পিত তুমি দেবত্ব স্বীকার করে নাস্তিক হয়ে যাও,

বিষের ওঙ্কারে শঙ্খনাদ হলে ত্রিশঙ্কু বলে উঠে কবুল কবুল –

নীলের আসঞ্জনে ফেপে উঠে দেহ

অঘোর সাধুর সাথে আর কেউ ছিলনাতো মৃত্যুসঙ্গমে                                                শ্মশান বুঝি ঘর – বসতির পরিমিতি বেহুলা বাসর                                                     অনঙ্গ পুরানে যুগলবন্দী এই এক অমোঘ আগর

ইপ্সিত লক্ষের দিকে ফনা তুলে বসে থেকে                                                   মৃত্যুকেই তাক করে মেরে ফেলে  চাঁদসদাগর

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন