ব্রাত্য রাইসুর কবিতা



মায়ের জীবন
.
যে কোনো জীবন থেকে অন্য জীবনের
জানালার পাশে আমরা ভেসে থাকব বলে এই ছদ্ম রূপ
পাখির জীবন
ধরে আছি;
মানুষেরই বেঁচে থাকা দেখব বলে
মৃত সন্তানের পাশে দেখি আমরা মৃত্যুর অধিক—
কোনো মায়ের জীবন।
২৬/৪/২০১৬
.
.
.
এরা দুইজন 
.
বৃষ্টি হলে কাঁঠাল তলায়
এরা দুইজন
কাঁঠালের ঝরা পাতা
পা মাড়িয়ে যায়
আর
ভিজা মাটি আবার শুকায়।
১৬/৮/২০১১
.
.
.
জটিল বিড়াল
(লুনা রুশদীকে)
.
বিড়ালের জন্যে নাই অন্য বিড়ালেরা
কেবল মানুষ
ভালবাসা দিতে চায়
অভাব দানের মত
বিড়াল কি নিঃসঙ্গতা তোমার নিবে না
গৃহস্থ বাসায় থাকবে
পাড়ার রাস্তায় ঘুরবে
ছাদের উপর থেকে লাফ দিয়ে
অন্য কোনো ছাদে নামবে
গাছের মালিক আছে
সব এমন গাছের নিচে হাঁটতে যাবে
দুপুর বেলায়
দুপুরে গাছের নিচে বিড়ালের
আনোগোনা করতে যাওয়া
তুমি কি আজ্ঞা করো
প্রভু তুমি
কিংবা যদি অনুমতি ছাড়াই বলে
'মিউ'
বিড়ালের ঘটাহীন প্রাত্যহিকতার মূল্য
তোমাকে কি প্রতিষ্ঠিত রাখে
তুমি খুব বিড়ালকে ভালবাসো, তাই?
কিন্তু ধরো,
যখন থাকতে না হবে
বিড়াল কি তখন থাকবে না
তোমার পায়ের কাছে
মানব পায়ের
সম্মতি ব্যাসার্ধ জুড়ে
ঘুরতে ঘুরতে আসবে যাবে
অবসন্ন সভ্যতার ঘরমুখী নিতান্ত বিড়াল
একাকিনী একটি একা ফাঁকা সাদা সমাজ বিড়াল
নিতান্ত ময়লাই
তোমার বাসায় থাকবে
দরজা দিয়ে বের হবে
যেন সিংহী
পাশের বনেই যাচ্ছে
অনুমতি তুমি কি দিবে না
নাকি বন নাই
পাশে কোনো বন নাই
পাড়ার পাশেই কোনো বন নাই
পৃথিবীতে কোনো বন নাই
কোথায় জন্ম লয়
তবে এত সুগোছালো জটিল বিড়াল
কোনো বিড়ালেরই
মানুষের মন খারাপের দিনে
কোনো বন নাই, কেবল বিড়াল
বিড়ালের সাড়ম্বর উপস্থিতি হয়ে
বিড়াল সমাজ হয়ে
দেখা দেয়,
বিড়ালের কোথায় সমাজ,
বিড়ালের জন্যে সেই কোথায় বিড়াল,
যারা সামনে বসে কথা বলবে
চেয়ারে সানন্দে বসবে
বলবে, তুমি কেমন আছো লুনা
তারপর হ্যান্ডশেক করবে
বিড়ালের সিংহহৃদয়
ছোট থাবা স্পর্শ করে
তুমি খুব বুঝতে পারো বুঝি
নাকি শুধু খাদ্য দান করে যাও
পাত্র খুলে
যেমন সন্তান পালে
গরু ও মানুষগুলি
খাওয়া দেয়
ঘুম পাড়ায়
সন্তান ঘুমালে পরে
চুপ চুপ যৌনকর্ম করে
থাকে পাশে বক্রহাসি কুটিল বিড়াল
সভ্যতার মুখোমুখি বালিশের পার্শ্বে থাকা
প্রায় গোল তুলার বালিশ
নাকি ইনি আসল বিড়াল?
৩০/৭/২০১৭
.
.
.

বরিশাল
.
ঘাসের দায়িত্ব আছে
সবুজ বিহনে
কেবা ঘাস
কারা তাকায় জানলাপথে ভক্তিভরে
তাই মাঠে জন্ম লয় ঘাস
প্রথমে হলুদ নাকি, সবুজও তো
মারা গেল খয়েরি শালিখ
তার অক্টোবর দুই-এ, সাল দু হাজার দুই শ সাতাশ
যেন মৃত্যু পদত্যাগ
ঘাসের সবুজে
শালিখের শুয়ে থাকা
নতুন আরম্ভ
কোনো বাংলা কবিতার
তাই ভাববে বলে ভাব করে
কবিতা লেখার খাতা হাতে নিল নবীন যুবতী
নাম নিল জীবনানন্দের
যাবে বরিশালে
বরিশাল, তুমি তো অনেক নাম
যারা যায়
কবির ব্যর্থতাসহ
লঞ্চে যেতে হয়
সঙ্গে বিষণ্নতা
নিজের শরীর
অথবা সবুজ বুঝি ঘাসের মতই
কোনো সদ্য বরিশাল
দেখা দিল কলকাতায়
অশেষ মুগ্ধতাসহ
এই তো কবিতা
যারে না পায় সঠিক লাগে, সৎ বর্ণনায়
ততদিন
পাখির মতই দিন
যেন সকল একাকী পাখি
একা ওড়ে
ওড়াই কবিতা
সঙ্গে আরো কত একা পাখি
একা থাকে, একা মানে পাখি
মানে, পাখিই কবিতা
হঠাৎ বিচ্ছিন্ন হয়, উড়ে যায়
দাঁড়ে বসে, কার্নিশ বা ছাদে
ঝুপ করে এক খণ্ড বিষণ্নতা
নেমে আসে
লঞ্চে, কোনো বরিশালে, কলকাতার
সদর রাস্তায়
নামে তাই পাখিই কবিতা
যেন বিষণ্নতা
যেন কবি অবতীর্ণ
পাখি নামে
বিষণ্নতা নামে
তাই পত্র মানে পাখা মানে
পাখি মানে ওড়া তাই
যে ওড়ে সে কবি
তাই সকল মানুষ
চিরদিন কবি হতে চায়
তাই একটি নবীন নারী
একটি পানির উর্ধ্বে ধাবমান
জলযানে
রেলিংয়ের একলা পার্শ্বে
সবুজ ঘাসের মত গ্রাম দেখে
দূরে দেখে
দূরে তাই ভাবছে কবিতা
মানে ভাবছে কবিতা মানে
বরিশাল, শালিখতা, বিষণ্নতা,
নির্জনতা, টির্জনতা,
ক্ষুধাই কবিতা
কোনো মলিন গলিতে
রেস্টুরেন্টে মলিন খাবার আর ম্লান মানুষের
তালিকা সমৃদ্ধ খাতা
বর্ণনাও আছে
বর্ণনার সক্ষমতা কবিতা আকারে
দেখা দেয়
সূর্যের নিচেই হাঁটে পৃথিবীর সম্ভাব্য কবিরা
যেন ভাষ্য আছে, ভাষা নাই
ভাষা আসবে দূর থেকে
নারীর জানলা থেকে
সন্তানবিহীন কোনো ঘাসের গর্ভ থেকে
দাঁড়ি, কমা, ভবিষ্যৎসহ
তাই অসংখ্য গ্যাজেট আর ব্যাকপ্যাক
পানিতে ফেলবে বলে
যেন এক কবির অধ্যাত্মবাদ
সরলতা নাম নিয়ে
দেখা দিল নির্দয় কেবিনে
হায়, কারো দেখা পায় না কবিরা
কোনো বর্ণনাই
সে বর্ণনা নয়
যেন ভোর ভোর নয়
তবু পরস্ত্রী ঢোকার মত
দরজা দিয়ে ভোর দেখা গেল
নগ্ন ও হলুদ কোমল কোনো ঘাস
যেন কোনো বিশাল গোপন
টেবিলের অন্য প্রান্তে বসে আছে
প্রেম নেই, অশেষ জিজ্ঞাসা আছে
তরুণী কবির—
৬/৬/২০১৭
.

.

.

নদীর কিনারায়
.
আবার কি আমরা মরব না আমরা
আরেকটি বার
দুয়ারে দাঁড়ায়ে বিদায় নেওয়ার
সুযোগ ছাড়াই
চলে যাব যার চিহ্নই নাই
সে জায়গায়
যাব না সেথায় ভাই আমার,
সেই একটি মাত্র
নদীর ধার?
যেখানে কোনোই আলো আর নাই
অন্ধকারেই অন্ধকার
একটি মাত্র দুনিয়াদারির
আগে কি আমরা ছিলাম নাই
সেখানে আমরা?
সেখানে আমরা ফিরব না আর?
কোথায় ছিলাম
মনে কি নাই?
কিন্তু আমরা
সেখান থেকে আসি কি নাই?
ঘাসের ওপরে পা রাখবার
জন্যেই বুঝি
বিধাতা দিলেন ঘাসের ধার
এ পারাবার
এখানে আমরা করার কিছুই ছিলই নাই
দেখার জন্যে দেখতে থাকার
পৃথিবীভার
করার জন্যে করতে থাকার
না করা আর
ছিল ঘুম নামে না ঘুম এবং
ঘটনারাশির
স্বপ্ন নামের অত্যাচার
ক্লান্ত আমরা ক্লান্ত আমরা
হাজার বার
ক্লান্ত আমরা আবার ফিরব অন্ধকার
কোথায় তুমি আমার ভাই,
ও ভাই আমার?
২.
আমি ভাইয়ের হাত ধরলাম
ভাই জানে না এমন কিছু নাই
হাতের মর্ম হাতেই আছে
ভাই জানাইলেন তাই
যখন গাছ হইতে ফুল ছিঁড়লেন
গভীর নরম হাতে
সেই ফুল রাখলেন কত
আদর করে
যেন কোনো ছোট্ট মৃতদেহ
কোনো ছোট্ট মানুষের
ভেসে যাচ্ছে
ছোট্ট নদীর বাঁকে
আমি অবাক হইলাম
চেয়ে রইলাম
কানতে বসলাম
ভাইয়ের চরণপাতে
যেন একটি মাত্র দুনিয়াদারির
আগে যে আমরা ছিলাম নাই
সেখানে আমরা ফিরেই যাচ্ছি বারংবার
আমার ভাই,
ও ভাই আমার!
৩.
কেন নদীর ধারে গেলাম আমরা
পা রাখলাম
করুণ জলস্রোতে?
কেন ফুলের মরণ ঘটার শেষে
পানির মধ্যে
রাখতেই হবে পা!
আমার জানার ছোট্ট ইচ্ছা
ছোট্ট বুকে
অল্প একটু ছিল
ভাই তা জানেন
কিন্তু বলেন নাই
আমার জীবন এমন তবেই যাবে
না জানতে না জানতে?
জানলে কী হয়
জানলে কেন জানতে হয় না
ভাইকে আমি জিজ্ঞেসও করলাম
গোপন কথা জানতে চাওয়ার মত
কানের মধ্যে কান আর
দেহের মধ্যে দেহ
কারুর জন্যে রয় না পড়ে কেহ
আমার জন্যে আমি
আমার ভাইয়ের আমি বোন
যখন সকল সংগোপন
আমরা এই দুনিয়ায়
আমরা এই দুনিয়ায় ছিলাম কি কোনো দিন
আমরা এই দুনিয়ায় ছিলাম না কোনো দিন
এখন আসছি যখন দেখতে পেলাম
আরো না কতই লোকে
একই উদর হইতে আসা
একেক পরিবার
অন্য সবার থেকেই নাকি
আলাদা তারা থাকে
আলাদা ঘর
আলাদা বাঁচা
আলাদা নিজ নিজ
এখানে এসে দেখতে পেলাম
কত কিছুই আছে
কেবল আমরা মাত্র নাই
এখন যখন কোনো কিছুই নাই
যখন আবার আমরা মরতে আছি
আরেক বারের মত
তখন আবার কোনো বাঁচাই যখন নাই
তখন মরতে গেলাম নদীর পাড়ে তাই
আমি ভাইয়ের কোলে মাথা রাখলাম
হাত রাখারই মত
ভাই জানাইলেন হাতের মর্ম
হাতের মধ্যে নাই
তাই তে নদীর মধ্যে যাই
আমরা নদীর পানির মধ্যে
আমরা পানির মধ্যে যাই
আমরা গাছের জন্যে কাঁদব বলে বনের মধ্যে যাই
আমরা পথ হারানোর আশায় ঘরেই
পথ হারাতে চাই
এবং
চাওয়ার শুরু যখন ঘটে
চাওয়ার মরণ তাই
৪.
কত ধুলার মধ্যে
পড়েই ছিলাম আমি
কত অনেকগুলি বছর আমার
কিছুই তো আর
জানার ছিলই নাই
তারপর তারা শিক্ষা দিলেন
বললেন আমি শিশু
আমার বুঝতে পারা নাই
আমার আমার মধ্যে ঢুকতে পারার
তখন অনেক অনেক দিন
আমি মাটির মধ্যে
থাকতে হবে
হামাগুড়ি দিতে হবে
আমার অনেক শিক্ষা অনেক ঋণ
তারপর বড় হব
তারপর আমার বড় হতে হবে
যথা
হাঁটতে হবে সামনের দিকে
কথা বলার পরে
মুখ বন্ধ রাখতে হবে
সবাই বলে তাই
৫.
অথচ আমি একাকী ছিলাম
যখন ছোট্ট ছিলাম
আমি কত ছোটই থাকতে ছিলাম
যখন শিখতে থাকতে ছিলাম
শিখতে থাকতে ছিলাম যত
দুনিয়াতে থাকতে থাকার নিরানন্দগুলি
কত থাকতে থাকা
কত চারদিকেই ঘুরতে থাকত
সকল চারিদিক
এখন সে সব নাই
এখন সে সব ঘুরতে থাকার
নীরব অবসান
এখন আবার
মরার কথা আরেক বারের মত
নতুন জন্ম নেওয়ার মত
মৃত্যুবরণের
আশায় আমরা বসেই আছি
নদীর কিনারায়
হায় নদীর কিনারায়!
ব্রাত্য রাইসু ২৭/৭/২০১৭
.
.
.
বড়লোকদের সঙ্গে আমি মিশতে চাই 
.
যদি রুচিশীল তবু বড়লোক--এরকমই ভালো লাগে
ফরসা হলে বেশি। লুঙ্গি পরে না। কথা বলে স্পষ্ট ভাষায়
আমি তাদের সঙ্গে গিয়ে মিশতে চাই।
সকালে দৌড়ায়। আমি তাদের সঙ্গে গিয়ে দৌড় দেব
ধানমণ্ডি লেকের পাশে বাড়ি--
করতে পারব না কোনোদিন যারা ধানমণ্ডি লেকের পাশে বাড়ি
করেছেন, তাদের বারান্দায় গিয়ে বসে থাকব--
ছাদ থেকে লেক দেখব। লেকও আমাকে দেখবে--
সবাই বসতে দিতে রাজি তো হবে না
বিশেষত যাদের ড্রয়িংরুম বেশি বড়, লম্বা বেশি, সোফা বেশি
যাদের ড্রয়িংরুমে বসবার যোগ্যতা আমার নাই, হয় নাই, হবে নাই
তাদের বেডরুম কেমন তাতো কোনোদিন জানাই হবে না।
তবু বড়লোকদের বেডরুম না দেখেই মৃত্যু হলে সেটা খুব
অত্যন্ত খারাপ হবে। এমন মৃত্যু আমি চাই না তো।
পারি যদি একটি পছন্দসই বড়লোক বেডরুম সঙ্গে লয়ে
মারা যেতে চাই।
যদি মারা না গেলাম তবে বসে থাকতে চাই সেই বেডরুমে
তারা যদি বলে তবে সারাদিনই। কিন্তু যেদিনই ওদের বাড়ি যাবো
মানে যাই যাই, ওরা বলে বিদেশ থিকা এমেরিকা থিকা ওদের দুই মেয়ে
দুইশ বছর পর আসতেছে, তাই এখন যাওয়া যাবে না--
পরে যাওয়া যাবে ওদের বাসায়।
বড়লোকদের সঙ্গে যৌন সঙ্গম ছাড়াই তবে এ জীবন যাবে!
তবে এইটা ঠিক যে, বড়লোকদের সঙ্গে পরিচয় হওয়াও কঠিন আছে।
ইংরেজি শিখতে হবে; নিজেকেও হইতে হবে অন্তত অর্ধেক, বড়লোক।
তবু আমি, তবু আমি মিশতে চাই বড় বড় লোকদের সাথে।
ওদের সঙ্গে যাব লং ড্রাইভে, জোরে দরজা গাড়ির
বন্ধ করলে ওরা হাসবে
তাতে আমি দরজা খুলে আস্তে করে লাগাব আবার দরজা যেন মোম
যেন আমি গাড়ি থেকে নামব আবার
যেন এই গাড়িই আমার বাড়ি, ভাড়া নিছি বড়লোক আব্বাজান থেকে।
ওদের ড্রয়িংরুমে বসে থাকব, হেসে থাকব, কার্পেটের উপ্রে
জুতা নিয়া বইসা থাকব, যতক্ষণ না খেতে ডাকে।
ডাকলে গিয়া খাব। যে ভাবে ওরাও খায়। ওরা কি চাবায়?
নিচের তলায়, চাকরেরা খাবার সাজায়।
ওদের বাসায় কত কার্পেট, বনমালি, লম্বা বাসা, লম্বা ঘাস, সামনে বাগান।
চাকর অনেকগুলি, যেন ফুল ফুটে আছে, ভোর থেকে রান্নাবাড়া করে।
খায় না কিছুই।
বড়লোকদের সঙ্গে থাকে, নিয়মিত বড়লোক দ্যাখে তাই
কিছুই খাইতে হয় না। বেহেশতেই আছে।
বড়লোকদের বাচ্চাগুলি মোটা মোটা। ভাজা মুরগী খায়।
সাঁতরায়। বিনয়ের অবতার। বিকালবেলায়--
আমার তো ভালো লাগে এইসব। যত বেশি তত।
তবে বড়লোকদেরও শুনছি আব্বা আম্মা মারা যায়
ওরা তাতে অল্প অল্প কাঁদে।
বেশি দুঃখ পায় তাই কান্দে অল্প হাসে বেশি মদ খায়
আব্বা মারা গেলে।
ওদের সঙ্গে আমি মদ খাব। কান্তে হলে কানব।
বন্ধুর দুঃখে যদি না কান্দি তাইলে...ওরা আমাকে বাড্ডা পর্যন্তআগায় দিছে
টয়টা গাড়িতে।
ওরা হাসে, 'তোমরা বুঝি গুলশানে থাকো!'
আমি বলি, 'তাই।' ওরা বলে গুডবাই--
আমি ওদেরকে ভালোবাসি--আই লাভ ইউ।
বড়লোকদের কুত্তা আর মেয়েগুলি মাখন খায়
তাই ওরা খুব সুন্দর
আমি ওদেরকে বিয়ে করতে চাই।
রচনা: 10/2/2002



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন