উত্তেজক কবিতা

 

খিস্তিভাষ্য

সজল আহমেদ 


মাননীয় সুধী, আপনাদের চুদি।
হিন্দু ভাইদের নমস্কার, আর মুসলমানদের সালাম।
কারো পিছনে তৈল লেপন না করেই আমি
আমার বক্তব্য শুরু করে দিলাম।
ভাগ্য করে একটা রাষ্ট্র পেয়েছি।
ময়লার ড্রেন থেকে শুরু করে বেশ্যার ব্রা'তে
ইতরের এনজাইম বিষে বা গীরিপথে আমরা যা দেখেছিলাম
ছোট বা ক্ষুদ্র
অবরুদ্ধ জানালায়
বৃহৎ ছিদ্র
যা ঢোকে বা বের হয়
নিতম্বে কামড়ায়
রক্ত খেয়ে বুকে সোবল দেয়
ইংরাজ মাদারচোতেরা তাদের বলে মসকিউতো
আমাদের মন্ত্রী শোউরের বাচ্চা যা দেখে বিদেশ পালিয়েছে।
আমরা আধুনিক পাছায়
তার কামড় খেয়ে মারা যাবার আগে, তার নাম দিয়েছি ডেঙ্গু।
মাননীয় স্পিকার মাননীয় রাষ্ট্রপতিকে বলুন, তাঁর নপুংসক মাননীয় মন্ত্রী কুকুরদের নিয়া আমরা জাতীগত বুদ্ধিপঙ্গু।


মাননীয় সুধী, আপনাদের চুদি।
বিলকুল টাকিলার বোতল গায়েব করিনি বিধায়; আপনারা যারা সম্মানীয় তাঁরা বেঁচে গ্যাছিলেন। অতএব তাহাদের খিস্তি জপতে - এমন কবিতার সভার আয়োজন করেছি সবাই সম্মেলিত হয়ে বসুন- আজ আপনাদের ‘চুদ-ব।’
আপনারা যারা শান্তি টাউনে অশান্তি দেখেছেন- এবং উপলব্ধি করেছেন- পনের হাজার ঘর নিমিষেই কিভাবে লাপাত্তা হয়ে যায়!
আপনারা দেখেছেন, কিভাবে আগুনের কাঁধে বন্দুক রেখে
পঞ্চাশটা হাজার মানুষের টেকো মাথায় বড়ই রেখে
লবন খেয়ে চলে গ্যালো ইন্ডাস্ট্রিয়াল মাদারচোত!
আপনারা লক্ষ্য করেছেন এও- তাদের মাথায় হাত,
  ক্ষুদ্র সময়ের ভেতরেই; রাস্তায় বসে পরেছেন তাঁরা।
তাদের অনাহার সন্তানরা ঘর পোড়া কয়লায়  আলু পুড়ে খেতে চায় যেহেতু তাঁরা ক্ষুধার্ত। আলুপোড়া না পেলে ওঁরা আপনাদের গোশত খুবলে খাবে।

জনগণের সরকার, আবেগে আপ্লুত, দুঃখে দুঃখিত, আগুনে শিহরিত হয়ে বলেছেন - কাল এখানে রিলিফ পাঠাবো।
আপনি জানেন, আমাদের সরকার
কোন বাড়ির খোঁজ করেননি; কারো স্বপ্ন পুড়ে যেতে দেখেননি
তাঁরা দেখেননি-
কিভাবে পুড়ে গ্যালো মুজাম্মেলের নয়মাস বয়সী মেয়ের দুগ্ধের  ফিডার, কোরান মজিদ, তসবিহ দানা, মাসুমার বই আর আবু সালেহ্'র রিক্সার হুডি।

মহামান্য সুধী!
আপনারা অবগত, আমাদের সরকার শুধু তাঁর চেয়ারে বসলে ঐ আওতায় যতটুকু দেখা যায় ততটুকুই দেখেন।
যদি আমি তাদের ঐসব বালছাল চেয়ারে পেচ্ছাবও করি, তাঁরা দেখবেন না।

কিন্তু আপনারা জানেন, সরকারী চেয়ারে পেচ্ছাব করার রুচি আমার নাই। এম্পি মন্ত্রীর চেয়ারে আমি মুতিওনা। এও জানেন যে, আমি পাগল চুদিওনা।

মাননীয় সুধী, আমি না হয় মদ গিলেছি তাই শুকর-কুকুরের গোশতের ফারাক বুঝিনা। এতদ্বা-সত্ত্বে আমি আপনাদের মতোন ইন্ডাস্ট্রিয়াল মাদারফাকার্স অার তার তোষণকারী সরকারের হাতে পানাহার করবো না।

মাননীয় সুধী, আপনাদের সিস্টেম আমি চুদি
আপনারা জানেন,
জীবন সবখানে একরকম নয়।
যেমন আপনাদের ফ্লাটে- খাটের নিচে বিড়ালে চুদাচুদি করে উপরে আপনি তৃপ্তিতে ঢেকুর তুলে বস্তিতে আগুন লাগিয়ে তা উপভোগ করেছেন, এখানে আপনার ইন্ডাস্ট্রি হবে। আপনার জীবন একরকম চোদনময়।
আবার,
শান্তির মায়রেবাপ এখানে শান্তি টাউনে আপনারা আপনাদের শান্তির দূত ইন্ডাস্ট্রি গড়বেন- অতএব পনের হাজার কেন, পনের কোটিও যদি গৃহহীন হয় আপনারা আর আপনার সরকার তাদের ঘরপোড়া ভস্মতে লোক দ্যাখানো বিসমিল্লাহ্ জপে ইন্ডাস্ট্রি গড়ে তুলবেন। বেস্ট অব লাক! জীবন ওখানে অন্যরকম।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন