ঠিক আছে
অসময়ে মেহমান
ঘরে ঢুকে বসে যান
বোঝালাম ঝামেলার
যতগুলো দিক আছে
তিনি হেসে বললেন
ঠিক আছে ঠিক আছে।
রেশনের পচা চাল
টলটলে বাসি ডাল
থালাটাও ভাঙা-চোরা
বাটিটাও লিক আছে
খেতে বসে জানালেন
ঠিক আছে ঠিক আছে।
মেঘ দেখে মেহমান
চাইলেন ছাতাখান
দেখালাম ছাতাটার
শুধু কটা শিক আছে
তবু তিনি বললেন
ঠিক আছে ঠিক আছে।
মুক্তিসেনা
ধন্য সবাই ধন্য
অস্ত্র ধরে যুদ্ধ করে
মাতৃভূমির জন্য।
ধরল যারা জীবন বাজি
হলেন যারা শহীদ গাজি
লোভের টানে হয়নি যারা
ভিনদেশিদের পন্য।
দেশের তরে ঝাঁপিয়ে পড়ে
শক্ত হাতে ঘায়েল করে
সব হানাদার সৈন্য
ধন্য ওরাই ধন্য।
এক হয়ে সব শ্রমিক কিশাণ
ওড়ায় যাদের বিজয় নিশান
ইতিহাসের সোনার পাতায়
ওরাই আগে গণ্য।
নেই
দিনদুপুরে ঘর-ডাকাতি
পানি তোলার লোটাও নেই
সর্ষে-তেলের বোতল গায়েব
তেল তাতে এক ফোঁটাও নেই,
সরু চালের ভাণ্ড উজাড়
চাল তাতে আর মোটাও নেই
তিনটে গেল মিষ্টি কুমোড়
তার কোনো এক বোঁটাও নেই,
ছাগল বাঁধার দড়ি গেছে
দড়ির মাথায় খোঁটাও নেই,
আরেক মাথায় ছাগল ছিল
এখন দেখি ওটাও নেই।
ছত্রচ্ছায়া
ঢাকার পথে চলতে হলে
সারা বছর ধরুন ছাতা,
ওপরতলার ময়লা পানি
কিংবা কাকের কাণ্ড যা-তা।
নিচের দিকে তাকিয়ে দেখুন
ম্যানহোলে বাঁশ আছে গাঁথা,
আরও আছে ইট পাথর কি
মাংস-বর্জ্য পাখির মাথা।
শরীর হলে অপবিত্র
পাবেন না তো কলের পানি,
হুঁশ করে তাই বাইরে যেতে
সঙ্গে নেবেন ছত্রখানি।
ডাটা সংবাদ
পুঁইয়ের ডাঁটা লাউয়ের ডাঁটা
বায়োডাটার ঝোল,
ডাটা প্রসেস করতে হলে
কম্পিউটার খোল।
ডাঁটার পাগল বুড়োবুড়ি
ক্যালসিয়ামে ভরা,
শজনেডাঁটায় গুণ বেশি তাই
বাজার ভীষণ চড়া।
উচ্চতর ডিগ্রি নিতে
ডাটাই পরম ধন,
সারা বছর খেটে করেন
ডাটা কালেকশন।
ডালের সাথে মাছের সাথে
যেমন ডাঁটা চলে,
গবেষকের ডাটা আবার
অন্য কথা বলে।
আনিকা ও শারিকা
ওই আমাদের আনিকায়
মিষ্টি বাখরখানি খায়
সর্দি হলে বরফ দিয়ে
গরম গরম পানি খায়।
তার যে সাথি শারিকায়
ভাত দিয়ে তরকারি খায়
তাড়াতাড়ি চলতে গিয়ে
মাথায় মাথায় বাড়ি খায়।
শাখা
ক-শাখা, খ-শাখা
গ-শাখা, ঘ-শাখা
দুপুরের ছুটিতে
নুন দিয়ে শশা খা
পরীক্ষায় ফেল হলে
হাঁ করে মশা খা।