নরক একটা একলা জায়গা
তার বয়স আছিলো ৬৫, তার বউয়ের ৬৬, ছিলো
আলঝাইমার রোগ।
তার ক্যান্সার আছিলো
মুখে।
হইছিলো
অপারেশন, রেডিয়েশন
চিকিৎসা-পাতি
যা হাড়গুলিরে ক্ষয়া দিছিলো তার
চোয়ালে
যেইখানে পরে লাগাইতে হইছিলো
তার।
ডেইলি সে তার বউরে রাখে
রাবারের ডায়াপারে
একটা বাচ্চার
মতোন।
ড্রাইভ করতে না পাইরা তার
এই কন্ডিশনে
তার ট্যাক্সি নেয়া লাগে
যাওয়ার লাইগা মেডিকেল
সেন্টারে,
কথা কইতে পারতো না,
লেইখা
দিতে হইতো ডিরেকশনগুলি।
লাস্ট বার ভিজিটের সময়
অরা তারে কইছিলো
আরেকটা লাগবো
অপারেশন: আরেকটু
বামদিকের
গালে আর একটু
জিহ্বাতে।
যখন সে ফিরা আসছিলো
সে চেইঞ্জ কইরা দিছিলো তার বউয়ের
ডায়াপার
টিভিটা ছাড়লো
ডাইনিংয়ে, দেখলো
সন্ধ্যার খবর
তারপরে গেলো
শোবার ঘরে, নিলো
পিস্তলটা, ঠেকাইলো তার
কপালে, গুলি কইরা দিলো।
শে পইড়া গেলো
বামপাশে, সে বসছিলো
সোফার উপরে
পিস্তলটা রাখলো তার
মুখে, টাইনা দিলো
ট্রিগারটা।
এই গোলাগুলি জাগায় নাই
পাড়া-প্রতিবেশীদের।
পরে
ডাইনিংয়ের পুড়া টিভিটা
করছিলো।
কেউ একজন আসছিলো, ধাক্কা দিয়া
খুলছিলো দরোজাটা, দেখছিলো
এইটা।
সাথে সাথে
পুলিশ আসছিলো আর
তাদের রুটিনের ভিতর দিয়া
গেছিলো, কিছু জিনিস
পাইছিলো:
একটা বন্ধ করা সেভিংস
অ্যাকাউন্ট আর
একটা চেকবুক যেইখানে
ব্যালেন্স আছিলো
$ ১.১৪
সুইসাইড, উনারা
সাব্যস্ত করলো।
তিন সপ্তাহের মধ্যে
এইখানে দুইজন
নতুন ভাড়াটিয়া আসলো:
একজন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার
নাম
রস
আর অর বউ
আনাতানা
যে শিখে
ব্যালে।
অদেরকে দেখতে লাগতো আরেকটা
উঁচাঘরের চঞ্চল
জোড়ার মতোন।