ভাগ্যবান নামের একজন স্লিপ-ওয়াকার
আমারে বলেছিল এইগুলো লিখে রাখতে
১.
পাতা থেকে গাছ ঝরছে―এই দৃশ্য দেখার চোখ
অ্যাসাইলামে জেগে থাকে;
খিদা লাগলে চুলা আর
পিপাসা লাগলে আকাশের দিকে পানি ফেলে দিয়ে গেলাস খায়।
প্যাকেট থেকে আঙুল বের করে ধরায়, টানে―ছাই জমে উঠলে ঝেড়ে ফ্যালে; আবার টানে।
২.
চাঁদটা কারো বোঁটায় ঝুলে আছে―এরকম চোখে হলো।
পাকলে হাওয়া ফেলে দেবে।
পাকতে কেমন সময় লাগবে―কচ্ছপ জানতে পারে;
‘বিরল’ করার আগে তার ভাষা শেখা গেলে
কবিতা লেখার কাগজ কমবে না।
৩.
‘Everywhere I go, I find a poet has been there before me.’
― Sigmund Freud
আমারে ছাড়া জুতা কোথাও যেত না।
একবার চলে গিয়েছিল―‘ফেরে না, ফেরে না’য় বেখোঁজসংবাদ দিয়ে-নিয়ে আলোর গর্তে তার অবস্থান জেনে
অজস্র উপায়ের একটায় অন্ধকারে ওঠাতে পেরে দেখলাম, শিশু হয়ে গেছে―দুধ খেতে চাইছে আর কাঁদতে-
কাঁদতে বলছে, ‘স্বাধীনতা আমারে সবচেয়ে কাছের “নো ম্যানস ল্যান্ড” দেখাইব কইয়া হাতে পইরা নিয়া
আইছিলো’।
৪.
চোখের পানি গড়িয়ে নর্দমায় পড়ার দাগ ধরে উজিয়ে কী করো অমেরুদণ্ডীরা?
কদমফুলের টানে জাল নিয়ে বেরিয়ে বাবা মাছ হয়ে ফেরত এলে,
বঁটি ধার-দেয়া অসমাপ্ত রেখে
রেডিও কোলে রান্নাঘরের দিকে গেল মা―পিছন-পিছন ছোটবোন―
ফিরে এসে জানালো, ‘রেডিও সেদ্ধ হচ্ছে;
উতলে লাফিয়ে নাচছে ব্যাঙ―ঘ্যাঙর ঘ্যাঙর ঘ্যাঙ।’
৫.
বেলুন আমারে ফুলাও, বান্ধো, ফাটাও―এই নাও সুঁই।
আমি তোমাদের জন্মদিনের কেকফেক-কাটা দেইখা ক্লান্ত।
আমি তোমাদের স্পোর্টসজোনের লাথিগুঁতা খাইতে-খাইতে ক্লান্ত।
আমি তোমাদের ফুঁ-য়ে ফুঁ-য়ে বাঁশির আগায় ফুইলা-পোতাইয়া-ফুইলা-পোতাইয়া ক্লান্ত।
আমি তোমাদের বাসররাইতের কাহিনী শুইনা-দেইখা ক্লান্ত।
আমি তোমাদের এর, ওর, তার ফিতা-কাটা দেইখা ক্লান্ত।...
ফুলাও, বান্ধো, ফাটাও―এই নাও ফাল―ফাটাইতে মায়া জাগলে
উড়ায় দাও; ঘাসের খাড়া মাইয়ের উপর গিয়া পড়ি―
ওরা আমারে অনেকদিন ফাটায় না।