উপকথা ১১

 উপকথা ২২

.

এক শহরে এক সুখী দম্পতি ছিলো। বিয়ের ষাট বছর পার হলেও তাদের মধ্যে কখনো বড় ধরনের কোনো অশান্তি হয়নি। তারা একজন অন্যজনার কাছে কিছু গোপন করতো না।

.

শুধু একটাই গোপনীয়তা ছিলো, সেটা হচ্ছে ভদ্রমহিলার একটা জুতার বাক্স। সে তার স্বামীকে বলেছিলো, কখনো যেন এই বাক্সটা না খোলে। অথবা বাক্স সম্পর্কে তার কাছে কিছু জিজ্ঞেস না করে। তার স্বামীও তার কথা মেনে ঐ সম্পর্কে কখনো কিছু জানতে চায়নি।

.

এভাবে আরো কয়েক বছর যাওয়ার পর একদিন সেই মহিলা খুব অসুস্থ হয়ে পড়ে। ডাক্তার জানায়, সে আর বেশি দিন বাঁচবে না। ভদ্রমহিলা বিছানায় শুয়ে তার শেষ দিনগুলো পার করতে থাকে। 

.

এমন সময় হঠাৎ একদিন তার স্বামীর জুতার বাক্সটির বিষয়ে কৌতূহল তৈরি হয়। সে আলমারি থেকে বাক্সটি বের করে তার বউয়ের কাছে নিয়ে আসে।

তার বউ সম্মতি দিলে, সে বাক্সটি খুলে ফেলে।

দেখা যায়, তার ভেতরে দুটি পুতুল পড়ে আছে। আর পুতুলের পাশে ৯৫ লাখ টাকা।

.

বৃদ্ধ পুতুল দুটি সম্পর্কে জানতে চায়।

তার বউ তখন বলে, "আমাদের বিয়ের সময় আমার দাদী আমাকে সুখী দাম্পত্য জীবনের একটা সিক্রেট বলে গিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, আমি যেন কখনো ঝগড়া না করি। আর কোনো কারণে তোমার উপর রাগ হলে সেটা প্রকাশ না করে যেন একটা পুতুল বানিয়ে ফেলি।"

.

বৃদ্ধ তার এই কথা শুনে বাক্সটার দিকে আবার তাকালো। মাত্র দুটি পুতুল! এত বছরে তার বউয়ের তার উপর মাত্র দু'বার মেজাজ খারাপ হয়েছে। তার চোখ আনন্দে ভিজে উঠলো।

.

চোখের পানি কোনোরকম সামলে সে জিজ্ঞেস করলো, "আচ্ছা, বাক্সের ভেতরের এই ৯৫ লাখ টাকার রহস্য কী?"

.

বৃদ্ধা উত্তর দিলো, "ঐ টাকা আমি পুতুল বিক্রি করে পেয়েছি।"

.

.

ভাবানুবাদ : ইমতিয়াজ মাহমুদ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন