সন্ধ্যা
সন্ধ্যা নামুক
বুক পেতেছি
চোখ পেতেছি
সন্ধ্যা নামুক
ঘাসের বুকে
ঝি ঝি পোকায়
সন্ধ্যা নামুক
সন্ধ্যা নামুক
পাতার ফাঁকে
শিশির ছুঁয়ে
সন্ধ্যা নামুক
পুকুর পাড়ে
শিমুল ডালে
সন্ধ্যা নামুক
সন্ধ্যা নামুক
গোয়াল ঘরে
ঝোপের পাশে
সন্ধ্যা নামুক
মায়ের উঠোন
খড়ির মাচায়
সন্ধ্যা নামুক
সন্ধ্যা নামুক
হাঁসের ছানায়
দীঘির জলে
সন্ধ্যা নামুক
মাগরিবে ওই
আজান জুড়ে
সন্ধ্যা নামুক
সন্ধ্যা নামুক
গোর স্থানের
ঘাসের ওপর
সন্ধ্যা নামুক
পাখির বাসা
বাঁশ বাগানে
সন্ধ্যা নামুক
তোমাকে বিব্রত করি
ভালোবাসার প্রশ্নে
তোমাকে কাছে পাবার প্রশ্নে বিব্রত করি
তীব্র স্রোতে আমার সব ভেসে গেছে জানি
তবুও একটা অবলম্বনের জন্য
কিছুটা আশ্রয় পাবার আশায়
তোমাকে বিব্রত করি
দুটো চোখের ওপর দুটো চোখ
হাতের ওপর হাত টুকু
রাখার জন্য
তোমাকে বিব্রত করি
পড়ন্ত একটা বিকেলের জন্য
একমুঠো শিউলি হাতে ধরিয়ে দেবার জন্য
তোমাকে বিব্রত করি
তোমার নির্ভেজাল হাসি দেখার জন্য
গোপনে বাড়ির পাশে দাঁড়াবার
মৌন সম্মতির জন্য বিব্রত করি
অন্তত একটিবার
তোমার নিঃশাস ছুঁয়ে দেখার জন্য
বুকের খুব নিকটে দাঁড়াবার জন্য বিব্রত করি
একটি নাঘুমানো রাতের জন্য
ভেজা চুল সকালের জন্য বিব্রত করি
একটু অবহেলার জন্য
এক সাগর দুঃখের জন্য
অবশেষ দীর্ঘশ্বাসের জন্য বিব্রত করি।
কোন একদিন
🎗
মরে গেলে
লোকে কিছুদিন সদ্যপ্রয়াত বলে
তারপর আর কিছু বলে না, ভুলে যায়
হয়তো মৃত ব্যক্তি যাপন করতে থাকে অনন্ত অন্ধকার
কিছু লতাগুল্ম, ঘাসফুল
কবরের ওপর কিছু দিনের সংসার পাতে
একটা সময়
কবর নিশ্চিহ্ন হয়ে গেলে
ঘাসফুলের সংসার ভেঙে যায়
লতাগুল্মের শেকর আর বাঁচে না
আর কবরের ওপর গড়ে ওঠে জীবিত মানুষের ঘর।
শিক্ষার্থী
ভাটীর সুর শিখতে এসেছি
জানা থাকলে শেখাও
না হলে পৌঁষের শেষ লাইনে দাঁড়াব
ফাল্গুনের সামনে দিয়ে যেই হেঁটে যাবে
তার কাছেই শিখে নেব শ্রাবণ....
প্রেমের কবিতা
🎗
তোমার চোখ তো আগুন ছাড়া কিছু দেখে না
আমি যতোই ফুল নিয়ে দাঁড়াই
ঘাসফুলের শরীরময় যতো দীর্ঘশ্বাসই আঁকি না কেন
শিশিরের সংসার ভেঙে
আমার চোখে যতো নদীই হোক দৃশ্যমান
তোমার চোখে তো কেবল আগুন ভেসে ওঠে
আমাকে সেই আগুন আঁকড়ে ধরে বলতে হয়
পৃথিবীতে তবু দুঃখের কিছুটা স্থায়ীত্ব আছে
কতো ঘাসফুলের সংসার হয় না সে হিসেব
কার কাছে থাকে। অন্ধকারে ডুবে থাকা আগুন
কার চোখে পড়ে। এমন আগুন কে আর আঁচল
দিয়ে ঢাকে সারা জীবন । কার এতো সময়
কে হায় অদৃশ্যের বুক ফুরে
তুলে আনে বেদনা বৃক্ষের ফল
কোন এক দূর নক্ষত্রের জল...
মন ও কবিতা
🎗
একটি কবিতা হেঁটে গেল সমুদ্রে
তার পিছে মানুষের মন
মানুষের মনই তো, কাঁচের মতন
তাহলে কি সমুদ্র অসীমের বন
অসীমের বুক জুড়ে নীল জলরাশি
মনের ব্যাপ্তি চলে তার পাশাপাশি
কবিতারা ফিরে আসে সমুদ্র হেঁটে
মন চলে চিরকাল সাঁতার কেটে
প্রেম
🎗
কুমড়ো ফুল
তুমি বড় হও
ভোরের শিশিরের কাছে, রোদের কাছে
ঋণী হয়ে বেঁচে থাকো
আর
পতঙ্গের কাছে যেটুকু প্রেম
ভুলে যাও, ভুলে যাও...
অযোগ্যতা
🎗
পৃথিবীতে আমি আর কারো যোগ্য নই।
এখন ফুল এগিয়ে দিলে
লোকজন উপহাস ফিরিয়ে দেয়
গভীরভাবে কারো চোখে আর রাখি না চোখ
অযোগ্যতার প্রতিবিম্ব ভেসে ওঠে
কারো মুখোমুখি দাঁড়াবার সাহস নেই
এতো সব প্রশ্নবিদ্ধ মুখ
যতো বড় দুঃখ
চোখ ততো বেশি শুকায়
একদিন চোখ হয়ে যায় পাথর
তোমরা উপহাস ফিরিয়ে দিলেও
পাথর চোখ আর কাঁদতে পারে না
আসলে পাথরের কান্না বোঝা যায় না
এ ভাবেই, একদিন
আমার ফুল ফুরিয়ে গেলে মনে পড়ে
পৃথিবীতে আমি আর কারো যোগ্য নই
তুমি বোধ হয় ব্যস্ত
🎗
গোটা কয়েক উদ্বৃত্ত বিকেল ছিল
বেশি ভালো না- বিষন্ন
পাপড়ি খসা গোলাপের মতো
এই ধরো, কোনটা বৃষ্টি ভেজা
ঝাউবনের কাছে আত্মহত্যার চিঠি লেখা
জলমগ্ন
কোনটা চারদিক অন্ধকার করে আসা
গুমোট ধরনের
অপ্রত্যশিতভাবে সন্ধ্যা নামার
আগে যেমন হয় আরকি
অল্প কিছু ছিল
তুমি বোধ হয় ব্যস্ত
ঠিকাছে , অন্য কোথাও বেচবো
গোলক
🎗
নিচে থই থই পানি। একটি বক উড়ে যায়।
তারপর মাছের গল্প বলি। পুঁটি মাছ। জলের ভেতর
সংসার পেতে রাখে। জল ফুরায়, সংসারও শেষ হয়।
নিচে থই থই পানি। একটি বক উড়ে যায়।
বকের বাসায় দুটি ছানা, মায়ের ফেরার অপেক্ষায়।
বয়স
কাঁদতে কাঁদতে রাস্তা হাঁটছি
হঠাৎ একটি হাসি কুড়িয়ে পেলাম
কারো হাসি হারিয়ে গেছে তবে!
ফেরত দিতে হবে
ভাবতে ভাবতে কেঁটে গেল একশ বছর
লোকে বয়স জিজ্ঞেস করলে এই গল্পটা বলি।
সংসার ২
🎗
এই তো কিছুদিনের কথা
কুপি জ্বলার তেল ফুরাতো সন্ধ্যা হলে যথা
উনুনভরা আলো
তোমার মুখ চিকচিক করে
তুমি বলতে বাবা ফিরুক
পড়তে বসিস পরে
বাবা ফিরতো যখন
তখন ঘুমিয়ে পড়ার পালা
প্রায় প্রতিদিন ঘুচিয়ে যেতো
এমনি ক্ষুধার জ্বালা
তখন ছোট্ট ছিলাম বড়
একটু ব্যথা পেলেও
আদর করার ছলে ও
জাপটে তুমি ধরো
যত বড়ই হই
সন্ধ্যা হলে খেলতে যাওয়া মানা
তোমার বুকে আমি যেন
ছোট্ট পাখির ছানা
মনে পড়ে মা গো
অভাবি সেই দিনের কথা
ভুলতে পারি না গো
ছোট্ট একটা বুক
তোমার আশায় ছিল ভরা
তাতে সারাজীবন লেগেছিল
চৈত্র মাসের খরা
অন্ধকার ঘরে
যখন একা থাকো তুমি
খেয়াল করে দেখি
তোমার চোখ ছলছল করে
চোখের জলের সাথে
স্বপ্নগুলো ভেসে যাচ্ছে জানি
ইচ্ছে করে একটু সুযোগ পেলে
স্বপ্নগুলো জরো করে আনি
দিন পেরিয়ে গেছে
মা গো
বেলা গড়ার মতো
তোমার বুকে রয়েই গেল
সেই পুরনো ক্ষত
বৃষ্টি বাদল দিনে
তোমার ঘর নড়বড় করে
চোখের আড়াল হলেই
তুমি ডাকতে উঁচু স্বরে
আজ এমন হলো কেন
এক নিমিষেই সকল কিছু
ধ্বংস হলো যেন
ছোট্ট উঠোন জুড়ে
চাঁদের আলো নামে
যেন দুঃসংবাদ ছড়িয়ে আছে
হলুদ হলুদ খামে
গাঢ় সন্ধ্যা নামে
মা গো
বাঁশ ঝাড়ের ফাঁকে
গোধূলিটা কেমন করে বাবার ছবি আঁকে
দূরের তাঁরাগুলো
মা গো
নিভু নিভু জ্বলে
মধ্যেরাতে ডাহুকেরা বাবার কথাই বলে
তুমি তো মা এমন করেই বলো
নিজের সাথে নিজের কথা হলে
প্রদ্বীপ হয়ে নিজেই শুধু জ্বলো
সংসারেতে আমরা আছি ব'লে
এবার আসল কথা বলি
আমি তো মা যাচ্ছি চলে
খেলাধূলার ছলে
ফিরব না কো আর
জানি
এই খেলাটি শেষ হবে না
আসবে প্রতিবার
দুষ্পাঠ্য দুটি চোখ ৫
🎗
যে দুঃখগুলোকে বাবা হেমন্তের মাঠ ভেবে জীবনভর লালন করে গেছেন,
ইমতিয়াজ মাহমুদের কবিতা মতো আমি তার পাশ দিয়ে নির্দিধায় হেঁটে আসি। বাবার দুটো চোখের কাছে পরাজিত হতে হতে আমার সাহস বেড়ে গেছে। এখন আমি তাঁর চোখের বর্ণমালার কাছে দাঁড়াতে পারি। দেখতে পারি সেখানে আমার সমস্ত অপরাধ ও অযোগ্যতা গুলো পরম যত্নে জমা হয়ে আছে। সেখান থেকে অপরাধীর মতো ফিরে আসতে গেলেই
তাঁর কিছু দুঃস্বপ্নের রাত আমায় ঘিরে ধরতে চায়। কিছু বিকেল
যা তাঁর চোখের ওপর আলো ফেলে পেরিয়ে গেছে কতো কতো সন্ধ্যার নদী, দুপুরের বিভৎসতা নিয়ে আমারে প্রশ্ন করে চলে যায়।
বাবাকে বেচে খেয়েছি অনেক দিন, তার দুষ্পাঠ্য দুটি চোখ আর অসহায় দুপুরগুলোকে আমি আর কারো কাছে বেচবো না ভেবে চুপ করে থাকি
পালাই
🎗
পালাতে ইচ্ছে করে।
পালাই পালাই করেও
পালানো হয় না পরে
তবু বিশ্বাস রাখি
একদিন পালাবো
আশায় বসে থাকি
আমার জন্য দাঁড়িয়ে থাকবে পথ
পথের পাশে দাঁড়িয়ে থাকবে নদী
নদীর পাশে দাঁড়িয়ে থাকবে গ্রাম
আমি পালাবো
ঘোর সন্ধ্যার পরে
পাখি ডাকার স্বরে
পালাতে পালাতে হারিয়ে যাবে পথ
পথ হারিয়েই হারিয়ে যাবে নদী
নদীর পরেই লুকিয়ে যাবে গ্রাম
আমি পালাবোই ধরাধাম
এপিটাফ
🎗
সন্ধ্যার খাতায় দু ফোঁটা অশ্রু লিখে বললাম
আমার কলমে আর কালি নেই গো
আজ আর নয়, আমি চললাম
ঠিক তারপর আমার কবরের পাশে নদী এসে দাঁড়ালো
সেখানে বোধহয় জলের অক্ষর অনেক অশ্রুময়
আহা! নদীগুলো এইখানে মহৎ হৃদয়...
যে দৃশ্য দেখার আগে অন্ধ হতে চাইতাম
🎗
বইগুলো বাবার ঘরে রাখা। কুরিয়ার করার জন্য আজ সারাদিন প্যাকেট করলাম। ও ঘরে খুব দরকার না হলে ঢুকি না। বাবা মারা যাবার পর ঘরময় অন্ধকার খেলা করে। ঘরভর্তি শূন্যতা।
হঠাৎ ঘরে ঢুকে দেখি অন্ধকারে মা বসে আছে। দরজা খুলতে যতটুকু আলো ঢোকে তাতে মায়ের চোখ দুটো চিকচিক করে ওঠে। মুখমন্ডলের ওপর যেন বৃষ্টি হয়ে গেছে।
না বোঝার ভান করে জিজ্ঞেস করি, " অন্ধকারে বসে কি করো?"
মা উচ্চস্বরে কেঁদেই ফেললেন, বললেন, " তোর পেট ব্যথা করে সারাদিন, মোক কস না, তাই না?"
বললাম, ভালো মানুষেরও তো পেট ব্যথা হয়, এটা নিয়ে টেনশনে কি আছে শুনি?
আমি রুম থেকে বের হই। মা সাথে সাথে আসে আর এটা সেটা জিজ্ঞেস করতে থাকে। আমি নিরুপায় হয়ে দুধেল গাভীটা নিয়ে মাঠের দিকে রওনা দেই।
ফেরার জন্য হয়তো
🎗
হঠাৎ বৃষ্টিতে ভিজে ওঠা ঝাউবনের সাথে
দুটো কথা বলে ফিরে আসা যায়
এমন সন্ধ্যায়
অনতিদূর খুব কষ্টে থাকা প্রিয়জনের কথা মনে করে
বুকের ওপর ভারী পাথর চেপে
পিচ্ছিল পথ বেয়ে ফিরে আসি
তারপর চারপাশে ঘিরে ধরা কুয়াশার মত স্ফটিক
ব্যঙ্গ করতে এলে জিজ্ঞেস করি
আমাকে শেখাও তো,
কুয়াশার শরীর দিয়ে ঢেকে রাখা
ব্যথার কঠিনতম তরল,
মানুষের চোখ বেয়ে নেমে যাবার কৌশল
হিম হয়ে আসা পায়ের পাতা
ভেজা ঘাসের ওপর ছাপানো সন্তর্পণ
মানুষের হৃদয়ের মতো সুক্ষ্ম দূরত্বের দুপাশে
যোজন যোজন কি বিন্যাস ধরে রাখে
আমি কি তার অধিক ব্যথার বিন্যাস ভাঙি
এইসব বিষয়ে দুটো কথা বলতে
আমার ঝাউবনের কাছে ফিরে আসা হয়
বাবার কবরের পাশে
🎗
বাবার কবরের পাশে কদম গাছে
নিঃসঙ্গ কদম ফুটে থাকে
বুকের খুব কাছ দিয়ে নেমে যায়
ক্ষণিক বাদল ধারা
বাবা,
তোমার কবরের গুমোট অন্ধকারে
ধরে রাখা মহাকাল ফুঁড়ে উঠে বৃক্ষ,
ছায়া ও মেঘ হয়ে যায়
শালিকের আকাশী রঙের ডিমের
খোলস পড়ে থাকে ঘাসে
হালকা ঝড়ের রাতে সন্ধ্যারা জড়ো হয়
আকাশের কোণে খসে পড়া নক্ষত্র
এইসব জঙলী আলাপের ভেতর থেকে
ফসিল সংগ্রহে মেতে ওঠে
তারপর কোন এক প্রতিক্ষার সমুদ্রে
সেইসব গরল ঢেলে কোথায় যে হারায়
বাবা,
তোমার কবরের পাশে কত কি ঘটে
আমার মায়ের দুটো চোখ সারাক্ষণ
ওঁৎ পেতে থাকে...….
চিঠি
চিঠি শেষ হয়ে যায়
আমার প্রসঙ্গ আসে না
তবু তোমার চিঠিতেই
ভরে উঠুক শরতের ডাকবাক্স
আমি না হয় আরো কিছুদিন
উন্মুখ তাকায়া থাকি
প্রতিক্ষায় থাকি
বেনামি সাদা মেঘের মতো চিঠি
মৃদু কালো অক্ষররেখা ধরে
এগিয়ে যায় কোন হিমালয়ে
কার প্রসঙ্গে --
কোন সে ডাকবাক্স তার এতো চেনা
পৃথিবীর সব চিঠি শেষ হয়ে যায়
আমার প্রসঙ্গ আসে না
চোখের অক্ষরে লেখা চিঠি
দীর্ঘশ্বাস জড়ানো চিঠি
কাশফুলহৃদয়ের চিঠি
পেজা তুলোর মতো চিঠি আসে
হলুদ দিগন্তী খামের খোলসে
চিঠির শেষ লাইন এসে যায়
আমার প্রসঙ্গ আসে না
শর্ট প্যান্ট
-------------
শীতের দিনে গ্রামে প্রতিদিন বিকেলে ফুটবল খেলিতাম।
মোটমুটি নিম্ন মাঝারি মানের স্ট্রাইকার হইবার কারণে হাত দুই লাফ মারিয়া মাঝেমধ্যে বল জালে পাঠাইবার চেষ্টা করিতাম।
একদিন গরুর গোস্ত দিয়া ভাত খাইয়া খেলিতে নামিয়া শরীরে খুব শক্তি শক্তি লাগিতেছিল। সেইদিন উপরের দিকে মোটামুটি আখড়াই হাত লাফ দিয়া গোল দিতে যাইয়া দেখি লুঙ্গী খুলিয়া প্যারাসুট হইয়া বাতাসে ভাসিতেছে।
পরবর্তীতে খেলা ভুলিয়া গিয়াছি। শর্ট প্যান্ট পরা ভুলি নাই।।
Tags
আক্তারুজ্জামান লেবু