অনুবাদঃ ইমরুল হাসান
গিফট
আমারে তুমি বলছো যে কবিতার চাইতে
নিরবতা শান্তির অনেক কাছাকছি একটা জিনিস
কিন্তু যদি আমি গিফট হিসাবে
তোমারে দেই নিরবতা
(মানে, আমি যারে নিরবতা বইলা জানি)
তুমি তখন বলবা
‘এইটা তো নিরবতা না
এইটা তো আরেকটা কবিতা’
আর আমার হাতে ফিরায়া দিবা তুমি সেইটা।
আমি ভাবি, কতো লোক থাকে এই শহরে
আমি ভাবি, কতো লোক থাকে এই শহরে
ফার্ণিশড রুমগুলাতে।
অনেক রাতে, যখন আমি বিল্ডিংগুলির দিকে তাকাই
কসম আল্লার প্রত্যেকটা জানালাতে আমি দেখি একটা চেহারা
তাকায়া আছে আমার দিকে,
আর যখন আমি মুখ ফিরাই
আমি ভাবি কতো লোক না জানি তাদের ডেস্কে ফেরত গেছে
আর এইটা লিইখা রাখতেছে।
গান
আমি বিছানায় চইলা গেছিলাম প্রায়
মনে না কইরাই
চারটা শাদা ভায়োলেটের কথা
যা আমি রাখছিলাম
তোমার সবুজ সোয়েটারের
বোতাম-ঘরগুলাতে
আর কেমনে যে আমি চুমা খাইছিলাম তোমারে
আর তুমিও চুমা খাইছিলা আমারে
শরমাইছিলাম যদিও আমি
কোনদিনই তো তোমার প্রেমিক আমি হবো না।
অ্যানি‘র লাইগা…
যখন অ্যানি চইলা গেছে,
কার চোখের লগে আমি দিবো
সকালের সূর্যের তুলনা?
এমন না যে তুলনা করতাম আমি,
কিন্তু আমি তুলনা করি
এখন, যখন শে চইলা গেছে।
সামার হাইকু
ফ্যাঙ্ক আর মেরিয়েন স্কটের লাইগা
নিরবতা
আর একটা গভীরতর নিরবতা
যখন ঝিঁঝিঁ পোকাগুলি
করে দোনোমনা
নীল গর্তটার অভিযোগ
জানুয়ারি ২৮ ১৯৬২
আজকে রাতে তোমার আমার কথা শোনার কথা
আমি ৮০০ বার তোমার নাম নিছিলাম
জানুয়ারি ২৮ ১৯৬২
আমার ছাইড়া যাওয়া নেশা
ছাইড়া গেছে আমারে
জানুয়ারি ২৮ ১৯৬২
৭:৩০ ড্রাগ এখন নিশ্চয়
বান মারতেছে তোমার নীল কব্জিতে
ট্রানজিস্টারটা দিয়া গুঁতা মারতেছি আমি আমার কানে
জানুয়ারি ২৮ ১৯৬২
আর নামায়া রাখতেছি
৩টা আত্মহত্যার পাউরুটি
২টা রেজরব্লেডের পাই
১টা ডি কুইনসি হেয়ারনেট
একটা তেলের কালেকশন
অ্যাডলফ আইখম্যান সম্পর্কে যা যা জানা যায়
চোখ: মিডিয়াম।
চুল : মিডিয়াম।
ওজন: মিডিয়াম।
উচ্চতা: মিডিয়াম।
আলাদা করার মতো কোন চিহ্ন: কিছুই নাই।
হাতের আঙুল: দশটা।
পায়ের আঙুল: দশটা।
বুদ্ধিশুদ্ধি: মিডিয়াম।
তুমি কি এক্সপেক্ট করছিলা?
নখ থাকবো?
বড় বড় দাঁত?
মুখে সবুজ লালা?
পাগল কিসিমের?
তাইলে তুমি হইলা এইরকমের ভেজিটেরিয়ান
তাইলে তুমি হইলা এইরকমের ভেজিটেরিয়ান
যে খালি গোলাপ ফুল খায়
তুমি কি এইটাই মিন করলা
তোমার সুন্দর অভাগাদের দিয়া
সে আছিলো ল্যাংড়া
সে আছিলো ল্যাংড়া
একটা ৩ পায়া কুত্তার মতোন
চিল্লাইতো খুব
যখন আইতো কুয়াশার ভিতর দিয়া
যদি তুমি লাইট হইয়া থাকো
আমারে একটা লাইট দিও
দোস্ত
বরফ পড়তেছে
বরফ পড়তেছে।
এক নগ্ন মেয়ে আমার রুমে।
ওয়াইন-কালারের কার্পেট খুঁটাইয়া খুঁটাইয়া দেখতেছে শে।
বয়স তাঁর আঠারো।
চুলগুলি খাড়া খাড়া।
মন্ট্রিলের ভাষা শে কইতে পারে না।
তাঁর বইসা থাকতে ইচ্ছা করতেছে না।
শীতে শির শির করতেছে না।
শুনতেছি আমরা ঝড়ের আওয়াজ।
শে সিগ্রেট ধরাইলো একটা
গ্যাস রেঞ্জ থিকা।
লম্বা চুলগুলি তাঁর পিছনে টাইনা নিলো শে।
আজকে সকালে বাতাস আমারে সাজাইয়া দিছিলো
আজকে সকালে বাতাস আমারে সাজাইয়া দিছিলো।
আকাশ কইছিলো, তোমার চোখ বন্ধ করো আর দৌড়াও
এইরকম সুখী একটা সূর্যের আলোতে।
জঙ্গল’টা কইলো, কিছু মনে কইরো না, আমি তো বুড়া
একটা হীরার মতোই, গল্প-গুজব করতে করতে হাঁটো আমার সাথে।
গ্রাম’টা কইলো, আমি হইলাম পারফেক্ট আর কূটনা
তুমি কি এখনই আমার লগে শুরু করতে চাও, কথা-বলা?
আমার ডার্লিং কইলো, পানি দিয়া মাথার চুল ধুইতেছি আমি
গত বছরও এইরকম হইছিল, পাথরের মতো টেস্ট ছিল সেইটার।
আজকে সকালে বাতাস আমারে সাজাইয়া দিছিলো,
সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময় এইটা, ১৯৬৫ সনের।
আমারে তোমার ভালোবাসা লাগবো না
আমারে তোমার ভালোবাসা লাগবো না
খালি এই কারণে যে
সব নারীদের মধ্যে তুমিই একজন
যারে আমি সবসময় চাইছি
আমার জন্মই হইছে তোমারে ফলো করার লাইগা
প্রতি রাতে
যদিও আমি অনেক পুরুষের মধ্যে একজন
যারা তোমারে ভালোবাসে
একটা টেবিলে তোমার সাথে আমার দেখা
তোমার হাতের মুঠি’টা আমি আমার হাতের মধ্যে নিলাম
তারপর একটা সোলমন ট্যাক্সিতে
আমি জাইগা উঠলাম একা
তোমার না-থাকার ভিতর আমার হাতগুলা
হোটেল ডিসিপ্লিনে
তোমার লাইগা লিখছিলাম আমি আমার সব গান
লাল আর কালো মোমবাতিগুলি জ্বালাইছিলাম
যারা দেখতে একটা পুরুষ আর একটা নারীর মতোন
দুইটা পিরামিডের মতোন চন্দনকাঠের
ধোঁয়ারে আমি বিয়া করছিলাম
তোমার লাইগা মোনাজাত করছিলাম আমি
আমি দোয়া করছিলাম তুমি যাতে আমারে ভালোবাসো
আর যাতে তুমি আমারে ভালো না বাসো
কি সুন্দর কইরা গান গায় শে
কি সুন্দর কইরা গান গায় শে
কোন ডিজায়ার নাই তাঁর কণ্ঠে
গান গায় শে একলা একলা
আমাদের সবাইরে বলার লাইগা
যে, আমাদেরকে এখনো খুঁইজা পাওয়া যায় নাই
পুরান ফ্রেন্ডদের ভুইলা যাইও না
পুরান ফ্রেন্ডদের ভুইলা যাইও না
তুমি জানতা, যখন তোমার লগে আমার পরিচয় হয় নাই
যেই সময়টা সর্ম্পকে আমি কিছুই জানি না
এমন কেউ
যে খালি নিজেরে লইয়াই থাকতো
আর তোমারে দেখতে আইতো হঠাৎ একটা রেইডের মতোন।
ম্যারিটা
ম্যা রি টা
প্লি জ আ মা রে খুঁ ই জা বা ই র ক রো
আ মা র ব য় স প্রা য় ৩০ ব ছ র
মাতবরি করার লাইগা সে পড়াশোনা করে
মাতবরি করার লাইগা সে পড়াশোনা করে
যেই প্রেমিক সে হইতে পারে নাই
মনের কঠিন ড্রিমগুলি পুরণ না করতে পাইরা
আল্লার দর্শনে থাকার ভাব নেয়
তার রীতির ছিঁড়া টুকরাগুলার
কোন বিউটিই নাই
যাতে তোমার মতো কোন সৌন্দর্য্য
সে সহজে ধইরা রাখতে পারবো
সে তো জানে না
কেমনে তোমার ভালোবাসার লাইগা
নিজেরে দিতে পারে সে;
বিশ্বাস কইরো না ওরে
যদি না তুমি ভালোবাসো তারে।