পুলিন – ব্রত চক্রবর্তী
আমি ও নিভা কথা বলতে শুরু করলেই
পুলিন এসে দাঁড়ায় আমাদের মাঝখানে।
পুলিন একসময় নিভার বন্ধু ছিল। আমারও।
ঠিক এখনও আছে কিনা বুঝে উঠতে পারি না।
যে দিনগুলাে আমি আর নিভা একসঙ্গে কাটাবাে ভেবেছিলুম,
মুখর মুহূর্তগুলাের দোলায় দুজনে একত্রে দোল খাবাে
ভেবেছিলুম, তার প্রত্যেকটির শেষে
পুলিন একটা করে জিজ্ঞাসা চিহ্ন বসিয়ে দিয়ে যাচ্ছে।
কী চায় পুলিন আমার কাছে? নিভার কাছে?
‘চা হবে নাকি’-জিজ্ঞেস করতেই সে প্রতিদিন মাথা নাড়ে
তারপর নিভার স্থলাভিষিক্ত হয়ে কথা শুরু করে দেয়
আমার সঙ্গে। চা না নিভা কাকে সে প্রতিদিন
একটু একটু করে পান করে যাচ্ছে, আমি ঠিক
বুঝে উঠতে পারি না।
নাকি পুলিন আছে বলেই ঠিক আজও প্রতিদিন
আমি আর নিভা স্বতঃস্ফূর্ত পরস্পরের কাছে এসে দাঁড়াচ্ছি ।
পুরনাে হয়েও যেন কিছুতেই পুরনাে হচ্ছে না নিভা।
নাকি পুলিন স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে সময়কে বাজাচ্ছে বলেই
আমরা দুজনেই এসে এসে দাঁড়াচ্ছি গতানুগতিকতার বাইরে।
ঠিক এই যে বুঝেও বুঝে উঠতে পারছি না
পুলিনের ভূমিকা, বােধহয়, এরকম কোনাে রহস্যের জন্যই
আজও আমি, আজও নিভা, আজও পুলিনের রহস্যময় যাতায়াত।