কেনোগাপার্কে যেই ইয়াং মহিলাটা থাকে — চার্লস বুকোস্কির কবিতা

 কেনোগাপার্কে যেই ইয়াং মহিলাটা থাকে

শে খালি তারেই লাগায় যারে শে
বিয়া করতে চায় না।
অন্যদেরকে শে কয়
আমারে বিয়া করা লাগবে।
অথবা হইতে পারে শে তারেই চুদে যারে তাঁর
চুদতে ইচ্ছা করে?
শে খোলাখুলই এইটা নিয়া কথা বলে
আর শেষে একটা অ্যাপার্টমেন্টে থাকে
লাল-চুলওলা একটা ৯-বছরের পোলার লগে
আর একটা ৭-মাস-বয়েসী বাচ্চার লগে।
শে চাইল্ড সার্পোটের টাকা পায়
আর যখন শে চাকরি করে
শে চাকরি করে ফ্যাক্টরিগুলিতে অথবা একজন
ককটেল ওয়েট্রেস হিসাবে।
তার ৬০ বছর বয়েসী একটা বয়ফ্রেন্ড আছে
যে দিনে এক জগ ওয়াইন খায়
একটা ঠ্যাং ভাঙ্গা
আর ওয়াইএমসিএ’তে থাকে।
শে ডোপ নেয়, বেশিরভাগ গাঞ্জাই
বড়ি খায়
কালা চশমা পিন্দে
আর কথা কইতেই থাকে কইতেই থাকে কইতেই থাকে
আপনার দিকে না তাকায়া আর
একটা লম্বা গুটির নেকলেস নাড়াইতে থাকে তাঁর
চিকন
নার্ভাস আঙুলগুলি দিয়া।
রাজহাঁসের মতোন একটা গলা অাছে তাঁর,
হয়তো একটা মুভিস্টার হইতে পারতো,
দুইবার পাগলাগারদে ছিলো,
এক মা আছে পাগলাগারদে,
আর এক বইন আছে জেলখানায়।
আপনি কখনোই জানেন না কখোন শে হয়া যাইতে পারে

পাগল আবার আর
ছোট মুঠিগুলি ছঁুড়তে থাকবে
আর রাত ৩টার সময় আপনারে ফোন দিবো।
বাচ্চাগুলি চাকা-লাগানো খেলনা দিয়া ঘুরে অ্যাপার্টমেন্টে
আর শে চুদতে থাকে অথবা চুদে না,
একটা এক্সারসাইজ চার্ট আছে তার ওয়ালে
এইদিকে বা এইদিকে বেন্ড করার
পায়ের পাতা ধরার
ফাল দেয়ার
স্ট্রেচ করার আর এইরকম
কিছু। শে ডোপ থিকা ধর্মে যায়
আর ধর্ম থিকা ডোপে ফিরা আসে আর
কালা বেটাদের থিকা শাদা বেটাদের কাছে আর যায়
শাদা থিকা
কালায় আবার।

যখন শে তাঁর কালা চশমা খুলে
তাঁর চোখগুলি নীল
আর শে হাসার ট্রাই করে
যখন শে নেকলেসটারে টুইস্ট করতে থাকে
চারপাশে আর চারপাশে।
এইটার শেষে ৩টা চাবি আছে:
অর গাড়ির চাবি
অর অ্যাপার্টমেন্টের চাবি
আর আরেকটা নিয়া আমি কখনোই
জিগাই নাই তারে।
শে হাল ছাইড়া দেয় নাই,
শে এখনো মারা যায় নাই,
শে এমনকি বুড়াও হয় নাই,
অর এয়ারকন্ডিশনারটা কাজ করে না

আর এইসবকিছুই আমি জানি
অর সম্পর্কে কারণ আমি তাদের একজন
যারে শে চায়
বিয়া করতে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন