মজিদ মাহমুদের ৩০টি ম্যাক্সিম



 তিরিশ ম্যাক্সিম


৯১.

জীবন এতই একঘেয়েমি যে তা কেউ নতুন করে শুরু করতে চায় না।


৯২.

বড়লোকদের ছবি কেনার গল্প না থাকলে কোনো শিল্পী ছবি আঁকত না।


৯৩.

মৃত্যুর জন্য আমি কোনো বয়স ঠিক করিনি, কারণ মৃতের জগতেই আমরা বেঁচে থাকি।


৯৪.

যে সব নারী নারীদের বহুগামিতা স্বীকার করে তারা বহুগামি, যে সব পুরুষ স্বীকার করে না তারাও বহুগামি।


৯৫.

আধুনিক সমাজে বিবাহ-বহির্ভূত বহু সম্পর্ক যত না অপরাধ, বহু বিবাহ তারচেয়ে বেশি অপরাধ।


৯৬.

ধর্মের আচারগুলো যদিও খুব নির্বোধ মনে হয়, তবু এসব না থাকলে জীবন আরো এক ঘেয়েমি হতো।


৯৭.

সবাই পিতা হলেও অন্যের পুত্রের কান্না কেউ শুনতে পায় না।


৯৮.

ঈশ্বর সর্বদা শয়তানের ভয় দেখান, কিন্তু শয়তান এসব নিয়ে ভাবে কিনা তা মানুষ জানতে পারেনি।


৯৯.

পৃথিবীর অধিকাংশ সম্পদের মালিক বৃদ্ধরা অথচ অর্থের অভাবে তারাই সবচেয়ে বেশি কষ্ট ভোগ করে।


১০০.

পুরুষদের কাছে মেয়েদের সেরা গুণ হলো- তার সৌন্দর্য ও অন্য মেয়েদের মেনে নেয়ার ক্ষমতা।


১০১.

মাতৃভাষাকে ভালোবাসা আর মাতৃভূমিকে ভালোবাসা এক জিনিস নয়, মানুষ সুযোগ পেলে অন্যের ভূমিকেও ভালোবাসতে পারে; কিন্তু মাতৃভাষার বিকল্প সে কোথাও খুঁজে পায় না। 


১০২.

একজন কবি সারাজীবন নিজে যে সব কবিতা লেখে তার অনেকখানি বিস্মৃত হয়ে যায়, নিজেও সেসব দ্বিতীয়বার পড়ে না; অথচ ভাবে অন্য মানুষদের উচিত যুগ যুগ ধরে তার কবিতা পড়া। কবিতা সাময়িক আবেগ ছাড়া কিছু নয়, নাহলে কবিরা তার নিজের কবিতা মুখস্ত রাখতে পারত।


১০৩.

মানুষ জীবনে যত অপরাধ করে, তার অধিকাংশই অপরের নিন্দা।


১০৪.

প্রেম ভেঙ্গে গেলে যে ব্যথা পায়, সে এখনো নতুন শিকার পায়নি।


১০৫.

যৌনতা হলো ঈশ্বরের কৌতুক, যার যেটা দরকার নেই তাকে সেটাই দিয়েছেন। 


১০৬.

অস্ত্র নিয়ে যুদ্ধের সুযোগ থাকলে কেউ ক্রিকেট খেলত না। আমেরিকা এসব নিয়ে ভাবে না।


১০৭.

জন্মের আগে মানুষ নিশ্চয় এরচেয়ে ভালো কোথাও ছিল, সম্ভবত মৃত্যুর পরেও এরচেয়ে ভালো কোথাও যাবে, নাহলে এসব কথা তার কেন মনে এলো। 


১০৮.

ডাক্তাররা অহেতুক তাদের খরিদ্দারদের রোগী বলে।


১০৯.

যারা ডাক্তারের কাছে যায়- তারা মূলত সেবা কেনার জন্য যায়, অথচ ডাক্তারের সঙ্গে তারা অহেতুক অনুগত আচরণ করে। রোগীরা চাইলে অন্য ওষুধও খেতে পারেন, কিন্তু রোগী ছাড়া ডাক্তারদের অন্য কোনো ব্যবসায় নাই।


১১০.

মানুষ হাসপাতাল নির্বাচন করে ডাক্তারের কারণে নয় নার্সদের কারণে।


১১১.

ঈশ্বরের নামে যুদ্ধ করলেও ঈশ্বর ক্ষমতায় বসেন না।


১১২.

স্ত্রী বুড়িয়ে গেলে তখন আর স্ত্রী থাকেন না, কারণ সে তো একজন তরুণীকে বিয়ে করেছিল।


১১৩.

কেউ জানে না সরকার তার আমলনামায় কি লিখে রেখেছে।


১১৪.

মানুষ পাখি পোষার কারণ বুঝতে পারে না, হয়তো সে নিজে বন্দি নয় ভেবে তৃপ্তি পায়।


১১৫.

আগের দিনের দাস প্রথার কথা ভেবে মানুষ কষ্ট পেলেও নিজের ঘরের দাস মুক্ত করে কদাচিৎ। 


১১৬.

মানুষ বলে, ঈশ্বর সবখানে আছেন, অথচ তারা কিছু নির্দিষ্ট স্থানেই কেবল তাঁর উপাসনা করে।


১১৭.

মানুষ এত চালাক না হলেও পারত।


১১৮.

ধর্মের নামে মানুষ নারীকে জ্বলন্ত অগ্নিতে হত্যা করা সমর্থন করলেও গরু হত্যা সমর্থন করে না।


১১৯.

আমরা জীবনীগ্রন্থ লিখি আমাদের ছোটলোকিগুলি বাদ দেয়ার জন্য।


১২০.

যারা কিছু বই পড়েছে তারা বাকি বই পড়ার ভান করে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন