রাতুল মোহাম্মদ এর কবিতা সংগ্রহ

 

 বিশ্বাস

বিশ্বাসের ধ্বংসস্তুপ থেকে


বেড়িয়ে এলো প্রাক্তন পিতা


আর বিশ্বাস হারানোর পর


সতী মায়ের ভাবনায়ও ভর করে প্রচণ্ড বেশ্যা


সবচেয়ে প্রিয়জনের সাথে টালিখাতা নিয়ে বসতে হয় চৈত্রের ঠাটা পরা রোইদে


ঘিরে থাকা স্ব-সম্প্রদায় বর্শা মেলে ধরে বুক বরাবর


যেন এ বুকের প্রতিটি লোমকূপে


কোনোদিন মেলে নি তাদের লবণাক্ত বিস্বাদ


কপালে সেজদার দাগে অনুশোচনা হলে,


ওহে নাস্তিক! তুমি জানো না-


বিশ্বাস ভেঙ্গে গেলে


খসে পড়ে ঈশ্বর ।


 


আমল

আমার নিউরনের ভেতর একটি চাকু আমার হৃৎপিন্ড ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করে। আমার চিন্তার ভেতর একটি খাঁচা আমাকে ফেলে রাখে সম্রাটের হেরেমে পালংকের কাছাকাছি। আমি শিখে নেই সমূহ সেক্সুয়াল পজিশন। পাখি হয়েও আমি ঘোড়া এবং কুকুরের ভূমিকায় অভিনয় করি। আমার কানের ভেতর খুৎবায় খতিব বর্ণনা করে পাখির আমলের কথা। তাশাহুদে মনে পরে তোমার গ্রীবা, আর সেজদায় স্তন। আমি দাঁড়াই খোদার সম্মুখে অথচ পিছনে তুমি। সালাম ফিরিয়েই তোমায় দেখা যাবে। এটি মূলত স্বপ্ন আমি যার ভেতর ঘুমিয়ে পরেছি। ঘুম থেকে জাগলেই আমাকে শিকার করবে শিকারী। আমার লোম, ছেড়া পাখনা পরে থাকবে পাখি পালকের চোখের জেনায়।




কবিতা

হয়তো তারেক জিয়া একজন পয়গম্বর অথচ আমরা কেউ তারে চিনতেই পারি নাই।

আর এভাবে না চিনতে চিনতে একদিন তারেক জিয়া মরে যাবে আর আমাদের অজানাই থেকে যাবে

 তারেক জিয়া একজন পয়গম্বর।


আয়শারে আমি ন ডরাই

হাশরের দিন যখন ফেরেশতারা আমাকে শিকে গেথে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলো তখন আমি শুনলাম খোদা বললেন 'হে আয়শা তুমি উঠে আসো, তোমার জন্য জান্নাতের সবচে সুন্দর স্থানটি অপেক্ষা করছে'। এ শুনে সব আয়শা একত্রে দাঁড়িয়ে গেলো, খোদা আবার বললেন- 'আমিতো বিবি আয়শাকে ডেকেছি"। তখন অন্য আয়শারা চিৎকার করে বললো আপনিতো কোন আয়শা তা বলেন নি। নিশ্চই আপনি আপনার কথা মতো আমাদের জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। খোদা তার কথা রাখতে সব আয়শাকে জান্নাতে প্রবেশের অনুমতি দিলেন। আর আমি দেখলাম কোটি কোটি আয়শার সাথে আমার আয়শাও জান্নাতের দিকে সদর্পে এগিয়ে যাচ্ছে। আমি চিৎকার করে খোদাকে বলতে চাইলাম - তুমি জানো না খোদা ও আমার সাথে কি করেছে! তখনই মনে পরলো খোদার আগেইতো আমি ওকে ক্ষমা করে দিয়েছি। আয়শাতো আমার জীবন এমনিই জাহান্নাম করে দিয়ে গেছিল নতুন করে জাহান্নামে আমার কিছু হবে না। ওকে তো ভালবাসি ও অন্তত ভাল থাক! এরপর আমাকে নিক্ষেপ করা হলো জাহান্নামের সেই সেলে যার ওইপারে আয়শার জান্নাত। জান্নাতে আয়শার একমাত্র পুরুষ্কার দশ হাজার হর্স পাওয়ার সমৃদ্ধ কৃত্তিম পুরুষ আর জাহান্নামে আমার একমাত্র শাস্তি অনন্তকাল আয়শার শিৎকার শোনা।





 কুম্ভীরাশ্রু


আইনের আছে 

ধারালো দুচোখ  

লম্বা নখর হাতে

কখনো বন্ধ 

শাণানো কখনো 

হুকুমের ধারাপাতে


আম্মা জানেন 

সবকিছু এর

হিম্যানিটির মাদার

কুমিরের চোখে 

অশ্রুর দাগ 

কী আছে মূল্য তার?


পুত্রের শোকে 

কাঁদে যদি মাছ

তাকে কেউ মনে রাখে?

সবকিছু নয় 

এতোটা বিফল 

কিছু কথা তবু থাকে—


শরীর বেঁধেছে। 

কোন কারাগার, 

বাঁধবেরে কবি মন

মৃত্যুর ছলে 

ঘটে যায় তাই 

শশাঙ্ক রিডেম্পশন।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন