সজল আহমেদ এর ২টি সেরা কবিতা

 মাদারে হিউম্যানিটি 

এই দেশে আছি মোরা মিলে ভাইবোন
রাস্তাটা ভাঙা, ভাঙা দেয়ালের কোণ
ফুটপাতে গাড়ি চলে বৃষ্টিতে নৌকা
সদ্ভাবে নরকের পিঠে শুয়ে থাকা।
মন্ত্রীরা তেল মারে মাদারের দেশে
পদ আর তল চাটে খুব ভালোবেসে 
তবুও শান্তি যদি মিছিলেও আসে
মাদারের লাঠিয়াল ঠিক পাবে পাশে!
আমাদের ঘর নেই, খাবারের খোঁজে
পিতা গেছে টোকিও দূরের জাহাজে
মলিন মুখে এসে ঠাঁয় রোডে বসি
মাদারের প্লেটে থাকে পাঠা আর খাসি।
গরীবের চাল নেই চুলোও জ্বলে না 
মিডিয়ায় বড় কথা বলেন— আম্মা
ও মাদার ও মাদার কৃষকরা কই?
আপনার বাজারে হারিয়ে সে মই,
লাঙল ও যে খোয়া তাঁর বাঁচালোনা কেউ 
মাদারের ছেলেদের কাজ— ঘেউঘেউ।
পিঁয়াজের পতন তো বছরেরই শেষে 
পাতা খেয়ে ভালো মোরা আম্মুর দেশে। 


লেবু খালী ক্যান্টনমেন্ট 

— সজল আহমেদ 

ভাবতে গিয়ে ক্রেডিট কার্ড 

উপ্তা জলে ভাসে 

জলের ওপর গরীবগুলা

 ফিক কইরা হাসে।


জলের গরীব জলেই থাকে 

পায়রা নদীর কূলে

কূলে—কূলে মাদারচোদরা

নাচে উদম দূলে।


ডাকতেছি আর ডাকতেছি গো

এইবার ফিরে আয়—

নদীর কূলে আর্মি থাকে

হাত তুলবে গায়।


কত গরীব ঘর ছাড়া যে

নদীর কূলের ঘরে

তোমরা গ্যাছো প্যাক চুদাইতে

আমি মরি ডরে!


কিংবা যদি ক্ষেপেন তাঁরা

অস্ত্রে দিয়া ধাঁড়

বন্দুকের বাটের বাড়ি

মাইরা দিবে গাঁড়!


সরকারি সব আমলা তাদের 

তোমরা কামলা দল

পকেট ভর্তি বুলেট তাদের

তোমরা চ্যাটের বাল।


তোমরা শালা কাঁচি অলা

গতর খাটাও মাঠে 

তাহারা সব বন্দুকবাজ 

বন্দুক নাড়ে খাটে।


দু একটা বার বুলেট যদি

লাগেও তোমার পেটে

দূর্ঘটনা বইলা নেহাৎ

জানান দেবেন কোর্টে।


অতএব সব গরীব শালা

ছাইড়া নদীর কূল 

পা ধইরা কান্দো তাদের —

স্যাররা, হইছে ভুল!

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন