চার্লস বুকোস্কির কবিতা সংগ্রহ



হেনরি চার্লস বুকোস্কি (জন্ম: হেনরিচ কার্ল চার্লস বুকোস্কি , আগস্ট 16, 1920 - মার্চ 9, 1994) জার্মানিতে জন্মগ্রহণকারী একজন আমেরিকান কবি, ঔপন্যাসিক, এবং ছোট গল্পকার ছিলেন। তাঁর লেখা লস এঞ্জেলেসের বাড়িটির সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক পরিবেশের দ্বারা প্রভাবিত। 



অনুবাদক  ইমরুল হাসান

কেউ একজন

গড আমার খুবই বাজে রকমের খারাপ লাগতেছিলো,
এই মহিলা ওইখানে বইসা ছিলো আর শে
কইলো
আপনি কি সত্যি সত্যি চালর্স
বুকোউস্কি?
আর আমি কইলাম
ভুইলা যান
আমার ভাল্লাগতেছে না
আমার বাজে বাজে লাগতেছে
আর এখন আমি যা চাই তা হইলো
তোমারে চুদতে

আর শে হাসলো
শে ভাবছিলো আমি ট্রাই করতেছি
চালাক হওয়ার
আর ওহ আমি ওর বেহেশতের লম্বা স্লিম ঠ্যাংগুলির দিকে তাকাইলাম
আমি ওর পাকস্থলি আর ওর কাঁপতে থাকা নাড়িগুলি দেখলাম
আমি দেখলাম ক্রাইস্টরে ওইখানে
একটা ফোক-রক মিউজিকে লাফাইতেছে

উপাস থাকার সবগুলি লাইন আমার ভিতরে
জাইগা উঠলো
আর আমি হাঁইটা গেলাম
আর তারে সোফার উপ্রে জাপটাইয়া ধরলাম
ওর মুখের পাশ দিয়া ধইরা জামাটা ছিঁইড়া ফেললাম

আর আমি কোনকিছু কেয়ার করি নাই
রেইপ নাকি দুনিয়ার শেষ এইটা
আরেকবার
থাকতে চাইছি ওইখানে
যে কোন খানে
রিয়েল ভাবে


ওর প্যাণ্টি পইড়া ছিলো
ফ্লোরে
আর আমার ধোন ভিতরে যাইতেছিলো
আমার ধোন আল্লা আমার ধোন যাইতেছিলো ভিতরে

আমি চালর্স
কেউ একজন।


জেনের লাইগা

২২৫টা দিন ঘাসের নিচে
আর তুমি জানো আমার চাইতে বেশি।

তারা শুষে নিছে তোমার রক্ত অনেক আগে
তুমি শুকনা একটা কাঠি একটা ঝুড়িতে।

এইটা কি এইভাবে কাজ করে?

এই রুমটাতে
প্রেমের সময়গুলি
এখনো তৈরি করে ছায়াগুলি।

যখন তুমি চইলা গেলা
তুমি নিয়া গেলা প্রায়
সবকিছুই।

রাতগুলির ভিতর আমি হাঁটু গাইড়া বসলাম
বাঘগুলির সামনে
আমারে যা আর হইতে দিবে না আমি।

যা তুমি ছিলা
তা আর হইবো না আবার।

বাঘগুলি আমারে পায়া গেছে
আর আমি এইটা কেয়ার করি না।


 গোসল করা

এর পরে আমরা গোসল করতে পছন্দ করি
(ও যেইরকম গরম পানি পছন্দ করে, আমি তার চাইতে একটু বেশি গরম চাই)
আর তাঁর মুখ সবসময় নরোম আর শান্তির
আর শে প্রথমে আমারে পানি দেয়
আমার বিচিগুলিতে সাবান মাখায়
উপ্রে তুলে
কচলায়,
তারপরে ধোনটারে ধুইয়া দেয়:
“আরে, এইটা তো এখনো খাড়ায়া আছে!”
তারপর তাঁর সবগুলি চুল ওইখানে ঝুঁইকা পড়ে, –
পেটে, পিছনে, ঘাড়ে, ঠ্যাংগুলিতে
আমি গোঙাই গোঙাই গোঙাই,
আর তারপর আমি তারে ধুইয়া দেই…
প্রথমে তাঁর যোনি, আমি
তাঁর পিছনে দাঁড়াই, আমার ধোনটা ওর পাছার দাবনা দুইটার মাঝখানে
আস্তে আস্তে ওর বালগুলাতে আমি সাবান লাগাই,
ধুইয়া দেই খুব ধীরে ধীরে,
যতোটা না দরকার তার চাইতে বেশি টাইম নেই আমি,
তারপরে ওর ঠ্যাংয়ে ধরি, পাছাটাতে
পিছনটাতে, ঘাড়ে, ঘুরাই তারে, চুমা খাই
বুকে সাবান লাগাই, চিপড়াই আর পেটে, ঘাড়ে
ঠ্যাংগুলির সামনেটাতে, হাঁটুতে, পায়ের পাতায়,
আর তারপর আবার যোনিতে, আরেকবার, ভাগ্য ট্রাই করি…
আরেকটা চুমা খাই আমরা, আর শে উইঠা যায় প্রথমে
টাওয়াল জড়ায়, অনেকসময় গান গায় যখন আমি
পানি’র গরম’টা আরেকটু বাড়ায়া দিয়া দাঁড়ায়া থাকি
প্রেমে’র অলৌকিক ভালো সময়টারে ফিল করি
তারপরে আমি বাইর হইয়া আসি…
বেশিরভাগ সময়ই এইটা বিকালবেলা আর শান্ত,
আর ড্রেস পরতে পরতে কথা কই আমরা
কি কি জিনিস হইতে পারতো,
কিন্তু এক লগে থাকাটাই বেশিরভাগ জিনিসের সমাধান কইরা দেয়,
ইন ফ্যাক্ট, সবকিছুরই সমাধান দেয়
আর যতক্ষণ পর্যন্ত জিনিসগুলির সমাধান থাকে
মাইয়া আর পোলাদের হিস্ট্রিতে, এইটা অন্যরকম প্রত্যেকের লাইগা
প্রত্যেকের লাইগা বেটার বা আরেকটু খারাপ কিছু –
আমার লাইগা, এইটা এইরকমের বিশাল একটা ভালো লাগা যে আমি মনে করতে পারি
আর্মিদের মার্চপাস্ট
আর ঘোড়াগুলিরে যারা হাঁটতেছে বাইরের রাস্তায়
আমি পার হইয়া যাইতেছি
পার হইয়া যাইতেছি পেইন, পরাজয় আর অসুখী-থাকার মেমোরিগুলি:
লিন্ডা, তুমি আমারে এই ফিলিংস দিছো,
যখন তুমি এইটা নিয়া যাবা
আস্তে আস্তে নিও আর নিও সহজ কইরা
এমনভাবে বানায়া নিও যেন আমি বাঁইচা থাকতে থাকতে মরতেছি না, মারা যাইতেছি
ঘুমের ভিতর, আমেন।








অনুবাদক কায়েস সৈয়দ

ঠিক সেরকম

পর্দ্দার সবচেয়ে সুন্দরী স্বর্ণকেশী
অবিশ্বাস্য স্তন পা কোমর নিতম্ব
সবকিছু
গাড়ীর ঐ সংঘর্ষে
এটা সোজা তার মাথা নিয়ে গেছে শরীর থেকে
ঠিক সেরকম
যেন গড়িয়ে যাচ্ছিল তার মাথা রাস্তার পাশ দিয়ে
লিপস্টিক দেয়া
ব্রু প্লাগ করা
ফেস পাউডার দেয়া
রুমাল দিয়ে বাঁধা চুলের চারপাশ
ঠিক যেন সৈকতে খেলার গোল বল্
আর গাড়ীর মধ্যে দেহটি বসা ছিল
ঐ স্তন পা কোমর নিতম্ব সহ
সবকিছু সহ
তারা তাকে রাখল আবার কফিনে
সেলাই করে দিল মাথার পেছনে
ওহ যিশুখ্রিস্ট
অবজ্ঞার সাথে লোকটি বলল
কি অপচয়!
তারপর সে বাইরে চলে গেল আর খেল
একটি বার্গার
ফ্রেন্স ফ্রাই
এবঙ
দুই কাপ কফি
কালো

 

ছিঁড়ে ফেল

যখন একটি কবিতা কাজ করে না, ভুলে যাও, আঘাত কর না, আদর কর না
বিরক্ত কর না, জোড়া তালি দিয়ে একে তৈরি কর না
অথবা জন্মগ্রহণ কর আবার
খ্রিষ্টান

যখন একটি কবিতা কাজ করে না, টেনে বের করে ফেল যন্ত্র থেকে কাগজ
ছিঁড়ে ফেল, ছুঁড়ে ফেল বাস্কেটে
ভাল লাগবে

শোন, তুমি লিখ কারণ সেটা শেষ মেশিনগান
শেষ পাহাড়ের ওপরে

তুমি লিখ কারণ তুমি তারের ওপর বসে থাকা একটি পাখী
হঠাৎ তোমার ডানাগুলো ঝাপটায়
তোমার ময়লা পোঁদ ওপরে উঠে আসে বাতাসে

তুমি লিখ কারণ পাগলা গারদটি বসে সেখানে ঢেকুর তুলছে আর পাদছে
মন এবঙ শরীরে কড়া, তুমি লিখ কারণ তুমি ভয় পাও
চূড়ান্ত পাগলামি…

যখন একটি কবিতা কাজ করে না, এটা কাজ করে না, ভুলে যাও
গতিই সারর্ম্ম

আমি এক মহিলাকে চিনি যিনি অনেক অনেক কবিতা লিখেন
যেন তাকে অবশ্যই ঘুম থেকে উঠতে হবে সকাল ৭ টায়
আর তাকে টাইপ করতে হবে মধ্য রাত অবধি
তিনি নিজের সাথে নিজে প্রতিযোগিতায় আছেন কবিতা লেখার

যখন একটি কবিতা কাজ করে না, এটাই শেষ না, এটা পচা কলা না
কল দিয়ে ব্ল্যাঞ্চ হিগিন্সকে চাওয়া রং নাম্বারও না

যখন একটি কবিতা কাজ করে না এর কারণ তুমি এটি পাওনি ঐ সময়ে
কিঙবা পেয়েছ অন্য কোন সময়ে

কাগজটি নেও, ছিঁড়ে ফেল, বাস্কেটে ছুঁড়
তারপর অপেক্ষা কর
তবু বস না যন্ত্রের সামনে, অন্য কিছু কর
টেলিভিশন দেখ, বউকে হ্যালো বল, বিড়াল পোষ

সবকিছু কাগজের তৈরী নয়

 

শান্তি আর ভালবাসা

ফিরে আস ষাটের দশকে
একটি কলাম লিখেছিলাম আমি
একটি হিপি পত্রিকার জন্য

আমি হিপি ছিলাম না
(আমার চল্লিশের দশকে আমি ছিলাম)
তবে আমি ভেবেছিলাম
সপ্তাহে একবার
আমার ভুল দৃষ্টিভঙ্গি
প্রকাশের অনুমতি দেয়ার জন্য
কাগজটি ছিল
খুব ভাল

সৃজনশীল
এই প্রতিটি কাজের জন্য
আমাকে দেয়া হত
১০ ডলার (মাঝে মাঝে)

সেসময়
এই কাগজকে
বিট করার জন্য
আরেকটি হিপি পত্রিকা ছিল
প্রতি কলামের জন্য
তারা আমাকে ২০ ডলার
দিতে চাইল

তাই আমি
একজোড়া ছয় প্যাকের শেষে
৫ বুক পার্থক্যে
অন্য কাগজে ঝুলতে থাকি
অন্য সম্পাদকের সাথে

হিপি পত্রিকা সম্পর্কে
আমার ভাবনা ছিল সুন্দর
আমি যখন হাঁটতাম
সবাই জোরে আমার নাম ধরে ডাকত :

“এই চিনাস্কি”

“চিনাস্কি”

আমার সেটা ভাল লাগত
মনে হত যেন স্টার হয়ে গেছি

আর তারা চিৎকার করে এটাও বলত
“ শান্তি আর ভালবাসা”

“ শান্তি আর ভালবাসা”

অসংখ্য
অল্প বয়ষ্ক
ছোট বাচ্চারা
আমার দিকে চিৎকার করে বলত
আমার সেটা ভাল লাগত
যদিও
আমি
কখনোই
সামান্য হাসির মধ্য দিয়ে
ফিরিয়ে দেইনি অভিবাদন
এবঙ প্রায় অদৃশ্য
বাম হাতের ঢেউখেলানো

ভেতরে যাওয়া সম্পাদককে দেখতে
এবঙ তাকে বলা— শুনুন, আপনি এখানে
সুন্দর একটা জায়গা পেয়েছেন, আমরা কাজ
পেয়েছি কিছু করতে…

আমরা এখনো
পারিনি বলে মনে হচ্ছে
কিন্তু আমি এখানেই
কাজ করার সিদ্ধান্ত নিলাম

এক সপ্তাহ পরে
যখন সেখানে গেলাম তখন দেখলাম
পুরো জায়গাটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে
কেউ নেই
কিছু নেই
সেখানে…

ওয়েল
আমি ভেবেছিলাম
হয়ত তারা স্থান পরিবর্ত্তন করেছে
হয়ত তারা সস্তায় কোন জায়গা খুঁজে পেয়েছে

তাই
সেখান থেকে সরে এলাম
আর একাকী হাঁটলাম
আর ক্যাফেতে তাকালাম ঠিক
যেমনটা আমি করতাম
আর দূরদৃষ্টিগুলোর মধ্যে
সবচেয়ে বিস্ময়কর ঘটনা হল :

সম্পাদক
টেবিলেই বসা ছিল
তাই
আমি ভেতরে গেলাম
সে আমাকে ভেতরে আসতে দেখল
আর বলল
“বসুন, চিনাস্কি”

আমি বসলাম
আর জিজ্ঞেস করলাম :

“কী ব্যাপার?”

“এটা দুঃখজনক, আমরা যখন
সার্কুলার আর বিজ্ঞাপন নিচ্ছিলাম
ঠিক তখনই
আমাদেরকে গুটিয়ে নিতে হল”

“তাই? মানে?

“ওয়েল, ওদেন ৪/৫ জনের
থাকার কোন জায়গা ছিল না
আমি তাই তাদেরকে বললাম
রাতে তারা অফিসে থাকতে পারে
যতক্ষণ তারা অফিসকে
শান্ত ও অন্ধকার রাখে…
তাই তারা নিয়ে আসলো তাদের পানি
তাদের বিছানা, তাদের তামাকনল, এসিড
তাদের গিটার, তাদের তৃণ
তাদের বব ডিলান এলবাম
মনে হয়েছিল সব ঠিকঠাক আছে…

তাই? তারপর?

“রাতে তারা
টেলিফোন ব্যবহার করত
চীন, ভারত, ফ্রান্সের মত
অনেক দূরবর্ত্তী জায়গায়
কথা বলত
তবে বেশীরভাগই ছিল
লোকাল কল
কিন্তু যেখানেই তারা কল দিত
সব সময় দীর্ঘ সময় কথা বলত
কোথাও ৪৫ মিনিট ধরে
কোথাওবা সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে…

“ও যিশু…

“হুম, আমরা বিল দিতে পারি নাই
অতএব আমাদের পরে
আর কোন ফোন না
আর কোন সংগ্রহ সংস্থা না
আমাদেরকে গুটাতে হয়েছে…

“সরি, ম্যান…

“ঠিক আছে…

“আমি কয়েকটা সবুজ নোট পেয়েছি”
আমি তাকে বললাম
“চলুন একটি বার খুঁজে বের করি…

বেশ
আমরা খুঁজে পেলাম একটি বার
সে অর্ডার করল
একটি স্কচ আর সোডা
আমি অর্ডার করলাম
একটি হুইস্কি
টক
আর আমরা সেখানে বসে ছিলাম
মুখোমুখি
বলার অপেক্ষা রাখে না কিছুই

কিছুক্ষণ পর
সেখানে বসেই
একইভাবে আবার পান করা

সে আমাকে বলল
তার স্ত্রী
তাকে ছেড়ে চলে গেছে
এক রিয়েল স্টেট এজেন্ট এর কাছে
যে কিনা কাজ করত
আরিজোনা ও নিউ মেক্সিকোর বাইরে
ভাবনাগুলো চলে যাচ্ছিল সেখানে
বিশেষ করে
ভাল ভাবনাগুলো
বেশীর ভাগ
সান্তা
ফ্রান্সিসকোর
চারপাশে

 

#১

ওহ, যার জন্য বাজে মৃত্যুঘণ্টা ক্ষমা কর আমায়
ওহ, যে মানুষ হেঁটেছে জলের ওপর দিয়ে ক্ষমা কর আমায়
ওহ, অচ্ছুত বৃদ্ধ যে বাস করে একটি জুতোয় ক্ষমা কর আমায়
ওহ, গর্জ্জন করা মধ্যরাতের পাহাড় ক্ষমা কর আমায়
ওহ, রাত দিন আর মৃত্যুর বোবাকান্না ক্ষমা কর আমায়
ওহ, সর্ব্বশেষ সুন্দর প্যানথারের মৃত্যু ক্ষমা কর আমায়
ওহ, সমস্ত ডুবে যাওয়া জাহাজ আর পরাজিত সেনাবাহিনী ক্ষমা কর আমায়
এটি আমার প্রথম ফ্যাক্স কাব্য
দেরী হয়ে গেল খুব :
ক্ষতি হয়ে গেল আমার

 

এখন

প্রচলিত
লেভেল ছিঁড়ে ফেল
নামানো হয়েছে বড় বন্দুক

কিছুই করার নেই
রোদে বসা আর ভাবা
কীভাবে পেলাম
অতীত থেকে বর্ত্তমান

এখন তুমি জান… কি?
মোটের ওপর
বিশেষ কিছুই ছিল না
তোমার সম্পর্কে

তুমি মারামারি করতে থাকলে
যেখানে অধিকারভুক্ত ছিলে না তুমিই
তুমি ছিলে তোমার মাথার ওপর

তোমার উচিৎ ছিল আরো কিছুটা সহজ হওয়া
তুমি বেশী করে করলে গ্রহণ
আর তারা তোমাকে করল দগ্ধ—
খুব বেশী ড্রিংক করা
অনেক নারী, অনেক বই
যায় আসে না তাতে কিছুই
এখন তুমি উপভোগ কর সময়ের দৌড়

হাত উপরে উঠাও
শোন কুকুরের ঘেউঘেউ
শুনতে শুনতে এখন তুমি যথেষ্ট ক্লান্ত

পৃথিবীতে
একটি উঠোনে
একটি চেয়ারে বসে থাকা তুমি একজন বৃদ্ধ
তোমার সাদা পেটে ঝরে পরে একটি পাতা
আর এখানেই শেষ তা

 

ভাল উপাদান

সিগারেটে টান দেয়া
একটার পর একটা খেয়ে যাওয়া
পিপলস রিপাবলিক অফ চায়নার
বিয়ারের বোতল

অস্পষ্ট সকালের শুরু
আর আমি উদ্যাপন করছি আমাদের অস্তিত্ব
আমরা সবাই চিরাচরিত, নিয়তিচোদা
এই বীভৎস গোবর-ডেলা পৃথিবীর বাসিন্দা

তোমাকে বলি, সবাইকে
একজনকে এবঙ সবাইকে বলি
তোমাদের গলা কেটে না ফেলার জন্য
আমি তোমাদের নিয়ে গর্ব্বিত
প্রতি সকালে যেমন করে তোমরা জেগে ওঠ
আবার মিলিত হতে

অবশ্যই তোমরা কেউ কেউ কর
বন্ধ কর
বেড়িয়ে যাও
আমাদের ছেড়ে দাও
আপত্তিজনকভাবে পতনের পর
আমাদের ছেড়ে দাও
নিয়ন্ত্রণ করতে
ছিন্ন, অর্দ্ধেক অপহত
অযোগ্য, পাগল
জঘন্য, জনসাধারণ

কিন্তু আমি টানি নীল ধোঁয়া
আর চুষতে থাকি এই সবুজ বোতল
তাদের উদ্যাপনে যারা অপরিবর্ত্তিত
প্রথা, ঘোলাটে এবঙ বেমানান
কিন্তু ধরে রাখে সেগুলো,
বল্ নিক্ষেপকারী যে কিনা বিনা বলে উত্তেজিত
৯৭ মাইলস পার আওয়ারে,
বাস ড্রাইভার যে কিনা সিডিউল সময়ে অবস্থান করে
ছাই দিয়ে মাড়ি মাজে,
অভিবাসী যারা আমাকে জাগিয়ে তোলে সকাল ৭ টায়
তাদের ঘাসকাটা যন্ত্রের শব্দে,
তোমার মা, অন্য কারো মা
তোমার ছেলে, অন্য কারো ছেলে
কয়েকজন বোন, কয়েকজন কাজিন, কয়েকজন বৃদ্ধ
একটি ওয়াকারে, সবাই সেখানে
তাদের দিতে তাকাও

যারা ধরে রেখেছে বিশ্বাসঘাতকতা
স্যালুট জানাই তাদের

আমি একটি নতুন সবুজ বোতল খুলি
আর আমার নিষ্প্রাণ সিগারেটকে
পুনরুদ্ধার করি একটি হলুদ লাইটার দিয়ে

আমাদের মানুষ দরকার
গু পরিষ্কার করার জন্য
আমাদের প্রয়োজন শ্বাস প্রশ্বাসের অনুগ্রহ
চলমান জীবন
যদিও এর বেশীরভাগ অংশ অসঙযত

চীন থেকে আনা বিয়ার
ভাবো
এখন সকালের কিছু সময়
সিজার এবঙ প্লেটো ছায়ার মধ্যে পরিত্যাক্ত জাহাজ
আমি তোমাদের সবাইকে ভালবাসি
শুধুমাত্র এক মুহুর্ত্তের জন্য

 

গান

আমার দরজার পাশে মন্দির তালাবদ্ধ

আমি কেবল একমত হই আমার সমালোচকদের সাথে
যখন তারা ভুল

আমার বাবা এক চোখে অন্ধ ছিলেন, এক কানে বধির
ভুল ছিলেন এক জীবনে

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডাকটিকিটগুলো পৃথিবীর সবচেয়ে
কুরুচিপূর্ণ

হেমিঙওয়ের চরিত্রগুল ছিল ধারাবাহিকভাবে মারাত্মক
যার অর্থ হল তারা খুব চেষ্টা করেছিল

সকাল হল সবচেয়ে খারাপ সময়, দুপুর কিছুটা ভাল
রাতগুলো সর্ব্বশ্রেষ্ঠ
এই সময় তুমি প্রস্তুত ঘুমোতে
সবচেয়ে ভাল বোধ কর এই সময়ে

উপচে পড়ে অপরিবর্ত্তনীয় নর্দ্দমা
দৃঢ় করে আমার বিশ্বাস

যার সম্পর্কে আমার ভাবনা সবচেয়ে ভাল
তার নাম ছিল ইমানিউয়েল কান্ট

ভালভাবে বেঁচে থাকা হল ক’টি সংজ্ঞার বিষয়

ঈশ্বর মানুষের আবিষ্কার; নারী, শয়তানের

শুধুমাত্র বিরক্তিকর মানুষ বিরক্ত হয়

নিঃসঙ্গ লোকদের এড়িয়ে যাওয়া হয় কারণ তারা নিঃসঙ্গ
আর তারা নিঃসঙ্গ কেননা তাদেরকে এড়িয়ে যাওয়া হয়

যারা একা থাকতে চায়
তাদের একা থাকতে চাওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে

প্যান্টের নিচে যদি তুমি তোমার পোঁদে একটি নারকেল বাঁধ
কেউ তোমাকে এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করার আগ পর্য্যন্ত
তুমি অনায়াসে দুই সপ্তাহের মত ঘুরে বেড়াতে পারবে

সবচেয়ে ভাল বই হল সেটা যেটা তুমি কখনো পড়নি
সবচেয়ে ভাল নারী, যার সাথে তোমার কখনো দেখাই হয়নি

মানুষ যদি উড়তে চাইত
তবে সে তার দেহের সাথে ডানাযুক্ত হয়ে জন্মাত
আমি স্বীকার করব যে এগুলো ছাড়াই আমি উড়ে এসেছি
কিন্তু এটা তো অপ্রাকৃত কাজ
এজন্যই আমি যাত্রিসেবিকার কাছ থেকে চেয়ে নেই ড্রিংকস

তুমি যদি কয়েক মাস অন্ধকার ঘরে বসে থাক
তবে উন্মাদ হওয়র আগ পর্য্যন্ত কিছু
আশ্চর্য্য চিন্তাভাবনা পাবে

গাড়ীর নিচে চাপা পরা বিড়ালের মত দুঃখজনক আর কিছুই নেই

পুঁজিবাদের মূল ভিক্তিই হল
কোনকিছু তার মূল্যের চেয়ে বেশী দরে বিক্রি করা
যত বেশী তুমি এটা করতে পারবে
ততই তুমি ধনী হয়ে উঠতে পারবে
সবাই সবাইকে পাক খাওয়ায় অন্যরকমভাবে
আমি তোমাদের পাক খাওয়াই লেখার মাধ্যমে

সুখের একমাত্র অর্থ হল
কিছুক্ষণের জন্য ভুলে যাওয়া কি হবে তা

নরক কখনো থামে না শুধু বিরতি দেয়

এটা একটা বিরতি

উপভোগ কর যখন তুমি পার

 

প্রিয় বৃদ্ধ বাবা

আমার সাথে ঘটা
সবচেয়ে ভাগ্যবান ব্যাপার হল
একজন নির্দয় ও দুখী বাবা পাওয়া

তারপরে
সবচেয়ে খারাপ জিনিস হল
যেসব অদৃষ্ট
আমার ওপর নিক্ষিপ্ত হয়েছিল
সেগুলো
খুব ভয়ঙ্কর মনে না হওয়া
অন্য মানুষের মধ্যে
সেগুলো হয়ত প্রভাব ফেলত
রাগ, হতাশা, ঘৃণা
উন্মাদনা, আত্মহত্যার চিন্তাভাবনা
এবঙ এরকম আরো অনেক কিছু
আমার ওপর কেবল
সামান্যই প্রভাব ফেলল
আমার লালনপালনের জন্য

আমার বাবার পরে
অন্য যেকোন কিছুই
ভাল লাগত
আমার সত্যিই
সেই অসাধারণ বৃদ্ধের জন্য
কৃতজ্ঞ হওয়া উচিৎ
যে এখন মৃত
সে আমাকে প্রস্তুত করেছে
অসংখ্য
সকল নরকের জন্য
সময় মত আমাকে
পৌঁছে দিয়ে সেখানে
অনিবার্য্য
বছরগুলোর মাধ্যমে

 

বিকেলের নারীরা

রাত ৩ টায়
কোন নারী এখন আর কড়া নাড়ে না আমার দরজায়
প্রস্তুত বোতল আর প্রস্তুত শরীর নিয়ে

তারা আসে আড়াইটায় বিকেলবেলায়
আর কথা বলে আত্মা নিয়ে
আর তাদেরকে ভাল দেখায় বুড়ো মেয়েদের চেয়েও
কিন্তু তাদের বোঝাপড়া স্পষ্ট—
কোনভাবেই নয় ওয়ান নাইট স্ট্যান্ড
অবশ্যই আমাকে কিনতে হবে পুরো প্যাকেজ

ম্যানেট থেকে মোজার্ট পর্য্যন্ত তাদের জানা
সমস্ত মিলারদের তাদের চেনা
আর তারা চুমুক দেয় ওয়াইনে একটু
একেবারে সামান্য
আর তাদের স্তন সুবিশাল ও সুদৃঢ়
আর তাদের নিতম্ব যৌনপ্রেমী দিয়ে ভাস্কর্য্যমণ্ডিত

তারা চিনে দার্শনিক, রাজনীতিক আর কৌশল
তাদের আছে মন ও দেহ
আর তারা বসে এবঙ আমার দিকে তাকায় আর বলে—
তোমাকে কিছুটা নার্ভাস মনে হচ্ছে, সব কিছু ঠিক আছে তো?

হুম
আমি বলি ঠিক আছে, ভাবছি এটা কী?
আমি একটু পাছার ঠেলা পেতে এক মাস সময় নষ্ট করতে রাজি না
আর এমন মারাত্মক চোখ, আর হ্যাঁ
মোহিনী নারী!
কীভাবে তারা হাসে, তুমি কি ভাবছ তা জেনে—
বিছানায় রাখা তাদের আর হাসিল করা কার্য্য—
চুদি আহ!
কিন্তু এটা দাম বাড়ানোর সময়
আর আগে পরে তাদের সাথে থাকতে
তোমাকে অবশ্যই পরিশোধ করতে হবে আগে
মুক্তি পাওয়া নারী আর আমি এখন আর স্কুলে পড়া ছাত্র নই
আমি তাদের ছেড়ে যাওয়ার অনুমতি দেই
স্পর্শহীন
তাদের বেশীর ভাগই নষ্ট পুরুষের সাথে অথবা
অলরেডি তাদের পেছনে দুইজন
আর এখনো তাদের ২০ এর দশক
আর এক সপ্তাহ পরপর একটি সাক্ষাতের আয়োজন করা হয়
আর তারা সমর্পন করে
তাদের সুন্দর নিতম্বের মত
তাদের পেছনে তাদের চিরন্তন মূল্য ঝুলিয়ে
আর আমি আমাকে খুঁজে পাই লেখায়
পরের দিন
‘প্রিয় ক… তোমার সৌন্দর্য্য এবঙ যৌবন
আমার জন্য অনেক বেশী
আমি তোমার যোগ্য না
তাই আমি চাই যতটা সম্ভব ছোট করে
আমরা আমাদের সম্পর্কটা ভেঙে
ফেলি…
তোমার,

তারপর আমি হাসি, চিঠিটা ভাঁজ করি, খামে ভরি
আঠা লাগাই, স্ট্যাম্প লাগাই
তারপর হাঁটা শুরু করি
কাছাকাছি ডাকবাক্সের দিকে
মুক্তি পাওয়া নারীকে মুক্ত রাখা
যতটা মুক্ত থাকা উচিৎ তাকে
আর খুব খারাপভাবে করছি না কোন কিছু
নিজের দিকেও না





একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন