কাব্যসমগ্র ১ম খন্ড - বিনয় মজুমদার
কাব্যসমগ্র ১ম খন্ড - বিনয় মজুমদার
জন্ম: ১৯৩৪ সালে বর্মার তেডো শহরে। পঞ্চাশের দশকের কিংবদন্তি কবি। পেশায় ইঞ্জিনিয়ার হয়েও সারাজীবন কাটিয়েছেন কবিতার সাধনায়। অকৃতদার এই কবির শেষ জীবন বড়ো দুঃখের, অসুখে-নিঃসঙ্গতায়। মৃত্যুর বছর খানেক আগে তাঁকে দুটি বড়ো পুরুষ্কার-রবীন্দ্র পুরুষ্কার এবং একাদেমি পুরুষ্কার দেওয়ায় জাতির বিবেক যেন কিছুটা শান্তি পায়। ষাটের দশকেরপরে অসুস্হতার জন্য কবিতা লেখা কমে গিয়েছিল। মোট কাব্যগ্রন্থ কুড়ির কাছাকাছি, যার মধ্যে ফিরে এসো চাকা তাঁকে সবচেয়ে বেশি খ্যাতি দিয়েছে। জ্যোতির্ময় দত্ত একে 'গুপ্ত ক্লাসিক'বলেছেন। এর নামহীন কবিতাগুলি সংখ্যাক্রমে চিন্হিত, নীচে তারিখ দেওয়া। 'মানুষ নিকটে গেলে প্রকৃত সারসে উড়ে যায়', প্রবাদসম এই পঙক্তি সেই বইয়েরই। মৌলিক প্রতিমা নির্মান, বিশিষ্ট অন্বয় এবং ভাবের ও আবেগের তীব্রতা ও নিবিড়তা তাঁর কবিতাকে স্বাতন্ত্র্য দিয়েছে। অল্পস্বল্প প্রবন্ধও লিখেছেন, পাশাপাশি কিছু অনুবাদগ্রন্থও। রুশ ভাষা লিখেছিলেন যা অনুবাদের কাজে লেগেছে। জীবনানন্দের কবিতার কথা যেমন তরুণ কবিদের শিক্ষা ও প্রেরনা দেয়, বিনয়ের নির্বাচিত প্রবন্ধও তেমনি হয়ে উঠতে পারত, যদি আরও একটু যত্নের সঙ্গে সংকলিত হত। ইন্ঞ্জিনিয়ারিং পেশা ত্যাগ করলেও, বিজ্ঞানের শিক্ষাকে ভোলেননি। তাঁর চোখে, 'গণিত ও কবিতা একই জিনিস'। আমৃত্যু গণিত ও কবিতার দ্বারা তাড়িত। মৃত্যু: ২০০৬ সালে।
জন্ম: ১৯৩৪ সালে বর্মার তেডো শহরে। পঞ্চাশের দশকের কিংবদন্তি কবি। পেশায় ইঞ্জিনিয়ার হয়েও সারাজীবন কাটিয়েছেন কবিতার সাধনায়। অকৃতদার এই কবির শেষ জীবন বড়ো দুঃখের, অসুখে-নিঃসঙ্গতায়। মৃত্যুর বছর খানেক আগে তাঁকে দুটি বড়ো পুরুষ্কার-রবীন্দ্র পুরুষ্কার এবং একাদেমি পুরুষ্কার দেওয়ায় জাতির বিবেক যেন কিছুটা শান্তি পায়। ষাটের দশকেরপরে অসুস্হতার জন্য কবিতা লেখা কমে গিয়েছিল। মোট কাব্যগ্রন্থ কুড়ির কাছাকাছি, যার মধ্যে ফিরে এসো চাকা তাঁকে সবচেয়ে বেশি খ্যাতি দিয়েছে। জ্যোতির্ময় দত্ত একে 'গুপ্ত ক্লাসিক'বলেছেন। এর নামহীন কবিতাগুলি সংখ্যাক্রমে চিন্হিত, নীচে তারিখ দেওয়া। 'মানুষ নিকটে গেলে প্রকৃত সারসে উড়ে যায়', প্রবাদসম এই পঙক্তি সেই বইয়েরই। মৌলিক প্রতিমা নির্মান, বিশিষ্ট অন্বয় এবং ভাবের ও আবেগের তীব্রতা ও নিবিড়তা তাঁর কবিতাকে স্বাতন্ত্র্য দিয়েছে। অল্পস্বল্প প্রবন্ধও লিখেছেন, পাশাপাশি কিছু অনুবাদগ্রন্থও। রুশ ভাষা লিখেছিলেন যা অনুবাদের কাজে লেগেছে। জীবনানন্দের কবিতার কথা যেমন তরুণ কবিদের শিক্ষা ও প্রেরনা দেয়, বিনয়ের নির্বাচিত প্রবন্ধও তেমনি হয়ে উঠতে পারত, যদি আরও একটু যত্নের সঙ্গে সংকলিত হত। ইন্ঞ্জিনিয়ারিং পেশা ত্যাগ করলেও, বিজ্ঞানের শিক্ষাকে ভোলেননি। তাঁর চোখে, 'গণিত ও কবিতা একই জিনিস'। আমৃত্যু গণিত ও কবিতার দ্বারা তাড়িত। মৃত্যু: ২০০৬ সালে।