আবু আল-শামাক্মাক্ (?-৭৯৬)
যদি আমি…
যদি আমি জাহাজ ভাসাই দরিয়ায়
শুকায় ফেনারা যত, ঢেউ জ’মে যায়।
যদি হাতে রেখে দেখি দ্যুতিমান্ মণি
মণিখানি কাচ হয়ে যায় যে তখনই।
যদি পান করি মিঠা ফোরাতের জল,
আমার মুখের মধ্যে লবণ কেবল।
আল্লা আর মালিকের প্রতি আর্জি মম:
আমার বাজেরা ওড়ে মুরগির সম।
আব্বাস ইব্ন্ আল-আহ্নাফ (৭৫০-৮০৯)
নির্-জনতা
আব্বাস, তোমার জামা আমি যেন হই
বা আমার জামা তুমি, সখা!
অথবা আমরা যেন একই পাত্রে রই
তুমি মদ, আমি জল তথা।
কিংবা হ’য়ে একজোড়া চখি আর চখা
মরুভূতে খুঁজি নির্জনতা —
নির্-জনতা।
(ইরাক)
আব্দুল্লাহ্ ইব্ন্ আল-মু’তাজ্ (৮৬১-৯০৮)
বঙ্কিম চন্দ্র
দ্যাখো ও-উঠতে-থাকা বাঁকা চাঁদ, ধরে কী শোভা!
আলো দিয়ে তার নিচ্ছে কেটে তমিস্রা —
রুপালি হাঁসুয়া, ঘাস কেটে চ’লে যায় যেন-বা
কালো প্রেইরির — বুকে খেলে যার সাদা-সাদা নার্গিসরা!
হাফ্সা বিন্ত্ আল-হাজ্ (?-১১৮৯)
অসূয়াপরবশ প্রকৃতি
হাসে নি এ-বাগান, আমরা দু’জনায় হেঁটেছি যে-সময় বীথিকায়,
বরং দেখিয়েছে সবুজ অসূয়া সে, হলুদ উষ্মার কাঁচা রঙ!
খুশিতে ঢেউগুলি নদীও ছড়ায় নি, আমরা যবে তার কিনারায়
দু’জনে দাঁড়িয়েছি; ঘুঘুও ঘুঘুঘুঘু ডেকেছে অভিযোগ জানাতেই!
ভেবো না এ-দুনিয়া সুষমা-সম্পুট, এবং দয়ালু সে-ললনা,
সেরেফ তুমি ভালো ব’লেই। ঐ দ্যাখো, কীভাবে আসমান জ্বেলেছে
তারার বাতিগুলো, শুধুই কুনজর রাখতে আমাদের মিলনে!
ইউসুফ আল-খাল (১৯১৭-১৯৮৭)
যথেষ্ট, বলল রমণী
যথেষ্ট, বলল রমণী।
কষ্ট আমার ঠোঁটে,
বুকে কষ্ট,
আমি কষ্টময়।
যথেষ্ট।
বাতিটা নেভাও, ঘুম যাও,
কালো-কালো দাগে নোংরা প্রভাতের আলো।
আমিও ঘুমাব,
আর সারা দুনিয়াটা আমার সঙ্গে ঘুম যাবে,
কোনো স্বপ্ন
আমাদের জাগাবে না; স্বপ্নের মরণ জাগাবে।
জাগরণ
পুড়ে-ছাই-হ’য়ে-যেতে-থাকা ঘন বন।
(সিরিয়া)
নাজিক আল-মালাইকা (১৯২২-২০০৭)
নওরোজ
আমাদের ঘরে তুমি এসো না, নওরোজ,
ভূতের জগৎ থেকে উঠে-আসা প্রতিধ্বনি আমরা।
আমাদের পরিত্যাগ করেছে মানুষ,
টুটে গেছে রাত ও অতীত।
আমাদের ভুলেছে তকদির।
আশা-আকাঙ্ক্ষায় চিরবঞ্চিত আমাদের আর
নাই কোনো স্মৃতি, কোনো স্বপ্ন:
আমাদের শান্ত মুখ হারিয়েছে রঙ,
হারিয়েছে সমস্ত জলুস।
আমরা সময় থেকে শূন্যে সট্কে যাই,
পরিতাপে কখনও পুড়ি না,
শুধু বাস ক’রে চলি মোলায়েম হাবেলিতে এক।
নওরোজ, এগিয়ে যাও,
আমাদের জাগাবার কোশিশ কোরো না খামখাই:
আমাদের শিরা পাটখড়ি,
রুধিরে বয় না আর ক্রোধ,
কে বলেছে বিস্ফোরিত হ’তে পারে আত্মা?
আমি খুশি হতাম বরং, মারা গেলে
কবরেরা প্রত্যাখ্যান করলে আমাদের।
শুধু যদি সময়েরে তৌল করা যেত
বৎসরের বাটখারার দ্বারা!
শুধু যদি জানা যেত নিজের একটা ঘর থাকার মানে কী!
শুধু যদি পেতাম উন্মাদনায় ভয়!
শুধু যদি দ্বার থেকে দ্বারে ছোটা অসহ্য হ’ত আমাদের!
শুধু যদি পারা যেত মারা যেতে অন্যদের মতো!
(ইরাক)
আব্দুল ওয়াহাব আল-বায়াতি (১৯২৬-১৯৯৯)
গায়ক ও চাঁদ
১
খেলতে দেখেছি তাকে কল্জে এবং চুনি দিয়ে
২
মরতে দেখেছি আমি তাকে
৩
রক্তগুঞ্জাফলে রাঙা ফতুয়াটি তার
হৃদয়ে প্রোথিত চাকু
ঊর্ণাজাল
বেড়ে’ আছে তার বাঁশিখানি
আর ও-সবুজ চাঁদ চোখে তার
রাতের এবং গৃহরাজির ছাদের অন্তরালে অস্তে ঢলে
যখন সে শুয়ে আছে ফুটপাতে, নিঃশব্দ মৃত্যুর কোলে।
(ইরাক)
মুঈন বেসেইসো (১৯২৬-)
র্যাঁবো-র প্রতি
র্যাঁবো যখন ব’নে গেল একজন দাস-ব্যবসায়ী
আর ছুঁড়ে দিল জাল তার
ইথিয়োপিয়ায়,
ধরতে কালো সিংহ,
কালো রাজহাঁস
সে ছেড়ে দিয়েছিল কবিতা-লেখা . . .
কী সৎ ছিল ঐ ছোট্ট ছেলেটি . . .
অথচ কত কবিই
হয়েছে দাস-ব্যবসায়ী,
হয়েছে কুসীদজীবী,
এবং কবিতা-লেখা বন্ধ করে নি;
হয়েছে প্রচার-সংস্থার প্রতিনিধি
আর জাল-ছবির দালাল,
এবং কবিতা-লেখা বন্ধ করে নি।
সুলতানের প্রাসাদে তাদের কবিতাকে করা হয়েছে
দরোজা জানালা
টিপয় ফরাস,
এবং তারা কবিতা-লেখা বন্ধ করে নি . . .
তারা তোষামোদ করেছে,
গ্রহণ করেছে পদক ও খেতাব,
সোনা রুপা আর পাথরের কাপ,
এবং কবিতা-লেখা বন্ধ করে নি . . .
কোটালের মোহর,
কোটালের পদচিহ্ন তাদের কবিতায়,
এবং তারা কবিতা-লেখা বন্ধ করে নি . . .
কী সৎ ছিল র্যাঁবো . . .
কী সৎ ছিল ছোট্ট ছেলেটি . . .
লাল বাতি সবুজ বাতি
লাল বাতি
থামো
সবুজ বাতি
যাও
লাল বাতি
সবুজ বাতি
লাল বাতি
সবুজ বাতি
থামো
থামো
যাও
যাও
লাল বাতি
লাল বাতি
কোথায় সবুজ বাতি
গাড়িতে এক পোয়াতি
গাড়িতে বিয়ায়
সেই ছেলে বড় হয়
বড় হ’য়ে প্রেমে পড়ে
গাড়িতেই নিকা করে
আণ্ডাবাচ্চা লয়
খবরের কাগজ আর ম্যাগাজিন পড়ে
গাড়িতেই
তারা তারে ধরে
আর বুট-এ ভরে
তালিকা-ভুক্ত করে
সে শহিদ হয় সেই
গাড়ির কাচের পিছে
গোর দেয় তারা তারে
গাড়ির চাকার নীচে
সড়কেই গাড়ি আছে তাও
সবুজ বাতির ইন্তাজারে
লাল বাতি
থামো
সবুজ বাতি
যাও
লাল বাতি সবুজ বাতি
বুলান্দ্ আল-হায়দারি (১৯২৬-১৯৯৬)
পথের মোড়ে সংলাপ
ঘুমাও নি… বিষণ্ন প্রহরী,
ঘুমাবে কখন?
তোমার লণ্ঠনালোকে বোজো নি চোখের পাতা এক-হাজার সাল,
তুমি, ক্রুশবিদ্ধ তার মেলে-ধরা হাতের পাতায়
কোনোদিন ঘুমাবে না আর?
বিশবারের মতো… আমি ঘুমাবারে চাই,
ঘুম আসে, হায় তবু ঘুমাতে পারি না,
পঞ্চাশবারের মতো
চোখ ভ’রে ঘুম এসেছিল, কিন্তু ঘুমাতে পারি নি,
কেননা বিষণ্ন এই প্রহরীর কাছে
ঘুম একটা ছুরির ফলক।
ঘুমিয়ে পড়তে ভয় লাগে,
স্বপ্নে জেগে উঠতে ভয় লাগে।
ওদের পোড়াতে দাও রোম… ওরা পোড়াক বার্লিন,
চীনের প্রাচীর চুরি ক’রে নিক ওরা।
তোমাকে ঘুমাতে হবে…
বিষণ্ন প্রহরীর এক মুহূর্তের
বিশ্রামের সময় এখন… সে ঘুমায়
ঘুমাই আমিও… আর পোড়ে প্রতি-মুহূর্তে বার্লিন
প্রতিটা প্রহরে চুরি হ’য়ে চলে চীনের প্রাচীর
পলকের মধ্যে এক ড্রাগন জন্মায়।
ঘুমাতে যে ভয় পাই, তার
কারণ: বিষণ্ন এই প্রহরীর কাছে
ঘুম একটা ছুরির ফলক।
(ইরাক)
আদনিস (১৯৩০-)
শহিদ
যখন জ্বলন্ত তার চোখের পাতায় আমি রাত্রি দেখলাম
তার মুখে ছিল না কোনোই গাছ, কিংবা কোনো তারা।
ফুঁসে বেড়ালাম তার মাথার চৌদিকে
দমকা হাওয়ার মতো, তারপর খান্খান্ ভেঙে পড়লাম
একখানা ভাঙাচোরা বাঁশির মতন।
বিংশ শতাব্দীর জন্য একটা আয়না
একটা কফিন, ব’য়ে নিয়ে যাচ্ছে একটা শিশুর কচি মুখ
একখানা বই,
একটা কাকের পেটে হয়েছে যা লেখা
আর বুনো জন্তু এক, একটা ফুলের সাথে আসা
একটা পাথর
উন্মাদের ফুসফুসে যা নিচ্ছে নিশ্বাস:
এ-ই তাই
এ-ই এই বিংশ শতক।
মিনারিকা
‘একদা আজনবি এল এক,’
মিনারিকা কেঁদে কেঁদে গায় —
‘কিনে নিল আমাকে সে, আর
চিমনি এক চড়াল মাথায়।’
হামলা
পাখিরা পুড়ে যায়।
ঘোড়ারা আর মেয়েরা, ফুটপাত,
সব — তিমুর লঙের হাতে রুটির গুঁড়া, হায়!
আগুন-গাছ
কোঁচকানো পাতাদের একটা পরিবার
পড়েছিল ঝর্নার পাশে।
অশ্রুর দেশের বুকে দিয়েছে আঘাত,
প’ড়ে শুনিয়েছে তারা আতশ-কেতাব
ঝোরার পানিকে।
আমার জন্য থেমে থাকে নি আমার পরিবার,
রেখে যায় নি
কোনো চিহ্ন, কোনোই আগুন।
(সিরিয়া)
নিজার কাব্বানি (১৯২৩-১৯৯৮)
মর্ফিন
‘শব্দ’ একটা লাফ-দিয়ে-ছোটা বল
ব্যালকনি থেকে মালিকের ছুঁড়ে-দেওয়া,
কুত্তার মতো জিব-লকলক যত
জনগণ যার পিছনে করছে ধাওয়া।
‘শব্দ’ তুখোড় কলের পুতুল এক
আরব বিশ্বে, যে-কিনা কইতে পারে
সাত-সাতখানি ভাষায় একটা কথা,
আর সে মাথায় লাল এক টুপি পরে।
বিক্রি করে সে স্বর্গ, ও মনোহারী
চুড়ি-বালা-বিছা, চকমকে, সুচতুর —
আয়ত চোখের বাচ্চাও বেচে মেলা,
সাদা খরগোশ, সাদা-সাদা কবুতর।
অতি-ব্যবহৃত খানকি, ‘শব্দ’ এক —
লেখক শুয়েছে তার বিছানায় ঢের,
আরও বেশিদিন শুয়েছে সাংবাদিক,
এবং শুয়েছে ইমামও, মসজিদের —
সাত শতকের পর থেকে এই ‘শব্দ’
এক-শট মর্ফিন,
রাজা বাক্যের জোরে তার প্রজাদের
করছে বাক্যহীন!
‘শব্দ’ আমার দেশে মেয়েদের মতো,
পুরুষের মনোরঞ্জনে যা’দিগকে
সারাটা জীবন থাকতে হচ্ছে রত —
কেতাব আইন হয়েছে যখন থেকে।
(সিরিয়া)
সাদি ইউসুফ (১৯৩৪-)
ওড়া
দুপুরবেলায় খ’শে পড়েছিল মেঘ,
বালক হতাম যদি
হাতে তুলে নিয়ে মেঘটাকে
ছুঁড়ে দিতাম বাগানে
একটা বলের মতো…
এবং লাফিয়ে চ’ড়ে বলটিতে নিজে
চেঁচিয়ে বলতাম আমি কুকুরগুলিকে:
ঘেউ ঘেউ কর্ তোরা… আমি যাতে উড়ে যেতে পারি।
পরাভব
শুরু আমরা করেছিলাম
দুলকি চালে লাফিয়ে-যাওয়া দু’টি ঘোড়ার মতো
এই দুনিয়ার এস্পার ওস্পার
আর আজকে ঘরের কোণে
গুটিসুটি প’ড়ে-থাকা ছায়ার মতো আহা
আমরা পরাভূত
(ইরাক)
ইসাম মাহ্ফুজ (১৯৩৫-)
উপসংহার
আমার গল্পের উপসংহার
টেবিলে প’ড়ে থাকা
উচ্ছিষ্টের মতো
ঠাণ্ডা।
সালাহ্ নিয়াজি (১৯৩৫-)
বোরকার প্রত্যাবর্তন
কে ঠেসেছে ময়নাটিকে,
সেলাই ক’রে দিয়েছে ভয় তার পালকে?
ঠাস ক’রে তার দরজাটিকে বন্ধ করার মতো
কে ঢেকেছে বোরকাতে ঐ বালিকাকে?
উনসি আল-হাজ (১৯৩৭-)
স্মৃতি
এই
দীর্ঘ
রাত!
আমাকে কবর দিচ্ছে উটপাখিগুলি
মেয়ে প্রজাপতি মেয়ে
একটা মেয়ে স্বপ্ন দেখল সে প্রজাপতি
আর জেগে উঠে
বুঝতে পারল না মোটে
সে ছিল কিনা স্বপ্নে নিজেকে প্রজাপতি-ভাবতে-থাকা বালিকা এক
নাকি
বালিকা-ভাবতে-থাকা প্রজাপতি
শত শত বৎসর পরে
রাতের হাওয়া
(বাছারা আমার)
একটা বালক আর একটা বালিকার
প্রজাপতির মতো চটুলতা
যে-প্রজাপতি স্বপ্ন দেখেছিল সে একটা বালক আর একটা বালিকা
কিংবা
একটা বালক আর একটা বালিকা যারা স্বপ্ন দেখেছিল তারা প্রজাপতি
তার পর হাওয়া হ’ল তুফান
(বাছারা আমার)
বাইরে ছিন্নভিন্ন প’ড়ে থাকল
একটা প্রজাপতি।
সামিহ্ আল-কাসিম (১৯৩৯-)
যুদ্ধের পুত্রেরা
বাসর-রাতে তারে
যুদ্ধে নিয়ে গেল তারা।
পাঁচটা সাল হয়রানি।
একদা ফিরে এল লাল
স্ট্রেচারে চ’ড়ে, তার
তিনটা ছেলে তার সাথে
মিলতে গেল বন্দরে।
দেয়ালের ঘড়ি
আমার শহর ধ’সে গেল
দেয়ালে ঘড়িটা তবু ছিল
আমার পাড়াটা ব’সে গেল
দেয়ালে ঘড়িটা তবু ছিল
আমার রাস্তাটা ভাঙা হ’ল
দেয়ালে ঘড়িটা তবু ছিল
চত্বরটা রক্ত-রাঙা হ’ল
দেয়ালে ঘড়িটা তবু ছিল
বাড়িটা চুড়চুড়া হ’ল
দেয়ালে ঘড়িটা তবু ছিল
এবং দেয়ালও গুঁড়া হ’ল
ঘড়িটা তখনও বেজে গেল
টিক টিক টিক
সেনাপতির সম্পত্তি
(এরিয়েল শ্যারন-কে)
সেনাপতির টেবিলে ফুলদানি
ফুলদানিতে পাঁচটা গোলাপ তোলা
তাঁর ট্যাংকের মুখ মোট পাঁচখানি
আর, ট্যাংকের তলায় একটা পাঁচ বছরের ছেলে, একটা গোলাপ
একটা ছেলে, পাঁচটা তারা সেনাপতির কাঁধের অলঙ্কার
পাঁচটা ছেলে, একটা গোলাপ ফুলদানিতে তার
তার ট্যাংকের তলায় পাঁচটা গোলাপ, পাঁচটা ছেলে
ট্যাংকের মুখ শেষ হয় না তাদের গুনতে গেলে
(প্যালেস্টাইন)
মাহ্মুদ দারবিশ (১৯৪১-২০০৮)
আমি গণহত্যা দেখেছি
আমি গণহত্যা দেখেছি, একখানা
মানচিত্র মেরেছে আমাকে
সরল কথার আমি ছানা
দেখেছি কাঁকর-খোয়া উড়তে ঝাঁকে-ঝাঁকে
দেখেছি নীহারকণা বোমার মতন ঝ’রে পড়তে
মুখের উপরে হায় আমার মনের দরজা বন্ধ করল ওরা
কার্ফিউ কায়েম করল, ব্যারিকেডে রাস্তা ভরল ওরা
আমার হৃদয় বদ্লে গেল সরু একটা গলিতে
বদ্লে গেল পাঁজর পাথরে
আর, কার্নেশন ফুটল থরে-থরে
আর, কার্নেশন ফুটল থরে-থরে