দেয়াল | বীথি সপ্তর্ষির কবিতা

 

দেয়াল

বীথি সপ্তর্ষি

তুমি দাগ টানতে জানো গাঢ় করে
লাশকাটা ঘরে যেমন গভীর করে আঁচড় কাটে ছুরি-কাঁচি।
মানচিত্রের মতো দাগ টেনে আলাদা করতে জানো সীমানা
ইটের পর ইট রেখে তুলে ফেলতে পারো নিশ্ছিদ্র দেয়াল
তুমি বোঝাতে পারো তোমার আলাদা দেশ।
অনুভূতিরা সীমানা পেরুতে গেলে
তুমি গুলি ছুঁড়তে জানো, এক দু্ই তিন।
গুলিবিদ্ধ কত অনুভূতি রক্ত-স্নানে দেয়ালে লেপ্টে থাকে লাল হয়ে
তার হিসেব তুমি রাখো না।
জীবন-মৃত্যুর হিসেব তোমাকে ভাবায় না
এত যে দেয়াল, কাঁটাতারের বেড়া, সীমানা প্রাচীর তুলে রাখো
কত পাখি রোজ বিকেলে সব পেরিয়ে এপার ওপার হয়-
তুমি কি আটকাতে পারো পাখিদের?
গুলি ছুঁড়ে মারতে পারো, এক দুই তিন?
আমাকে নাহয় আটকে রাখো,
আমার ফুসফুস ধোয়া কার্বন-ডাই-অক্সাইড
তোমার গাছেদের নাকে কি যায় না?
একটা সীমান্ত, কাঁটাতার আর ইমিগ্রেশন দিয়ে কি মন আটকানো যায়?
তুমি তো কেবল দাগ টানতে জানো গাঢ় করে
ইটের পর ইট রেখে তুলে ফেলতে পারো নিশ্ছিদ্র দেয়াল
তাতে কী?
তোমার পাখিরা কি এ পাশের সরোবরে আসে না?

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন