ছাত্রদের রক্ত এত সস্তা!
সজল আহমেদ
ছাত্রদের রক্ত এত সস্তা!
ছাত্রদের রক্ত এত সস্তা যে, আপনি তা বেইচা এক কাপ চা খাইতে পারবেন। আরো পারবেন তাগোর রক্তের উপর দাগ কাইটা কুতকুত খেলতে।
আমরা এই রক্ত ইউজ করতে পারি দেয়ালে, রঙ হিসাবে কিংবা পোস্টারে। সেইখানে লেখা আরো বেশ গাঁঢ় লাগবে। পান করতে পারবেন, স্নান করতে পারবেন এমনকি পারবেন মেঝেতে ফেলে স্কেটিং করতে৷ অথবা ইউজ করবেন গাঁঢ়ের ব্যথা কমাইতে— প্রক্টর, ভিপি, উপাচার্যের মতো মোলায়েম মলম হিসাবে। অল্প টাকায় এমন সস্তার লিকুইড মলম আজীবন পাছায় ঘষে এসেছে সমগ্র সাংগঠনিক ভাইবেরাদার।
ছাত্রদের রক্ত এত সস্তা! আপনি তা সূরা হিসাবে পান করতে পারবেন পুলিশের সাথে — যেমন তাঁরা পান করে হস্তমৈথুনের সময় কাঁচের গ্লাসে ; নেতাদের সাথে।
ছাত্রদের রক্ত এত সস্তা যে, আপনি চাইলেই অমুক ভাইয়ের মিছিলে, তমুক ভাইয়ের সমাবেশে গ্যালন-গ্যালন তা দান করতে পারবেন আর কোন সমস্যা ছাড়াই! প্রথমে তাঁরা দিতে চাইবে না। না না করবে৷ আপনি কেবল টেকনিক খাটাবেন, একটা রিভলবার অথবা পাখি মারা বন্দুক, চাপাতি অথবা তীক্ষ্ণ কিছু, গোটাকতক ককটেল৷ ব্যাস, পেয়ে যাবেন৷
ছাত্রদের রক্ত এত সস্তা ভাই! এরপর যদি আপনি সেসব ডাইনির কথা ভাবেন, সে কয়েক সহস্র যুগ আগের। তাহলেই দেখবেন - রাজনীতির মাঠে কোন ডাইনি ভাত পায়নি এই ছাত্রদের সস্তা রক্ত ছাড়া। এই যুগ পর্যন্ত — আমরা কেবল তা দেখেই এসেছি যুগের পর যুগ, যুগের পর যুগ, যুগের পর যুগ৷ অল্প শ্রমে এত বেশি রক্ত পাওয়ার এমন বিশাল সুযোগ হাত ছাড়া করেনি কোনকালে কোন উপাচার্য ক্ষাণকিরপোলাও!