অলমোস্ট বানানো একটা কবিতা
আমি দেখি তুমি পানি খাইতেছো একটা ঝর্ণা থিকা, তোমার পিচ্চি
নীল হাত দিয়া, না, তোমার হাতগুলি তো পিচ্চি না
অরা ছোট, আর ঝর্ণাটা আছিলো ফ্রান্সে
যেইখান থিকা তোমার শেষ চিঠিটা তুমি লিখছিলা আর
আমি উত্তর দিছিলাম আর তোমার কোন খবর পাই নাই এর পরে।
‘আল্লা’রে নিয়া আর ফেরেশতাদের নিয়া’ মাথা-খারাপ করা
কবিতা লিখতা তুমি, সব বড় হাতের অক্ষর দিয়া, আর তুমি
ফেমাস সব আর্টিস্টদের চিনতা আর অদের বেশিরভাগই
আছিলো তোমার লাভার, আর আমি ফিরতি চিঠি লিখছিলাম, ঠিকাছে সেইটা,
আগায়া যাও, তাদের লাইফে ঢুইকা পড়ো, আমি জেলাস না
কারণ আমরা তো কোনদিন দেখা করি নাই। একবার নিউ অর্লিন্সে
খালি কাছাকাছি চইলা আসছিলাম আমরা, হাফ ব্লক দূরে, কিন্তু আমাদের কখনোই দেখা হয় নাই, কখনোই
আমার টাচ করি নাই নিজেদেরকে। তো, তুমি তোমার ফেমাসদের সাথে চইলা গেছিলা আর লিখছিলা
ফেমাসদেরকে নিয়া, আর, অবশ্যই, তুমি দেখতে পাইছিলা যে
ফেমাসরা খালি চিন্তায় থাকে
অদের ফেইম নিয়া – অদের সাথে থাকা
বিছনায় কচি সুন্দর মাইয়াদেরকে নিয়া না, যারা অদেরকে এইটা দেয়া, আর তখন
সকালবেলা জাইগা উইঠা অরা বড় হাতের অক্ষরে কবিতা লেখে
‘আল্লা’রে নিয়া আর ফেরেশতাদের নিয়া’। আমরা জানি আল্লা মইরা গেছে, অরা কইছে
আমরারে, কিন্তু তোমার কথা শোনার পরে শিওর ছিলাম না আমি। হইতে পারে
বড় হাতের অক্ষরের লাইগা এইরকম মনে হইছিলো আমার। তুমি আছিলা
বেস্ট ফিমেইল পোয়েটদের একজন আর আমি পাবলিশারদের কইছিলাম,
সম্পাদকদের, “উনারে, ছাপেন উনারে, উনি পাগল একটা, কিন্তু উনার
ম্যাজিক আছে। উনার আগুনে কোন মিথ্যা নাই।” আমি তোমারে ভালোবাসছিলাম
যেইভাবে একজন বেটা একজন বেটি’রে কোনদিন না ছুঁইয়া ভালোবাসে, খালি
লেখে, অল্পকিছু ছবি-টবি রাখে। আমি হয়তো তোমারে
আরেকটু বেশি ভালোবাসতে পারতাম যদি আমি একটা ছোট্ট রুমে বইসা
একটা সিগ্রেট রোল করতে থাকতাম আর বাথরুমে তোমার মুতার আওয়াজ শুনতে পাইতাম,
কিন্তু এইরকম কিছু ঘটে নাই। তোমার চিঠিগুলি আরো করুণ হইতে থাকলো।
তোমার প্রেমিকরা তোমারে বিট্রে করছিলো। বাবু, আমি ফিরতি চিঠিতে লিখছিলাম, সব
প্রেমিকেরা বিট্রে করে। এইটাতে কোন কাজ হয় নাই। তুমি বলছিলা
তোমার কান্দার একটা বেঞ্চ আছে আর সেইটা ছিল একটা ব্রীজের পাশে আর
ব্রীজটা আছিলো একটা নদীর উপরে আর তুমি বইসা কানতা
ওই বেঞ্চটাতে, প্রতি রাতে আর ফুঁপাইয়া ফুঁপাইয়া কানতা প্রেমিকদের লাইগা, যারা
তোমারে কষ্ট দিছে আর ভুইলা গেছে তোমারে। আমি ফিরতি চিঠি লিখছিলাম কিন্তু কখনোই
শুনি নাই আর কিছু। এক ফ্রেন্ড আমারে লিখছিলো তোমার সুইসাইড করার কথা
এইটা ঘটার ৩/৪ মাস পরে। যদি তোমার লগে দেখা হইতো আমার
আমি হয়তো তোমার লগে বাজে কাজই করতাম অথবা তুমিও
আমার লগে। এইভাবেই বেস্ট আছিলো এইটা।