বাঘের বাচ্চা নিয়া খেলা
.
চিড়িয়াখানায় বাঘের বাচ্চা ডাকে
পদ্যে আমার অভিঘাত এসে লাগে
কাব্য খেলছে পদ্যখানার পাশে
হঠাৎ সেখানে বাঘের শিশুরা আসে
পদ্য যখন কাব্যে দিলেন হাঁচি
ব্যাঘ্রের শিশু মাথায় তুলিয়া নাচি
মাথায় তোলার আশকারা পেয়ে সোনা
বাঘছানাগুলা নামতেই চাইছে না
সময়-অসময় বিঘ্ন করিস না তো
বাঘের দামাল অরণ্যে তুই যা তো
হসন্ত
.
একটা স্বপ্ন দেখলাম।
বরিশাল যাইতেছি।
কুয়াশা নাকি মেঘের ভিতর দিয়া
লঞ্চ আগাইতেছে।
বুকে বরফ জমতেছে।
দেখি জীবনানন্দ দাশ।
লাফ দিয়া দিয়া মেঘ ধরতেছে।
আর খাইতেছে!
আমি তাকে বলি, অই মিয়া,
আপ্নে ট্রামে যাইতে পারেন না!
খালি লঞ্চে আইসা ভীড় করেন কেন?
সে বেটা কিছুই শোনে না।
খালি হা করে করে মেঘ খায়!
আমি আবার বলি,
আপ্নের কানে কি হসন্ত হইছে নাকি!
শোনেন না কিছু?
এই যে দুলাভাই!
বউয়ের সাথে আপনার এত সমস্যা কেন?
একটি ফুল একটি কুঁড়ি
ওগো সামনের গোলাপ ফুল,
মাঝের কুঁড়িটি দেখ
তোমারে ইগ্নোর ক’রে
আগে ফুটতে চায় !
ওগো নিমপাতা
সবগুলা ব্যাঙ একটানা
অনেকক্ষণ ডাকে।
তারপর একটু বিরতি দিয়ে
আবার ডাকে।
গ্যা গোঁ ঘাৎ ঘোৎ...
গ্যা গোঁ ঘাৎ ঘোৎ...
আর বিরতির সময়ে
চিঁচিঁ চিঁ কুকরু কুকরু কুকরু...
বিছানায় শুয়ে শুয়ে এই
একঘেয়ে ধ্বনিতে কান পেতে রাখা ছাড়া
আর কোনও অন্যতর বিবাহের সম্ভাবনা নাই।
জানালার পাশের নিমগাছের ফাঁক দিয়ে যে
চিরকালীন চাঁদ উঁকি মারতেছে,
তারও কোনও অন্যতর মোচড়ের উন্মাদনা নাই।
পাশে বউবাচ্চার মুখ।
আমি ভাবি, মানুষ এত নীরবে ঘুমায়!
গুড়ুম গুড়ুম করে মেঘ ডেকে ওঠে।
হঠাৎ বৃষ্টির ছন্দে
টিনের চাল যেন
নাচতে লাগে অন্ধকারে।
জীবনের পিছনে যতগুলা বছর ফেলে আসছি,
সামনে কি ততদিন আছে আর, ওগো নিমপাতা!
এইখানে আর থাকবো না
আমি একবার দেহ পাই রে ফিরে
একবার দেখি নাই
চোখের পানির ক্ষারে অঙ্গ
পড়ছে গ’লে গ’লে
এইখানে আর থাকবো না আর
কোথায় যাব চ’লে
এইখানে আর থাকবো না মা
নেও গো আমায় তুলে
আমি একবার তোমার মুখ দেখি মা
একবার দেখি নাই রে
আমি তোমার অন্ধ ছেলে
দোকানদারী আর করবো না
তোমার মহাজনী-খাতায়
আমার নামটা দেও কেটে মা
আমি এইখানে আর থাকবো না গো, মা