চার্লস বুকোস্কির কিছু কবিতা

 

একাকী ছিলাম না

আমি একাকী ছিলাম না। আই ওয়াজন্ট লোনলি। তাই আমি কখনও কোনো আত্ম-মমত্ববোধের অভিজ্ঞতা পাইনি জীবনে। আমি এমন এক জীবনে জড়িয়ে পড়েছি যেখানে আমি কোনো অর্থ খুঁজে পাই না।

— চার্লস বুকোস্কি



সকলের মাঝে একলা 

মাংস ঘুইরা রাখে, হাড়

আর ঐখানে তারা ছেড়ে দেয় মন

মাঝেমধ্যে একটা আত্মা


মেয়েরা আছাড় মারে ফুলদানি, দেয়ালে

ছেলেরা খাইতে থাকে মদ

কেউ খুইজা পায় না, 

‘দ্য ওয়ান’

কিন্তু, খুজতে থাকে

বিছানা থিকা বাইর হয়

আবার গিয়া ঢুকে

হাড় ঢাকা পরে, মাংসে


আর


মাংস খুজতে থাকে

মাংসের চেয়েও 

একটু বেশি


১) আমি মানুষকে ঘৃণা করি নাত বে তারা আশেপাশে না থাকলে খুশি হই 

২) যদি ভালবাসার ক্ষমতা আপনার থাকে, তো আগে নিজেকে ভালবাসেন। 

৩) ভালোবাসা একটি কুকুর যে নরক থেকে এসেছে।

- চার্লস বুকোস্কি



ফালতুগুলা

অনুবাদঃ ইমরুল হাসান

কবিতার খাতাগুলা ধীরে ভরতে থাকে,

তখন বোঝা যায় আসলে

কত কম লিখসো তুমি।

সবকিছু ঘুইরা ফিরা সেই একই রোদ-বৃষ্টি,

যানজট, বছরের দিন-রাত্রি আর পরিচিত মুখগুলার

কথাই বলে৷ 

রেডিওতে পিয়ানো বাজতেসে,

এই অবস্থায় আরও একটা লাইন লিখতে লিখতে

মনে হয়, এইসবের সাথে বাঁচার চাইতে

বরং এইসব ছাইড়া যাওয়াই সহজ হবে,

সেরা লেখকেরা খুব কমই বইলা গেসে

আর ফালতুগুলা,

মাত্রাতিরিক্ত!





দ্যা ক্র্যাঞ্চ



ঘড়ির কাঁটার গতিহীনতায় 

করুণ একাকিত্ব। 

প্রেমে বা অপ্রেমে ক্লান্ত 

তিক্ত মনুষ্যত্ব। 

ধনী কি গরীব সবাই বিরূপ 

পরস্পরের প্রতি ,

আজকের দিনে সরল নয়তো 

কারোর মনের গতি। 


ভয় পেয়েছি তাই 

রোজ মগজধোলাই 

হয় দিনেরাতে ,

তুমি যাবে জিতে -

এটাই সবাই শেখে। 

কেউ কি তাকিয়ে দেখে 

ভরে ওঠা নর্দমা

পেরিয়ে দেখার সীমা ?  

কিম্বা  আত্মহনন ?

বিষাদশীর্ণ মনন 

গাছের গোড়ায় জল ঢেলে চলে 

প্রতিদিন প্রতিরাতে 

একলা ভয়ের সাথে ?





একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন