সজল আহমেদ এর কবিতা সংগ্রহ ( ২১ টি কবিতা )

  সজল আহমেদ এর বই 


 

বিএন—ইবুক পাবলিকেশন | ২০২০

 

সতর্কতা

এই -বইয়ের সকল কবিতা সজল আহমেদ এর অনুমতি নিয়ে তাঁরই নির্দেশনা মোতাবেক সাঁজানো এই বইটি শুধুমাত্র www.bdboimatra.com এর নিজস্ব সম্পত্তি এই ওয়েবসাইট কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত বানিজ্যিক ভাবে কোথাও আপলোড দেয়া যাবেনা আমরা কবির কাছ থেকে এই কবিতাগুলোর সকল সত্ত পারচেসড করেছি  এমনকি তিনি নিজেই বইয়ের প্রচ্ছদ করে আমাদের সাহায্য করেছেন৷ বর্গীয় শব্দে যাদের ঘোর আপত্তি আমাদের অনুরোধ থাকবে তাঁরা যেন বইটি এড়িয়ে যান৷ আর হ্যাঁ, এখানে সাঁজানো কবিতাগুলো পড়তে হলে আপনার ১৮+ বয়স হওয়া বাধ্যগত আশাকরি পাঠক বইটি পড়বেন আর পলিটিক্যাল মোকিংগুলো উপভোগ করবেন৷

রাতুল হাসান, নথুল্লাবাদ, বরিশাল

 





সজল আহমেদ কবিতা লেখার চেষ্টা করেন৷ এর বাইরে তাঁর পরিচয় একজন কুখ্যাত ইউটিবার হিসেবে৷ থাকছেন বরিশালের বাকেরগঞ্জ থানার এক গ্রাম আতাকাঠীতে। তাঁর মতে এই গ্রামের সঙ্গে মিশ্রিত তাঁর তেরোটি বছর৷ এই গ্রামই তাঁর কবিতা লেখার জন্য দায়ী। সজল আহমেদ এর জন্ম হয়েছিলো ২২ শে জুন পটুয়াখালী জেলার সুবিদখালী এক মফস্বলে, ওখানে কেটেছে শৈশবের নয় বছর। এরপর পিতার রিটায়ার্ডের পর চলে আসেন পৈতৃক ভিটায় যেখানে হয়েছেন তিনি যুবক! পড়ছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাধীন কলেজে স্নাতক তৃতীয় বর্ষে।  টগবগে ২৩ বছরের এই যুবক তাঁর গ্রামের ছোটদের সবচেয়ে ভালোবাসার মানুষ, আড্ডায় ও মাতেন ওদের সাথেই। আর এভাবেই চলে যাচ্ছে তাঁর সময়.....  তাঁর মতে, কবিতাগুলো নেহাৎ দূর্ঘটনার ফসল তাঁর। 


গাফ 

পাহাড় কেটেছো তুমি

মাটির নীডে

ফিকে হয়ে যায় চোখ

দেহের ক্ষিদে

যে পাহাড় কেটেছো

সে পাহাড় জানে

এখন মাটির টানে

পাহাড়ি উদ্যানে

ক্ষয়ে পরে জলধারে

খাড়াখাড়া স্রোতে

স্রোত চলে পাহাড়ের

ঠিক বিপরীতে

ঠেকাও সে জল তুমি

পেয়ালা ভরা

সাগরে লুকায়ে যত

 মোহরের ঘরা

তুমি কি পাবে সে ধন

করে আরাধনা?

ভালো করে ভালো রাখে

যে যার সোনা

মানুষ কেবলই জীব

মাটির মে-ছেলে

জল পরে জল বয়

ঝর্নার কোলে

মেহমান রূপে জানি

ব্যাসিক কাহিনী

ইজিপ্টের রংমহলে

ক্ষুদে সে বাহিনী ;

নগ্ন হাঁটেনি তাঁরা

লজ্জার চাদরে

 বেশ্যা বুকে রাখেনি

  পরম আদরে

পিরামিডে মমি করা

যেসব মাগী

নেফারতিতির মতো

সেসব ছাগী

হৃদখুলে দেখো হেথা,

কিসব লাগানো

ক্লিওপেট্রার বুকে

আপেল লুকানো

অ্যান্টনি ভেবেছিলো

তীর পেয়ে গেছে

ক্লিও-ব্রা ঝুলে ছিলো

ছাতিমের গাছে;

পিরামিডে লুকানো

যেসব ভায়াগ্রা

চলো চুষে ঘুরে দেখি

মমতাজের আগ্রা




গুমঘুম

আমার চক্ষুজোড়া

ভিষণ বেগে

ঘুম পেয়েছে ঘুম

আমি ছয়শতবার নিজের দেহেই

গুম হয়েছি গুম

আমার যেমন চক্ষু আছে

হৃদয় তেমন কড়া

দেহের মাঝেই তেমন দণ্ড

দেহেই নড়াচড়া

আমি ঘুম পেলে যাই

আকাশ দিকে

চোখ ভেঙে যায় ঘুমঘুম

নিজের দেহেই ছয়শতবার

নিজেই হব গুম

রক্ত যেমন তেমন তেমন

কেমন যেন আকাশ

আমার মাঝে নফস এসে ছাই

দেহেই আত্মপ্রকাশ

কেউ এসে যাক কেউ এসে খাক

কেউ নিয়ে যাক তুলে

লড়ব একা ছায়ার সাথে

উদম হেলেদুলে

কান্না তুমি করবে যখন

সাত সমুদ্র তুলে

আমি যখন কান্না করি

নিজের কথা ভুলে

তোমরা জানো কেনই করি

কিবা এসব কারণ

আমায় কিন্তু কাঁদতে খোদা

নিজেই করে বারণ

কেন কাঁদি তবুও ধ্যাৎ

নিজেই জানিনা

প্রভূ আমি নাস্তিক এক

তোমায় মানি না

কর্মদোষে চর্ম গেলে

নিজের নামটা ভুলে;

উপ্তা পাছায় কাঁদতে থাকি

পাছার চামড়া খুলে

কাঁদি নদীর কূলে

আমি শালা বাচ্চারূপে

 নিজকে কোলে তুলে

ললিপপ খাই, গালিসব খাই

দৌঁড়ে পালাই দৌঁড়ে পালাই

পানিতে ঝাপাই, সাগরে লাফাই

একলা হাঁটি হাঁটের মাঝে

ল্যাংটা কাপড় খুলে

আমি কেমন বোকাচোদা

দেখতে পাচ্ছ খোদা

জীব নই বাল জীবানুও না

আস্ত খড়ের গাদা

কেমন আজ হল কেন জানি

মদের বোতলে ত্রাস

নিজের যত গোপন খবর

নিজ টিভিতেই ফাঁস!

আমি কি তবে

চর্বচোষ্য লেহ্যপেয়

কিংবা গরুর ঘাস?

কিংবা ধরো জুয়ার বোর্ডের

তিনটি টেক্কা তাস?

কোনটা আমি কেবা জানে

সদ্য ওঠা বাল

হতে পারি নেহাৎ একটা

গাছের পাকা তাল

তোমরা কে কি জানো বোঝো

ভাবো কে যে কিবা

আমি মূলে বোকাচোদা

অবুঝ শিশুর গ্রীবা







কন্ডমের অঘটন

মানুষকে খেলনা ভেবেছো আর

সবকিছু কেঁড়েকুঁড়ে নিয়েছ যার

একদিন কোন এক লাল ভোরে

তুমিও দাঁড়াবে গিয়ে তাঁর দোড়ে

মুতবেনা কেউ ফিরে তোমার ঘরে

একাএকা শুয়ে যাবা একাই কবরে

 

কবরে ফুল ফোটেনি  কজ তুমি এক বাস্টার্ড

বেশ্যার দালানে ঝুলে থাকা প্লাস্টার

মন্ত্রীর চামচে পঁচে যাওয়া কাস্টার্ড

যৌনীর লোভে ভোঁতা সেক্স পার্ভাট

 

আমি তাকিয়ে তাকিয়ে রোজ কত যে দেখেছি;

হাজার মা-বাপ-ভাই কাঁদতো শুনেছি

তোমার পায়ের কাছে লুটাতে শুনেছি

পায়েপায়ে সেসবকে দলেছো শুনেছি

রঙ মেখে ঢঙ তুমি করতে দেখেছি

পর্দার আড়ালে হাসতে শুনেছি;

 কিছুই বলেনি কেউ তুমি ক্ষমতার হাতি

তোমার কথার জোরে তীক্ষ্ণ চাপাতি

কত মায়ের বুক করেছ রক্তে ম্লান

তুমি মরে গেছ মরে গেছে সম্মান

এখন লাশটি তারা সবাই উঠিয়ে

নুন ঝাল লঙ্কায় খাক চিবিয়ে

কত শকুনের ঝাঁক এসে খুবলে খাবে

মাদাচ্চোত আজ তুমি কোথায় পালাবে?

কোথায় তোমার সেসব বাপটাপ ভাই?

মরে গেলে নাই কোন পাতানো চুদিরভাই

দুনিয়ায় বড়সব গেমটেম খেলে

কবরের এক কোনে সেঁদিয়ে গেলে

হা হা

ডেস্ট্রয় হোলো তোমার সকল এষণ

তুমি ছিলে বোকচোদ এক কন্ডম অঘটন

 

 

 

ভেঙে গ্যাছে আফরোজা

লজ্জায় পিংক হয়ে গ্যাছে আফরোজা;

ভেসে ওঠে চোখে সব, ভুলে যাওয়া নয় সোজা!

যেন ফিরে গ্যাছে ষোলো বছর আগের, টিনের টঙে

চোখ দুটো ছলছল, গড়িয়ে পরছে জল  স্যাড সঙে

হাত দুটো চুমু খেয়ে ধরে বসে আছে সাইয়্যেদ

জিহ্বের লালা শুকিয়ে যায়, আঁকড়ে ধরে পেটের মেদ

চটকে যায় নহরী মধু দিব্যজ্ঞানে;

দুজন বেহাল ভাবে আলিঙ্গনে

খাচ্ছিলো চুমু শুধু খাবার কোথায়?

কাগজটা ছিড়ে গেলো কালির থাবায়

নগ্ন মাশরুম যদি সূর্যের কঠিন প্রদাহে বাঁচে

একটা কামুক ফুল ঝুলে ছিলো ডালিমের গাছে

আফরোজা সেটা দেখেনি, ভেবেছে প্রেম এতই সোজা

ভালোবাসি বললেই, কমে যাবে যাবতীয় সব বোঝা

 

ভাঙা চেয়ারে সাথে ভেঙে গ্যাছে মন, যার কাছে তাঁর মন বিশাল বোঝা, কেউ জানে না ভাগ্য লিখেছে কি, কার খোদা!

 

 

মর্মপীড়া

কষ্টের কোন ধর্ম নাই

 তুমি চাইলেই যে কারো কষ্ট ভাগ করে নিতে পারবে

জাতপাত, আশরাফ আতরাফ না খুঁজেই

হিন্দু হলে মুসলমানের, মুসলমান হলে হিন্দুদের

যে বিভ্যেদ্য দেয়াল তৈরী হয়ে যায় উপাসনালয়

খাদ্য এবং বস্ত্রে

চাল এবং চলনে

বংশ কিংবা দলে

পানি এবং জলে

নুন থেকে লবনে

এখানে তার কোন সুযোগ নাই

কষ্টের কোন ভিন্ন দ্ব্যর্থক  নাই

 

কোন কাঁটাতার যদি ছিড়ে ফেলে একাত্ম কশেরুকা

বিএসএফ এর ভাগ করা গুলি; বার্মার অকথ্য নির্যাতন

এসব কিছুই সক্ষম নয় কষ্টকে অন্য ধারায় প্রবাহিত করতে

কষ্ট বিভিন্ন খাতে প্রবাহিত হয় একই ধারায়

কষ্ট এক অদ্বিতীয়

যে তোমাকে বুলেট বিদ্ধ করে কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রাখে; চাইলে তুমি তাঁরও কষ্ট ভাগ করে নিতে পারো সমানে সমান সেও তোমার কষ্টে কাঁদতে পারে শেষ সময়ে মনে রেখো; কষ্টের আলাদা কোন সীমানা বা কাঁটাতার নাই

 

১০ নভেম্বর ২০২০

 

 

 

বয়েস

 বয়েস যত বেড়েছে- শিখেছি, নিজের কাছে নিজে

অহং তাপে তপ্ত মগজ; ঠান্ডা করেছি ফ্রীজে

অর্থ সকল অনর্থই প্রভার্বের এক জালে

  অর্থ ছিলো দান করে সব, গাব দিয়েছি বালে

গান করেছি মাস্টার মশাই' সপ্ত সুরের তালে

মাছ শিকারে ফেঁসেছি রোজ নিজের পাতা জালে

আমি কখনো পাইনি কাউকে ট্রেনের সিটে পাশে

ভ্রমণ যত করেছি প্রায়ই একলা একটা বাসে

কখনো চাঁদে কাউকে দেখিনি বুড়ির কেসটা ভূয়া

বাল্যে শুরু মিথ্যে জানার , মেঘ কি কেবল ধোঁয়া?

আকাশ কেবল শূণ্য নাকি, আমার বাড়ি কই?

আমি কি এই গ্যালাক্সির এক আদম সানি নই?

 

 

 

আমি কখনো পার্কে যাইনি ধরিনি কারো হাত

আমার মাথায় লেপ্টে ছিলো ছয়শ অপবাদ!

নরম করে গরম হলেই ডাইনোসরের সুরে,

আমি কোথায় ঘুরতে যেতাম নিজের পাখায় উড়ে

একাই যেতাম যেথায় যেমন একাই খেতাম মদ

নষ্ট করিনি পরের ছেলে তবুও সজল বদ!

পৃথিবী আমায় শিক্ষা দিয়েছে, পরতে পরতে ধোকা

 চেহারায় সব ডিপেন্ডেবল চুল পাকলেই কাকা

কাঁচা-পাকার এই খেলাতে আমিও খেলাই মাঠে

বয়েস যত বেড়েছে- জেনেছি; মুরব্বিদের খাটে

পয়সা হলে লাফ দিয়ে সব মানসম্মান ওঠে

আমিও আজ ড্যান্স করবো কণ্ঠে তুলবো সুর

বেতাল তালে হেলে দেবো মিল্কিওয়ে ট্যুর

দারুণভাবে মাতাল হলে চোখ বুঝলেই ঘুম যাবো;

আমায় যেবা শান্তি দাওনি একদিন তাঁর গোশত খাবো!

 

 

 

 

 

এঙ্গেলস

এঙ্গেলস, আপনি কারো কারো বন্ধু হয়ে ভালোই করেছেন

মেপেছেন মতাদর্শ কনিষ্ঠা অঙ্গুলি; বিলবোর্ডে গুণেছেন অর্থের লাশ

মানুষ মাতাল বেহুশ কথা যত কয় সব বেফাঁস

সম্পত্তি, কারো না কারো ঘাঁড়ের কাছে দীর্ঘশ্বাস ফেলে যায়;

এবড়োখেবড়ো কারো ব্যালেন্স টুটে যায় শূণ্যের সংখ্যায় জালিয়াতের

নখদর্পণে ভস্মীভূত ব্যাংক কতিপয় জাহাজী

প্রতিটা বড়লোকের সম্পদে ভাগ আছে পৃথিবীর প্রলিতারিয়াতের

 

 

 

 

 

খিস্তিভাষ্য

 

মাননীয় সুধী, আপনাদের চুদি

 হিন্দু ভাইদের নমস্কার, আর মুসলমানদের সালাম

 কারো পিছনে তৈল লেপন না করেই আমি

 আমার বক্তব্য শুরু করে দিলাম

ভাগ্য করে একটা রাষ্ট্র পেয়েছি

ময়লার ড্রেন থেকে শুরু করে বেশ্যার ব্রা'তে

ইতরের এনজাইম বিষে বা গীরিপথে আমরা যা দেখেছিলাম

ছোট বা ক্ষুদ্র

অবরুদ্ধ জানালায়

বৃহৎ ছিদ্র

যা ঢোকে বা বের হয়

নিতম্বে কামড়ায়

রক্ত খেয়ে বুকে সোবল দেয়

ইংরাজ মাদারচোতেরা তাদের বলে মসকিউতো

আমাদের মন্ত্রী শোউরের বাচ্চা যা দেখে বিদেশ পালিয়েছে

আমরা আধুনিক পাছায়

তার কামড় খেয়ে মারা যাবার আগে, তার নাম দিয়েছি ডেঙ্গু

মাননীয় স্পিকার মাননীয় রাষ্ট্রপতিকে বলুন, তাঁর নপুংসক মাননীয় মন্ত্রী কুকুরদের নিয়া আমরা জাতীগত বুদ্ধিপঙ্গু

 

মাননীয় সুধী, আপনাদের চুদি

বিলকুল টাকিলার বোতল গায়েব করিনি বিধায়; আপনারা যারা সম্মানীয় তাঁরা বেঁচে গ্যাছিলেন অতএব তাহাদের খিস্তি জপতে - এমন কবিতার সভার আয়োজন করেছি সবাই সম্মেলিত হয়ে বসুন- আজ আপনাদের চুদ-।’

আপনারা যারা শান্তি টাউনে অশান্তি দেখেছেন- এবং উপলব্ধি করেছেন- পনের হাজার ঘর নিমিষেই কিভাবে লাপাত্তা হয়ে যায়!

আপনারা দেখেছেন, কিভাবে আগুনের কাঁধে বন্দুক রেখে

পঞ্চাশটা হাজার মানুষের টেকো মাথায় বড়ই রেখে

লবন খেয়ে চলে গ্যালো ইন্ডাস্ট্রিয়াল মাদারচোত!

আপনারা লক্ষ্য করেছেন এও- তাদের মাথায় হাত,

  ক্ষুদ্র সময়ের ভেতরেই; রাস্তায় বসে পরেছেন তাঁরা

তাদের অনাহার সন্তানরা ঘর পোড়া কয়লায়  আলু পুড়ে খেতে চায় যেহেতু তাঁরা ক্ষুধার্ত আলুপোড়া না পেলে ওঁরা আপনাদের গোশত খুবলে খাবে

 

জনগণের সরকার, আবেগে আপ্লুত, দুঃখে দুঃখিত, আগুনে শিহরিত হয়ে বলেছেন - কাল এখানে রিলিফ পাঠাবো

আপনি জানেন, আমাদের সরকার

 কোন বাড়ির খোঁজ করেননি; কারো স্বপ্ন পুড়ে যেতে দেখেননি

তাঁরা দেখেননি-

কিভাবে পুড়ে গ্যালো মুজাম্মেলের নয়মাস বয়সী মেয়ের দুগ্ধের  ফিডার, কোরান মজিদ, তসবিহ দানা, মাসুমার বই আর আবু সালেহ্' রিক্সার হুডি

 

মহামান্য সুধী!

আপনারা অবগত, আমাদের সরকার শুধু তাঁর চেয়ারে বসলে আওতায় যতটুকু দেখা যায় ততটুকুই দেখেন

 যদি আমি তাদের ঐসব বালছাল চেয়ারে পেচ্ছাবও করি, তাঁরা দেখবেন না

 

 কিন্তু আপনারা জানেন, সরকারী চেয়ারে পেচ্ছাব করার রুচি আমার নাই এম্পি মন্ত্রীর চেয়ারে আমি মুতিওনা এও জানেন যে, আমি পাগল চুদিওনা

 

মাননীয় সুধী, আমি না হয় মদ গিলেছি তাই শুকর-কুকুরের গোশতের ফারাক বুঝিনা এতদ্বা-সত্ত্বে আমি আপনাদের মতোন ইন্ডাস্ট্রিয়াল মাদারফাকার্স অার তার তোষণকারী সরকারের হাতে পানাহার করবো না

 

মাননীয় সুধী, আপনাদের সিস্টেম আমি চুদি

আপনারা জানেন,

 জীবন সবখানে একরকম নয়

যেমন আপনাদের ফ্লাটে- খাটের নিচে বিড়ালে চুদাচুদি করে উপরে আপনি তৃপ্তিতে ঢেকুর তুলে বস্তিতে আগুন লাগিয়ে তা উপভোগ করেছেন, এখানে আপনার ইন্ডাস্ট্রি হবে আপনার জীবন একরকম চোদনময়

আবার,

শান্তির মায়রেবাপ এখানে শান্তি টাউনে আপনারা আপনাদের শান্তির দূত ইন্ডাস্ট্রি গড়বেন- অতএব পনের হাজার কেন, পনের কোটিও যদি গৃহহীন হয় আপনারা আর আপনার সরকার তাদের ঘরপোড়া ভস্মতে লোক দ্যাখানো বিসমিল্লাহ্ জপে ইন্ডাস্ট্রি গড়ে তুলবেন বেস্ট অব লাক! জীবন ওখানে অন্যরকম

 

 

 

 

 

 

গাধা

বিপরীত লিঙ্গের কাছে সর্বেসর্বা আমি গাধা হয়ে যাই; যেন আমার আর শরীরে কোন যতিচিহ্ন নাই চড়িয়ে চড়িয়ে কেবল ঘাস আর ঘাস খাই

 

আমার মস্তক নত হয় তাঁর কাছে, যেন জবাই করে রাখা হয়েছে ঘাঁড় ; বল্ক দিয়ে ওঠে শরীরের সব ঘাম উবু হয়ে বসে, পরি তাঁর পায়ের কাছে, পূজ্য দেবী আমার

 

হে দেবী, আপনি আমার সৎ মা ঘূর্ণন দিয়ে উঠে পরুন কয়েদি এই গাধার পিঠে; আমি নোনতা সমুদ্রে ভেসে আপনাকে গাধার পিঠে পৃথিবী ঘোরাবো।”

 

আমি আপনাকে ঘোরাতে পারবো পিরামিড; যেখানে প্রান্তবিন্দু থেকে জ্যামিতিক প্যাঁচ ফুঁড়ে দৌঁড়ে চলবে এই কামুক গাধা আপনি শুধু যথাস্থানে সেট হয়ে থাকুন; আমি তাহলে ছুটতে শুরু করবো

 

 

২০ অক্টোবর ২০২০ইংরেজী

 

 

 

 

 

 

 

মোর্শেদা

কেমন হরফে তোমার নাম অগভীর ভাবে ছিড়ে খাচ্ছে হৃদয় আমার বিদীর্ন কলজে আমি খাওয়াবো কাকে?

আমার হৃদয় কেমন ভাগ হয়ে দৌড় দেয়, টুকরো হৃদয় যায় নানান দিকে

একটাও কাক নেই; তোমার সাথেসাথে

তাঁরাও আমাকে একা রেখে গ্যাছে

তুমি যেদিন চলে গেছো

 উঠোনে যে বক ফুল তুমি লাল ফুটতে দেখেছিলে

হাতে নিয়ে তুমি দেখেছিলে কি?

আমাকে একটু কোনভাবে বলে যেও

মৃত্যুর যন্ত্রণা কেমন?

কিংবা ফুলের গাঁঢ় পাপড়িতে কি দেখেছিলে?

সে কি গভীর ভাবে নিখাদ কোন এক সম্ভোগের গল্প লিখেছিলো কি পাপড়িতে?

আমি আর পারছি না

একা থাকতে

একা ঘুমুতে

তোমার কথা ভাবতে ভাবতে

 ভ্যানের চাকার সাথে লীন হয়ে যাই

আজ এতটা দিন হয়ে গ্যালো আমি একাএকা ভাত খাই

প্লেটে তোমার শূণ্যতা

আমি ফীল করছি দেহ

খুটে খাচ্ছে কেহ;

আমি কি এভাবেই মরে যাবো মোর্শেদা?

'কোন একটা অগভীর ক্ষত আমাকে মেরে দিচ্ছে মোর্শেদা'

 

 

কেন?

সময় ঝুলে আছে স্তনবৃন্ত ধরে

কাক যেন ডেকে যায় কুহকের সুরে

আমার জলের তলায় ডুব দেয়া হবে নারে

ডাক বুঝি পরে গেছে পর পারে

কাজু বাদামের মতো মাপের গোঁজামিলে

পাখার কূলে দম ফেলে যায় বাতাস

আমাকে মাপছো সময় পাল্লায় দিয়ে তুলে

আমি মরে যেন যাই দেখে দেখে আকাশ

 

কেন আর কোলাহল ভালো লাগে না?

কেন ভালো আর লাগে না অপর কোনোকে?

যেন জিহ্বায় ঝুলে আছে শেষের শ্বাসটা

হাত তুলে আর ডেকো না আমাকে

 

আমার বুকে ঢুকে যাচ্ছে ছুড়িরফলা

শ্বসন চিড়ে বেরুচ্ছে তরুণ বাতাস

চিবুকের কাছে এসে জড়ো হয় ঘাম

এই বুঝি মরে যাবো দেখেদেখে আকাশ

 

গাড়ির বিকট স্বরে নিস্তব্ধ বুনো ডাইনোসর

হৃদয়ের স্বর কেউ বুঝতে পারেনা

কপালে বিধায়ক রুমাল ঝুলে আটক গলায় স্বর

আমার হৃদয়ে কেউ, 'কেন' যে বসে না!

পরাঙ্মুখ-চোখ; বিভীষিকা ভালো বোঝে

আসে দিনগুলো গাবের কসের মতো কালো

আমাদের দিনগুলো অসুখে যায় -ভালোর মাঝে, কিছু ভালো

হে ডাইনোসর, বোলতার চাকে ঢিল মেরে

তুমি আমাকে শোনাও প্রিহিস্টোরিক বর্ণনা

আমি মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছি তাই, আজ আর কিছুই শুনবো না

 

আমি কফিনের পরে ঝুলে থাকা লাশ

জুয়ার বোর্ডে হারা এলোমেলো তাস

তোমারা শুধাও, শুধু ব্যর্থতা কেন লিখি?

ব্যর্থতা ছাড়া আর কিছু কি দেখেছি?

আমাকে বানালো যখন আমার খোদা

সমপরিমাণে মেলালো পঁচাগলা কাদা

পানিতে পানিতে যেন চুইয়ে পরেছিলাম

হাত জড়ো করে ফের আকাশে তাকালাম

কারুর কালো চুলে  ফিতা হয়েছি

আমি নিজে কত যে নিজেকে মেরেছি

শক্ত মগজে ধরেছিলাম নিজের সে ঘাঁড়

ধরে টরে বসিয়েছি কবরের পার

কবর তো বিস্মিত এসব শুনে

আমাকে পুড়িয়ে দিও খুব গোপনে

 

 

আব্বা

আমার আব্বা শুধু চান আমি যেন কামাই করি

আমিও ভাবি, আমি যেন কামাই করতে করতে মরি

ছিড়ে যাওয়া কবিতার খাতাটা ছুড়ে  ফেলে বললেন, কবিতা লিখা কে কবে কার বাল ছিড়ছে?

আমি হাসি, আর নিচ থিকা উঠায়ে খুব সাবধানে নিয়া তাঁরে রাখি টেবিল কর্ণারে

আব্বার চোখ লাল হয়ে কপাল কুঁচকে যায় জামার ভাঁজের মতোন আমি তাকে শান্ত করতে করতে বলি; এত যে লাফাও আমার একটা জীবনে কবিতা ছাড়া আর কোন বালটা দিয়েছো?

 

ভালোবাসা একটি জাহান্নামের কীট

আমি দেখি মানুষ ভালোবাসে তারা ভালোবাসে সম্পদ প্রেমিকা; আর একটি পৃথিবী যেখানে নীল ডাউন হয়ে বসে থাকে গলির কুকুরদের সাথে কিছু বাস্তুহীন প্রেমিক কবি; যারা ঠকঠকে শীতে কাঁদে আর ফোপাঁয় পকেটের টাকা কাঁটা হয়ে ফুটে যায় শার্টের সুতায়

প্রেমিকা সে, যার প্রতারণা আমাদের বেহেশত থেকে তাড়িয়েছে নগ্ন পায়ে হাঁটিয়েছে শ্রীংহল হতে পাথর পাহাড়ে পাহাড়ে

 

 

 

 

 

লাশ

 তেইশ লাখ তেত্রিশটি লাশের নোট করে আমি ঘুমিয়ে পরি সকালে ঘুম থেকে উঠে শুনি ভারত ১০০ কোটি লাশের এক বিশাল সমুদ্র হয়ে গেছে!

এক রাতে এত লাশ!

হকার হকারি করতে করতে

পত্রিকাওয়ালার লাশ আমার মেঝেতে

ব্যাটা পত্রিকা দিতে এসে

ওখানেই লাশ হয়ে গেছে!

 

এখানে লাশ ওখানে লাশ

যেখানে সেখানে লাশ

বাসা বাড়ি কিংবা বাসে

পার্কে কিংবা রেস্তোরাঁতে

লাশ লাশ আর লাশ

মসজিদ মন্দির থেকে

বাগান বাড়ির পিছে

গাছের ছায়া কিবা সবুজ ঘাসে!

 

বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে কোন জীবিত ছাত্রছাত্রী নাই, সবই লাশ

একরাতেই একেমন ত্রাশ?

রাস্তাঘাটে কোন বাদাম বিক্রেতা নেই, সবই লাশ

 আমি লাশেদের ডাকি , আর জিজ্ঞেস করি; গেঁড়ুয়া পরোনি তুমি? তোমার মৃত্যুর হেতু কি?

তুমি কেন মরে গেলে, কেন লাশ হয়ে গেলে হে?

আমার মগজ বিঁধে গেলো শিবের ত্রিশূলে; আমি আর কিছু জিজ্ঞেস করতে পারিনি,

মরার হেতু জিজ্ঞেস করে আমিও একটা লাশ হয়ে গেছি যে!

 

 

২২শে জুন

আজ ২২ শে জুন

আমার জন্মদিন!

একটা কাক কেমন ডালে এসে বসে

পেরে খাচ্ছে গাব

আমি ভাবি কাকেদের জীবন খুবই সিম্পল খেতে চাইলে খাও, উড়তে চাইলে যাও পাহাড় থেকে পাহাড়ের পরে নদীতে নদীতে কিংবা গাবের ডালে

আমি দীর্ঘশ্বাস ছাড়ি, খোদাকে ফরিয়াদ করি মাবুদ তুমি আমায় একটা কাক করে দাও!

আমার মানুষজীবন ব্যর্থব্যর্থ লাগে; শূন্যের কোঠায় ভরে যাচ্ছে পাপ মাবুদ আমি হতে চাই যা, করে দাও এক কাক

 

 গ্যালাক্সি

মারা যাচ্ছি গ্যালাক্সির এই কুয়ায়

রিদয় কেমন ছিন্ন হচ্ছে দ্যাখো!

বস্তুত সব পুড়ছে জহর ধোঁয়ায়,

তুমি একটা আকাশ খাতায় এঁকো

ফুল যেখানে ধূলো হয়ে যায়

 চুমুর উষ্ণ তাপে

ধূলো মেখে হায় গড়াগড়ি খায়

আকাশ ক্যামন কাঁপে!

আকাশ আমার ঘরের মধ্যে

নির্জনে নিস্তব্ধ

আমি ঘরের মধ্যে ডেস্ট্রয় হই

কার আগুনে দগ্ধ?

 

বাসী লাশ

ঘাস যখনি বাড়তে বাড়তে বাঁড়া

তোমার তখন ঘরে ফেরার তাড়া

উঠোন ভরা তারায় ভরা থাকে

ভুল করে মেঘ বলি আকাশটাকে

ঘুমের পিলের রোজ বেড়ে যায় ডোজ

এই আকাশে তাকিয়ে করি খোঁজ

আমি একটা নদী দেখি রোজ

তীরের খোঁজে কাক এক অর্ধভোজ

জল পিপাসায় ফাটছে বুকের ছাতি

মাছের ভেতর যেসব পোয়াতি

বাচ্চা পেটে জলের চুমু ছাড়া

মৃত্যুকূপে ছুটে যাচ্ছে ঘোড়া...

মৃত্যুখেলা, মৃত্যুছলে শহীদ যদি হই

একটা দাবী, প্রশ্নগুলো মগজে হৈচৈ

খোদাতালা নদী দিলা, তীর দিলা কই?

 

আমায় মাতাল বলে যেসব লোক

মৃত্যুকালে তাদের দেখি শোক

চাচ্ছে তাঁরা পাপীর হাতের জল

জল হাতে আজ দুইটাকার মাতাল

দৌঁড়ে যাচ্ছে গ্লাস ভর্তি করে

এই শালারা যন্ত্রনারই ঘোরে;

খাবি খাচ্ছে জল চাচ্ছে

জল চাচ্ছে মরে যাচ্ছে,

শেষে মৃত্যু ডাকলে পরে কই

মাতাল ভেবো, কবি আমি নই

আমার এসব ওহী কোন নয়

যেসব লিখি দেখছো যা নয়ছয়

মদ খেয়ে রোজ ঘুমুঘুমু চোখে

বালছাল সব লিখি হৃদয় শোকে,

উঁচু হয়ে উপছে পরা বুকে

স্তনটাও নোটে রাখি টুকে

লোকে বলে বেলেহাজ একজন

 শিরদাঁড়াতে হারিয়ে ফেলি বোণ

আমি একটা বলয় ঘিরে থাকি

তোমার কথা রোজ রাতে তাই

তোমার সাথে প্রেম হলে ছাই

সেটাও টুকে রাখি

 

আমি একটা আকাশ হতে চাই

আমি যখন ধুলো হতে যাই

নিজের মগজ খুবলে খুবলে খাই

আমি এখন সুস্থ মনে নাই

আমার ভেতরে দাবড়ে বেড়ায় ত্রাশ

আমি তো ব্যাস চেয়েছি হতে ঘাস

তাতেও কেন আপত্তিটা ওঠে?

বিড়বিড় করে মালিক স্বীয় ঠোঁটে;

বেফাঁস এক নম্রুদেরই মতো

পাচ্ছে যত চেয়ে যাচ্ছে তত

চোখের সামনে চাহিদাওয়ালা দেখে

খোদা এখন মুখ ফিরিয়ে থাকে

খোদা জানেন সাড়া দিলেই এখন

মুষড়ে পরা ঘুমিয়ে পরা দাফন

শরীর মাখে সাদাসিধে কাফন

তিন রাতে খায় শেয়াল তাঁকে বাসী

মজা পাচ্ছে, খেয়ে নিচ্ছেমুখে স্ব লাজ হাসি

 

মাছ হয়ে

অামারো অনেক কথা জমে বুকে, অব্যক্ত কথাগুলো স্মৃতি হয়ে থাকে

পুরোনো তারের সাথে মুগ্ধ গিটার খানা বাজছে ভিষন যেন করুণ সুরে

আমি মাছ হয়ে ফের ফিরি নদীর তীরে

চোখ চুমুর সঙ্গম, বাতাসে বাতাসে তীর

নদী হয়ে ফের

বিলাপ আহত পাখির মতো

চলতে থাকে ধীর

জলের মশারী টেঙে

দূর্ভাগা ঢেউ ভেঙে

আমার ভেতর কেন যেন জেগে ওঠে তীব্র প্রেমের তিরা

মন কখনোবা বন, কখনোবা নদী হয়ে বয়ে চলে সমুখে পাতার ভীড়

 আমার এমন করে ফেরা

 মন, ছোট হয়ে আসে; সব অসঙ্গতির সাথে পাখা তুলে

 ভেসে চলে যাই নগর কূলে,

চলে যাই দূরেসমুদ্রে পরে যাই

আমাকে কেউ তীরে তুলবার নাই

 

 

 

 

 

 

 

গুম

আপনার কাছে কিছু রাষ্ট্রীয় উইপোন নেই

আপনি রাষ্ট্রযন্ত্রের বিরুদ্ধে ঝাড়লেন বাত;

কিয়াবাত! কিয়াবাত! সহীবাত;

আপনি খুনের সাগরে ভাসতে ভাসতে ভেসে চলেছে এমন করুণ নদীতে; যেখানে ভেসে গিয়ে কেউ আর সর্পিল ফেনা হয়ে ফিরে আসেনি

 

 

 

স্তন

প্রেমিকা, চুমু আর লাল কোন বিষুবরেখা বরাবর  আমার সূর্য অস্ত গেলে

আমি পাগল হয়ে গোসল করি লাভার জলে

আমার অসীম তেলের গাড়ি হরদম খালি চলে; তুমি চাইলে কয়েকবার চড়তে পারো আরো এবং কয়েকবার আরো

তোমার শরীরের ঘামে নদী হয়ে আছে৷

ব্লাউজের বোতামে আটকানো শিশুখাদ্য গরমে নুনের মমি হয়ে গেছে!

আমি এক লহমায় হাতে তুলে খাই ফিডারের সাদা প্রস্রবণ

আমার সন্তান, তোমার মা আমার দুধ মা নন তবুও তাঁর স্তন, সম্মানিত নারী আমাকে যদি দান করেন আমি ফিরিয়ে দেই কিভাবে? আমি অত নিষ্ঠুর হতে পারিনি

 

 

 

 

 

মরহুম সজল

ভালোবাসার মাকে চুদে সজল আহমেদ একটু আগে মারা গেছেন

তাঁর মৃত্যুতে রাষ্ট্রীয় শোক হিসেবে, প্রধানমন্ত্রী গদিচ্যুত হয়েছেন মন্ত্রীরা সংসদে অনশনে বসেছে আর যারা প্রেম করেছিলো তাঁরা পড়ছেনইন্না-লিল্লাহ্

তোমরা সজলের লাশ বয়ে চলো কাঁধে; পুঁতে ফ্যালো মাটিতে পায়ে দড়ি বেঁধে পুড়িয়ে ছিটিয়ে দাও ছাইছাই করে; অথবা পুঁতে রাখো গহীণ কবরে এই লাশ তোমরা যত দ্রুত গায়েব করে দেবে, ততই ভালো

 

 

 

 

মৃত্যু দেখেছি

মৃত্যু দেখেছি আমি নিজের চোখে

দেখেছি একটা লাশ পরে আছে

কুকুর বুভুক্ষু তারে ছোয়না শকুন

লাশের চোখে জ্বলা ক্ষোভের আগুন

নির্দয় মানুষের চারপাশে ভীড়

পরিবেশ রাস্তার পুরো অস্থির

লাশটা কার ভাই এখানে কেন?

প্রশ্নবিদ্ধ প্রতিটা বাতাস যেন!

কে মেরেছে কে নিয়েছে চোখ তুলে হায়

লাশ তোর লাশ কেন পরে রাস্তায়?

কে তোকে খুন করে ফেলে রেখেছে?

কার মার সন্তান লাশ হয়ে মেঝেতে?

.

মৃত্যু দেখেছি আমি নিজের চোখে

দেখেছি একটা লাশ পরে আছে;

আমি জানি এই লাশ পরে আছে কার

রূহ কার জানিনা মুখটা আমার

আমাকে মেরেছে কে সোনার দেহ?

মায়াভরা মুখটাতে ভিষণ বিরহ!

কার ছুড়ি ভেদ করে গেছে এই গলা

 মৃত্যুকূয়াতে আমার একা পথচলা

অহেতুক মরে যদি পরে থাকে কেহ

প্রতিটা লাশেই দেখি নিজের দেহ

এখানে মরেছি আমি ওখানেও আমি

প্রতিটা খুনের আবার আমিই খুনী

আমাকে খুন করি আমি নিজেই

হৃৎ খুলে রেখে দেই বরফ ফ্রীজেই

আমি রোজ মরে যাই দুনিয়ার রাজপথে

আমি রোজ মরে যাই বোমার সাথে

আমি রোজ মরে যাই বুকে নিয়ে গুলি

আমি রোজ ফুটো করি নিজের খুলি

প্রতিটা গাড়ির নিচে পিষ্ট আমি

প্রতিটা ক্রসফায়ারে দাগী আসামী

প্রতিটা মন্ত্রীর চোখে ক্ষোভের কারণ

আমি হরহামেশা' করি মৃত্যুবরণ

 

মৃত্যু দেখেছি আমি নিজের চোখে

দেখেছি একটা লাশ পরে আছে;

ইরাকে যাকে তুমি মরতে দেখেছিলে

ইটের স্তুপে যে লাশ চাপা দিয়েছিলে

বোমায় করেছ ক্ষত আমি সেই আফগান

আমি সিরিয়ার সেই ভীত শিশুর প্রাণ

যার রূহ চলে গেছে অপুষ্টিতে

রুটিহীন মরেছিলো নিজ বাড়িতে

আমি সেই রোহিঙ্গা অনাথের বাবা

মিলিটারি যার রূহে মেরেছিলো থাবা

আমার লাশ পঁচেছে নাফের জলে

আমার মাংস তারা খেয়েছে সকলে

আমার রক্তে জমা শত ইতিহাস

আমি পৃথিবীর পরে নগণ্য ঘাস

আমার মৃত্যুতে প্রতিবাদ হয় না

আমার ভালো কারো চোখে সয়না

আমার বিপদে কেউ পাশে রয়না

আমার মৃত্যুতে কোন শোক হয়না

মরে গেলে কেউ জানাজা পড়ায়না

ওহে পৃথিবীর পরে ঘাস, লতা, ফুল

ঘন কিশোরির ওহে কালো কালো চুল

আমি কেন আগাছা আমি কেন লাশ?

আমি কেন নিজে নিজের দীর্ঘশ্বাস?

 


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন