উপকথা ৫

 অনেক দিন আগের কথা। খুব রাগী একটা ছেলে ছিলো। একদিন তার বাবা তাকে পেরেক ভর্তি একটা থলে দিয়ে বললো, যখনই তার মেজাজ খারাপ হবে তখনই যেন সে তাদের কাঠের বেড়ায় একটা করে পেরেক মারে।

.

প্রথম দিন সেই ছেলেটা বেড়ায় ৩৭টা পেরেক মারলো। ঐদিন তার পাগলের মতো অবস্থা ছিলো। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে সে নিজের মেজাজ নিয়ন্ত্রণ করতে শিখলো। ফলে বেড়ায় তার পেরেক মারার সংখ্যাও কমতে লাগলো। তারপর একদিন এলো, যেদিন ছেলেটাকে বেড়ায় আর একটা পেরেকও মারতে হলো না।

.

সে তার বাবাকে গিয়ে এই খবর জানালো।

তার বাবা শুনে খুশি হলো। এবং বললো, এখন থেকে যেদিন তার মেজাজ আর একবারও খারাপ হবে না, সেদিন যেন সে বেড়া থেকে একটা করে পেরেক তুলে ফেলে।

.

কয়েক সপ্তাহ পার হলো। ছেলেটা একসময় বেড়ার শেষ পেরেকটাও তুলে ফেললো। তারপর তার বাবাকে গিয়ে জানালো, বেড়ার সব পেরেক তার তোলা হয়ে গেছে।

তার বাবা ছেলেকে নিয়ে বেড়ার কাছে গেলো। মুচকি হেসে বললো, তুমি খুব ভালো করেছ। কিন্তু বেড়াটার দিকে একবার তাকিয়ে দেখো, এটার কী অবস্থা?

ছেলেটা বললো, হ্যাঁ, অনেক ছিদ্র।

.

তার বাবা বললো, এটা আর কখনো আগের মতো হবে না। তুমি যখন রাগের মাথায় কাউকে কিছু বলবে, সেটা তার মনে একটা স্থায়ী ক্ষত তৈরি করবে। তারপর তুমি তার কাছে যতই দুঃখ প্রকাশ করো, সেই ক্ষত আর কখনো সারবে না।

.

.

ভাবানুবাদ : Imtiaz Mahmud - ইমতিয়াজ মাহমুদ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন