পরস্পর
ফরহাদ মাজহার
এত কাছে পরস্পর তোমার রক্তের গন্ধ পেয়ে যাচ্ছি দারুণ শীৎকার
এতোটা নিকটবর্তী, দোঁহের শরীর দোঁহে পাচ্ছি, কিন্তু হারাচ্ছি আবার।
এত্তো এত্তো আকর্ষণ! ফর্শা জলে বিকর্ষণ গলে নুন স্ফটিক মধুর
পান করো তরল এ হলাহল, হে অনন্ত রতিহর্ষ! হে অমর প্রেমের ঠাকুর।
দুর্দান্ত সহবাস। বাতাসে অগ্নির শ্বাস, ঘেমে যাচ্ছি বারবার গ্রীষ্মের সন্ধ্যায়
বেহেশতি বাগান থেকে সুপুষ্ট গন্দম খেয়ে সদ্য যেন ফিরেছি ধরায়।
এই রাত সাগুদানা, নখের আঁচড় বসে কামাতুর বক্ষে পিঠে মুখে
তোমার খুরের শব্দ শুনি হে ঘোড়সওয়ার, হও সওয়ার নগ্ন বুকে।
শাওয়াল, তোমার চাঁদ আজ যেন প্রেমের প্রাসাদ ঘিরে বসায় পাহারা
সিংহ দ্বারে সিংহী থাক, চরম শৃঙ্গার কালে নগ্ন হয়ে হবো দিশেহারা।
ছিঁড়েছি তোমারও কোর্তা। সহসা দুর্নিবার উভয়েই আবিষ্কার করেছি
প্রেমে কোন লিঙ্গ নেই, আমরা উলঙ্গ, আহ্, আমরা কতো নির্লজ্জ হয়েছি!
অনাদির শৃঙ্গার ব্রহ্মাণ্ডে টংকার, বাজিতেছে বিবাহের কামার্ত সানাই
হে শমন, আমাকে করো গ্রহণ, যার দেহ তার ঋত শোধ করে যাই।
এই বুঝি দণ্ড খানেকের সন্ধি, মহাযোগ, হত্যার মুহূর্ত, ওগো প্রভু
রক্তে ভিজিয়ে দাও আরশ ও সমূহ সৃষ্টি, আপত্তি করেছি কি কভু?
কামুক হরিণী আমি, নিত্যদিন কামাবেশে তোমাকেই করেছি ভজনা
হে ব্যাধ, তোমার তীর সিধা এসে বিঁধুক এ বক্ষস্থলে এই তো কামনা!
এই যদি তুমি তবে হে অধরা, মাসুম বালিকাটির সঙ্গে শেষ রাতে
মুখোশ বিসর্জন দিও, সত্য সে জানুক, তার কাবিন হয়েছে কার সাথে!