স্বাধীনতা পদক/একুশে পদক সচিবরা দেয় না। সচিবরা শুধু নাম প্রস্তাব করতে পারে। আবার এমনও না যে, শুধু সচিবরাই নাম প্রস্তাব করতে পারে, অন্যরাও পারে। চূড়ান্ত মনোনয়ন দেয় যে কমিটি সেখানে মন্ত্রীরা থাকে। কখনোবা অতীতে পদকপ্রাপ্তরা থাকে। সেখানে সচিবদের ভূমিকা একেবারেই গৌণ।
আর একটা বিষয়, রাষ্ট্রীয় পদক পাওয়ার জন্য কারো নিজের আবেদন করা লাগে না। এমনকি মৌন সম্মতিও দেয়া লাগে না। নিজের যে আবেদন করা লাগে না, এটা সামান্য কমনসেন্স থাকলেও যে কারো বোঝার কথা। নিজের আবেদন করার দরকার হলে মৃত্যুর পর এত লোক পদক পায় কীভাবে?
একেকটা ইস্যুতে দেশের ফোর ফেল বুদ্ধিজীবীদের আন্দাজে/মান্দাজে দেয়া মতামত দেখে তব্দা খাওয়া লাগে।
তা, যে দেশের বুদ্ধিজীবীরা ফোর ফেল হয়, সে দেশের সচিবদের তো এমনিতেই টু ফেল হওয়ার কথা। বুদ্ধিজীবীরা এক প্যাকেট সিগারেটের বিনিময় বিক্রি হলে সচিবদের আকিজ বিড়ির বিনিময়ে বিক্রি হওয়ার কথা। আমার মনে হয়, বহু বছর ধরে এমনই হচ্ছে। নাকি হচ্ছে না?