তানিয়া হাসানের কবিতা সংগ্রহ

 


।। শনির ব্যধি ।।

এমন দেখার মাঝেও যে সংক্রান্তি পুড়ে যায়

তারে পৌষ বললে, স্ট্যাচু হবে সরষে মেঘ

যেহেতু হলদে কাক চুমুর বৃত্তান্ত জানে না

ঠোঁটের খেলায় ঝকমক না-ও করতে পারে আতুর ঘর

তবু স্বপ্নপ্রফিটের আশীর্বাদে তুমি একদিন বাবা হবে

লেসফিতের ঝুড়ি থেকে ডানার নজর এড়াতেই কিনবে চাঁদ।

হাসির থলি থেকে শুকিয়ে যাবে ব্যধির ধোঁয়া

যৌতুকের শিমুল তোশক শরীর খোলায় রেজিস্ট্রিত দোলন উগরে দিবে বৃহস্পতি

দেয়ালে টাঙানো হেলে যাওয়া সীৎকার

তোমারে আর পরাণ ডাকবে না!

ফ্রিজে সাজানো বাসি খামখেয়ালির বক্সগুলো থাকবেনা হাঁড়ির অপেক্ষায়

ধোঁয়া উড়া ভাতে একটা বউ ডাকে তুমি ভিটামিন সি এর বায়োগ্রাফি শিখবে

তোমার একটা খুচুমুচু হবে

সেখানে কোনো পাখি থাকবে না




।। ধোঁয়া ধোঁয়া চার্জশিট।।

দেখা ভাঙে যার কথায় কথায়

তার চোখে চশমা বেমানান

ঝিমিয়ে যাওয়া জৌলুস জেগেছে যে স্পর্শে

ক্যাফের সাথে সমঝোতা না থাকলেও

কফির ধোঁয়া তাকে বলা যেতেই পারে

যদিও তার গন্তব্যেই প্রাণের বাস

এই এলোমেলো বিলাপে খোলা থাকে শাড়ির পিন

শ্বসন নয়, একটা দৃষ্টি আঁকড়ানোর অপেক্ষায়

সে-টা খুব অবুঝ সেতার!

দোয়ার কাটে ভাটা ভাটা দুঃখে

তার বিছানায় আনন্দ বিলিকাটে

ঘুম ঘুম ভয়ে তবু স্বপ্নে আসে না

এক ঝাঁক বর্তমান

কলমের ক্রাইম মন উতড়িয়ে

জানালার পর্দা বিষয়ক চার্জশিট তৈরি করে

খুনসুটিতে খুন হয়ে যায় টিপটিপ রাত

তারে আর বুঝানো গেলো না

একটা আকাশ বিক্রি হয়ে গেলো

এক চামচ ডেটলের ঘ্রাণে

কুসুম বিকেলের কনফারেন্স

কিংবা দক্ষিণ খেয়ালে

আয়নার আয়না তার নামে লিখে দিয়েছে

একটা আমিকে

তবুও সে চশমাটাই হারিয়ে ফেলে




।। তোয়ালের তোলপাড় ।।

মোহনীয় বালিশ চোখের পাপড়ি চিনে না বলেই

সুবেহ-সাদিক স্বপ্নের ভয়ে লুকিয়ে রাখে আয়না

অবলা চিবুক ঢেকে রাখে তোয়ালের তাণ্ডব

কেটলির রস উপচে পড়ে

এমন জলউচ্ছাসে লোমহোস বাগানে কিছুটা

তোলপাড় হলেও শুকিয়ে যায় মৌরি

হয়ে যাওয়া জলে গ্লাস পূর্ণ হলে যেহেতু

বেঁধে রাখা যায় না মেঘ

শরবতের ফিলোসোফি জানতে ল্যাবে যাওয়া আপেক্ষিক

এক উড়াল রিফ্রেশ না হয় একান্তের

একান্ত নিকটে জমা হোক।

রুগ্নবাস্তবতায় আষাঢ়ি রোদে ঝলসে গিয়েছে যে তকদীর

সমৃদ্ধ স্কিনে সে হেডলাইন হয় না

তবে ভস্মের ধোঁয়ায় হিমহিম হতেই পারে হিমালয়।

তাহারা আলোর ডেফিনেশন জানে না

মোমের কারিগরের গুপ্তধন ভাইরাল হয় আঙুলে দশসীমায়

তেতো সকালের নির্যাস তারে মালতী বলেই ডাকে

আনমনে পেয়ারাগুলো বিসর্গ ফুলে বিছানা রাঙায়

সে টিস্যুর ক্রেতা না হলেও সাদা-কালো ঘাম

বিপরীত নীতির কামেল হয় না

সমুদ্র ঈশ্বর বেমালুম বলেই যায়

তাহারে কর স্বরণ

তবেই হবে একটা আঁশের পেয়ারি

আমরা ইরেজার দিবসের দোসর হয়ে

খুঁজে চলি কলমের আদিকথা

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন