কথন
গ্রুগ্রী
(+)বরংচ ব্যক্তিত্বহীন তো সে, যে মানুষকে তাঁর প্রাপ্য সম্মান দেয়ার ভান করে! কারণ যে ব্যক্তিত্বহীন সে "সম্মান'' কি সেটাই বুঝে না!
(+)বেঈমানদের সাথে অভিমান করা আর না করা সমান! বেঈমানরা অভিমানের দাম দিবে না!
(+) আজ যদি আমি মারা যাই কাল হবে দুদিন, আর আমার ক্রিটিকসরা বলবেন "ক্ষাণকির পোলা মরছে ভালো হইছে!''
-নিঃসঙ্গতা-
একা একা কথা বলা, একা রোডে হাঁটা একা ২৪টা ঘন্টা কাটানোর নাম হচ্ছে নিঃসঙ্গতা।
-ভুলে যাওয়া-
নিজের মস্তিষ্কে নিজের অনুভূতিকে কবর দেয়ার নাম হচ্ছে ভুলে যাওয়া।
-ইভটিজিং-
আমরা একটা ছোট্ট বাসায় থাকি
সকাল হলে সবাই মিলে ছাদে উঠে হাঁটি
নিচ দিয়ে কে যায় ; অচেনা মুখ দেখে
কাক ডাকতে থাকি।
-অবসাদ-
প্রতিটি রোডে থাকে পাতা মৃত্যুর ফাঁদ
মানুষটি মরে গ্যালেও মরেনা অবসাদ!
[২]
প্রতিটি রোডে থাকে পাতা মৃত্যুর ফাঁদ
মানুষটি মরে গ্যালে পরে রয় অবসাদ!
-লাইফ-
মানুষের লাইফটা ধরো হাশরের মাঠ
কষ্টের সময়টা পার হতে হতে চুকে যায় পাঠ।
-মানুষ মানুষের জন্য না-
কে কার কষ্টে কাঁদে জানি না
মানুষ মরে মানুষের তরে বালের প্রবাদ মানি না!
-স্বার্থপর-
জগতের প্রতিটি জীব জড়
সব শালারাই স্বার্থপর।
যদি কেউ ভাবে,
কার ধন কে খাবে?
তাকাও করে চোখ কান খাড়া
তোমার চিনির বয়ামের দিকে
লাইন ধরে যায় ১ লাখ পিঁপড়া.....
-স্ব-
প্রতিটা মানুষ নিজেই নিজের ভিন্ন চক্রে নিজের মতো ঘোরে
আমি শুধু নিজের চক্রে হাহুতাশ করি আহারে!
উড়ে যাব
কে আছো ওখানে?
দরজা খোলোনা.....
উড়ে যাব আকাশে
আমাকে পাবে না।
ধরতে পারবেনা
পাখা হবে দুটো
উড়ে যাব সরু হয়ে
যদি পাই ফুটো।
গাইবো গান
আর শুনবে খাড়া করে কান
গান গেয়ে হারাবো
আমাকে পাবে না।
হা হা হা!
ক্রাশ
দৃষ্টিতে বলি হয়ে যায় একশ খাসি
কাচাপাঁকা সবে এসে বলে ভালোবাসি
ভালো লাগা
অপূর্ব সে এক চাঁদের গরিমা
আলো ছিলোস্পষ্টত
ছিলো না পূর্ণিমা।
অভিমান
আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকি
ভেঙে পরে না
তোমার জন্য কাঁদতে চাই
চোখে জল আসে না!
ব্যাঙ/
ক্ষুব্ধ ব্যাঙ মায়ার চেহারা
রাগ করে থাকে মনেহয় গাছের পেয়ারা
ব্যাঙ জোড়ে জোড়ে হাকে ঠিকই
সে রাগ করে না!
কেয়ারলেস
হারিয়ে যাওয়ার আগে নেয়না কোন খবর
হারিয়ে গেলে অবশেষে জলে ভেজায় কবর।
ব্রেকআপ
এত এত অভিমান এত অভিনয় শেষে
পাছা ঘুরায়ে দুই যাত্রী উঠলো দুইটা বাসে
তাঁগো একই দ্যাশে যাওয়ার কথা, এখন যাবে ভিন্ন দ্যাশে!
ভালোবাসা
কে কার প্রতি মুগ্ধ ছিলো জানি না
বিদায় শেষে ঝরলো চোখে
সাধারণ সে পানি না!
সিগারেট
একটা সিগারেটের টানে সারা দিনের ডিপ্রেশন শরীরে গুম হয়ে ঘুম দেয়।
রেডসালাম
আসসালামু আলাইকুম শ্রদ্ধেয় কাকা কুকুরের বাচ্চা!
মরতে ভয়
আমার লাশটি গেলার জন্য সর্বদা কবরটি হা করে রয়।
আমিও অক্সিজেন গিলতে হা হয়ে রই;
আমার মরতে করে ভয়!
ডিপ্রেশন
মনে হবে নিজেকে হারিয়েছেন গহীন বন
নিজেরে নিজের অসহ্য মনে হওয়া, নিজের ঘিলু চাবায়া খাওয়ার
নাম হইলো ডিপ্রেশন।
কাক
ও কাক ও কাক
তুই একটু জোড়ে ডাক
যা ছিলো আমার জীবনে তা
অশুভ হতে থাক।
শালিক
আমড়া গাছে বসে ডাকে
একটা শালিক পাখি
আসো আমরা গলা মিলিয়ে
শালিক ডাকতে থাকি।
মূল্য
আপনি, তুমি এবং তুই
গোলাপ, জবা এবং জুঁই।
তফাৎ বুঝে ডাকে সবাই নাম,
ডাকের মাঝেই বুঝে ফেললাম কার কতটা দাম!
কাক-২
অনেকদিনের চেনা জানার পর
আমি বুঝলাম কাক শুধুই কাক
যেদিন পাখিরা সব হারিয়ে যাবে
গাছগুলো সব শূণ্য হবে
টিনের চালায় অবাক দৃষ্টি কাক তুই ডাকতে থাক।
গোলাপ
আসসালামু আলাইকুম ও গোলাপ
আপনি আছেন আমিও আছি
ঘ্রাণে আসেন দুইজন নাচি
বকতে থাকি পাগলের প্রলাপ
অলাইকুম আসসালাম ও গোলাপ।
চুমু
ঠোঁট স্তব্ধ হয়ে উপলব্ধি করে
নিচের অংশ কি যেন আচমকা চুমুক মারে
কি উহা? উহা কী?
জীববিজ্ঞান এর বিবর্তনে
বিপরীত লিঙ্গ ছাড়া আরকি?
স্বরিবোধী
আসলে আল্লা বইলা কেউ নাই!
পূবের আকাশে তাকাই
সুবহানআল্লাহ্ চমৎকার সব
মেঘ আকাশে দেখতে পাই!
কল্পনা
চাষ করি আকাশে নতুন মেঘের
আকাশে আকাশে আজ উন্মদনাা
এক কুটি গ্রহ আছে নিজস্ব প্যাঁচে
চাঁদ শোনে কার যেন কুমন্ত্রণা!
কাকের গান
ওড়ে সকালের কালো-কালো কাক
হে ছোটপাখি, হে ছোটপাখি
শ্লেটে তোমারে করি আঁকা-আঁকি
তোমার বিশাল ফ্যান আমি
প্রত্যহ প্রত্যুষে তোমার কা কা কা গান শুনি!
ডারলিং
প্রত্যুষা!
দ্যাখো দ্যাখো
ডারলিং প্রত্যুষে
জাগছে উষা।
চলে গেলে
একবার মরে গেলে আমাকে
আর ফিরে পাবে না
বডি দেখবে ঠিকই
জড়িয়ে ধরতে পারবে না
কবরের পাশে যাবে
একসাথে শোয়া হবে না
একবার হারিয়ে গেলে
আমাকে আর খুঁজে পাবে না!
একদা
একটি দেহ নিস্তেজ হয়ে গেলে
ইতিহাস থেমে থেমে যায়
শোবার ঘর, সমস্ত কিছু পর করে দ্যায়
কেটে যায় মায়া হায়!
প্রেমিকা ও পর হয়ে যায়।
বিপক্ষীয় সময়
একটা সময় সবকিছু পর হয়ে যায়
নিজের শরীর নিজের বিপক্ষে চলে যায়
দেহের দূর্ঘটনা নিজের স্তনঢাকা ওড়নাটা
বুকে না জড়িয়ে, গলায় জড়িয়ে যায়!
হাহ্! এই মাদারচোদদের পৃথিবীতে-
আর স্থায়ী হতে হয় না!
সহী প্রেমিকা ভোলার উপায়
মন দিয়া পুরানা প্রেমিকারে না ভুলতে পারলে তাঁরে মা ভাবতে থাকেন।
-আর্গ্যুমেন্ট-
মেয়ে মানুষ
চাইতে চাইতে পাইতে পাইতে পাওয়ার অতিরিক্ত পাইলে
হয়ে যায় সোনা ব্যাঙ;
দুইটা আর থাকে না গজায় তিন ঠ্যাঙ।
লম্বা লম্বা লাফ দিয়ে পার হয়ে যাইতে চায়;
সুন্দরবন অথবা উত্তরের হিমালয়।
বক
উড়ে যায় সাদা দুটো ডানা মেলে
আকাশ ও পাখি উভয়ই সাদা
কাদা-পানিতে নেমে মাছ খায় অথচ
শরীরে ছিটে না একফোঁটা জল বা কাদা।
কাক
কালো সে পাখি কুচকুচে কালো তাঁর দেহাবয়াব;
রাত্রে বেলা দ্যাখে দিনে চুরির ও খোয়াব।
ব্রেকআপ
এত এত কষ্টের পর
মাথা থেইকা কমলো চাপ
দুইটা মানুষ দুদিক হাঁটলো
রিজন ছিলো ব্রেকআপ।
সন্যাসী
অজস্র কষ্টের পর
বিকারগ্রস্ত মানুষটি
হেঁটে গ্যালো বৃন্দাবন
রেখে ভারী আকাশটি।
ভুলকে ভয়
কিছু কান্না ভুলে থাকা যায় না
অসহায় কোন মেয়ে যদি ফোনে কাঁদে,
পৃথিবীতে আর থাকতে ইচ্ছে হয় না
মনে চায় চলে যাই এলিয়েন রূপে চাঁদে।
বিবেক
বিবেক বিবেক ডাকপাড়ি
কই গ্যালো হতচ্ছারা?
জনসমুদ্রের ভীর ঠেলে দেখি
বিবেক এর মায়, গ্যাছে মারা।
লাইট
আলো ফেলে দূরে কাঁদছিলো
একটি পাওয়ারফুল লাইট
আলো কম হতেই
হোগায় হাত রেখে
মালিক ব্যাটারীতে
দিচ্ছিলো টাইট।
বৃষ্টি
আকাশের মনখারাপ হলে
আকাশটা খুব কাঁদে
আকাশের অশ্রুকে
বৃষ্টি নামেই সবাই ডাকে!
শিকার
বাঘের সামনে হরিণ ভাবছে,
প্রতিটা প্রাণের প্রতি দয়া দেখানো অাবশ্যক! বাঘ সেদিন ক্ষুধার্ত ছিলো না বিধায় সেদিন সে প্রাণে বেঁচে গেলো। হয়রান হরিণ বাঘের কবল থেকে ছাড়া পেয়ে ক্ষুধায় কাতর হয়ে ১ মাঠ ঘাস সব সাবড়ে দিলো। ঘাসের ও প্রাণ ছিলো।
নদী
আজ অবধি
তাঁরে বিশ্বাস করা দায়
কোন খানে গিয়া ভাঙবে পার
আশঙ্কা এখানে হায়
এখানেই ডর!
ধৈর্য্য
তসবিহ দানা তসবিহ দানা
ক্ষ্যামা এইবার একটু দাও না!
এত যদি একজন ডাকো
সে কি বেজার হয় না?
চলো ঘুমিয়ে পরি
মেহমুদা
আসো
আজ
আমরা
তাড়াতাড়ি
শুয়ে
গেলেই তাড়াতাড়ি
ভোর হয়ে যাবে।
পিথিবীকে আজ মানুষ শূণ্য করতে গিয়ে দেখি তোমার স্তন এখনই পূর্ণ দুগ্ধে!
মনেহলো ভবিতব্য শাবকটি আমাদের পাশেই কাঁদে,
কি এক আজব কান্না ওরা কাঁদতে জানে মেহমুদা যা চরম সীমারকেও হোসেন করে দেয়!
আমার আর উচিৎ হবে কি পাঁচ টাকার প্যানথারে জাতের অস্তিত্বকে অপচয় করা?
মেহমুদা
আসো
আজ
আমরা
তাড়াতাড়ি
শুয়ে
গেলেই তাড়াতাড়ি
ভোর হয়ে যাবে।
শত্রুর ভালো কথাও যুদ্ধ জয়ের একটি চেষ্টা মাত্র মেহমুদা তুমি জানো।
যারা আমাদের বলে, "১টি হলে ভালো হয় ২টির অধিক ৩টি নয়, বাল্য বিবাহ ভালো নয়!'' ওরাই একদিন বলেছিলো "২টি হলে ভালো হয়, ৩টির অধিক ৪টি নয়, বাল্য বিবাহ ভালো নয়!''
বাসটার্ডস!
মেহমুদা তুমি জানো? যারা এই ভজন ছড়িয়েছে ওদের প্রত্যেকে ছয়-ছয় ভাই! আর চাইল্ড পর্ণ তৈরী হয়েছিলো ওদের গোপন ঘরে হিডেন ক্যামেরায়!
মেহমুদা! আমরা এই প্রতারকদের কোন কথাই গায়ে মাখবো না।
মেহমুদা
আসো
আজ
আমরা
তাড়াতাড়ি
শুয়ে
গেলেই তাড়াতাড়ি
ভোর হয়ে যাবে।
আমাদের দ্বিতীয় বাচ্চাটির কথা ভাবা উচিৎ যিনি অনাগত.....
যার জন্য তোমার স্তনে এসেছে শাল দুধ। তাঁর ক্ষুধা পেলে মুখে ভরে দেবে উদগ্র দুধের বোটা। নিপল চুষতে-চুষতে বাচ্চাটি
মেহমুদা একদিন বড় হয়ে যাবে। ও আমেরিকা যাবে। ইউনিসেফের আওতায় ফিরে আসবে এই বাঙলায়। আমরা সেদিনই "১টি হলে ভালো হয় ২টির অধিক ৩টি নয়, বাল্য বিবাহ ভালো নয়!'' মেনে নেবো। অন্যথায় আমাদের বাচ্চার চাকরীটা থাকবে না!
মেহমুদা
চলো ঘুমিয়ে পরি......
আমরা ঘুমুলে
তাড়াতাড়ি
ভোর হয়ে যাবে।
না ঘুমুলে ভোর হতে
ঢের ঢের দেরী হয়ে যাবে!
খামোস কবিতা
কবিতা পুনঃপুন হইতে চাও তুমি প্রেয়সির উরোজ!
শুভ্রমেঘ আকাশে খেলা করে দ্যাখো-ফনা ধইরা খেলা করে উরাগ-
আর মৌমাছি খেলা করে পুষ্পর উপর;
মাছের খেলা সলিলে সলিলে দ্যাখো-প্রেমিক-প্রেমিকার খেলা দ্যাখো চুম্বনে।
আর কবিতা তুমি বারেবারে মৌ-লোভী মৌমাছির মতো
মণ্ডল হইয়া; প্রেয়সির স্তনবৃন্ত নিয়া উদ্ধত চৌর্যবৃত্তি কর অন্যর ভাবনা!
তুমি তামাশা করতে চাচ্ছ প্রেয়সিরে নিয়া!
এ ধৃষ্টতা দেখিও না!
সুবাহ
সুবাহ!
লাল নীল অই আসমান দেখো, দেখো মেঘেদের নিয়ে কত স্বপ্ন গড়ে, সে আবেগ কে নিয়ে খেলা করে!
নীরদের পাহাড় গড়ে, আবার ভেঙ্গে যায় সে পাহাড় মৃদু বাতাসে।
নীরদের পাহাড় সৃজিল যে পাহাড় বিযুক্ত করে সে।
আমরা শুধু অভ্যাগত হিসাবে আসমানের খেলা দেখি,
আর লাল নীল মেঘ নিয়ে কল্পনার চিত্র আঁকি।
সুবাহ!
উষসী পর্বত দেখো, দেখো মাথা উঁচু করে আছে প্রনয়ণী দিগের স্তন প্রায়, বক্ষে তাঁর প্রসূতির দুধের নহর, পাথুড়ে মৃত্তিাকার সৃজন।
কতশত কল্পনা জমা রেখে বক্ষে, মাথা উঁচু করে যৌবনের বাহার জাহির করে আসছে আজীবন।
আমরা শুধু অভ্যাগত হিসাবে পর্বতের যৌবন দেখি,
আর উষসী দুগ্ধভরা পসূতি পর্বতের চিত্র আঁকি।
সুবাহ!
এইযে আকাশ, এইযে নীরদ আর পর্বতের রূপ আমাদের দুজনার হলো দেখা-
প্রিয় এইসব সৈান্দর্য যেন সব মিলিয়ে তোমার নখের উপমাও না!
তুমি ভাবছো "উন্মাদ বলে কি?''
প্রিয়! এই উন্মাদের কাছে এটাই সত্যি,
যে, তুমি চাঁদ - সারারাত জ্বলে থাকো মোর হৃদয়ে;
তোমার সৌন্দর্য্যে সব সৈান্দর্য্য ম্লান হয় তুমি অাছো সুন্দরী রাণীরূপে মোর হিয়াতে!
সুবাহ!
প্রিয় আমি তোমাকে যখন দেখি, মনে হয় যেন পৃথিবীর সকল সৈান্দর্য্য দেখছি! রূপসী সৃষ্টি ম্লান হতে থাকে তোমার পায়ে,
আমি ক্ষত বিক্ষত; পুড়ে ছাই-ভস্ম হই নূরের ঝলকে!
মনে হয় যেন খোদা ফিরদৌসের কোন হুরি কে দুনিয়ায়, বেহেশতি সুখ দিতে দান করেছেন আমাকে!
রিভেঞ্জ
।।এক।।
দুঃখ পেলে সবাই
কাঁদতে জানে না
কারো কারো
হৃদয় ভেঙে যায়
কাচের টুকরার মত
অথচ চোখে
জল গড়ায় না!
যারা কাঁদতে জানে না
তাদের দুঃখটা
কত গভীর
একমাত্র পরমেরই জানা!
আমি এতটুকু দেহে
এত কম বয়োসে
এত অপমান
এত বিরহ
এত অসম্মান,
ক্যামন করে সহ্য করেছি
ভেবে নিজেকে নিজেই
সেলুট করে
বলি "বস মারহাবা'' !
তবে হ্যাঁ, তোমার
সকল দুর্ব্যবহারে
হৃদয় ভাঙে আর
চোখ ভারী করে!
অপমান, অবজ্ঞা, অানাদর
আর বিরক্তিবোধ
থলিতে জমা হতে থাকে।
চোখ বারেবার ইশারায়
বলে দ্যায়, আর কত
অবহেলা, তকলিফ
বাকি রয়েছে?
।।দুই।।
ইনশাল্লা
একদিন ফিরিয়ে দেবো
সব জমিত অপমান!
তুমি শুধু তাকিয়েই থাকবে
যেরকম আমি
তোমার দিকে
তাকিয়ে থাকতাম।
মুখের ওপর সব
"না" বলে দেওয়া,
হাত ধরতে না দেয়া
পাশে বসতে না দেয়া
আমাকে বারবার খোটা দেয়া
আমাকে বোকা ভাবা
প্রতিটা গালি
একেক করে
আর শ্লেষে আমাকে
ধ্বংশ করে দেয়া!
টিস্যুতে হাত, নাক মুছে
মুখে ছুড়ে দিয়ে
সবকিছুর শোধ নেবো
ইনশাল্লা একদিন!
তোমার মুখে কোন
কথা সড়বে না
কারণ নিজেই খাল কেটে
তুমি কুমির এনেছিলে!
ভাবতেও তোমার কষ্ট হবে যে,
"আমি এতটা খারাপ হতে পারি!''
।।তিন।।
ইনশাল্লা
তুমি মরে ভূত হলে,
তোমার মৃতদেহতে
লাথিও দেবো না
আমার দামী জুতো
ফকিরনি একদম
সহ্য করে না!
জানাজা তো দূরে থাক
আমি তোমার লাশটা কে
দূর হতে
দেখতেও যাবো না!
খাটিয়ায় তুমি
অপমানবোধ
হতে থাকবে।
এমন ভান করে থাকবো
যেন তোমাকে আর
চিনি না আমি।
কোন কালেই
আমরা পরিচিত
ছিলাম না যেন।
আমার ঘৃণা হবে ছিঃ!
পূর্বের সব বিরহ
মনে পরে যাবে;
কবরে একদলা
থুও ফেলবো না।
জানো তো
আমি যেখানে-সেখানে
থুঃ ফেলি না।
সুযোগ পেলে
তোমার নাপাক খাটিয়ায়
আগুন জ্বালিয়ে দেবো!
।।চার।।
ইনশাল্লা
তুমি মরে যাওয়ার
একদশক পর একদিন
কবরে বড় ঘাস গজাবে,
তোমার কবরের
যত্ন নিচ্ছে না যেন কেউ,
নিশ্চিহ্ন প্রায়
কবরের উঁচু প্রস্তর।
মরিচাধরা সাইনবোর্ডে শুধু
তোমার অস্পষ্ট
নাম সাদা
রঙে লেখা।
আমাকে তুমি
আসতে দেখবে
তোমাকে আমি
দেখবো না।
হয়তো ভাববে
তোমার কবর
জিয়ারতে এসেছি।
তুমি স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবে
হয়তোবা ভাববে আমার
দোআয় তোমার শাস্তি
কিঞ্চিত লঘু হতে পারে।
অামি হাসবো রহস্যের হাসি
তোমার কবরের মাটি
ভেঙে যেতে দেখে।
আমি কবরের পাশে দাঁড়াবো
জিয়ারতের ভান করে
জিপারটা আস্তে টেনে খুলে
কবরের পাশে ঘুরে ঘুরে
কবরের গায়ে মুতে
লেপ্টে আসবো
গৎবাঁধা শ্লেষ।
।।পাঁচ।।
তুমি দেখবে
অথচ কিচ্ছুটি
বলার শক্তি
নেই তোমার!
দুনিয়াতে তোমার কথা
কেউ শোনে না
এখন আর।
এমনকি তোমার
কবরের ফেরেশতারা ও না!
মনে রেখো, আমাকে
ইগনোর করেছো বলে
কবরেও তোমার শান্তিতে
থাকা হবে না!
হা হা হা!
রিভেঞ্জ-২
একদিন আমাকে করা
সব অপমান
পুঙ্খানুপুঙ্খ ফিরিয়ে দেবো!
পেটে লাথি মারা
গায়ে হাত তোলা
আমাকে ছোট করা
আমাকে নিয়ে ব্যঙ্গবিদ্রুপ
টুটি চেপে ধরা
আর প্রতিটা গালি
যেভাবে আমাকে দিয়েছিলে
ঠিক তার দ্বিগুণ
বুঝিয়ে দেবো কড়ায়গণ্ডায়!
তোমরা কাঠগড়ায়
থাকা আসামী হবে
সেদিন আমি লয়ার
আমিই ধর্মাবতার;
তোমরা শুধু তাকিয়ে থাকবে,
হা করার ও শক্তিটা থাকবে না।
মনে রেখো!
আমি তোমাদের
আশির্বাদ করলেও
তোমাদের মনে হবে
গালি দিচ্ছি!
কেননা তোমাদের পূর্বের
পাপ তোমাদের পীড়া দেবে।
তোমরা আষাঢ়ের গাছ
আমি গ্রীষ্মের প্রখর তাপদাহ
একদিন শুকিয়ে যাবে
গ্রীষ্মের প্রখর তাপে!
জানি তো একদিন
তুমি ফিরে আসবা;
অথচ আমি এমন
ভাব ধরবো যেন,
তোমারে আর চিনিই না!
আমি অন্যদিকে তাকিয়ে
সিগারেট ফুকতে ফুকতে
বলবো,
"যান বিজি আছি
আন্টি পরে আসুন!''
রিভেঞ্জ-৩
একদিন আমার ও সময় আসবে
আমিও অনেকটা বড় হব!
তোমার কল্পনার অনেকটা বাইরে!
তোমার অহংকারের চে আমার একটা কথার ওজন হবে সাতমন বেশি ভারী তুমি সহ্য করতে পারবে না!
প্রিয়তমা তুমি আমার কথার ওজনে মাটিতে মিশে যাবে।
আমিও তোমার ফোন দেখে রিসিভারে ৩ বারে হাত নেবো না।
তোমার বার্তা খুলেও দেখবো না।
তোমাকে পাশে বসতে দেবো না
জড়িয়ে ধরে ভালোবাসতে দেবো না!
তুমি কাঁদবে আর আমি তাকিয়ে দেখবো।
তুমি টিস্যু চাইবে নাকের চোখের পানি মুছতে
আমার দামী টিস্যুতে তোমারে হাত ছোঁয়াতে দেবো না।
আমি একটা গাছ। মনেকর।
ছোট থাকে গাছ দেখোইতো
ডালপালা গজায়, মস্তবড় শীর সুউচ্চে তুলে মেঘরে চ্যালেঞ্জ করে বসে
উপরের মেঘ ঈর্ষান্বিত হয়,
যুদ্ধের দামামা বাজায়
বজ্রপাত নিক্ষেপিত হয় মেঘের পাচিল থেকে গাছের মস্তকে!
বজ্রের আঘাতে গাছ মরে যায়
শিকড়ে গজায় তাঁর সুউচ্চে মাথা
তোলার স্বপ্ন।
শিকড় থেকে গাছের ভবিষ্যৎ সুউচ্চে মাথা তোলে, পূণরায় চ্যালেঞ্জ করে মেঘ মালারে।
একদিন আমার ও সময় আসবে
আমিও বড় হব!
তোমার বাড়ির ছোট রাস্তায়
আমারে দেখবা স্বর্নে মোড়া গাড়ি
নিয়ে প্যাঁপোঁ হর্ণ বাজাচ্ছি
কানে তালা লেগে যাবে তোমার পরিবারের।
আর তোমার বাবার কালো কুচকুচে দুটো হাত আমি স্বর্ন দিয়ে মুড়িয়ে দেবো!
একটা বান্ডিলের সব টাকা তোমার বাবার মুখে ছুড়ে দিয়ে বলবো "নে ফকিরনির বাচ্চা এইবার এইসব দিয়া মুড়ি ভেজে তোর মেয়ে কে নিয়া খা যাহ!''