ইমতিয়াজ মাহমুদ এর কবিতা সংগ্রহ


ইমতিয়াজ মাহমুদ সম্বন্ধে 

১৯৮০ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ঝালকাঠি জেলায় জন্ম ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক। এএফপির বাংলা বিভাগে এক বছর । সাব-এডিটর পদে কাজ করার পর সিভিল সার্ভিসের প্রশাসন ক্যাডারে যোগদান।

প্রথম কবিতা প্রকাশিত হয় পাক্ষিক শৈলী পত্রিকায় ১৯৯৯ সালে।

প্রকাশিত বইঃ অন্ধকারের রোদ্দুরে (২০০০), মৃত্যুর জন্মদাতা (২০০২), সার্কাসের সঙ (২০০৮), মানুষ দেখতে কেমন (২০১০)

প্রকাশিতব্য বইঃ নদীর চোখে পানি ও অন্যান্য কোয়াটরেন, পা হাড় পোড়া শব দে।





 আমেরিকা

প্রিয় আমেরিকা,

আমার বাসার সামনের কাকগুলো

সম্পর্কে আপনি জানতে চেয়েছেন।

এটা ঠিক যে আমার সামান্য অনিদ্রা

আছে। তবে তাতে কাকগুলোর কোনো

অবদান নাই। তারা খুব ভদ্র গোছের

এবং বলতে গেলে ডাকেই না প্রায়।

ইতি

ইমতিয়াজ মাহমুদ


(পুনশ্চ : আপনি যে ঘুমের ওষুধ

পাঠিয়েছেন তা খাবার পর থেকে

আমার ঘুম দেড় ঘন্টা কমে গেছে)।

.

দুই

প্রিয় আমেরিকা,

আপনার পাঠানো নতুন ওষুধগুলো

খাবার পর আমার চোখের পাতা

মাথার দিকে চলে যাচ্ছে। কাকগুলো

এখন আর ডাকছে না। আপনি তাদের

ডাকাডাকি বন্ধ করতে ঈগল পাঠাতে

পারেন শুনে তারা ওয়াদা করেছে

জীবনে আর ডাকবে না। আপনার

ঈগল পাঠানোর কোনো দরকার নাই।

ইতি

ইমতিয়াজ মাহমুদ

.

তিন

প্রিয় আমেরিকা,

আপনি যে ঈগল পাঠিয়েছেন তাকে

আমরা যত্নের সাথে রেখেছি। তিনি

এখন আমার খাটেই ঘুমান। কিভাবে

মেঝেতে ঘুমাতে হয় এ বিষয় তিনি

আমাকে যথাযথ পরামর্শ দিয়েছেন।

ইতি

ইমতিয়াজ মাহমুদ

.

চার

প্রিয় আমেরিকা,

ঈগল আসার পর থেকে কাকগুলো

এখন অনেক বেশি ডাকছে। তাদের

ডাকে পুরো মহল্লায় আর কেউ ঘুমাতে

পারছে না। তবু আমরা ঈগলের যত্নের

কোনো প্রকার ত্রুটি করছি না। আমাদের

ধানক্ষেতের সব ধান তার দখলে আছে।

ওইখান থেকে যৎসামান্য ধান যাতে

আমাদের দেয়া হয়, মহল্লাবাসীর পক্ষ

থেকে তাকে সেই অনুরোধ করা হয়েছে।

ইতি

ইমতিয়াজ মাহমুদ

.

পাঁচ

প্রিয় আমেরিকা,

আমাদের পুরো শহর অনিদ্রা রোগে

আক্রান্ত। কাকগুলো এখন অনেক বেশি

শক্তিশালী হয়েছে। তারাও একটা ঈগলের

অধীনে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। শোনা যাচ্ছে

সেটা দেখতে অবিকল আমাদেরটার মতন।

ইতি

ইমতিয়াজ মাহমুদ


(পুনশ্চ : নতুন ওষুধ খাবার পর আমাদের

চোখগুলো এখন গোরস্থান হয়ে আছে)।


......











Dog


Locality's black dog's name is Ambrose.

If called by this name he feels very enthused.

Wags his tail, gets running, makes many capricious demands

To grab a loaf of bread. At last he gets his bite.

Barks at strangers, attacks every unknown dog,

Enjoys his loaf of bread and gets running.

Gets very saddened by the moonlit night.

From the moon's blackspot he can guess. Guess very well.

—A black dog has got trapped inside the moon.

[Translated by Jewel Mazhar]

.......

........

কুকুর

পাড়ার কালো কুকুরের নাম অ্যামব্রোস। এই নামে ডাকলে

সে খুব উৎসাহ পায়। লেজ নাড়ে। দৌড়ায়। পাউরুটি

খাবার নানান বাহানা করে। পাউরুটি খায়। নতুন মানুষ

দেখলে ঘেউ ঘেউ করে। অচেনা কুকুর দেখলে হামলে পড়ে।

পাউরুটি খায়। দৌড়ায়। পূর্ণিমার রাতে তার খুব মন খারাপ হয়।

চাঁদের কালো দাগ দেখলে সে বুঝতে পারে, খুব বুঝতে

পারে—চাঁদের ভেতর একটা কালো কুকুর আটকা পড়েছে।


.....

ঘর

যাদের ঘর নাই, তাদের ঘরে ফেরার কোন

তাড়া নাই। তবু না ফেরারাও আজ ফিরে

যাবে ফের, না থাকা গ্রামের ঘরে। যার না

থাকা উঠোনে প্রতীক্ষায় আছেন, না থাকা 

এক মা। খুবই সাধাসিধে। না জ্বলা চুলায় 

সেমাই রাঁধবেন তিনি, না ফেরাদের ঈদে।


.......

কাগজের প্রেম

.

চোখ থেকে জল পড়ে জল থেকে যদি

ভেসে ভেসে চলে যাই মাছরাঙা নদী

সেখানে কি পাবো আমি কোন খড়কুটো

পেলে ঠিক ধরে নেবো হাতে একমুঠো।

.

তাকে ধরে চলে যাবো রোদে পোড়া দ্বীপ

হাতে ধরা কুটো আর হাতে ধরা ছিপ

হোক না প্রবাল তলে তরুণীর বাসা

ছিপ গেঁথে তুলে নেবো তার ভালোবাসা।

.

তার আসা তার বসা তার চলাচল

চলে গেলে ভেসে যাবো ভেসে ভেসে জল

জেনে নেবো কে আপন কে আসলে পর

ডুবে যদি যাবো তবু হাতে থাক খড়।

.

কে কোথায় ডুবে যায় কোথায় যে তীর

মাছরাঙা নদীতে সে তরুণী কুমির!

.

জুন/২০০২


.....

ভালোবাসার কবিতা

ধরা যাক সাত জুলাই। গুড়িগুড়ি বৃষ্টি পড়ছে। লোকজন পথ

খালি করে উঠে গেছে। দোকানের সামনের ছাউনিতে। দাঁড়াবার

জন্য আমিও একটা দোকান খুঁজছিলাম। গুড়িগুড়ি বৃষ্টি পড়ছে।

একটা স্টেশনারি দোকান।

ধরা যাক দোকানের সামনে তুমি দাঁড়িয়ে ছিলে। আমি ভাবলাম

মানুষ এত সুন্দর হয় কিভাবে! কী বলে জানি শুরু করেছিলাম?

খুব বৃষ্টি হচ্ছে/এত বৃষ্টি যে কোথা থেকে আসে- এরকম কিছু?

দেড় বছর পর শোনা গেলো তোমার বাবা আমাকে মেনে নেবে

না। আমি তখন মরে যাবার কথা ভাবছিলাম। তুমি ভাবছিলে

পালিয়ে যাবার কথা। আমরা গিয়েছিলাম সুন্দরবন অথবা

রাঙামাটির পাহাড়ে। তোমার বাবা কী মনে করে যেন

আমাদের ফিরিয়ে আনেন। ধরা যাক উনি মেনে নিয়েছিলেন।

বা ধরা যাক সাত জুলাই। গুড়িগুড়ি বৃষ্টি পড়ছে। লোকজন পথ

খালি করে উঠে গেছে। দোকানের সামনের ছাউনিতে। দাঁড়াবার

জন্য আমিও একটা দোকান খুঁজছিলাম। একটা স্টেশনারি দোকান।

ধরা যাক দোকানের সামনে তুমি না—অন্য কেউ দাঁড়িয়ে আছে।

.

(পেন্টাকল/২০১৫)




......



শেরগুচ্ছ আট

.

৭১

সব মানুষই ঘরে ফেরে, অন্য মানুষ হয়ে,

চেনা নদী বদলে যায় সামান্য এক ঢেউয়ে।

.

৭২

যদিও কুৎসিত, তবু কোনো একদিন,

কাঁটার কাছেই ছিল গোলাপের ঋণ!

.

৭৩

কেয়ামতের মুহূর্তে...জন্ম নেয়া শিশু,

চোখ মেলে দেখল, পৃথিবী আর নাই!

.

৭৪

পাখি তো আগেই গেছে, দূরে চলে যাচ্ছে তার ডাকও,

সবাই আমাকে ছেড়ে গেলেও...কবিতা...তুমি থাকো!

.

৭৫

দরজা থেকে ঘরের শুরু--দরজা থেকে পথের,

দুইটি মানুষ দু'দিক যাবে মিল না হলে মতের!

.

৭৬

সবাই মাড়িয়ে যাচ্ছে যাক, মাথা উঁচু রাখো ঘাস

একদিন তোমার কাছেই নেমে আসবে আকাশ।

.

৭৭

আমি এমন ঘামছি, তবু, তুমি যাচ্ছ জানলা দিতে,

আমাদের বাস একই ফ্ল্যাটে—ভিন্ন দুটি শতাব্দীতে।

.

৭৮

আত্মহত্যা না করে সে তোমার কাছে ফিরে

এসেছে—তোমাকে একটি বিকল্প মৃত্যু ভেবে।

.

৭৯

আমি সবকটি পথ ঘুরে

দেখি তুমি সমান দূরে।

.

৮০

পৃথিবীর সব গল্প...বিচ্ছেদের নয়,

নদী মরে গেলে দুই তীর এক হয়!


.......


আত্মজীবনী

আমার বয়স একদিন বাড়লে আমার স্মৃতির

বয়স একুশ দিন কমে যায়। আর এটা এমন

চক্রাকারে হয় যে হ্রাসবৃদ্ধির হারটাও

ভালোমতো মেলানো যায় না।

গতকাল আমার যা যা মনে ছিলো

আজ তার অনেক কিছু ভুলে গেছি।

আকাশে যে তারা থাকে এটা আমার মনে

থাকলেও আমি তাদের উজ্জ্বলতা ভুলে গেছি।

আমার বউ আমাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে

এসেছেন। তার সিরিয়াল পেতে পেতে আমি

প্রধানমন্ত্রীর নাম ভুলে গেছি। ডাক্তার আমাকে

বেশি করে চিনি খেতে বলেছেন।

বাসায় এসে আমি চিনির বদলে

এগারো চামচ লবণ খেয়ে ফেলেছি।

আমার শরীরের বয়স বাড়তে থাকে,

আমার স্মৃতির বয়স কমতে থাকে।

বছর ঘুরতে না ঘুরতে

আমার স্মৃতির বয়স হয় দুই

আর আমার বয়স আটত্রিশ।

আমি আমার বাসার ঠিকানা ভুলে

কোথায় যেন চলে এসেছি,

আমি কোথায় বসে যেন

ভাত খাচ্ছি,

খাওয়া শেষ করার আগেই

আমার স্মৃতি দেড় বছরে নামল,

পানিকে যে পানি নামে ডাকা হয়

আমি তাও ভুলে গেলাম।

এক লোককে বললাম বাম

(দেড় বছর বয়সে মনে হয় আমি

পানিকে বাম বলে ডাকতাম)

লোকটা কী বুঝলো বোঝা গেলো না।

আমি কিছু না বুঝে হাঁটতে শুরু করলাম।

হাঁটতে হাঁটতে নামতে নামতে

হাঁটতে হাঁটতে নামতে নামতে

আমার স্মৃতির বয়স

একদিনে নেমে এলো।

মানুষ এর চেয়ে আর ছোট হতে পারে না।

মানুষ এরপর আর কিছু ভুলতে পারে না।

আমি হাসতে ভুলে গেছি

যাদের দেখে আমি হাসতে শিখেছিলাম

আমি তাদের চেহারা ভুলে গেছি।

আমি ভুলে যাওয়া চেহারাগুলোর কথা ভেবে

কাঁদতে শুরু করলাম

আমি কী এক ভয়ে কাঁদতে থাকলাম।

এটা আমাকে কেউ শিখেয়ে দেয়নি

এটা আমার রক্তের মধ্যে

মিশে ছিলো,

না থাকলে

এই পৃথিবীতে যে আমি কী করতাম!

.

[কালো কৌতুক/২০১৬]


......















যদি

যদি চুরির অভিযোগে এক দুপুরে তোমার চাকরি চলে যায় আর তার পরদিন

হাতে পাও তোমার বউয়ের ডিভোর্স লেটার। পত্রটা পুরো পড়ার আগেই

শোনো মাদক হাতে ধরা পড়েছে তোমার ছেলে। আর তোমার মেয়ের গোপন

ভিডিও ছড়ায়ে পড়েছে পৃথিবীর অন্তর্জালে। যদি তুমি রেললাইনে মরতে

যাও আর রেলগাড়ি তোমার মাথা কাটার বদলে পা দুটো কেটে ফেলে।

যদি লোকজন তোমাকে ধরে শোয়ায়ে রাখে পঙ্গু হাসপাতালে। যদি চোখ

খুলে তুমি দেখতে পাও তোমাকে দেখতে এসেছে তোমার

বউ/ছেলে/মেয়ে। যদি তারা পেয়ারা নিয়ে আসে। যদি সবুজ সে পেয়ারা

পড়ে থাকে টেবিলের উপরে। তখন তুমি ভাবতে পারো, কী সুন্দর সবুজ

পেয়ারা! এমন জীবন কয়টা মানুষইবা পায়? যদি না পেয়ারার অর্ধেকটা

তোমার আগেই ক্ষুধার্ত কোন ইঁদুর খেয়ে যায়!!

.

[পেন্টাকল/২০১৫]



শূন্যস্থান

.

কবিতার দুটি লাইনের মধ্যে এতটুকু শূন্যস্থান রাখতে

হয় যেন তার মধ্যে একটা সূর্য উঠতে পারে আর

সূর্যের আলোয় একটা লোক হকার্স মার্কেটে কমলা

রঙের একটা মশারির দরদাম করতে পারে। দরদাম

শেষ হবার আগেই

এই

কবিতা

পরের

লাইনে

চলে যাবে, যেখানে দেখা যাবে লোকটা তারও পরের

লাইনের মধ্যবর্তী শূন্যস্থানে ছুটছে। কেননা একটু

আগে তার পকেট কাটা গেছে। সে পকেটমারের পেছনে

দৌড়াচ্ছে। আর তার পেছনে দৌড়াচ্ছে আরও দশজন।

(ঐ দশজন অবশ্য তাকেই পকেটমার সন্দেহ করছে!)

দৌড়াতে

দৌড়াতে

লোকটা

একটা ঠেলাগাড়ি, দুইটা ভ্যান আর তিনটা রিক্সা পেছনে

ফেলে এখন একটা বাসের পেছনে পেছনে দৌড়াচ্ছে আর

অবাক ব্যাপার যে বাসটাও তার সামনে সামনে দৌড়াচ্ছে

.

লোক দৌড়াচ্ছে/বাস দৌড়াচ্ছে/লোক দৌড়াচ্ছে/বাস দৌড়াচ্ছে

লোক দৌড়াচ্ছে/বাস দৌড়াচ্ছে/লোক দৌড়াচ্ছে/বাস দৌড়াচ্ছে

লোক দৌড়াচ্ছে/বাস দৌড়াচ্ছে/লোক দৌড়াচ্ছে/বাস দৌড়াচ্ছে

.

এভাবে কবিতা পরের লাইনে গেলে দেখা যায়

ঐ লোকটার চেয়ে

পেছনের দশজন ভালো দৌড়েছিল

আর

পকেট কাটার

অপরাধে লোকটার লাশ ফুটপাতে পড়ে আছে।

তবু তার

দৌড় থামানো যায় না, কেননা

মানুষ জীবনভর নিজের লাশের পেছনে দৌড়ায়,

সে লাশের যত কাছে যায়

লাশ তত দূরে সরে যায়

লোকটা

তাও

দৌড়াতে থাকে। দৌড়াতে দৌড়াতে সে লোকালয়

আর পাহাড় অতিক্রম করে এখন একটা

জঙ্গলের মধ্যে দৌড়াচ্ছে

আর তার সামনে

দৌড়াচ্ছে একটা বাঘ

.

লোক দৌড়াচ্ছে/বাঘ দৌড়াচ্ছে/লোক দৌড়াচ্ছে/বাঘ দৌড়াচ্ছে

লোক দৌড়াচ্ছে/বাঘ দৌড়াচ্ছে/লোক দৌড়াচ্ছে/বাঘ দৌড়াচ্ছে

লোক দৌড়াচ্ছে/বাঘ দৌড়াচ্ছে/লোক দৌড়াচ্ছে/বাঘ দৌড়াচ্ছে

.

কবিতার

পরের

শূন্যস্থানে বাঘ থেমে যায়, আর তার পেছনে

থেমে যায় লাশ। ফলে লোকটা তার লাশটাকে ধরে

ফেলে। আর এখন সে বাঘটাকে অনুরোধ করছে

যেন দয়া করে তার লাশটা খেয়ে ফেলে।

বাঘ বলল ‘কী নাম?’

লোক বলল ‘জামান’

বাঘ বলল ‘জামান, নিজের টাকা চুরি করে

যে লাশ হয় তাকে আমার খাবার রুচি হয় না’

এই বলে বাঘ কবিতায়

মিলিয়ে যায় আর

লোকটা তার লাশ নিয়ে ফের দৌড়ানো শুরু করে,

তার

মাথার উপর দৌড়ায়

শূন্য থেকে বের হয়ে আসা

চাঁদ

.

লোক দৌড়াচ্ছে/চাঁদ দৌড়াচ্ছে/লোক দৌড়াচ্ছে/চাঁদ দৌড়াচ্ছে

লোক দৌড়াচ্ছে/চাঁদ দৌড়াচ্ছে/লোক দৌড়াচ্ছে/চাঁদ দৌড়াচ্ছে

লোক দৌড়াচ্ছে/চাঁদ দৌড়াচ্ছে/লোক দৌড়াচ্ছে/চাঁদ দৌড়াচ্ছে

.

এরপর চাঁদ ডুবে গেলে

কবিতার দুই লাইনের মধ্যবর্তী শূন্যস্থানে সূর্য ওঠে

যার আলোয় লোকটা হকার্স মার্কেটে মশারি কিনতে যায়

আর লাশ হয়ে পুনরায়

এতদূর আসে

(অথচ কবিতার শেষেও থাকে এক দীর্ঘ শূন্যস্থান

যেখানে অনায়াসে একটি কবর রচনা করে

চক্র ভাঙা যায়)

‘জামান?’

‘জ্বি’

আপনার লাশটা ঐ শূন্যস্থানে নামান!’

.

নভেম্বর/২০১৫


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন