তোমারে যে জানা হোলো না!
সজল আহমেদ
।১।।
এই যে রাত দীর্ঘ একটা পার করতেছি
নির্ঘুম, স্বপ্ন আর ধরা পরেনা চোখে; দীর্ঘ সময়েও
তুমি এই আসো সামনে আবার হারিয়ে যাও ইল্যুশনের অতল গহ্বরে!
ছুই ছুই পানিতে তোমারে মাছরূপে দেখি আবার লাফ দিয়ে কই যে হারিয়ে যাও ঘাসফড়িঙ!
পা গজিয়ে যায়!
।।২।।
আমি গুহার বাদুড় হয়ে বেঁচে আছি
রাত কে আমার সহ্য করতে হয় শরীরে গজানো পুঁজযুক্ত ফোঁড়ার মতো।
মস্তিষ্কে জমিত নিকোটিন
ও জ্বলন্ত সিগারেটে ধোয়ারে…. আসো তোমারে
তাক করে কামানের গোলার মতো রাতের কুয়াশারে ঘোলা করি।
।।৩।।
অনুগ্রহ করে তোমার যাপিত দীর্ঘকালের যবনিকা খোলো,
সামনে মহাকাল, পেনসিলে আঁকা স্কেচ। আর ছায়ার ওপাশে তোমার মুখ
আমি দেখতে চাই!
দেখতে চাই আমি!
আমার দীর্ঘশ্বাসের কারণ হয়োনা প্লিজ!
আমার একেকটা দীর্ঘশ্বাসের ওজন কত জানো তো?
।।৪।।
আশ্লেষ ঝরাপাতা শিশিরেরে জানে দীর্ঘ সময় পরেও;
দীর্ঘ সময় দূরে থেকেও তাঁরা কাছাকাছি হয়।
আফসোস আমরা দুজন দীর্ঘকাল একই ডালে বাসা বেঁধে ছিলাম
একটা মুহূর্তকাল ও দূরত্বে ছিলাম না যেমন একটা মানুষের কাছাকাছি হার্ট থাকে।
অথচ কস্মিনকালে ও একে অপরের মুখ দর্শন করলাম না, আত্মারে জানলাম না!