শেরগুচ্ছ
ইমতিয়াজ মাহমুদ
সুখী আর অসুখী
যাদুকর আমারে পাথর বানিয়ে রেখে দিয়েছে কালো পাহাড়ে
এই গল্প শুনে ঝর্না বলে উঠল, আহারে!
গল্প
চুলার আগুনে পুড়তে থাকা মাছ
তুমি আমাকে নদীর গল্প বলো।
একাকিত্ব
একা হও, একা হও, একা হয়ে যাও
হাত মাথা খুলে রাখো, খুলে রাখো পাও।
দুনিয়া
সাপের জগতে আমি ছন্নছাড়া ব্যাঙ
একজনে মাথা খাচ্ছে অন্যজনে ঠ্যাং।
পরাধীনতা
আকাশ যদি চোখের চেয়ে ছোট
সূর্য তবে যাও, অন্যদেশে ওঠো।
উপমহাদেশ
আমি বললাম পানি, তুমি বললা জল,
কার রক্তে কার যে হলো চক্ষু টলমল।
বিচ্ছেদ
যেতে চাচ্ছ যাও, শুধু বলি নিচু স্বরে
যার কাছে যাবে সেও জ্বলবে নরকে।
চিহ্ন
ছিন্ন হয়ে যাওয়া আঙুলটিও
চিহ্ন রেখে গেছে এই হাতে।
বাসর
কোনো ফুল নেই কাফনে অশ্রুর দাগ
তোমাকে দিলাম আমার মৃত্যুর ভাগ।
ধৈর্য
ধৈর্য ধরো নিঃস্ব মানুষ ,ধৈর্য ধরো ফুল,
নদী ছুটে গেলেও দেখো স্থির আছে কূল।
ঘড়ি
এই শূন্যে বা ঐ শূন্যে...সময় বলে কিছু নেই...ফলে,
আমার অচল ঘড়িটা সারাক্ষণ তোমার কথা বলে।
ইতিহাস
”একটি খুনে যাবজ্জীবন, দশটি খুনে ইতিহাস”
সূর্য উঠে ফরে ডুবে যায় আকাশ ভরা আলোর লাশ।
স্বাধীনতা
যতদূরে যাও পাখি...দেখা হবে ফের,
স্বাধীন ঐ আকাশটা শেখ মুজিবের।
উন্নয়ন
ভাতে আমরা লবণ চাই না, জনাব,
চোখের পানিতে অনেক লবণ আছে।
শখ
জলের উপর চক্রাকারে ঘুরতে থাকা বক
তোমায় দেখে বাড়ে আমার নদী হবার শখ।
...................
লেখক তরুন কবি হিসেবে কলকাতায় কৃত্তিবাস পুরষ্কার পেয়েছেন।