ম্যাক্সিম
ঘাস যখনি বাড়তে বাড়তে বাঁড়া
তোমার তখন ঘরে ফেরার তাড়া।
উঠোন ভরা তারায় ভরা থাকে
ভুল করে মেঘ বলি আকাশটাকে।
ঘুমের পিলের রোজ বেড়ে যায় ডোজ
এই আকাশে তাকিয়ে করি খোঁজ
আমি একটা নদী দেখি রোজ
তীরের খোঁজে কাক এক অর্ধভোজ।
জল পিপাসায় ফাটছে বুকের ছাতি
মাছের ভেতর যেসব পোয়াতি
বাচ্চা পেটে জলের চুমু ছাড়া
মৃত্যুকূপে ছুটে যাচ্ছে ঘোড়া...
মৃত্যুখেলা, মৃত্যুছলে শহীদ যদি হই
একটা দাবী, প্রশ্নগুলো মগজে হৈচৈ
খোদাতালা নদী দিলা, তীর দিলা কই?
আমায় মাতাল বলে যেসব লোক
মৃত্যুকালে তাদের দেখি শোক
চাচ্ছে তাঁরা পাপীর হাতের জল
জল হাতে আজ দুইটাকার মাতাল।
দৌঁড়ে যাচ্ছে গ্লাস ভর্তি করে—
এই শালারা যন্ত্রনারই ঘোরে;
খাবি খাচ্ছে জল চাচ্ছে
জল চাচ্ছে মরে যাচ্ছে,
শেষে মৃত্যু ডাকলে পরে কই—
মাতাল ভেবো, কবি আমি নই।
আমার এসব ওহী কোন নয়
যেসব লিখি দেখছো যা নয়ছয়
মদ খেয়ে রোজ ঘুমুঘুমু চোখে—
বালছাল সব লিখি হৃদয় শোকে,
উঁচু হয়ে উপছে পরা বুকে
স্তনটাও নোটে রাখি টুকে।
লোকে বলে বেলেহাজ একজন
শিরদাঁড়াতে হারিয়ে ফেলি বোণ
আমি একটা বলয় ঘিরে থাকি
তোমার কথা রোজ রাতে তাই
তোমার সাথে প্রেম হলে ছাই
সেটাও টুকে রাখি।
আমি একটা আকাশ হতে চাই
আমি যখন ধুলো হতে যাই
নিজের মগজ খুবলে খুবলে খাই
আমি এখন সুস্থ মনে নাই।
আমার ভেতরে দাবড়ে বেড়ায় ত্রাশ
আমি তো ব্যাস চেয়েছি হতে ঘাস
তাতেও কেন আপত্তিটা ওঠে?
বিড়বিড় করে মালিক স্বীয় ঠোঁটে;
“বেফাঁস এক নম্রুদেরই মতো—
পাচ্ছে যত চেয়ে যাচ্ছে তত”
চোখের সামনে চাহিদাওয়ালা দেখে
খোদা এখন মুখ ফিরিয়ে থাকে
খোদা জানেন সাড়া দিলেই এখন
মুষড়ে পরা ঘুমিয়ে পরা দাফন
শরীর মাখে সাদাসিধে কাফন
তিন রাতে খায় শেয়াল তাঁকে বাসী
মজা পাচ্ছে, খেয়ে নিচ্ছে, মুখে স্ব লাজ হাসি।
21/8/20