আল মাহমুদ যা যা চাইছেন তা তা কি তিনি করতে পারেন নাই?
সবই তো পারছেন?
যারা তার পক্ষের লোক তাগো লগে লগে থাকছেন। আবার বিরোধী শিবিরের শ্রদ্ধা-ভক্তিও বেশুমার পাইতে আছেন। একই লগে ইন্ডিয়া বা কলিকাতারও পেয়ারের লোক তিনি।
তা তিনি কম পাইলেনটা কী? সে অর্থে শামসুর রাহমান কি বালটা পাইছেন বলেন!
আল মাহমুদরে রাষ্ট্র স্বীকৃতি দেয় নাই, এই তো? তা আওয়ামী লীগ আমলের রাষ্ট্রের কথা। বিএনপি আমলে ওনার অবস্থা কী?
গুলশানে যে কবি বাড়ি পাইলেন এরশাদ আমলে, তাও তিনি কিছুই পাইলেন না বুঝি?
আল মাহমুদ সারা জীবন ভিকটিম কার্ড বিছাইয়া রাখলেন তার চাইর পাশে। কেন?
তিনি শামসুর রাহমানের মর্যাদা পান নাই, এই তার দুঃখ। তার চেলা-চামুণ্ডা, তস্য চেলা-চামুণ্ডাদেরও তাই দুঃখ।
শামসুর রাহমানরে যে রাষ্ট্র তথা সরকারগুলি মর্যাদা দিছে এইটা অস্বাভাবিকতা। অস্বাভাবিকতায় সকলের ভাগ পাইতে হবে না।
রাষ্ট্রগুলি কবিদের পালবে না এইটাই স্বাভাবিক। এই স্বাভাবিক অবস্থারে ধামাচাপা দিয়া শামসুর রাহমান পাইছে আল মাহমুদরে কেন দেয় নাই এই নাকি কান্না আর কত কানবেন?
কবির কেন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি লাগবে! তারে কেন রাজকবি হইতে হবে?
আরেক কথা, শামসুর রাহমানরে যে প্রধান কবি বানাইয়া রাখছিল পুতুলের মতো তা কি তার জন্যে ভালো হইছিল?
এই দেশের ছাগলেরা খুব বিদ্রোহ এবং বিপ্লব ভালোবাসে, কিন্তু সরকার কেন আল মাহমুদরে জায়গা দিল না, পর্বতের আগায় বসাইয়া কেন রাখল না এই লইয়া কাইন্দা মরে!
একই সঙ্গে সরকার বিরোধিতা আর সরকারের কোলে ওঠা এই দুই জিনিসের মিলমিশ এই দেশের বুদ্ধিজীবীদের মৌলিক সমস্যা। এদের চাহিদা আর শিক্ষকদের চাহিদা একই। পাড়ার মধ্যে পতাকা হইয়া পত পত করতে চায় এরা।