এপিটাফ-২ | ইউসুফ বান্না

 এপিটাফ-২                                                           

ইউসুফ বান্না

সে প্রস্তরখণ্ড তোমার শিরোনামের ছায়া অকপটে খোলা দেহ- শেষ বিদায় স্টোরে দামাদামি শেষে অগ্যস্তের অন্তিমে শয্যা- এ মরে যাওয়া শিরোধার্য
হৃদয় খুঁড়ে বেদনাজাগানিয়া তোমার চলিষ্ণু গল্প যদি এখানেই শেষ হয়ে যায় আর পাণ্ডুলিপির হাত থেকে উল্টে পড়ে লেখার দোয়াত তবে
সাদা পৃষ্ঠার
সারি থেকে বিষ্কলঙ্ক মুখ ঢেকে পরতেপরতে আড়াল হয়ে যাবে হনন বাসনা।অথচ উদ্যত ছুরিকায় কীর্ণ অনুলিপি থেকে ঠিকই রক্ত পড়ে আর ক্ষতগুলো কবিতায় স্থায়ী হয়ে যায়।
থোড় বড়ি খাড়া- মৃত কবিদের মাংস কৃমি খুঁটি সে উঠে আসে- খাড়া বড়ি থোড় – বিষণ্ণ শিরদাঁড়া।মারি ও মড়কের পিঁজরাপোল থেকে তার চোখ ও চশমার কাঁচে জমেঅমাবস্যার ক্ষোভ –
প্রশ্নময় অক্ষমতা – জন্মদাগের মতো আলজিভে অনুক্ত মৌনতা।কারও বলায় থোরাই যায় আসে তবু তার ক্ষুৎকাতরতা মিথ্যে নয় আমিতো জানিলেখাগুলো সব এপিটাফ – শব্দে শব্দে জীবন ক্ষয়ে যাওয়া।জড়ত্বে প্রকার পেয়ে গেলে তার মসিকান্ডের এপিফেনি হয় আর প্যারাডাইম শিফট হতে থাকে।সে অন্ধ শকুন একবসে থাকে বোধের উপর।
মনরেমানসুর্বরা মাটি তোর শস্যের জঠরে কাঁদে আর শেকড়ের জাল বুনে ফাঁদ পেতে থাকে জনম জননে। 
আমিতার উৎস খুজে ফের প্রারম্ভে ফিরে এলে মনে হয় বৃথা ক্ষয়বৃথাই অক্ষয় বাসনা। যে পদ ভজি – যে শব্দ
বুনে শস্য রচনা করি – আর্ষপ্রয়োগেই তার বিজের উদ্গম হয়অঙ্কুরে জীবন  নিরত প্রান্ তরঙ্গে একটি প্রজাপতি
 ডানা ঝাপ্টালেসে বিধির কাঁপন থেকে ঝড় হয় লণ্ডভণ্ড নির্বাসনে। সে এক উম্মাদীানি মনোবৈশাখী বুঝি 
নিজেকেই অতিক্রম করে যায় বারে বারে আর অন্তর্যামী হতে হতে তাবৎ আমিত্বছিটকে গেলে দিগবিদিক –
তোমার বয়সের গাছ পাথরে শৈত্য চলে আসে। মধ্যবর্তী বিষণ্ণতা কুয়াশা চাদরের আড়ালে তোমার নিঃশ্বাস 
চুরি করে বাঁচে
মরণরে তুঁহু মম শ্যাম সমান – কথাটায় বৈষ্ণবী সমকাম আছে। ভাট ফুলের 
ঝাঁঝাল এরোমার সাথে ভেজা শিশিরের শব্দ জুড়ে আছে 
তার এক অতীত জীবনী। যে চরিত্রইছকি রাঁধা হব কেন 
রাই জানতোআমি তোমার নির্বংশের শিশ্নকাতর ভাই 
তোমাকে কামনা করি আবার দেবী ভজনায় তুমিই কখনো এক স্বৈরিণী 
নারী ভাস্কর্য হয়েউঠো ধর্ম  জিরাফ মেলাবার ট্রমা নিয়ে আমি ভাঙা দরজায় খিল তুলে নিজের 
অবিচুয়ারি লিখতে বসি ঘোরের শমন নাকি – ভাঙা ঘরে 
চাঁদের আলো ধরতে গেলেইফাঁকি– এমনও জোস্নায় সই আমি
যেন ছায়া হয়ে রই আর চাঁদ নিভে জেলে পর অদ্ভুত 
আঁধারে এক দিগন্তের আড়ালে হেটে হেটে হারিয়ে যেতে দেখি আমার থার্ড পারসনসিঙ্গুলারিটি


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন