"আসলে আমি এই নাগরিক যন্ত্রজীবনের অর্থহীন প্রতিযোগিতা এবং অর্থহীন কোলাহলের কেউ নই; একদিন গ্রাম থেকে এই যক্ষপুরীর গহ্বরে এসে ঢুকে পড়েছিলাম ---তারপর আর বেরোতেই পারলাম না --- প্রতিমুহূর্তেই ভেতরে ভেতরে তাই চাপ চাপ একটা অন্ধকার যন্ত্রণা অনুভব করি ---- কোথায় গেলো আমার সেই ইছামতী নদী ----- বাদুড়িয়া শ্মশান কিংবা ভাঙা ভাঙা জীর্ণ ধ্বংসস্তূপ ---- যার ভেতর একটা শব্দহীন নীরবতা ছিল আর নীরবতার ভেতর কলকা ও কল্কে আঁকতে আঁকতে আমি শুধু কথা বলেছিলাম আমার সঙ্গেই কিংবা ফুটো দেয়ালের ঝুলে থাকা টিকটিকি মাকড়সার সঙ্গে ----- কোথায় গেলো তারা সব কোথায় গেল? এই শহরের কোথাও তো এই নীরব আত্মচারিতার সুযোগ ও সম্মোহন নেই; এখানে তাই আছি ---- শুধু কোনোরকমে গ্রাসাচ্ছাদনে আছি ---- যখনই একটু চিরিক মারে মাথা ---- নিউরনের ধাক্কা তৈরি হয় ---- তৎক্ষণাৎ পালাই, ছুটে যাই, আস্তে গিয়ে বসে পড়ি গাছনদীর জীবনে...”