প্রলেতারিয়েত কবিতা

প্রলেতারিয়েত

      সজল আহমেদ


১.
বাবাকে একটা চশমা কিনে দেবো বলে বের হয়ে শুনি দোকান থেকে সমগ্র কমদামী চশমা চুরি হয়ে গ্যাছে! কে বা কারা চুরি করে নিয়ে গ্যালো এ জন্য কোন থানা পুলিশ হবে না। সাংবাদিক সম্মেলন হবে না কোন মিটিং হবে না, মিছিল হবে না। ফেসবুকে কোন স্ট্যাটাস, ইভেন্ট কিংবা গ্রুপ খোলা হবে না প্রতিবাদস্বরূপ। সরকার থেকে কোন পদক্ষেপ ও নেয়া হবেনা চোর ধরতে।
২.
 পৃথিবীতে দুই রকমের চুরি আছে!
যথাযথ চুরি
আর
অবৈধ চুরি।
যথাযথ চুরিটি প্রলেতারিয়েত করে এলিটের ঘরে তাঁর জমানো সম্পদের হিস্যা করতে। বাকি চুরিটি অর্থ দিয়ে এলিট শ্রেণীরা করে। এলিটরা কমদামী চশমাগুলোকে সব বাজার থেকে চুরি করে নিয়েছে অধিক মুনফার আশায়।
 আমি চশমা কিনতে গিয়ে বাবার কথা মনেকরি। পুরানো চশমাটা হারিয়ে যাওয়ায় বাবা পত্রিকা পড়তে পারছেন না!
৩.
আমার বাবার
প্রতিদিনের রাজনৈতিক পাতাটা দেখা চাই'ই চাই! এরপর উনি বুদ্ধিজীবি হয়ে যান আর আমাকে শেখান কিভাবে টিকে থাকতে হয় বর্তমানের রাজনৈতিক মাঠে। কিভাবে ফাউল করে গোল করতে হয়। কয়েকদিন হলো বাবা আমাকে কিছুই ছবক দিতে পারছেন না! যেহেতু বাবার চশমা হারিয়ে গ্যাছে।
৪.
আমার রাজনীতিজ্ঞ গৃহপালিত বুদ্ধিজীবি মুরব্বি বাবাকে দেখে মায়া হচ্ছিলো বিধায় একটা চশমা কিনতে আমি বের হয়েছিলাম। দোকানে এসে দেখি দোকান থেকে আমার বাবার চশমাটি চুরি হয়ে গেছে! এলিটরা আমার বাবার চশমাটি চুরি করে নিয়ে গেছে।
এখন আমার ইচ্ছে হচ্ছে চিবিয়ে খেয়ে ফেলি সব এলিটের টাকা, গাড়িবাড়ি এবং প্রোপার্টিগুলো সব!



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন